আল-আমিন রাজু, মোংলা (বাগেরহাট) থেকে
একজন আসামি জেলে থাকলে মুক্ত আকাশ দেখতে পেতেন না। কিন্তু আমরা মুক্ত আকাশের নিচে থেকেও নির্ভার বা স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারিনি। কখনো প্রতিপক্ষ আবার কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আতঙ্কে দিন কাটতো। ছেলে-মেয়ে, বাবা-মায়ের মুখ দেখতে পারতাম না। গ্রামে আসতে পারতাম না।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতার কারণে এক যুগের দস্যুতার জীবন সমাপ্তি হয়। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার কারণে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারছি না। পুলিশের আতঙ্ক আর মামলার ব্যয় বহন করতে গিয়ে আমাদের স্বাভাবিকভাবে জীবন ধারণ করা কঠিন হয়ে গেছে। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সুন্দরবনের এক সময়ের মূর্তিমান আতঙ্ক মাস্টার বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ।
সাবেক জলদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধান বলেন, একটা সময়ে আমার এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে দস্যুতার জীবন বেছে নেই। এই দস্যুতার জীবনে আয় ভালো থাকলেও অজানা আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়াত। আর এখন দস্যুতা ছেড়ে দেওয়ার পরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিশ্চিন্তের জীবন পেয়েছি। কিন্তু মামলার কারণে শুরু হয়েছে আরেক আতঙ্ক। আত্মসমর্পণের সময়ে সরকার আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো ছিল সেগুলো এক বছরের মধ্যে প্রত্যাহার করার কথা দিয়েছিল। কিন্তু সুন্দরবনে দস্যুতা মুক্তির তিন বছরে এসেও মামলার আসামি রয়ে গেলাম।
মোস্তফা শেখ আরও বলেন, সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় দল ছিল আমার। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমার দলের ৯ সদস্য নিয়ে ৫২টি অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করি। আমার দল ছিল অনেক বড় কিন্তু সবাই সাহস করেনি। তবে আমরা আত্মসমর্পণ করার পর একে একে সবাই দস্যুতা ছেড়ে দিয়ে সাধারণ জীবনে ফিরে এসেছে।
মামলার বিষয়ে মোস্তফা শেখ বলেন, দস্যুতা ছেড়ে ভালোই ছিলাম। নতুন জীবন পেয়ে একটি দোকান দিয়েছিলাম। কিন্তু মামলার কারণে এখন বাড়িতে থাকতে পারছি না। আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। পালিয়ে বেড়ানোর কারণে দুই বছর ধরে দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখন আবার সেই পালানোর জীবন চলছে। সরকার আমাদের অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। কিন্তু মামলা থেকে মুক্তি না দিলে আমাদের জীবনের সুখ ফিরবে না। এটা শুধু আমার কথা না। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সকল সাবেক জলদস্যুদের একই দাবি।
দস্যুতার জীবন সমাপ্তির তিন বছর পর কেমন আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা শেখ বলেন, ভালো নেই বলব না, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। কিন্তু আমাদের প্রথম চাওয়া হলো মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এটা করব।
২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু ৪৬২টি অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। এই দিনটিকেই প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করেন।
একজন আসামি জেলে থাকলে মুক্ত আকাশ দেখতে পেতেন না। কিন্তু আমরা মুক্ত আকাশের নিচে থেকেও নির্ভার বা স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারিনি। কখনো প্রতিপক্ষ আবার কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আতঙ্কে দিন কাটতো। ছেলে-মেয়ে, বাবা-মায়ের মুখ দেখতে পারতাম না। গ্রামে আসতে পারতাম না।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতার কারণে এক যুগের দস্যুতার জীবন সমাপ্তি হয়। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার কারণে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারছি না। পুলিশের আতঙ্ক আর মামলার ব্যয় বহন করতে গিয়ে আমাদের স্বাভাবিকভাবে জীবন ধারণ করা কঠিন হয়ে গেছে। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সুন্দরবনের এক সময়ের মূর্তিমান আতঙ্ক মাস্টার বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ।
সাবেক জলদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধান বলেন, একটা সময়ে আমার এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে দস্যুতার জীবন বেছে নেই। এই দস্যুতার জীবনে আয় ভালো থাকলেও অজানা আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়াত। আর এখন দস্যুতা ছেড়ে দেওয়ার পরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিশ্চিন্তের জীবন পেয়েছি। কিন্তু মামলার কারণে শুরু হয়েছে আরেক আতঙ্ক। আত্মসমর্পণের সময়ে সরকার আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো ছিল সেগুলো এক বছরের মধ্যে প্রত্যাহার করার কথা দিয়েছিল। কিন্তু সুন্দরবনে দস্যুতা মুক্তির তিন বছরে এসেও মামলার আসামি রয়ে গেলাম।
মোস্তফা শেখ আরও বলেন, সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় দল ছিল আমার। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমার দলের ৯ সদস্য নিয়ে ৫২টি অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করি। আমার দল ছিল অনেক বড় কিন্তু সবাই সাহস করেনি। তবে আমরা আত্মসমর্পণ করার পর একে একে সবাই দস্যুতা ছেড়ে দিয়ে সাধারণ জীবনে ফিরে এসেছে।
মামলার বিষয়ে মোস্তফা শেখ বলেন, দস্যুতা ছেড়ে ভালোই ছিলাম। নতুন জীবন পেয়ে একটি দোকান দিয়েছিলাম। কিন্তু মামলার কারণে এখন বাড়িতে থাকতে পারছি না। আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ওয়ারেন্ট রয়েছে। পালিয়ে বেড়ানোর কারণে দুই বছর ধরে দোকান বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখন আবার সেই পালানোর জীবন চলছে। সরকার আমাদের অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। কিন্তু মামলা থেকে মুক্তি না দিলে আমাদের জীবনের সুখ ফিরবে না। এটা শুধু আমার কথা না। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সকল সাবেক জলদস্যুদের একই দাবি।
দস্যুতার জীবন সমাপ্তির তিন বছর পর কেমন আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা শেখ বলেন, ভালো নেই বলব না, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। কিন্তু আমাদের প্রথম চাওয়া হলো মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এটা করব।
২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন জলদস্যু ৪৬২টি অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। এই দিনটিকেই প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করেন।
খুলনার দাকোপ উপজেলায় জমি দখল করতে অবৈধভাবে ফসলি জমিতে বালু ভরাট করা হয়েছে। তারপর সেই জমিতে বেসরকারি শিপইয়ার্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা। আজ শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত ছয়জন এই অভিযোগ করেন।
১০ মিনিট আগেরাজবাড়ীর পাংশায় ইউনিয়ন যুবদল কর্মী রাশিদুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। পূর্বশত্রুতার জেরে আজ শনিবার সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগেসাতক্ষীরায় অপরিপক্ব এক ট্রাক আম বাজারজাতের চেষ্টাকালে জব্দ করে ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে এই অভিযান চালানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে ট্রাকে অপরিপক্ব আমের বিষয়টি শনাক্ত করেন। পরে তাঁরা আমবাহী একটি ট্রাক
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাতিরঝিলে যুবদল কর্মী মো. আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ‘শুটার’ মাহফুজুর রহমান বিপুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৩–এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য
১ ঘণ্টা আগে