Ajker Patrika

মনিরামপুরে নকল ট্যাং তৈরির কারখানায় অভিযান

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩, ২৩: ০১
মনিরামপুরে নকল ট্যাং তৈরির কারখানায় অভিযান

যশোরের মনিরামপুরে নকল সফট ড্রিংক পাউডার ট্যাং তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে। উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের একটি বাড়িতে এ নকল ট্যাং তৈরির কাজ চলছিল। আজ বুধবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ট্যাং পাউডার জব্দ করে। এ সময় বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেন ও কারখানার ব্যবস্থাপক রুহুল কুদ্দুসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া বিএসটিআইর লোগো ব্যবহার করে কোনো প্রকার ল্যাব টেস্ট ছাড়া কয়েকজন শ্রমিক ওই বাড়িতে নকল সফট ড্রিংক পাউডার ট্যাং তৈরি করছিলেন। আজ দুপুরে সরেজমিন গিয়ে কয়েকজন শ্রমিককে ট্যাং তৈরির কাজে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র চিনি, রং আর ফ্লেভার দিয়ে তাঁরা আম ও কমলার স্বাদের ট্যাং তৈরি করছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেন কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অবৈধভাবে বিএসটিআইর লোগো ব্যবহার ও মানহীন সফট ড্রিংক পাউডার তৈরির অভিযোগে মালিক আনোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপক রুহুল কুদ্দুসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

নকল ট্যাং মোড়কজাত করণের কাজ করছেন শ্রমিকরা।আলী হাসান বলেন, ‘আমরা বিপুল পরিমান নকল সফট ড্রিংক পাউডার জব্দ করেছি। পরে সেগুলো পুড়িয়ে ও পানিতে ফেলে নষ্ট করা হয়েছে।’ 

বিএসটিআইর মাঠ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দপ্তর থেকে আমাদের কাছে যশোর অঞ্চলে তৈরি হওয়া সফট ড্রিংক পাউডার কারখানার তালিকা চাওয়া হয়েছিল। আমাদের দেওয়া তালিকায় মনিরামপুরের কোন কারখানার নাম ছিল না। পরে জানতে পেরেছি মনিরামপুরে আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে বিএসটিআইর নকল সিল ব্যবহার করে ট্যাং তৈরি হচ্ছে। আজ অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৯৭০ কেজি মানহীন সফট ড্রিংক পাউডার জব্দ করে নষ্ট করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ২১ হাজার টাকা।’

পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর ধরে আনোয়ার হোসেন বাড়ির দুটি কক্ষে ১০-১২ জন শ্রমিক খাটিয়ে নকল ট্যাং তৈরি করে আসছিলেন। টেংগি কমলা ও টেংগি ম্যাংগো নামে ৫০০ গ্রামের প্লাস্টিকের পাত্র ও ১২৫ গ্রামের কাগজের প্যাকেটে ভরে চৌধুরী ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ, মনিরামপুর, যশোরের নামে বাজারে সরবরাহ দিচ্ছিলেন তিনি। এগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ দেওয়া হতো।’

জব্দ করা নকল সফট ড্রিংক পাউডার।অভিযুক্ত বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাশিমনগর ইউনিয়নের শিরিলী গ্রামের হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আমার দুটো কক্ষ ভাড়া নিয়ে এ ট্যাং তৈরি করেন। রমজান উপলক্ষে বছরে তিন মাস ট্যাং তৈরির কাজ চলে। এরপর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর জানুয়ারির মাঝামাঝিতে কাজ শুরু হয়েছে।’

অভিযানে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এণ্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মাঠ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম সুমন, আলী আকবর সোহেল, শাহানুর হোসেন খান, থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অশোক কুমার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত