প্রতিনিধি
কয়রা (খুলনা): ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া ও কয়রা নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১২ টি পয়েন্টের অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে উঁচু বেড়িবাঁধে ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে পানি বন্ধী মানুষ। এলাকাবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দক্ষিণ বেদকাশি, মহেশ্বরীপুর ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ১০টি পয়েন্ট বাঁধলেও গাতিরঘেরী ও দক্ষিণ দশহালিয়া দিয়ে লোনা পানি প্রবেশ করছে।
মহারাজপুর ইউনিয়নের খেজুর ডাঙ্গা সরকারি পুকুর পাড়ের চারধারে ৩০টি পরিবার এবং উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের উঁচু রাস্তা ও গাতিরঘেরী বেড়িবাঁধে ৯০টি পরিবার খুপড়ি বেঁধে বসবাস করছে।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, উঁচু বেড়িবাঁধের ওপর পলিথিন ও গোলপাতা দিয়ে তৈরি লম্বা সারি বদ্ধ দোচালা খুপরি। বৃষ্টি হলেই ঘরে ঢুকছে পানি। বৃষ্টির সময় সকলে এক জায়গায় জড়সড় হয়ে বসে থাকছে। বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে ঝুপড়ির ভেতরে কাদামাটিতে পরিণত হচ্ছে। সুপেয় পানি ও খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে এসব এলাকায়।
মহারাজপুর ইউনিয়নের খেজুর ডাঙ্গা সরকারি পুকুরপাড়ে বসবাস করা নাছিমা খাতুন বলেন, 'ইয়াসে ঘর বাড়ি হারিয়ে সরকারি পুকুরপাড়ে খুপরি ঘরে বাস করছি। এখানে একদিকে যেমন খাবারের কষ্ট অন্যদিকে বৃষ্টি হলে রাতে ঘুমানো যায় না। বুধবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সারা রাত জেগে ছিলাম। সবকিছু ভিজে গেছে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। আজও সবকিছু ভিজে গেছে। সরকারি চাল পেয়েছি তাই কোন রকমে খেয়ে বেঁচে আছি। রান্নার চুলাটাও ভিজে গেছে রান্না করার উপায় নাই।'
উত্তর বেদকাশির গাতিরঘেরী বেড়িবাঁধে বাস করা প্রশান্ত মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ইয়াসের দিন বাঁধ ভেঙে ঘর বাড়ি সব তলিয়ে গেছে। সেখানে বাস করা যাচ্ছে না। কোন রকমে রাস্তার ওপরে বাসা বেঁধেছি। তবে বৃষ্টি হলে ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। তখন সবাই মিলে জড়সড় হয়ে বসে থাকি। সব ভিজে ঘরের ভেতর কাদা হয়ে যায়।'
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার অতিমাত্রায় জোয়ারের পানিতে উপজেলার শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে। বিধ্বস্ত হয়েছে ১২৫০টি ঘর। তলিয়ে গেছে দুই হাজার পাঁচ'শ চিংড়ি ঘের। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ১৫ হেক্টর জমির কৃষি ফসল নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ঘর বাড়ি হারিয়ে যারা রাস্তার ওপর বসবাস করছেন তাঁদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এখন বৃষ্টির সময়, বৃষ্টি হলে তাদের খুপড়ি ঘরে পানি পড়ছে। ভিজে যাচ্ছে সবকিছু। বৃষ্টির কারণে তাদের যাতে কষ্ট না হয় তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কয়রা (খুলনা): ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া ও কয়রা নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১২ টি পয়েন্টের অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে উঁচু বেড়িবাঁধে ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে পানি বন্ধী মানুষ। এলাকাবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দক্ষিণ বেদকাশি, মহেশ্বরীপুর ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ১০টি পয়েন্ট বাঁধলেও গাতিরঘেরী ও দক্ষিণ দশহালিয়া দিয়ে লোনা পানি প্রবেশ করছে।
মহারাজপুর ইউনিয়নের খেজুর ডাঙ্গা সরকারি পুকুর পাড়ের চারধারে ৩০টি পরিবার এবং উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের উঁচু রাস্তা ও গাতিরঘেরী বেড়িবাঁধে ৯০টি পরিবার খুপড়ি বেঁধে বসবাস করছে।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, উঁচু বেড়িবাঁধের ওপর পলিথিন ও গোলপাতা দিয়ে তৈরি লম্বা সারি বদ্ধ দোচালা খুপরি। বৃষ্টি হলেই ঘরে ঢুকছে পানি। বৃষ্টির সময় সকলে এক জায়গায় জড়সড় হয়ে বসে থাকছে। বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে ঝুপড়ির ভেতরে কাদামাটিতে পরিণত হচ্ছে। সুপেয় পানি ও খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে এসব এলাকায়।
মহারাজপুর ইউনিয়নের খেজুর ডাঙ্গা সরকারি পুকুরপাড়ে বসবাস করা নাছিমা খাতুন বলেন, 'ইয়াসে ঘর বাড়ি হারিয়ে সরকারি পুকুরপাড়ে খুপরি ঘরে বাস করছি। এখানে একদিকে যেমন খাবারের কষ্ট অন্যদিকে বৃষ্টি হলে রাতে ঘুমানো যায় না। বুধবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সারা রাত জেগে ছিলাম। সবকিছু ভিজে গেছে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। আজও সবকিছু ভিজে গেছে। সরকারি চাল পেয়েছি তাই কোন রকমে খেয়ে বেঁচে আছি। রান্নার চুলাটাও ভিজে গেছে রান্না করার উপায় নাই।'
উত্তর বেদকাশির গাতিরঘেরী বেড়িবাঁধে বাস করা প্রশান্ত মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ইয়াসের দিন বাঁধ ভেঙে ঘর বাড়ি সব তলিয়ে গেছে। সেখানে বাস করা যাচ্ছে না। কোন রকমে রাস্তার ওপরে বাসা বেঁধেছি। তবে বৃষ্টি হলে ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। তখন সবাই মিলে জড়সড় হয়ে বসে থাকি। সব ভিজে ঘরের ভেতর কাদা হয়ে যায়।'
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে তলিয়ে যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার অতিমাত্রায় জোয়ারের পানিতে উপজেলার শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে। বিধ্বস্ত হয়েছে ১২৫০টি ঘর। তলিয়ে গেছে দুই হাজার পাঁচ'শ চিংড়ি ঘের। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ১৫ হেক্টর জমির কৃষি ফসল নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ঘর বাড়ি হারিয়ে যারা রাস্তার ওপর বসবাস করছেন তাঁদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এখন বৃষ্টির সময়, বৃষ্টি হলে তাদের খুপড়ি ঘরে পানি পড়ছে। ভিজে যাচ্ছে সবকিছু। বৃষ্টির কারণে তাদের যাতে কষ্ট না হয় তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নওগাঁর ধামইরহাটে সহাসড়ক থেকে শাহাদাত হোসেন (২৮) নামের এক যুবককের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ধানতারা মোড়ের দক্ষিণে ধামইরহাট-পত্নীতলা আঞ্চলিক মহাসড়কে লাশটি পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগেবরিশালের আইএসিআইবি নার্সিং ইনস্টিটিউটে এবার ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ আসনের বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। অন্যদিকে পটুয়াখালীর ড. জাফর নার্সিং কলেজে সমানসংখ্যক আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) সুবিধাভোগী আজনুর আক্তার। দুই দিন ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন ৫ মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের জন্য। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের...
৯ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র...
৯ ঘণ্টা আগে