Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নীলমণি এখনো পুরোদস্তুর কিষানি

ইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, ১৮: ২৫
বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নীলমণি এখনো পুরোদস্তুর কিষানি

কৃষিই তাঁদের প্রধান পেশা। নিজেদের জায়গাজমি তেমন নেই। অধিকাংশই বংশপরম্পরায় কৃষিশ্রমিক। পূর্বপুরুষদের দীর্ঘদিনের কৃষিঘনিষ্ঠতা তাঁদের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ করেছে। তবে অর্থনৈতিক উন্নতি তেমন হয়নি। সেই সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা নীলমণি কিসকু।

অভাবের সংসারে অদম্যচেষ্টায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছেন নীলমণি। কিন্তু পারিবারিক পেশা বিস্মৃত হননি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে চতুর্থ সেমিস্টারে পড়ছেন নীলমণি কিসকু।

ক্যাম্পাসে নীলমণির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধান কাটা, নিড়ানিসহ সব ধরনের কৃষিকাজ করেন তিনি। শৈশবের দুরন্তপনার সুযোগ ছিল কম। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও কৃষিকাজ ছাড়েননি। ধান কাটার মৌসুমে বাড়িতে থাকলে নিজেদের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করেন। এরপর অন্যদের জমিতে কাজ করে কিছু উপার্জন করেন। 

এখনো বাড়িতে গিয়ে অন্যের জমিতে কাজ করেন নীলমণি কিসকুনীলমণি কিসকুদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের জুগিডাইং গ্রামে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি বলে কী মাঠে কাজ করব না। অভাব-অনটনের পরিবারে এসব আবেগী কথা মানায় না! তা ছাড়া সাঁওতাল মেয়েদের এসব খুবই নিয়মিত কাজ। জীবনের প্রয়োজনেই এখনো এসব করতে হচ্ছে। ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক কষ্ট করেই লেখাপড়া করছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত