খুলনা প্রতিনিধি
শিক্ষার্থীদের দেওয়া তালা ভেঙে গত রাতে বাসভবনে উঠেছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। তবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাসভবনটিতে আবারও তালা দিতে গেলে শিক্ষকদের বাধার মুখে ফিরে যান ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে খুলনায় ফিরে গতকাল সোমবার রাতে তালা ভেঙে বাসভবনে অবস্থান নেন কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। এই সংবাদে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে বাসভবন থেকে বের হয়ে যেতে আল্টিমেটাম দেন।
গতকাল রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর কুয়েট ছাত্রদল এবং স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা চাপাতি, রামদা, পিস্তল দিয়ে নৃশংস হামলা চালান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কুয়েটের সব শিক্ষার্থী ছয় দফা দাবি উত্থাপন করি। আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও দাবি না পূরণ করায় কুয়েটের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে বর্জন করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের সব শিক্ষার্থী মিলে উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে খবর আসে, উপাচার্যের বাসভবনের তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় কিছু শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে এর সত্যতা পায়। শিক্ষার্থীরা আরও জানতে পারেন, উপাচার্যসহ অজ্ঞাতপরিচয় কিছু মানুষ তাঁর বাসভবনের ভেতরে অবস্থান করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, মাসুদ স্যার আমাদের উপাচার্য নন, আমরা মাসুদ স্যারকে উপাচার্য হিসেবে বর্জন করেছি। তাই মাসুদ স্যার উপাচার্যের বাসভবনে ঢুকতে পারবেন না। উপাচার্যের বাসভবনে যাঁরা অবস্থান করছেন, উপাচার্যসহ তাঁদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিচ্ছি। এরপর আমরা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবার উপাচার্য বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেব। মাসুদ স্যারের কোনো অধিকার নেই উপাচার্য বাসভবনে থাকার। নতুন উপাচার্যের জন্য আমরা এই বাসভবন সংরক্ষণ করব। এর আগপর্যন্ত আমরা এখানে তালা দিয়ে রাখব।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আরেকটি বিষয় জানিয়ে দিচ্ছি, যেহেতু আমরা উপাচার্যকে বর্জন করেছি, সেহেতু এই উপাচার্যের নিয়োগ করা তদন্ত কমিটিকে আমরা গ্রহণ করছি না। এখানে উপাচার্য তাঁর আস্থাভাজন, আমাদের আন্দোলনে বিতর্কিত শিক্ষকদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এই তদন্ত কমিটিকে আমরা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি এবং এই কমিটির অধীনে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমরা মেনে নেব না। আমরা নতুন অভিভাবকের অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এদিকে আল্টিমেটামের পর আজ দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তখন ছাত্র-শিক্ষক উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় উপস্থিত শিক্ষকেরা বলেন, ‘তোমরা কেন তালা মারবা, এ জন্য তো প্রশাসন রয়েছে। তা ছাড়া বিষয়টি তো প্রধান উপদেষ্টা পর্যন্ত গিয়েছে, তিনিই তো সমাধান করবেন।’
এভাবে তর্কাতর্কির পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে চলে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভিসি বাসভবনেই অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থীদের দেওয়া তালা ভেঙে গত রাতে বাসভবনে উঠেছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। তবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাসভবনটিতে আবারও তালা দিতে গেলে শিক্ষকদের বাধার মুখে ফিরে যান ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে খুলনায় ফিরে গতকাল সোমবার রাতে তালা ভেঙে বাসভবনে অবস্থান নেন কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। এই সংবাদে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে বাসভবন থেকে বের হয়ে যেতে আল্টিমেটাম দেন।
গতকাল রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা এই আল্টিমেটাম দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর কুয়েট ছাত্রদল এবং স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা চাপাতি, রামদা, পিস্তল দিয়ে নৃশংস হামলা চালান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কুয়েটের সব শিক্ষার্থী ছয় দফা দাবি উত্থাপন করি। আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও দাবি না পূরণ করায় কুয়েটের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে বর্জন করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের সব শিক্ষার্থী মিলে উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে খবর আসে, উপাচার্যের বাসভবনের তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় কিছু শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে এর সত্যতা পায়। শিক্ষার্থীরা আরও জানতে পারেন, উপাচার্যসহ অজ্ঞাতপরিচয় কিছু মানুষ তাঁর বাসভবনের ভেতরে অবস্থান করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, মাসুদ স্যার আমাদের উপাচার্য নন, আমরা মাসুদ স্যারকে উপাচার্য হিসেবে বর্জন করেছি। তাই মাসুদ স্যার উপাচার্যের বাসভবনে ঢুকতে পারবেন না। উপাচার্যের বাসভবনে যাঁরা অবস্থান করছেন, উপাচার্যসহ তাঁদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিচ্ছি। এরপর আমরা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবার উপাচার্য বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেব। মাসুদ স্যারের কোনো অধিকার নেই উপাচার্য বাসভবনে থাকার। নতুন উপাচার্যের জন্য আমরা এই বাসভবন সংরক্ষণ করব। এর আগপর্যন্ত আমরা এখানে তালা দিয়ে রাখব।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আরেকটি বিষয় জানিয়ে দিচ্ছি, যেহেতু আমরা উপাচার্যকে বর্জন করেছি, সেহেতু এই উপাচার্যের নিয়োগ করা তদন্ত কমিটিকে আমরা গ্রহণ করছি না। এখানে উপাচার্য তাঁর আস্থাভাজন, আমাদের আন্দোলনে বিতর্কিত শিক্ষকদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এই তদন্ত কমিটিকে আমরা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি এবং এই কমিটির অধীনে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমরা মেনে নেব না। আমরা নতুন অভিভাবকের অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এদিকে আল্টিমেটামের পর আজ দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তখন ছাত্র-শিক্ষক উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় উপস্থিত শিক্ষকেরা বলেন, ‘তোমরা কেন তালা মারবা, এ জন্য তো প্রশাসন রয়েছে। তা ছাড়া বিষয়টি তো প্রধান উপদেষ্টা পর্যন্ত গিয়েছে, তিনিই তো সমাধান করবেন।’
এভাবে তর্কাতর্কির পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে চলে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভিসি বাসভবনেই অবস্থান করছেন।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে