Ajker Patrika

মাস্ক ছাড়া খুলবে না দরজা

প্রতিনিধি
মাস্ক ছাড়া খুলবে না দরজা

কুমারখালী (কুষ্টিয়া): করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বারবার করে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তারপরও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে এখনো যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি হয়নি। অনেক মানুষ মাস্ক ছাড়াই অফিস, আদালত, ধর্মীয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করছেন। সাইনবোর্ড, নোটিশে বার্তা দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। এবার এর সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছেন রিয়াদ আহমেদ নামের এক তরুণ। দরজার লকের সঙ্গে ফেসমাস্ক ডিটেক্টর জুড়ে দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন এমন এক ব্যবস্থা, যাতে মুখে মাস্ক না থাকলে দরজাটিই না খোলে। মুখে নিরাপত্তা মাস্ক থাকলেই কেবল দরজা খুলবে।

করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সক্ষমতা রয়েছে—এমন বহু প্রতিষ্ঠান হোম অফিস কার্যক্রম শুরু করেছে। কেউ কেউ শিফট ভাগ করে কাজ করছে। কারণ অফিস, ধর্মীয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বহু শ্রেণির বহু মানুষের আনাগোনা হয় প্রতিদিন। এসব জায়গায় অনেক সময়ই দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মুখে মাস্ক না থাকলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই ঝুঁকি কমাতে এতদিন অফিস নোটিশসহ প্রচলিত বিষয়গুলোর ওপরই নির্ভর করতে হয়েছে। কিন্তু এবার রিয়াদ আহমেদ এর সমাধান নিয়ে এলেন।

নিজের তৈলি যন্ত্র নিয়ে রিয়াদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর সু্বিধা হলো, দরজায় এটি বসানো হলে মাস্ক ছাড়া কেউ ওই দরজা দিয়ে ঢুকতে পারবে না। মুখে মাস্ক থাকলেই কেবল একটি সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে এবং দরজা খুলে যাবে। মাস্ক না থাকলে মাস্ক পরার অনুরোধ করা হবে। আর থাকলে অতিথিকে স্বাগত জানাবে যন্ত্রটি।

ক্ষুদে বিজ্ঞানী হিসেবে ২০ বছর বয়সী রিয়াদ আহমেদ নিজের এলাকায় বেশ পরিচিত। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ছেন। বাড়িও পান্টি গ্রাম। বাবা নজরুল ইসলাম ছোটখাটো প্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর মা শেলী খাতুন একজন গৃহিণী। অন্য তরুণদের মতোই রিয়াদ স্বপ্নবাজ। তবে পার্থক্য হচ্ছে নিজের স্বপ্নকে তিনি বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। করোনার এই দুঃসময়েও তিনি বসে থাকেননি। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে উদ্যোগী হয়েছেন নিজের মতো করে। তাঁর তৈরি এই যন্ত্র উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ৪২তম বিজ্ঞান মেলায় জিতে নিয়েছে প্রথম পুরস্কারও। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কেউ আর এই যন্ত্রকে ছড়িয়ে দিতে বা এর প্রয়োগ নিশ্চিতে বিনিয়োগ করেনি।

রিয়াদের মা শেলী খাতুন বলেন, ‘খুব ছোট থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা ভাবনা ওর। কিন্তু গরীব হওয়ায় এগোতে পারিনি। কারও সহযোগিতা পেলে ভালো কিছু করবে সে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত