Ajker Patrika

সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে লাখ টাকা ছিনতাই 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে লাখ টাকা ছিনতাই 

ব্যাংক থেকে টাকা তুলে রাস্তা পার হওয়ার সময় পারভিন খাতুন নামের এক নারীর কাছ থেকে লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইদহের সোনালী ব্যাংক শাখার সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

পারভিন খাতুন হরিনাকুন্ডু উপজেলার রথখোলা গ্রামের বাবলু রশিদের স্ত্রী। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন বোরকা পরিহিত নারী ব্যাংকের সামনের রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন লোক এসে তাকে ঘিরে ফেলে এবং ধস্তাধস্তি করে। এ ঘটনার পর ওই নারী বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সে সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ১১ বছরের ছেলে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে।

জ্ঞান ফেরার পর পারভিন খাতুন বলেন, আমি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৩ হাজার ৪শ ৬০ লাখ টাকা উঠাই। টাকা উঠানোর পর ব্যাংক থেকে বের হলে কিছু লোক আমার পথ রোধ করে আমার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এ সময় আমার প্রায় লাখ খানেক টাকা ছিনতাই হয়ে যায়। 

পারভিন খাতুনের ছেলে জিহাদ জানান, সকালে আমি মায়ের সঙ্গে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকে টাকা উঠাতে আসি। পরে ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৩ হাজার ৪শ ৬০ টাকা তুলে ব্যাংক থেকে নিচে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় মুখে মাস্ক পড়ে ৪ / ৫ জন আমাদের ঘিরে ধরে। এ সময় মায়ের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করে। একপর্যায়ে তাঁরা মায়ের ব্যাগ থেকে কিছু টাকা উঠিয়ে নেয়। আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসলে ছিনতাইকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাকে নিয়ে আবার ব্যাংকে ফিরে আসি। এ সময় মা কাঁদতে কাঁদতে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। 

হুমায়ন জানান, পারভিন খাতুন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। আমার কাছে তাঁর ফোন নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। ফোনে আমাকে জানানো হয় ব্যাংক থেকে নামার পরপর তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে। এ খবর পেয়ে আমি ব্যাংকে চলে আসি। 

এ দিকে ব্যাংকে টাকা তুলতে আসা সুফিয়া বেগম ও সেলিনা পারভীন জানান, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফিরব এর কোনো নিশ্চয়তা দেখছি না। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে এভাবে ছিনতাই মেনে নেওয়া যায় না। 

সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার জাকির হোসেন জানান, পারভিন খাতুন ১১টার দিকে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি আবার ব্যাংকে ফিরে এসে আমাদের জানান তাঁর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে। এ কথা বলেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁকে ব্যাংকের একটি রুমে রেখে আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা জানান, আমি থানায় নেই কাজে বাইরে আছি। ছিনতাই এর বিষয়ে আমি কিছু জানি না।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত