রাকিবুল ইসলাম (গাংনী) মেহেরপুর
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক ও জনবল-সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার ও এক্স-রে কার্যক্রম। এতে ব্যবহার না হওয়ায় কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জামে জমছে ধুলাবালি, কোথাও কোথাও ধরেছে মরিচাও। সরঞ্জাম থাকলেও চিকিৎসাসেবা না মেলায় ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। বাধ্য হয়ে তারা চড়া খরচে ছুটছে বেসরকারি ক্লিনিকে। বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীদের বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। দীর্ঘদিন এক্স-রে মেশিন ও অপারেশন বন্ধ থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাংনী উপজেলার মানুষ।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে ১৯৬৩ সালে ৩১ শয্যার এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৬ সালে এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় এবং ২০১৭ সাল থেকে নতুন ভবনে কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু বর্তমানে চার লাখেরও বেশি মানুষের সেবা দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এক্স-রে মেশিন ও অপারেশন থিয়েটার থাকলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান না থাকায় সেগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অচল। ফলে মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর আহমেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু জানলাম এখানে অপারেশন হয় না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে নিতে হয়েছে। সেখানে বেশি খরচ পড়েছে। যদি সরকারি হাসপাতালে সেবা পাওয়া যেত, তাহলে অনেকেই উপকৃত হতেন।’
সাবিনা খাতুন নামে একজন বলেন, ‘আমি সিজার করিয়েছি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সরকারি হাসপাতালে হলে খরচ কম হতো। আমাদের মতো অসহায়দের জন্য সরকারি হাসপাতালই ভরসা, কিন্তু সেটা এখন বন্ধ হয়ে আছে।’
চিকিৎসা নিতে আসা আঁখি খাতুন বলেন, ‘সরঞ্জামগুলো দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। সবকিছুর ওপরে ধুলাবালি জমে গেছে। অনেক যন্ত্রপাতিতে মরিচাও ধরেছে। এভাবে পড়ে থাকলে একসময় একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা কাজল আহমেদ বলেন, ‘সরকারি এত দামি চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস হচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। এটা বড় রকমের অবহেলা।’
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সূত্র জানায়, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট পদ রয়েছে ১০৭টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৬৫ জন। শূন্য রয়েছে ৪২টি পদ। চিকিৎসক পদ রয়েছে ২১টি, আছে ৮ জন। নার্সের পদ রয়েছে ৩০টি, আছে ২৯ জন, শূন্য রয়েছে একটি। ওয়ার্ড বয় তিনজনের মধ্যে আছেন একজন। ফার্মাসিস্ট মোট চারজন, আছে দুজন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঁচজনের মধ্যে আছে একজন। পিয়ন চারজনের মধ্যে আছে একজন। অফিস সহকারী তিনজনের একজনও নেই। নিরাপত্তাকর্মী দুজনের একজনও নেই। ওয়ার্ড বয় তিনজনের মধ্যে আছে একজন। এক্স-রে টেকনিশিয়ান একজন থাকার কথা, কিন্তু নেই।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল আজিজ বলেন, ‘দীর্ঘদিন অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জারি ডাক্তার না থাকায় অপারেশন হচ্ছে না। ডাক্তারসহ যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধান হলে আমরা অতি দ্রুত অপারেশন শুরু করতে পারব। আমাদের সমস্যাগুলো অতি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক্স-রে মেশিন যিনি চালাতেন, তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে অবসরে গেছেন। তার পর থেকেই এক্স-রে বন্ধ আছে। আশা করছি অতি দ্রুত সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’
আরো পড়ুন:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক ও জনবল-সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার ও এক্স-রে কার্যক্রম। এতে ব্যবহার না হওয়ায় কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জামে জমছে ধুলাবালি, কোথাও কোথাও ধরেছে মরিচাও। সরঞ্জাম থাকলেও চিকিৎসাসেবা না মেলায় ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। বাধ্য হয়ে তারা চড়া খরচে ছুটছে বেসরকারি ক্লিনিকে। বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীদের বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। দীর্ঘদিন এক্স-রে মেশিন ও অপারেশন বন্ধ থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গাংনী উপজেলার মানুষ।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে ১৯৬৩ সালে ৩১ শয্যার এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৬ সালে এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় এবং ২০১৭ সাল থেকে নতুন ভবনে কার্যক্রম চালু হয়। কিন্তু বর্তমানে চার লাখেরও বেশি মানুষের সেবা দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এক্স-রে মেশিন ও অপারেশন থিয়েটার থাকলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান না থাকায় সেগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অচল। ফলে মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাগর আহমেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু জানলাম এখানে অপারেশন হয় না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে নিতে হয়েছে। সেখানে বেশি খরচ পড়েছে। যদি সরকারি হাসপাতালে সেবা পাওয়া যেত, তাহলে অনেকেই উপকৃত হতেন।’
সাবিনা খাতুন নামে একজন বলেন, ‘আমি সিজার করিয়েছি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সরকারি হাসপাতালে হলে খরচ কম হতো। আমাদের মতো অসহায়দের জন্য সরকারি হাসপাতালই ভরসা, কিন্তু সেটা এখন বন্ধ হয়ে আছে।’
চিকিৎসা নিতে আসা আঁখি খাতুন বলেন, ‘সরঞ্জামগুলো দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। সবকিছুর ওপরে ধুলাবালি জমে গেছে। অনেক যন্ত্রপাতিতে মরিচাও ধরেছে। এভাবে পড়ে থাকলে একসময় একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা কাজল আহমেদ বলেন, ‘সরকারি এত দামি চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস হচ্ছে, অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। এটা বড় রকমের অবহেলা।’
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সূত্র জানায়, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট পদ রয়েছে ১০৭টি। এর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৬৫ জন। শূন্য রয়েছে ৪২টি পদ। চিকিৎসক পদ রয়েছে ২১টি, আছে ৮ জন। নার্সের পদ রয়েছে ৩০টি, আছে ২৯ জন, শূন্য রয়েছে একটি। ওয়ার্ড বয় তিনজনের মধ্যে আছেন একজন। ফার্মাসিস্ট মোট চারজন, আছে দুজন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঁচজনের মধ্যে আছে একজন। পিয়ন চারজনের মধ্যে আছে একজন। অফিস সহকারী তিনজনের একজনও নেই। নিরাপত্তাকর্মী দুজনের একজনও নেই। ওয়ার্ড বয় তিনজনের মধ্যে আছে একজন। এক্স-রে টেকনিশিয়ান একজন থাকার কথা, কিন্তু নেই।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল আজিজ বলেন, ‘দীর্ঘদিন অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জারি ডাক্তার না থাকায় অপারেশন হচ্ছে না। ডাক্তারসহ যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধান হলে আমরা অতি দ্রুত অপারেশন শুরু করতে পারব। আমাদের সমস্যাগুলো অতি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক্স-রে মেশিন যিনি চালাতেন, তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে অবসরে গেছেন। তার পর থেকেই এক্স-রে বন্ধ আছে। আশা করছি অতি দ্রুত সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’
আরো পড়ুন:
বগুড়ার শাজাহানপুরে মামলা তুলে না নেওয়া ও চাঁদা না দেওয়ায় হাতুড়িপেটায় আহত আল আমিন (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
৪ মিনিট আগেনাটোর চিনিকলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটেছে। রাতভর কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ লুট করেছে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি ডাকাতদল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চিনিকলের নিরাপত্তা প্রহরীদের বরাত দিয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্র
১২ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছে এক স্বামী। স্ত্রীকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে তালাবদ্ধ করে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। স্থানীয়রা বসতবাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূর শরীর। গতকাল শনিবার দিবাগ
৪২ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় মোসা. আইমিন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিন্না গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আইমিন একই গ্রামের ফাইজুল হক ও আখতারুননাহারের মেয়ে। তিনি মো. রাজু মাঝির স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগে