কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
স্বপ্নই রয়ে গেল চিত্রা নদীর দুই পাড়ের মানুষের। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে চিত্রা নদীর ওপর আবারও স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বাঁশের সাঁকো। বছর বছর যে সাঁকো ভেঙে যায়, সেটাই আবার নতুন করে বানাচ্ছেন গ্রামবাসী। সাময়িক দুর্ভোগ লাঘব হলেও তাঁরা চান স্থায়ী সমাধান। এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিত্রা নদীর ওপর এ বাঁশের সাঁকো প্রথম নির্মাণ করা হয় ২০০৭ সালে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোপালপুর, হাজিডাঙ্গা, সুতি, মধুহাটি ও কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার, ঘাগা ও কুশনা গ্রামের মানুষ মিলে স্বেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক সহায়তায় এটি তৈরি করেন।
গত ২০ মে প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়ে বাঁশের ওই সাঁকো। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যাহত হয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হয়, কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করা বন্ধ হয়ে যায়।
এই দুর্ভোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয়, এমনকি জাতীয় দৈনিকেও একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এরপরও সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। ফলে এ বছরও আবার হাত লাগাতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বছর সাঁকো নির্মাণে সহায়তা করেছে ‘অনির্বাণ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের সহায়তায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা আজ বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান হয়েছে।
সুতী গ্রামের বাসিন্দা অসিত কুমার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ করে আসছি। অনেকবার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবারও বাধ্য হয়ে নিজেরাই আবার সাঁকো তৈরি করেছি। সরকারি সহায়তা না থাকলেও আমরা পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছি—জনগণের ইচ্ছা ও ঐক্য থাকলে অনেক কিছু সম্ভব।’
তালসার গ্রামের মুদিদোকানি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর এ দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা, কৃষকের পণ্য পৌঁছাতে পারছে না বাজারে। আমরা চাই একটি পাকা সেতু, যাতে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা আকিমুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষায় পানির প্রবল স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। বারবার চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তাই আবারও নিজেরাই বানিয়ে ফেলেছি।’
কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ বলেন, ‘প্রতিবছর বৃষ্টির সময় এলেই এই ভোগান্তি শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে বহুবার আলোচনা করেছি, তবু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব, যেন স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করা হয়।’
এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে কি না—জানতে চাইলে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
স্বপ্নই রয়ে গেল চিত্রা নদীর দুই পাড়ের মানুষের। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে চিত্রা নদীর ওপর আবারও স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বাঁশের সাঁকো। বছর বছর যে সাঁকো ভেঙে যায়, সেটাই আবার নতুন করে বানাচ্ছেন গ্রামবাসী। সাময়িক দুর্ভোগ লাঘব হলেও তাঁরা চান স্থায়ী সমাধান। এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিত্রা নদীর ওপর এ বাঁশের সাঁকো প্রথম নির্মাণ করা হয় ২০০৭ সালে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোপালপুর, হাজিডাঙ্গা, সুতি, মধুহাটি ও কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার, ঘাগা ও কুশনা গ্রামের মানুষ মিলে স্বেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক সহায়তায় এটি তৈরি করেন।
গত ২০ মে প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়ে বাঁশের ওই সাঁকো। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যাহত হয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হয়, কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করা বন্ধ হয়ে যায়।
এই দুর্ভোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয়, এমনকি জাতীয় দৈনিকেও একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এরপরও সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। ফলে এ বছরও আবার হাত লাগাতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বছর সাঁকো নির্মাণে সহায়তা করেছে ‘অনির্বাণ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের সহায়তায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা আজ বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান হয়েছে।
সুতী গ্রামের বাসিন্দা অসিত কুমার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ করে আসছি। অনেকবার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবারও বাধ্য হয়ে নিজেরাই আবার সাঁকো তৈরি করেছি। সরকারি সহায়তা না থাকলেও আমরা পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছি—জনগণের ইচ্ছা ও ঐক্য থাকলে অনেক কিছু সম্ভব।’
তালসার গ্রামের মুদিদোকানি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর এ দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা, কৃষকের পণ্য পৌঁছাতে পারছে না বাজারে। আমরা চাই একটি পাকা সেতু, যাতে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা আকিমুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষায় পানির প্রবল স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। বারবার চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তাই আবারও নিজেরাই বানিয়ে ফেলেছি।’
কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ বলেন, ‘প্রতিবছর বৃষ্টির সময় এলেই এই ভোগান্তি শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে বহুবার আলোচনা করেছি, তবু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব, যেন স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করা হয়।’
এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে কি না—জানতে চাইলে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
নাটোর চিনিকলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটেছে। রাতভর কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ লুট করেছে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি ডাকাতদল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চিনিকলের নিরাপত্তা প্রহরীদের বরাত দিয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্র
৮ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছে এক স্বামী। স্ত্রীকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে তালাবদ্ধ করে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। স্থানীয়রা বসতবাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূর শরীর। গতকাল শনিবার দিবাগ
৩৮ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় মোসা. আইমিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আখতারুননাহারের মেয়ে। তিনি মো. রাজু মাঝির স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে (২০২২ সাল) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নয়, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে, কিন্তু তা হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে