চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সিংড়া-কর্চ্চাডাঙ্গার বিল দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দখলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বিএনপির নেতারা বলছেন, বিল পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থিত সিংড়া-কর্চ্চাডাঙ্গা জলাশয়। ৭ দশমিক ১৬ একর আয়তনের এই জলাশয় ২০১৮ সালে ইজারা নেন উপজেলার কর্চ্চাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও কর্চ্চাডাঙ্গা যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হায়দার আলী। তিনি অসুস্থ থাকায় সমিতির মাধ্যমে বিলটি পরিচালনা করছিলেন তাঁর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া বিলের মালিকানা নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জীবননগর উপজেলার বেশ কয়েকটি বিল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের থেকে অন্য প্রতিপক্ষরা দখলের চেষ্টা শুরু করে। উপজেলার সিংড়া-কর্চ্চাডাঙ্গার বিল দখলে নেওয়া নিয়ে স্থানীয়দের দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের মদদে বিল দখল করা হচ্ছে।
হায়দার আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। আমরা কেউ সেভাবে আওয়ামী লীগ করি না। কোনো পদে নেই। বিলটি মাত্র ৭ দশমিক ১৬ একরের, তুলনামূলক অন্য বিলের মতো বড় নয়। আমাদের জেলেদের অনেক পরিশ্রম করার মাধ্যমে ও ঋণ করে বিলে মাছ দেওয়া হয়েছিল। বারবার বলেছি, অন্তত মাছগুলো ধরে নেওয়ার সুযোগ দিন। তাও দেওয়া হচ্ছে না। হুমকি-ধমকি দিয়ে বিলের কাছেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক টাকার মাছ ছিল। জোর করেই বিলের দখল নিয়ে নিচ্ছে। পুলিশ আসবে না বলে বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সিংড়া গ্রামের মোক্তার, বাসার, রহম ও আলা বিলের দখল নিচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে মো. আলাকে মোবাইল ফোনে বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে কল কেটে দেন। একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তছেরের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘বিল সম্পর্কে কিছু জানতে হলে মোক্তারের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তিনি আর থানা সভাপতি বিল সম্পর্কে জানেন। আমি কিছু জানি না।’
আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তারের মোবাইল ফোনে বিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যা বলি, আপনি সেই মতো কাজ করেন। বিল সম্পর্কে জানতে আমাদের থানা সভাপতির কাছে জিজ্ঞেস করেন। ভালো-মন্দ যা বলার তিনিই বলবেন।’
এ বিষয়ে জীবননগর থানা বিএনপির সভাপতি খোকন খান বলেন, ‘আগে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ডাক করতাম। পরে বোধ হয় উপজেলা থেকে করা হতো। ১৭ বছর এটার খোঁজ রাখি নাই। আবার শোনা যাচ্ছে, বিলটা নাকি কেউ একজন নিজের নামে করে নিয়েছেন। এখন কাগজপত্র না দেখা পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না। আওয়ামী লীগের আমলে বিল বেদখল হয়ে যায়। এটি পুনরুদ্ধার করে আমাদের লোকজন, যাদের কাছ থেকে বিল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা এটাকে পুনরুদ্ধার বলছি। যারা দখলবাজ ছিল, তাদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি।’
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সিংড়া-কর্চ্চাডাঙ্গার বিল দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দখলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বিএনপির নেতারা বলছেন, বিল পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থিত সিংড়া-কর্চ্চাডাঙ্গা জলাশয়। ৭ দশমিক ১৬ একর আয়তনের এই জলাশয় ২০১৮ সালে ইজারা নেন উপজেলার কর্চ্চাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও কর্চ্চাডাঙ্গা যুব উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হায়দার আলী। তিনি অসুস্থ থাকায় সমিতির মাধ্যমে বিলটি পরিচালনা করছিলেন তাঁর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া বিলের মালিকানা নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জীবননগর উপজেলার বেশ কয়েকটি বিল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের থেকে অন্য প্রতিপক্ষরা দখলের চেষ্টা শুরু করে। উপজেলার সিংড়া-কর্চ্চাডাঙ্গার বিল দখলে নেওয়া নিয়ে স্থানীয়দের দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের মদদে বিল দখল করা হচ্ছে।
হায়দার আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের সব কাগজপত্র ঠিক ছিল। আমরা কেউ সেভাবে আওয়ামী লীগ করি না। কোনো পদে নেই। বিলটি মাত্র ৭ দশমিক ১৬ একরের, তুলনামূলক অন্য বিলের মতো বড় নয়। আমাদের জেলেদের অনেক পরিশ্রম করার মাধ্যমে ও ঋণ করে বিলে মাছ দেওয়া হয়েছিল। বারবার বলেছি, অন্তত মাছগুলো ধরে নেওয়ার সুযোগ দিন। তাও দেওয়া হচ্ছে না। হুমকি-ধমকি দিয়ে বিলের কাছেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক টাকার মাছ ছিল। জোর করেই বিলের দখল নিয়ে নিচ্ছে। পুলিশ আসবে না বলে বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সিংড়া গ্রামের মোক্তার, বাসার, রহম ও আলা বিলের দখল নিচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে মো. আলাকে মোবাইল ফোনে বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে কল কেটে দেন। একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তছেরের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘বিল সম্পর্কে কিছু জানতে হলে মোক্তারের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তিনি আর থানা সভাপতি বিল সম্পর্কে জানেন। আমি কিছু জানি না।’
আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তারের মোবাইল ফোনে বিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যা বলি, আপনি সেই মতো কাজ করেন। বিল সম্পর্কে জানতে আমাদের থানা সভাপতির কাছে জিজ্ঞেস করেন। ভালো-মন্দ যা বলার তিনিই বলবেন।’
এ বিষয়ে জীবননগর থানা বিএনপির সভাপতি খোকন খান বলেন, ‘আগে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ডাক করতাম। পরে বোধ হয় উপজেলা থেকে করা হতো। ১৭ বছর এটার খোঁজ রাখি নাই। আবার শোনা যাচ্ছে, বিলটা নাকি কেউ একজন নিজের নামে করে নিয়েছেন। এখন কাগজপত্র না দেখা পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না। আওয়ামী লীগের আমলে বিল বেদখল হয়ে যায়। এটি পুনরুদ্ধার করে আমাদের লোকজন, যাদের কাছ থেকে বিল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা এটাকে পুনরুদ্ধার বলছি। যারা দখলবাজ ছিল, তাদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি।’
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১৫ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২২ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২৭ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
৩১ মিনিট আগে