সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় নবজাতক আয়েশার জন্মের পরই তার মা মারা যায়। মায়ের মৃত্যু হলেও সেদিন থেকে সুস্থ ছিল শিশুটি। কিন্তু আট দিন পর রোববার ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হলো শিশু আয়েশারও। তবে স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
শিশু আয়েশা কলারোয়া উপজেলার ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের আনারুল গাজীর মেয়ে।
শিশু আয়েশার স্বজনেরা জানান, জন্মের পর মাকে হারালেও আয়েশা স্বাভাবিক ও সুস্থ ছিল। জন্মের অষ্টম দিনে এসে তার শরীরের রং স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ফ্যাকাশে মনে হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। আয়েশা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন জানিয়ে ওই চিকিৎসক শিশুটিকে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। স্থানীয় ওই চিকিৎসকের পরামর্শে গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশু আয়েশাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের জানায়—আয়েশার তেমন কোনো সমস্যা নেই। রক্তশূন্যতার কারণে তার শরীরের রং ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। হাসপাতালে তিন দিন ভর্তি রেখে রক্ত দিলেই সে আবারও সুস্থ হয়ে উঠবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা মতো রক্তের ব্যবস্থা করা হলেও হাসপাতালের কেউ ওই শিশুকে ক্যানোলা পরাতে পারবেননা বলে জানান। বাধ্য হয়ে শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ক্যানোলা পরিয়ে আনা হয়। এরপরও শিশুটির শরীরে রক্ত সঞ্চালন করার জন্য হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বা নার্স তার পাশে আসেননি।
শিশু আয়েশার বাবা আনারুল গাজী বলেন, ‘হাসপাতালের স্টাফদের কথামতো আমরা রক্তের ব্যবস্থা করি। সদর হাসপাতাল থেকে ক্যানোলা পরিয়ে আনতে বললে, আমরা তাও করি। কিন্তু রক্ত ও ক্যানোলা রেডি করার পর কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বা নার্স আমার বাচ্চার পাশে আসেননি। আমি বারবার নিচতলা থেকে ওপরতলা পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটে গিয়ে আমার বাচ্চাটাকে দেখার অনুরোধ করেছি তবুও তারা আমার বাচ্চার পাশে আসেননি।’
আয়েশার মামা রাসেল রেজা বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে যখন আয়েশা ধীরে-ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে, তখন আমি চিৎকার করে কান্না করতে থাকি। আমার কান্না শুনে সে সময় হাসপাতালের অন্য রোগী ও রোগীর স্বজনেরা ছুটে আসে। তখন হাসপাতালের স্টাফরা তড়িঘড়ি করে ছুটে এসে আয়েশাকে রক্ত ও অক্সিজেন দিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনেন। ছাড়পত্র দিয়ে বলেন, বাচ্চার অবস্থা গুরুতর, সাতক্ষীরা মেডিকেলে অথবা খুলনায় নিয়ে যান। ততক্ষণে আয়েশা মারা যায়।’ তিনি দাবি করে বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবহেলার করে ছোট্ট আয়েশাকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ঘটনায় ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল সাতক্ষীরার অ্যাডমিন আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার কারণে বাচ্চার মৃত্যু হয়নি। সদর হাসপাতাল থেকে আয়েশাকে ক্যানোলা পরিয়ে নিয়ে আসার সময় ফাইল সেখানে ফেলে আসে তার স্বজনেরা। ফাইল নিয়ে আমাদের হাসপাতালে পৌঁছাতে তাদের দেরি হয়ে যায়। সে কারণে শিশুটির শরীরে রক্ত দিতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া বাচ্চার শরীরের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়েত বলেন, ‘ইসলামী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিশু মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তারপরও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সাতক্ষীরায় নবজাতক আয়েশার জন্মের পরই তার মা মারা যায়। মায়ের মৃত্যু হলেও সেদিন থেকে সুস্থ ছিল শিশুটি। কিন্তু আট দিন পর রোববার ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হলো শিশু আয়েশারও। তবে স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
শিশু আয়েশা কলারোয়া উপজেলার ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের আনারুল গাজীর মেয়ে।
শিশু আয়েশার স্বজনেরা জানান, জন্মের পর মাকে হারালেও আয়েশা স্বাভাবিক ও সুস্থ ছিল। জন্মের অষ্টম দিনে এসে তার শরীরের রং স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ফ্যাকাশে মনে হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। আয়েশা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন জানিয়ে ওই চিকিৎসক শিশুটিকে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। স্থানীয় ওই চিকিৎসকের পরামর্শে গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশু আয়েশাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের জানায়—আয়েশার তেমন কোনো সমস্যা নেই। রক্তশূন্যতার কারণে তার শরীরের রং ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। হাসপাতালে তিন দিন ভর্তি রেখে রক্ত দিলেই সে আবারও সুস্থ হয়ে উঠবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা মতো রক্তের ব্যবস্থা করা হলেও হাসপাতালের কেউ ওই শিশুকে ক্যানোলা পরাতে পারবেননা বলে জানান। বাধ্য হয়ে শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে ক্যানোলা পরিয়ে আনা হয়। এরপরও শিশুটির শরীরে রক্ত সঞ্চালন করার জন্য হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বা নার্স তার পাশে আসেননি।
শিশু আয়েশার বাবা আনারুল গাজী বলেন, ‘হাসপাতালের স্টাফদের কথামতো আমরা রক্তের ব্যবস্থা করি। সদর হাসপাতাল থেকে ক্যানোলা পরিয়ে আনতে বললে, আমরা তাও করি। কিন্তু রক্ত ও ক্যানোলা রেডি করার পর কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক বা নার্স আমার বাচ্চার পাশে আসেননি। আমি বারবার নিচতলা থেকে ওপরতলা পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটে গিয়ে আমার বাচ্চাটাকে দেখার অনুরোধ করেছি তবুও তারা আমার বাচ্চার পাশে আসেননি।’
আয়েশার মামা রাসেল রেজা বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে যখন আয়েশা ধীরে-ধীরে নিস্তেজ হতে থাকে, তখন আমি চিৎকার করে কান্না করতে থাকি। আমার কান্না শুনে সে সময় হাসপাতালের অন্য রোগী ও রোগীর স্বজনেরা ছুটে আসে। তখন হাসপাতালের স্টাফরা তড়িঘড়ি করে ছুটে এসে আয়েশাকে রক্ত ও অক্সিজেন দিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনেন। ছাড়পত্র দিয়ে বলেন, বাচ্চার অবস্থা গুরুতর, সাতক্ষীরা মেডিকেলে অথবা খুলনায় নিয়ে যান। ততক্ষণে আয়েশা মারা যায়।’ তিনি দাবি করে বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবহেলার করে ছোট্ট আয়েশাকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ঘটনায় ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল সাতক্ষীরার অ্যাডমিন আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার কারণে বাচ্চার মৃত্যু হয়নি। সদর হাসপাতাল থেকে আয়েশাকে ক্যানোলা পরিয়ে নিয়ে আসার সময় ফাইল সেখানে ফেলে আসে তার স্বজনেরা। ফাইল নিয়ে আমাদের হাসপাতালে পৌঁছাতে তাদের দেরি হয়ে যায়। সে কারণে শিশুটির শরীরে রক্ত দিতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া বাচ্চার শরীরের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ হুসাইন সাফায়েত বলেন, ‘ইসলামী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিশু মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে, এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তারপরও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
দীর্ঘদিন ধরে জনবলসংকটে ধুঁকছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। চার ভাগের এক ভাগ কর্মচারী দিয়ে চলছে কার্যক্রম। জনবলের অভাবে পড়ে আছে দেশের বৃহত্তম এ রেলওয়ে কারখানার ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানি করা মেশিনারিজ।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার সাগরপারের সুগন্ধা পয়েন্টে হোটেল-মোটেল জোনের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ২ একর ৩০ শতক খাসজমি দখল করে শতাধিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জাল কাগজ বানিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে হোটেল-মোটেল জোনের বাতিল করা প্লটের এই জমি দখল করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, তাঁরা খুন হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় দুজন। প্রথমে সাগর ও পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে ডিএনএ রিপোর্টে অস্পষ্টতা থাকায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেবরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে নির্বিচারে মারা পড়ছে ইলিশের পোনা বা জাটকা। নিষিদ্ধ বাঁধা, গোপ, বেহেন্দি ও কারেন্ট জালে এগুলো শিকার করা হচ্ছে। দেড়-দুই ইঞ্চি লম্বা এসব মাছকে এলাকার হাট-বাজারে ‘চাপিলা’ বলে বিক্রি করছেন জেলেরা। সেই সঙ্গে শুঁটকি বানানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে