চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী মুন্সিপুর গ্রামে বসবাস করেন ডালিমুন খাতুন ও তাঁর বোন রাবেয়া খাতুন। তাঁদের বাবা-মা বসবাস করেন ভারতে। গতকাল শুক্রবার দুই বোন জানতে পারেন, তাঁদের মা ফজিলা খাতুন মারা গেছেন। কিন্তু সীমান্ত-বাধার কারণে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখা সম্ভব ছিল না।
অবশেষে মাকে শেষবারের মতো দেখতে চেয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবির কাছে আবেদন করেন দুই বোন। মানবিক আবেদনটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করে বিজিবি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই বোনকে মায়ের মুখ দেখার ব্যবস্থা করে দেয় দুই বাহিনী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হাটখোলা গ্রামের ফজিলা খাতুন (৭০) গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে বার্ধক্যের কারণে মারা যান। তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয় এবং স্বামীর সঙ্গে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে। তাঁরা বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ফজিলা খাতুন। গতকাল সকালে নিজ বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে মায়ের মৃত্যুসংবাদ আসে মেয়েদের কাছে। মায়ের মৃত্যুশয্যায় পাশে থাকতে না পারার দুঃখ তো আছেই, এখন মৃত্যুর পরও শেষবার মায়ের মুখ দেখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা। সীমান্ত-বাধা সদ্য মা হারা দুই মেয়ের শোক আরও বাড়িয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত তাঁরা বিজিবির কাছে আবেদন করেন।
ফজিলা খাতুনের মেয়ে ডালিমুন খাতুন বলেন, ‘মাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য আবেদন করেছিলাম। বিজিবি ও বিএসএফ সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা দুই বোন মায়ের মারা যাওয়ার সংবাদে ভেঙে পড়েছিলাম; বিশেষ করে আমাদের একটাই চিন্তা ছিল, শেষবারের মতো কি আমাদের মাকে দেখতে পাব না! যাহোক, আল্লাহর ইচ্ছায় দুই দেশের সহযোগিতায় আমরা মাকে শেষবারের মতো অন্তত দেখতে পেয়েছি।’
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পরিচালক শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, ‘ভারতীয় সীমান্তে মারা যাওয়া মাকে শেষবারের দেখতে চান বাংলাদেশে সীমান্তের দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বসবাসরত দুই মেয়ে। আমরা বিষয়টি ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের জানালে তাঁরাও সম্মতি দেন। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে সীমান্তের ৯৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ভারতীয় অংশে এক ঘণ্টার জন্য আত্মীয়স্বজনকে মৃতের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়।’
বিজিবির কর্মকর্তা শাহ ইশতিয়াক আরও বলেন, ‘এ ঘটনা দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে। সীমান্তে বসবাস করা দুই দেশের মানুষের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ মানসিকতা তৈরি করবে বলে আমরা আশাবাদী। ভবিষ্যতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে এ ঘটনা।’
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী মুন্সিপুর গ্রামে বসবাস করেন ডালিমুন খাতুন ও তাঁর বোন রাবেয়া খাতুন। তাঁদের বাবা-মা বসবাস করেন ভারতে। গতকাল শুক্রবার দুই বোন জানতে পারেন, তাঁদের মা ফজিলা খাতুন মারা গেছেন। কিন্তু সীমান্ত-বাধার কারণে শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখা সম্ভব ছিল না।
অবশেষে মাকে শেষবারের মতো দেখতে চেয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবির কাছে আবেদন করেন দুই বোন। মানবিক আবেদনটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা করে বিজিবি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই বোনকে মায়ের মুখ দেখার ব্যবস্থা করে দেয় দুই বাহিনী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হাটখোলা গ্রামের ফজিলা খাতুন (৭০) গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে বার্ধক্যের কারণে মারা যান। তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয় এবং স্বামীর সঙ্গে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে। তাঁরা বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ফজিলা খাতুন। গতকাল সকালে নিজ বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে মায়ের মৃত্যুসংবাদ আসে মেয়েদের কাছে। মায়ের মৃত্যুশয্যায় পাশে থাকতে না পারার দুঃখ তো আছেই, এখন মৃত্যুর পরও শেষবার মায়ের মুখ দেখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা। সীমান্ত-বাধা সদ্য মা হারা দুই মেয়ের শোক আরও বাড়িয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত তাঁরা বিজিবির কাছে আবেদন করেন।
ফজিলা খাতুনের মেয়ে ডালিমুন খাতুন বলেন, ‘মাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য আবেদন করেছিলাম। বিজিবি ও বিএসএফ সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা দুই বোন মায়ের মারা যাওয়ার সংবাদে ভেঙে পড়েছিলাম; বিশেষ করে আমাদের একটাই চিন্তা ছিল, শেষবারের মতো কি আমাদের মাকে দেখতে পাব না! যাহোক, আল্লাহর ইচ্ছায় দুই দেশের সহযোগিতায় আমরা মাকে শেষবারের মতো অন্তত দেখতে পেয়েছি।’
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পরিচালক শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, ‘ভারতীয় সীমান্তে মারা যাওয়া মাকে শেষবারের দেখতে চান বাংলাদেশে সীমান্তের দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বসবাসরত দুই মেয়ে। আমরা বিষয়টি ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের জানালে তাঁরাও সম্মতি দেন। পরে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে সীমান্তের ৯৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ভারতীয় অংশে এক ঘণ্টার জন্য আত্মীয়স্বজনকে মৃতের মুখ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়।’
বিজিবির কর্মকর্তা শাহ ইশতিয়াক আরও বলেন, ‘এ ঘটনা দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করবে। সীমান্তে বসবাস করা দুই দেশের মানুষের মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ মানসিকতা তৈরি করবে বলে আমরা আশাবাদী। ভবিষ্যতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে এ ঘটনা।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সীমান্তবর্তী ধরলা নদীতে শঙ্খদ্বীপ (৭) নামের এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে লাশটি পাওয়া যায়। জানা গেছে, শিশুটি ভারতীয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানার সাপটিবাড়ী সুস্থিরহাট বাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল সে।
১ সেকেন্ড আগেদুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, কর্মজীবী হিসেবে আমি চাকরি জীবনে যাদের মুক্তিযোদ্ধা সহকর্মী হিসেবে পাই, তাদের ধরে নিতে পারেন ৮০ থেকে ৯০ ভাগই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।
১১ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সেলিম রেজা (২৭) নামের এক যুবককে ২১ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে। তিনি একজন জুলাই যোদ্ধা বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
১১ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দর থানার ঈশান মিস্ত্রির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ ওরফে রানা।
১৩ মিনিট আগে