Ajker Patrika

শেবাচিম হাসপাতাল: ফের উত্তেজনা-পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ডিসি অফিস ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৩৮
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শেবাচিম হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। আজ রোববার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শেবাচিম হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। আজ রোববার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) ঘিরে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শেবাচিমের সামনে গেলে হাসপাতালের কর্মীরা তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষই একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শেবাচিম এলাকা। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করেন আন্দোলনকারীরা।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর শেবাচিমের কর্মচারীদের হামলার বিচার দাবিতে আজ বেলা ১১টার দিকে নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে তাঁরা দুপুর ১২টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে প্রধান গেট আটকে দেয় পুলিশ। বেলা ১টার দিকে হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। একই সময়ে হাসপাতালের মাঝের গেটের ভেতরে লাঠিসোঁটা নিয়ে শেবাচিমের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পাল্টা অবস্থান নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের ভেতর থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। আন্দোলনকারীরাও হাসপাতালের ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়ে পাল্টা জবাব দেন। এতে শেবাচিম এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। হাসপাতালের ভেতরে বেশ কয়েক ব্যক্তিকে মুখে মাস্ক পরে হাতে লাঠি নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।

পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপে শেবাচিম ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আজ রোববার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপে শেবাচিম ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আজ রোববার দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানা গেছে, বিক্ষোভ মিছিল আসার খবর পেয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান নেন। সংঘাতের আশঙ্কায় আগে থেকে হাসপাতাল গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের প্রধান গেট।

আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘শেবাচিম হাসপাতালের সামনে অনশনে বসা ছাত্রদের ওপর গত বৃহস্পতিবার হামলা করা হয়েছে। উল্টো থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঠেকাতে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। এসব কর্মকাণ্ড দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া যাবে না।’ তিনি আমরণ অনশনে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন। আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর আমতলা মোড় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

শেবাচিমের ভেতরে লাঠিসোঁঠা হাতে কর্মচারীরা। ছবি : আজকের পত্রিকা
শেবাচিমের ভেতরে লাঠিসোঁঠা হাতে কর্মচারীরা। ছবি : আজকের পত্রিকা

এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের কর্মচারীরা বলেন, ‘আন্দোলনের নামে আমাদের সহকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।

শেবাচিম থেকে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসকের এক প্রতিনিধি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে কক্ষে ডাকেন। তখন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান গেট আটকে দেন। এতে আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনিসহ অন্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন।’

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত