মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৭ 

কপোতাক্ষ নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার পার্শেমারী এলাকায় দুই ইউপি সদস্যের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে নারীসহ ২৭ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে বর্তমান ইউপি সদস্য মশিউর রহমান ও তাঁর প্রতিপক্ষ ইব্রাহিম হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এ সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন—মুজিবর খান (৪৫), আবুল কালাম (৪০), জাহিদ হাসান, (২৩), দিদারুল ইসলাম (৩২), সিরাজুল ইসলাম (২৮), আবু সুফিয়ান (৩২), আছাদুল ইসলাম (২১), আব্দুল মান্নান মোল্যা (৫২) ও মশিউর গ্রুপের তৈয়ব আলী (২৫), হালিমা বেগম (৪৫), সফিকুল (২৮), শাহানুর (৩৮), কোহিনুর (৩৫), মোজাহিদ (২৪), এজারুল (২৬) সহ ১৭ জনকে শ্যামনগরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা মুজিবর খানসহ আরও চারজনকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের সবাই শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পার্শেমারী গ্রামের বাসিন্দা।

 স্থানীয়রা বলছে, বাড়ির পাশে কপোতাক্ষ নদীতে জাল ধরাকে কেন্দ্র করে ইব্রাহিম ও মশিউরের সমর্থকেরা রোববার বেলা ১১টার দিকে প্রথমে সংঘর্ষে জড়ায়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে উভয় পক্ষ  কপোতাক্ষ পাড়ের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর জড়ো হলে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ ইট-পাটকেল দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হলে দুপক্ষের অন্তত ২৭ জন আহত হয়।

 এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মশিউর রহমান বলেন, কপোতাক্ষ নদীতে জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন লোক কবিরুল ইসলামকে মারপিট করে। ওই ঘটনার জেরে কোনো উসকানি ছাড়াই ইব্রাহিমের নেতৃত্বে শতাধিক লাঠিয়াল আমার গ্রামে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় আমার মহল্লার লোকজন পাল্টা জবাব দিতে শুরু করলে ইব্রাহিমের কয়েকজন কর্মী আহত হয়। 

অপর ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘আমার কর্মীকে মারধরের বিষয়ে জানতে গেলে মশিউরের লোকজন তাঁদের কুপিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে সে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।’ সংঘর্ষে তাঁর ১৮-২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। 

এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন, ‘সংঘর্ষের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’