Ajker Patrika

পানির সংকটে উপহারের ঘরের বাসিন্দারা

পানির সংকটে উপহারের ঘরের বাসিন্দারা

যশোরের মনিরামপুরের মাছনা (বেগমপুর) আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬৬টি ঘরের বাসিন্দাদের জন্য গেল বছর ছয়টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর। স্থাপনের শুরু থেকে দুটি নলকূপ অকেজো হয়ে আছে। বাকি চারটি নলকূপে পানি উঠছে নামমাত্র। ফলে খাবার ও ব্যবহারের পানির সংকটে ভুগছেন ওই আশ্রয়ণের বাসিন্দারা।

এদিকে প্রতি ১০ ঘরের জন্য একটি করে নলকূপ বরাদ্দ হলেও মাছনা আশ্রয়ণ পল্লিতে ৬৬ ঘরের মধ্যে সর্বদক্ষিণের ছয় ঘরের জন্য কোনো নলকূপ স্থাপন করা হয়নি। এ ঘরের বাসিন্দারা অন্য নলকূপ থেকে কোনো রকমে খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারলেও কাপড় ধোয়া কিংবা গোসলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্রমতে ওই পল্লিতে আরও দুটি গভীর নলকূপের বরাদ্দ রয়েছে। তবে কবে নলকূপ দুটি স্থাপন করা হবে তা জানা যায়নি।

মছনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলছেন,৭-৮ মাস ধরে তিনটি নলকূপে পানি ওঠে না। টিউবওয়েল নষ্টের কথা একাধিকবার অফিসে জানানো হয়। একটা ঠিক করে দেয়। তবে দুটো নষ্ট পড়ে আছে। দূরে গ্রাম থেকে পানি নিয়ে আসতে হয়। খাওয়া, গোসল ও ধোয়ার কাজে পানির অভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমাগের কলডা চাপতি গেলি জীবন বের হয়ে যায়। পানি ওঠে না। আমি স্যারেগের বলিলাম। ওরা এসে চাপতি চাপতি কোনো রকম পানি উঠয়ে কইল এরাম চাপতি থাকেন পানি উঠবে। ওরা চলে গেলে আর পানি তুলতে পারিনি। কল পোতা ধরে এ সমস্যা।’

ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে ঢুকার মুখে একটা নলকূপ আছে। গোড়া পাকা করার পরপরই ভেঙে গেছে। এখন পানি ওঠে না। বাকি যে চারটে কল আছে তাতে কোনো রকম পানি ওঠে। আমরা বলিলাম এসব না পুতে ঘরে ঘরে সাধারণ কল দেন। তাঁরা শুনেনি।’

পলি বেগম বলেন, ‘আমার ঘরের সামনে একটা সাধারণ কল ছিল। ওটা থেকে সবাই পানি নিত। সেই কলডা খুলে নিয়ে গেছে।’

শিখা দাস বলেন, ‘আমাদের ছয় ঘরের জন্য কল নেই। অন্য কলে গেলি কোনো রকম খাবার পানি আনতি দেয়। কাপড়-চোপড় কাচতি বা অন্য কোনো কাজে পানি দেয় না।’

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব কুমার দত্ত বলেন, ‘মাছনা আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের জন্য ছয়টি গভীর নলকূপ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নলকূপে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। আমরা জেনেছি একটি নলকূপ নষ্ট হয়ে আছে। পরে শুনলাম দুটো নষ্ট। ঠিকাদারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত তাঁকে আসতে বলেছি।’

জয়দেব দত্ত আরও বলেন, ওই পল্লির জন্য আরও দুটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ আছে। সেগুলো বসানো হবে।

আশ্রয়ণের ঘর বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত