আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
মনিরামপুরের কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা পূর্বপাড়ায় একই বাড়িতে ছেলে জিন্নাত হোসেনের সঙ্গে থাকেন বাবা আতিয়ার রহমান ও মা শিউলি বেগম। জিন্নাত হোসেন এবারের ইউপি নির্বাচনে ইত্যা ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচন করছেন। কিন্তু নির্বাচনে নিজের ছেলেকে ভোট দিতে পারবেন না বাবা-মা। কেননা, ভোটার তালিকায় জটিলতা থাকার কারণে জিন্নাতের বাবা-মাকে বাড়ির পাশের কেন্দ্র রেখে অন্য কেন্দ্রে গিয়ে ইত্যা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থীদের ভোট দিতে হবে।
জানা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকার জন্য ভোটকেন্দ্রের এমন জটিলতায় আছেন ইত্যা গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিমপাড়ার ১ ও ২ ওয়ার্ডের প্রায় ৭০০ ভোটার।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, আয়তনে বড় হওয়ায় কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা গ্রামটিকে দুটি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। ইত্যা পশ্চিমপাড়াকে করা হয়েছে ১ নম্বর ওয়ার্ড আর পূর্বপাড়াকে করা হয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ড। ২০০৮ সালে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার তালিকা করার সময় নির্বাচন অফিসের কর্মীরা ওয়ার্ড নম্বর গুলিয়ে ফেলেন। তাঁদের ভুলে ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ ভোটার চলে আসে ২ নম্বর ওয়ার্ডে আর ২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৭৫ ভোটার চলে যান ১ নম্বর ওয়ার্ডে। ফলে পাল্টে যায় ভোটকেন্দ্রও। ১ নম্বর পশ্চিম পাড়ার ভোটাররা বাড়ির কাছের ইত্যা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ স্কুল কেন্দ্র ফেলে চলে আসেন ২ নম্বর পূর্বপাড়া ওয়ার্ডের ইত্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে। আর পূর্বপাড়ার ভোটাররা নিজেদের কেন্দ্র রেখে চলে যান পশ্চিমপাড়ার কেন্দ্রে। এই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ভোটার ১ হাজার ৩৫৮ জন এবং পূর্বপাড়ার ভোটার ১ হাজার ১৮৩ জন। শুধু ভোটকেন্দ্রের জটিলতা নয়, ওয়ার্ড পরিবর্তন হওয়ায় নাগরিক সুবিধা পেতেও এসব ভোটারকে বেগ পেতে হয়। বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতে গেলে এক মেম্বার অন্য মেম্বারকে দেখান।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সংসদ নির্বাচনে ইত্যা দুই ওয়ার্ড মিলে এক কেন্দ্রে ভোট হয়। তখন সমস্যা হয় না। কিন্তু ইউপি নির্বাচন এলে এ দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভোটকেন্দ্রের জটিলতায় পড়েন। ২০০৮ সালে ভোটার তালিকা করার সময় মাঠকর্মীদের ভুলে এই জটিলতা হয়েছে। ২০১১,২০১৬ ও ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচন মিলে মোট তিনবার ভোটাররা এই জটিলতায় পড়েছেন।
আগামী রোববার (২৮ নভেম্বর) উপজেলার অন্য ১৫০টি কেন্দ্রের সঙ্গে এ দুই কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার ইত্যা দুই ওয়ার্ড থেকে চারজন করে আটজন মেম্বার পদে প্রার্থী রয়েছেন। ভোটার তালিকা এলোমেলো হওয়ায় দুই ওয়ার্ডেই আটজন প্রার্থীর প্রচার পোস্টার রয়েছে।
এ বিষয়ে ইত্যা পশ্চিমপাড়ার ইলিয়াছ মুনশি বলেন, ‘আগে বাড়ির কাছে ঋষিপাড়ার কেন্দ্রে ভোট দিছি। এবার সরকারি প্রাথমিক স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতি আসতি হবে।’
ঋষিপাড়ার বাসিন্দা বাবু দাস বলেন, ‘আগে ওয়ার্ড ১ নম্বর ছিল। এখন ২ নম্বর হয়ে গেছে। আমি দাসপাড়ার হলেও এখানকার কেন্দ্র ফেলে অন্য কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে হবে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রসিদ বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। ইত্যা দুই কেন্দ্রে ভোটের এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ২০০৮ সালে। ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনের পর এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।’
মনিরামপুরের কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা পূর্বপাড়ায় একই বাড়িতে ছেলে জিন্নাত হোসেনের সঙ্গে থাকেন বাবা আতিয়ার রহমান ও মা শিউলি বেগম। জিন্নাত হোসেন এবারের ইউপি নির্বাচনে ইত্যা ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচন করছেন। কিন্তু নির্বাচনে নিজের ছেলেকে ভোট দিতে পারবেন না বাবা-মা। কেননা, ভোটার তালিকায় জটিলতা থাকার কারণে জিন্নাতের বাবা-মাকে বাড়ির পাশের কেন্দ্র রেখে অন্য কেন্দ্রে গিয়ে ইত্যা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থীদের ভোট দিতে হবে।
জানা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকার জন্য ভোটকেন্দ্রের এমন জটিলতায় আছেন ইত্যা গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিমপাড়ার ১ ও ২ ওয়ার্ডের প্রায় ৭০০ ভোটার।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, আয়তনে বড় হওয়ায় কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা গ্রামটিকে দুটি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। ইত্যা পশ্চিমপাড়াকে করা হয়েছে ১ নম্বর ওয়ার্ড আর পূর্বপাড়াকে করা হয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ড। ২০০৮ সালে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার তালিকা করার সময় নির্বাচন অফিসের কর্মীরা ওয়ার্ড নম্বর গুলিয়ে ফেলেন। তাঁদের ভুলে ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ ভোটার চলে আসে ২ নম্বর ওয়ার্ডে আর ২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৭৫ ভোটার চলে যান ১ নম্বর ওয়ার্ডে। ফলে পাল্টে যায় ভোটকেন্দ্রও। ১ নম্বর পশ্চিম পাড়ার ভোটাররা বাড়ির কাছের ইত্যা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ স্কুল কেন্দ্র ফেলে চলে আসেন ২ নম্বর পূর্বপাড়া ওয়ার্ডের ইত্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে। আর পূর্বপাড়ার ভোটাররা নিজেদের কেন্দ্র রেখে চলে যান পশ্চিমপাড়ার কেন্দ্রে। এই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ভোটার ১ হাজার ৩৫৮ জন এবং পূর্বপাড়ার ভোটার ১ হাজার ১৮৩ জন। শুধু ভোটকেন্দ্রের জটিলতা নয়, ওয়ার্ড পরিবর্তন হওয়ায় নাগরিক সুবিধা পেতেও এসব ভোটারকে বেগ পেতে হয়। বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতে গেলে এক মেম্বার অন্য মেম্বারকে দেখান।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সংসদ নির্বাচনে ইত্যা দুই ওয়ার্ড মিলে এক কেন্দ্রে ভোট হয়। তখন সমস্যা হয় না। কিন্তু ইউপি নির্বাচন এলে এ দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভোটকেন্দ্রের জটিলতায় পড়েন। ২০০৮ সালে ভোটার তালিকা করার সময় মাঠকর্মীদের ভুলে এই জটিলতা হয়েছে। ২০১১,২০১৬ ও ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচন মিলে মোট তিনবার ভোটাররা এই জটিলতায় পড়েছেন।
আগামী রোববার (২৮ নভেম্বর) উপজেলার অন্য ১৫০টি কেন্দ্রের সঙ্গে এ দুই কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার ইত্যা দুই ওয়ার্ড থেকে চারজন করে আটজন মেম্বার পদে প্রার্থী রয়েছেন। ভোটার তালিকা এলোমেলো হওয়ায় দুই ওয়ার্ডেই আটজন প্রার্থীর প্রচার পোস্টার রয়েছে।
এ বিষয়ে ইত্যা পশ্চিমপাড়ার ইলিয়াছ মুনশি বলেন, ‘আগে বাড়ির কাছে ঋষিপাড়ার কেন্দ্রে ভোট দিছি। এবার সরকারি প্রাথমিক স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতি আসতি হবে।’
ঋষিপাড়ার বাসিন্দা বাবু দাস বলেন, ‘আগে ওয়ার্ড ১ নম্বর ছিল। এখন ২ নম্বর হয়ে গেছে। আমি দাসপাড়ার হলেও এখানকার কেন্দ্র ফেলে অন্য কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে হবে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রসিদ বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। ইত্যা দুই কেন্দ্রে ভোটের এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ২০০৮ সালে। ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনের পর এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।’
নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া খেজুরতলা এলাকায় বাসের সাথে ভ্যানের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন সিংড়া উপজেলার লালোর ইউনিয়নের বড় বারৈহাটি গ্রামের কৈনুদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫) ও আবু তাহেরের ছেলে আখতার মৃধা (৪৫)। শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেনাটোরে ইমরান নামে এক যুবককে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে মো. ওয়াদুদ (১৮) এবং রব্বানী (২৪) নামের দুই কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন ওয়াদুদ বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে এবং রব্বানী গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু গ্রামের দুলুমিয়ার ছেলে...
১১ মিনিট আগেপাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের ইসলামপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মেহেদী মাসুদ পাভেল (৩৫) নামের এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত পাভেল ইসলামপুর গ্রামের মৃত মুসলেম উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে এবং গয়েশপুর ইউনিয়ন যুবদলের...
১৫ মিনিট আগেবিদেশে পড়াশোনা, চাকরি বা বসবাসের স্বপ্ন পূরণে জাপানি ভাষা শেখা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান এ ভাষা শিক্ষা দিচ্ছে। তবে এসব চেষ্টার বাইরেও একজন জাপানি নাগরিক স্বেচ্ছায় তরুণদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর নাম তোকুমোতো কুমিকো।
৫ ঘণ্টা আগে