মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাকে হারিয়েছেন জন্মের চার বছরের মাথায়। কিছুদিন না যেতেই বাবা বিয়ে করেন। তখন প্রতিবন্ধী ইলিয়াস মোল্যার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। অযত্ন আর অবহেলায় দিন কাটতে থাকে। সাত বছর বয়সে অন্যের বাড়িতে গৃহশ্রমিক হিসেবে রেখে দেন তাঁর বাবা। এ জন্য পড়ালেখার সুযোগ পাননি ইলিয়াস।
শুরু হয় নতুন সংগ্রামী জীবন। গৃহশ্রমিক হিসেবে কাজ করে কেটে যায় জীবনের শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলো। পরে অবশ্য অন্যের বাড়িতে থেকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ইলিয়াস। বিয়ের কয়েক মাস পরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মারা যান।
কষ্ট নিয়ে অবশেষে নিজের পৈতৃক ভিটায় ফিরে অন্যের জমি বর্গা চাষ শুরু করেন। সেই ইলিয়াসের নাম আজ তাঁর গ্রামের সবার মুখে মুখে। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে তিনি দারিদ্র্য জয় করেছেন। তাঁর জমিতে হওয়া লাউ যাচ্ছে বিদেশে। তাঁর দেখাদেখি এলাকার অনেকেই সবজি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়া ইলিয়াসের এই গল্প অনেককেই পরিশ্রম করে দারিদ্র্য দূর করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া গ্রামে ইলিয়াসের বাড়ি। পাটকাঠির বেড়া দেওয়া বাড়িতে একটি চৌচালা টিনের ঘর। বাড়ির উঠানে ছাগল ও হাঁস-মুরগির বিচরণ। এরই মধ্যে ইলিয়াসের দেখা মেলে। মাঠ থেকে তুলে আনা লাউ বিক্রির জন্য হাটে পাঠাচ্ছিলেন তিনি। কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
ইলিয়াস জানান, শৈশব কেটেছে মানুষের বাড়িতে কাজ করে। ইচ্ছে ছিল পড়াশোনা করার। তবে সামর্থ্য ছিল না। প্রথমে গ্রামের ৪৫ শতক খালি জমি লিজ নেন। সেই পরিত্যক্ত জমির মধ্যেই প্রথম লাউ উৎপাদন শুরু হয়। এক বছর পর সবজি উৎপাদন করে জমি লিজের টাকাসহ উৎপাদন খরচ পরিশোধ করেন।
এবার এক একর জমি লিজ নিয়ে লাউ চাষ করেছেন। লাউ চাষের পাশাপাশি জমিতে আছে ধানের আবাদ। লাউ চাষ করে প্রথম পর্যায়ে ত্রিশ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেন। লাউ বিক্রি করে আরও প্রায় নব্বই হাজার টাকা পান তিনি। সব মিলিয়ে লাখ টাকারও বেশি উপার্জন করেন লাউ থেকে।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জানান, তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করেন। ধারাবাহিকভাবেই কৃষি কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মকর্তাদের সহায়তা পেয়েছেন তিনি। তাঁদের পরামর্শেই একসময় নিরাপদ কৃষির প্রতি উদ্বুদ্ধ হন। প্রতিবন্ধী ইলিয়াসের সাফল্য দেখে এখন অনেকেই কৃষিতে যুক্ত হচ্ছেন।
মাকে হারিয়েছেন জন্মের চার বছরের মাথায়। কিছুদিন না যেতেই বাবা বিয়ে করেন। তখন প্রতিবন্ধী ইলিয়াস মোল্যার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। অযত্ন আর অবহেলায় দিন কাটতে থাকে। সাত বছর বয়সে অন্যের বাড়িতে গৃহশ্রমিক হিসেবে রেখে দেন তাঁর বাবা। এ জন্য পড়ালেখার সুযোগ পাননি ইলিয়াস।
শুরু হয় নতুন সংগ্রামী জীবন। গৃহশ্রমিক হিসেবে কাজ করে কেটে যায় জীবনের শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলো। পরে অবশ্য অন্যের বাড়িতে থেকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ইলিয়াস। বিয়ের কয়েক মাস পরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মারা যান।
কষ্ট নিয়ে অবশেষে নিজের পৈতৃক ভিটায় ফিরে অন্যের জমি বর্গা চাষ শুরু করেন। সেই ইলিয়াসের নাম আজ তাঁর গ্রামের সবার মুখে মুখে। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে তিনি দারিদ্র্য জয় করেছেন। তাঁর জমিতে হওয়া লাউ যাচ্ছে বিদেশে। তাঁর দেখাদেখি এলাকার অনেকেই সবজি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়া ইলিয়াসের এই গল্প অনেককেই পরিশ্রম করে দারিদ্র্য দূর করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া গ্রামে ইলিয়াসের বাড়ি। পাটকাঠির বেড়া দেওয়া বাড়িতে একটি চৌচালা টিনের ঘর। বাড়ির উঠানে ছাগল ও হাঁস-মুরগির বিচরণ। এরই মধ্যে ইলিয়াসের দেখা মেলে। মাঠ থেকে তুলে আনা লাউ বিক্রির জন্য হাটে পাঠাচ্ছিলেন তিনি। কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
ইলিয়াস জানান, শৈশব কেটেছে মানুষের বাড়িতে কাজ করে। ইচ্ছে ছিল পড়াশোনা করার। তবে সামর্থ্য ছিল না। প্রথমে গ্রামের ৪৫ শতক খালি জমি লিজ নেন। সেই পরিত্যক্ত জমির মধ্যেই প্রথম লাউ উৎপাদন শুরু হয়। এক বছর পর সবজি উৎপাদন করে জমি লিজের টাকাসহ উৎপাদন খরচ পরিশোধ করেন।
এবার এক একর জমি লিজ নিয়ে লাউ চাষ করেছেন। লাউ চাষের পাশাপাশি জমিতে আছে ধানের আবাদ। লাউ চাষ করে প্রথম পর্যায়ে ত্রিশ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেন। লাউ বিক্রি করে আরও প্রায় নব্বই হাজার টাকা পান তিনি। সব মিলিয়ে লাখ টাকারও বেশি উপার্জন করেন লাউ থেকে।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জানান, তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করেন। ধারাবাহিকভাবেই কৃষি কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মকর্তাদের সহায়তা পেয়েছেন তিনি। তাঁদের পরামর্শেই একসময় নিরাপদ কৃষির প্রতি উদ্বুদ্ধ হন। প্রতিবন্ধী ইলিয়াসের সাফল্য দেখে এখন অনেকেই কৃষিতে যুক্ত হচ্ছেন।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে