Ajker Patrika

নাজিমগঞ্জে সরকারি জমিতে তৈরি হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি 

প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা) 
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২: ০৩
নাজিমগঞ্জে সরকারি জমিতে তৈরি হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি 

কালীগঞ্জ উপজেলার নাজিমগঞ্জ বাজারে চলছে সরকারি জমি দখলের মহোৎসব। উপজেলা সদরে অবস্থিত নাজিমগঞ্জ বাজারে প্রভাবশালীরা প্রকাশ্য দখল করছে এসব জায়গা। কতিপয় দখলদাররা প্রকাশ্য নদীর জমি দখল করে সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে বলে দাবি স্থানীয়দের। 

জানা যায়, মাহফুজ উল্লাহ এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হওয়ায় সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে স্থায়ী দোকান নির্মাণ করে। সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন তিনি। 

আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন বাজারে গেলে দেখা যায়, বাজারের প্রভাবশালী কাপড় ব্যবসায়ী এম রহমান বস্ত্রালয়ের মালিক হাফিজুল ইসলাম তাঁর দোকানের পেছনে টিন দিয়ে ঘিরে সরকারি খাসজমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। সংবাদকর্মীরা নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ব্যবসায়ীর মেজ ভাই মোহফুজ উল্লাহ। 

এ বিষয়ে ওই দোকানের কর্মচারী রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, সরকারি জমি দখল করছি তাতে সাংবাদিকদের সমস্যা কোথায়। ভেতরে যেতে হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসারকে নিয়ে আসতে হবে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে কাপড় পাচার করে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন এম রহমান বস্ত্রালয়ের মালিক। ওই দোকানের পেছনের গোডাউনে ভারতীয় পণ্য আছে তাই সংবাদকর্মীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। স্থানীয় ভূমি অফিস দায়সারা বাধা দিলেও থেমে নেই সরকারি জমি দখল করে ভবনের নির্মাণকাজ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমোদন না থাকলেও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় সরকারি সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে এম রহমান বস্ত্রালয়ের মালিক।

বাজারের কয়েকজন দোকান কর্মচারী বলেন, এম রহমানের মালিক যেখানে ভবন নির্মাণ করছেন তার পাশেই বাজারের পাবলিক টয়লেট। কিন্তু ভবন নির্মাণ করায় এখন সেখানে সব সময় লোকসমাগম বেশি থাকে। ফলে প্রতিনিয়ত নারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।  

এম রহমান বস্ত্রালয়ের মালিক সরকারি জমি দখল করে দোকান নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি একা সরকারি জমি দখল করিনি। আমার মতো অনেকেই করেছে। আর ভারতীয় অবৈধ কাপড় বিক্রির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

জেলা প্রশাসক হ‌ুমায়ূন কবির বলেন, দখলের বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করা হয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত