আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অক্ষত থাকা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার মো. আক্তারুজ্জামান বলেছেন, তারা শুধু বুঝতে পেরেছিলেন বিকট শব্দ হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনটি সজোরে ঝাঁকুনি দিয়েছে। সামনে কিছু একটা হয়েছে, এটা বুঝে দেখার চেষ্টা করলেন কিন্তু ব্যর্থ হলেন। একটি সময় তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো। শুধু যাওয়ার সময় চোখের সামনে দেখতে পেলেন হতাহতদের নিয়ে টানাটানি। আহতরা চিৎকার করছেন, তাদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি স্থানীয়রা।
আজ শনিবার মুঠোফোনে মো. আক্তারুজ্জামান এসব কথা বলেন। মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার পাখরাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. আক্তারুজ্জামান। স্ত্রী নূর জাহানের চিকিৎসার জন্য করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে ভেলর যাচ্ছিলেন। আক্তারুজ্জামান মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। আজ শনিবার সকাল ৭ টায় তাদের আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন ভেলরের পথে।
মুঠোফোনে মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, স্ত্রী নুর জাহানের চোখের সমস্যা। বেশ কয়েক দফা ভারতে চিকিৎসা করিয়েছেন। এবার সিদ্ধান্ত নেন ভেলর গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। সেই ইচ্ছায় গত ১ জুন তারিখ ভারত যান। এরপর ট্রেনের টিকিট নিয়ে শুক্রবার দুপুর শালিমার স্টেশনে হাজির হন। ৩টা ২০মিনিটে তাদের বহনকরা করমন্ডল ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা যখন ওডিশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় পৌঁছান তখন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। তারা বিকট শব্দ ও ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ট্রেনের মধ্যে থাকা কয়েক হাজার মানুষ কান্নাকাটি শুরু করেন। তারাও বুঝে নেন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে।
আক্তারুজ্জামান জানান, তারা ছিলেন ২-এ এসি বগিতে। তাদের সামনে ছিল আরও কয়েকটি বগি। তারা দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে সামনে কি ঘটেছে দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় মানুষগুলো তাদের যেতে দিল না। তারা উদ্ধার কাজ শুরু করে দিলেন। আর যারা ভালো আছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, ট্রেন থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার পর তারা বাসযোগে কিছুটা দূরে এক এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। সেখান থেকে পরদিন সকালে ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। তারা এখন ভেলরের পথে।
আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে ওঠা পর্যন্ত সময়টুকু তাদের আতঙ্কে কেটেছে। কি হচ্ছে সামনে তা তারা কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। অনেক বাংলাদেশি ছিল এই ট্রেনে। তারা কেমন আছেন সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। শুধু তারা ভালো আছেন, এই খবরটা নিকটতম আত্মীয়স্বজনের কাছে মুঠোফোনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর ট্রেনের কর্মকর্তারা এসে তাদের সরিয়ে দেন। গোটা রাত তারা থেকেছেন পাশের একটি শহরে।
আজ শনিবার সকালে মাইকে তাদের ভুবনেশ্বর স্টেশনে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তারা সেখানে গেলে পন্ডিশ্রি নামে আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আক্তারুজ্জামান জানান, ঘটনার পর তারা ছিলেন অন্ধকারের মধ্যে। কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তবে যখন তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তখন দেখতে পান হতাহতদের নিয়ে ছোটাছুটি। যা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। আহত মানুষের চিৎকার কষ্ট দিয়েছে। শুধু ভেবেছেন এতো বড় একটি দুর্ঘটনায় পড়েও তারা ভালো আছেন।
মো. আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী নুর জাহান জানান, তারা যে কামরায় ছিলেন সেখানে দুইজন বাংলাদেশি ছিল। তবে অন্য কামরাগুলোয় আরও অনেক বাংলাদেশি ছিল। পরের ট্রেনে তাদের তুলে দেওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন অনেক বাংলাদেশি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে ছিল। তবে কারও কোনো ক্ষতি হয়েছে এমন তথ্য তারা পাননি। মৃত্যুর খবরও তাদের কানে পৌঁছায়নি। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে তারা ভালো আছেন, যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন তাদের সকলের জন্য তিনি দোয়া চেয়েছেন।
স্থানীয় সামন্তা এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া জানান, মো. আক্তারুজ্জামান খুবই ভালো মানুষ। দুর্ঘটনার পর তিনি ওই ট্রেনে আছে শুনে এলাকার মানুষ অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে তার ভালো থাকার খবরে সকলের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অক্ষত থাকা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার মো. আক্তারুজ্জামান বলেছেন, তারা শুধু বুঝতে পেরেছিলেন বিকট শব্দ হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনটি সজোরে ঝাঁকুনি দিয়েছে। সামনে কিছু একটা হয়েছে, এটা বুঝে দেখার চেষ্টা করলেন কিন্তু ব্যর্থ হলেন। একটি সময় তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো। শুধু যাওয়ার সময় চোখের সামনে দেখতে পেলেন হতাহতদের নিয়ে টানাটানি। আহতরা চিৎকার করছেন, তাদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি স্থানীয়রা।
আজ শনিবার মুঠোফোনে মো. আক্তারুজ্জামান এসব কথা বলেন। মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার পাখরাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. আক্তারুজ্জামান। স্ত্রী নূর জাহানের চিকিৎসার জন্য করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে ভেলর যাচ্ছিলেন। আক্তারুজ্জামান মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। আজ শনিবার সকাল ৭ টায় তাদের আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন ভেলরের পথে।
মুঠোফোনে মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, স্ত্রী নুর জাহানের চোখের সমস্যা। বেশ কয়েক দফা ভারতে চিকিৎসা করিয়েছেন। এবার সিদ্ধান্ত নেন ভেলর গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। সেই ইচ্ছায় গত ১ জুন তারিখ ভারত যান। এরপর ট্রেনের টিকিট নিয়ে শুক্রবার দুপুর শালিমার স্টেশনে হাজির হন। ৩টা ২০মিনিটে তাদের বহনকরা করমন্ডল ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা যখন ওডিশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় পৌঁছান তখন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। তারা বিকট শব্দ ও ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ট্রেনের মধ্যে থাকা কয়েক হাজার মানুষ কান্নাকাটি শুরু করেন। তারাও বুঝে নেন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে।
আক্তারুজ্জামান জানান, তারা ছিলেন ২-এ এসি বগিতে। তাদের সামনে ছিল আরও কয়েকটি বগি। তারা দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে সামনে কি ঘটেছে দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় মানুষগুলো তাদের যেতে দিল না। তারা উদ্ধার কাজ শুরু করে দিলেন। আর যারা ভালো আছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, ট্রেন থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার পর তারা বাসযোগে কিছুটা দূরে এক এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। সেখান থেকে পরদিন সকালে ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। তারা এখন ভেলরের পথে।
আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে ওঠা পর্যন্ত সময়টুকু তাদের আতঙ্কে কেটেছে। কি হচ্ছে সামনে তা তারা কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। অনেক বাংলাদেশি ছিল এই ট্রেনে। তারা কেমন আছেন সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। শুধু তারা ভালো আছেন, এই খবরটা নিকটতম আত্মীয়স্বজনের কাছে মুঠোফোনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর ট্রেনের কর্মকর্তারা এসে তাদের সরিয়ে দেন। গোটা রাত তারা থেকেছেন পাশের একটি শহরে।
আজ শনিবার সকালে মাইকে তাদের ভুবনেশ্বর স্টেশনে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তারা সেখানে গেলে পন্ডিশ্রি নামে আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আক্তারুজ্জামান জানান, ঘটনার পর তারা ছিলেন অন্ধকারের মধ্যে। কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তবে যখন তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তখন দেখতে পান হতাহতদের নিয়ে ছোটাছুটি। যা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। আহত মানুষের চিৎকার কষ্ট দিয়েছে। শুধু ভেবেছেন এতো বড় একটি দুর্ঘটনায় পড়েও তারা ভালো আছেন।
মো. আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী নুর জাহান জানান, তারা যে কামরায় ছিলেন সেখানে দুইজন বাংলাদেশি ছিল। তবে অন্য কামরাগুলোয় আরও অনেক বাংলাদেশি ছিল। পরের ট্রেনে তাদের তুলে দেওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন অনেক বাংলাদেশি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে ছিল। তবে কারও কোনো ক্ষতি হয়েছে এমন তথ্য তারা পাননি। মৃত্যুর খবরও তাদের কানে পৌঁছায়নি। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে তারা ভালো আছেন, যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন তাদের সকলের জন্য তিনি দোয়া চেয়েছেন।
স্থানীয় সামন্তা এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া জানান, মো. আক্তারুজ্জামান খুবই ভালো মানুষ। দুর্ঘটনার পর তিনি ওই ট্রেনে আছে শুনে এলাকার মানুষ অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে তার ভালো থাকার খবরে সকলের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, `আমরা পেশাগত দায়িত্ব থেকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এ মামলা হয়রানিমূলক এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। অবিলম্বে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
১১ মিনিট আগে৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভ্যানের ওপর শোয়া রুপলাল ও প্রদীপ লাল। ভ্যানটির তিন দিকে পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদস্যরা হাত তুলে বাঁশিতে ফু দিয়ে লোকজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। এতেই হৈ-চৈ বেড়ে যায়। পুলিশের সামনেই রুপলাল-প্রদীপকে মারধর শুর
১৭ মিনিট আগেপানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সকালে ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা ছিল বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল ৯টার দিকে কিছুটা কমে তা এসে দাঁড়ায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেসরেজমিনে জানা যায়, থানচিতে মোট চারটি গণশৌচাগার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত দুটি শৌচাগার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। একটি শৌচাগার বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে এবং আরেকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
১ ঘণ্টা আগে