কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ২টা। বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীদের ভিড়। এত মানুষের জটলার মাঝেও কেমন একটা নীরবতা বিরাজ করছে। ঘরের ভেতর থেকে মাঝেমধ্যে বিলাপের সুর ভেসে আসছে। একটু এগিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখা যায় ইডেন কলেজের ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি’ লেখা একটি ক্রেস্ট ও ছবিসংবলিত ‘বৃষ্টি খাতুন’ নামের একটি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বুকে জড়িয়ে আহাজারি করছেন মা বিউটি বেগম।
ছোট মেয়ে বর্ষা ও প্রতিবেশীরা মিলে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। আহাজারি যেন থামছেই না বিউটি বেগমের। বারবার ‘আমার মেয়ে, ওর নাম বৃষ্টি’–এই বলে চিৎকার করছেন। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর বিউটি বেগম অভিশ্রুতির লাশ ফেরত পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণও করেন।
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর (প্রকৃত নাম বৃষ্টি খাতুন) মৃত্যুর খবর তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছায় গতকাল শুক্রবার বেলা ২টায়। এর পর থেকেই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। মৃত্যুর খবর জানার পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত লাশ বুঝে না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। আজ শনিবার এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।
এ বিষয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে নিহত সাংবাদিকের বাবা শাবলুল আলম সবুজ মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার সকালে লাশ বুঝে দেবে বলেছিল। কিন্তু এখনো ক্লিয়ারেন্স বা মরদেহ কিছুই দেওয়া হয়নি।’
নিহতের মেজো বোন ঝর্ণা খাতুন বলেন, ‘লাশ বুঝে নিতে ঢাকায় রয়েছেন বাবা শাবলুল আলম সবুজ। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী—এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে পড়ে আছে বোনের মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। তাই লাশ নিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাবা।’ঝর্ণা খাতুন আরও বলেন, ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি নামের একটি ফেসবুকের ফেক আইডি চালাতেন বৃষ্টি। এ ছাড়া সে অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছে, এমন কিছু এর আগে আমরা জানি নাই। তিন মাস আগেও বাড়ি এসেছিল।’
নিহতের ছোট বোন বর্ষা খাতুন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দুপুরেও মায়ের সঙ্গে বৃষ্টির শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয়।’
এ সময় বাড়ির বাইরে প্রতিবেশী কয়েকজন একসঙ্গে হয়ে বৃষ্টির শৈশব স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। তাঁরাও এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না। তবে এর থেকে তাঁদের কৌতূহলের বিষয় ছিল বৃষ্টি খাতুন কীভাবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হলেন।
কথা হয় বৃষ্টির স্কুলজীবনের এক সহপাঠীর বাবা মাসুদ রানার সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গেই বৃষ্টি পড়াশোনা করত। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তারা গ্রামের ব্র্যাক স্কুলে পড়েছে। মেয়েটিকে ছোটকাল থেকেই দেখছি। মেধাবী ছিল, তার মৃত্যুর খবরে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়েছেন গ্রামের স্কুলে। উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। বিসিএস ক্যাডার হওয়া স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার ইডেন কলেজে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে স্নাতক শেষ করেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিসিএস কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
নিহতের চাচা জোয়াদ আলী জানান, ঢাকায় ছোট চাকরি করে দুই মেয়েকে বাইরে রেখে শিক্ষিত করার চেষ্টা করতেন বাবা সবুজ। গত ঈদেও বাড়ি এসেছিলেন বৃষ্টি। সবুজের তিন কন্যাসন্তান। বড় মেয়ে বৃষ্টি খাতুন সবার বড়। মেজো মেয়ে ঝর্ণা খাতুন রাজবাড়ী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি রাজবাড়ী থেকেই পড়াশোনা করেন। আর ছোট মেয়ে বর্ষা খাতুন মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন।
ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ২টা। বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীদের ভিড়। এত মানুষের জটলার মাঝেও কেমন একটা নীরবতা বিরাজ করছে। ঘরের ভেতর থেকে মাঝেমধ্যে বিলাপের সুর ভেসে আসছে। একটু এগিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখা যায় ইডেন কলেজের ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি’ লেখা একটি ক্রেস্ট ও ছবিসংবলিত ‘বৃষ্টি খাতুন’ নামের একটি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বুকে জড়িয়ে আহাজারি করছেন মা বিউটি বেগম।
ছোট মেয়ে বর্ষা ও প্রতিবেশীরা মিলে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। আহাজারি যেন থামছেই না বিউটি বেগমের। বারবার ‘আমার মেয়ে, ওর নাম বৃষ্টি’–এই বলে চিৎকার করছেন। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর বিউটি বেগম অভিশ্রুতির লাশ ফেরত পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণও করেন।
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর (প্রকৃত নাম বৃষ্টি খাতুন) মৃত্যুর খবর তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছায় গতকাল শুক্রবার বেলা ২টায়। এর পর থেকেই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। মৃত্যুর খবর জানার পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত লাশ বুঝে না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। আজ শনিবার এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।
এ বিষয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে নিহত সাংবাদিকের বাবা শাবলুল আলম সবুজ মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার সকালে লাশ বুঝে দেবে বলেছিল। কিন্তু এখনো ক্লিয়ারেন্স বা মরদেহ কিছুই দেওয়া হয়নি।’
নিহতের মেজো বোন ঝর্ণা খাতুন বলেন, ‘লাশ বুঝে নিতে ঢাকায় রয়েছেন বাবা শাবলুল আলম সবুজ। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী—এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে পড়ে আছে বোনের মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। তাই লাশ নিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাবা।’ঝর্ণা খাতুন আরও বলেন, ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি নামের একটি ফেসবুকের ফেক আইডি চালাতেন বৃষ্টি। এ ছাড়া সে অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছে, এমন কিছু এর আগে আমরা জানি নাই। তিন মাস আগেও বাড়ি এসেছিল।’
নিহতের ছোট বোন বর্ষা খাতুন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দুপুরেও মায়ের সঙ্গে বৃষ্টির শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয়।’
এ সময় বাড়ির বাইরে প্রতিবেশী কয়েকজন একসঙ্গে হয়ে বৃষ্টির শৈশব স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। তাঁরাও এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না। তবে এর থেকে তাঁদের কৌতূহলের বিষয় ছিল বৃষ্টি খাতুন কীভাবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হলেন।
কথা হয় বৃষ্টির স্কুলজীবনের এক সহপাঠীর বাবা মাসুদ রানার সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গেই বৃষ্টি পড়াশোনা করত। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তারা গ্রামের ব্র্যাক স্কুলে পড়েছে। মেয়েটিকে ছোটকাল থেকেই দেখছি। মেধাবী ছিল, তার মৃত্যুর খবরে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়েছেন গ্রামের স্কুলে। উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। বিসিএস ক্যাডার হওয়া স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার ইডেন কলেজে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে স্নাতক শেষ করেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিসিএস কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
নিহতের চাচা জোয়াদ আলী জানান, ঢাকায় ছোট চাকরি করে দুই মেয়েকে বাইরে রেখে শিক্ষিত করার চেষ্টা করতেন বাবা সবুজ। গত ঈদেও বাড়ি এসেছিলেন বৃষ্টি। সবুজের তিন কন্যাসন্তান। বড় মেয়ে বৃষ্টি খাতুন সবার বড়। মেজো মেয়ে ঝর্ণা খাতুন রাজবাড়ী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি রাজবাড়ী থেকেই পড়াশোনা করেন। আর ছোট মেয়ে বর্ষা খাতুন মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন।
বগুড়ায় আজগর আলী পিয়াল নামের এক অটোরিকশাচালককে হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৩ মিনিট আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৯০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে আনা হয়েছে।
৯ মিনিট আগেচকলেট ও বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. ইউসুফ আলী পাটোয়ারীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে কদমতলী থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে সবুজবাগের বাসাবো এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড
১৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়িতে হামলা করে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সঞ্চয় নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগে