যশোর প্রতিনিধি
যশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ‘ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি’। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের নীলরতন ধর সড়কে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো দরপত্রের পরও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণে আটকে থাকা আমডাঙা খাল সংস্কারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, ৮১ কিলোমিটার নদী খননের কাজ চলতি মাসেই শুরু করা, টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট-টিআরএম বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করা, মাছের ঘেরসংক্রান্ত নীতিমালা কার্যকরের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা এবং গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে নদী, খাল ও খাসজমি উদ্ধার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সদস্যসচিব চৈতন্য কুমার পাল বলেন, গত বছর যশোরে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ৫১৮ মিলিমিটার। এবার ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ৭৮ মিলিমিটার, অর্থাৎ দ্বিগুণের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারপরও গত বছরের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতার মাত্রা কম। এর প্রধান কারণ ভবদহের আটটি স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় ব্যাপক হারে পানি নেমেছে।
চৈতন্য কুমার পাল আরও বলেন, গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আরও দুটি স্লুইস গেট, অর্থাৎ ১০টি গেট থেকে প্রবল বেগে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। যদি আরও ছয়টি গেট এই মুহূর্তে খুলে দেওয়া যায়, তাহলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘ম্যাজিক চেঞ্জ’ অর্থাৎ বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটবে এবং সপ্তাহের মধ্যেই পানি নিষ্কাশিত হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বাধা হলো টেকা ঘাটে এলজিইডির ডাইভারশন রোডের সংকীর্ণ পানি বের হওয়ার পথ ভবদহ স্লুইস গেট দিয়ে পানি বের হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। এই মুহূর্তে এই বাধা অপসারণ করা জরুরি। তাহলে দ্রুত ১৫০ গ্রামের বাড়ি-ঘর, ফসল, স্কুল-কলেজ জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘২০১২ সাল থেকে সব গেট বন্ধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত তৎকালীন সরকারের প্রতিমন্ত্রীসহ কায়েমি স্বার্থবাদী মহলের ষড়যন্ত্রে বারোআড়িয়া মোহনা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার নদী হত্যা করা হয়। সরকারি অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য তৈরি করে এবং সমগ্র এলাকা স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। ইতিপূর্বেও স্লুইস গেট বন্ধ করে উদ্ভূত অনুরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানাচ্ছে জনগণ। বর্তমান সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ ও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ গ্রহণে জনপদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে এ ক্ষেত্রে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা জনদুর্ভোগকে বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা আশা করি, দ্রুত এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, উপদেষ্টা তসলিম-উর-রহমান, সদস্য নাজিম উদ্দিন, শিবপদ বিশ্বাস, শেখর বিশ্বাস, অনিল বিশ্বাস, সাধন বিশ্বাস, রাজু আহম্মেদ, আলমগীর হোসেন, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস প্রমুখ।
যশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ‘ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি’। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের নীলরতন ধর সড়কে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো দরপত্রের পরও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘসূত্রতার কারণে আটকে থাকা আমডাঙা খাল সংস্কারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, ৮১ কিলোমিটার নদী খননের কাজ চলতি মাসেই শুরু করা, টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট-টিআরএম বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করা, মাছের ঘেরসংক্রান্ত নীতিমালা কার্যকরের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা এবং গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে নদী, খাল ও খাসজমি উদ্ধার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সদস্যসচিব চৈতন্য কুমার পাল বলেন, গত বছর যশোরে বৃষ্টিপাত হয়েছিল ৫১৮ মিলিমিটার। এবার ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ৭৮ মিলিমিটার, অর্থাৎ দ্বিগুণের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তারপরও গত বছরের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতার মাত্রা কম। এর প্রধান কারণ ভবদহের আটটি স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় ব্যাপক হারে পানি নেমেছে।
চৈতন্য কুমার পাল আরও বলেন, গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আরও দুটি স্লুইস গেট, অর্থাৎ ১০টি গেট থেকে প্রবল বেগে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। যদি আরও ছয়টি গেট এই মুহূর্তে খুলে দেওয়া যায়, তাহলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘ম্যাজিক চেঞ্জ’ অর্থাৎ বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটবে এবং সপ্তাহের মধ্যেই পানি নিষ্কাশিত হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আরেকটি বাধা হলো টেকা ঘাটে এলজিইডির ডাইভারশন রোডের সংকীর্ণ পানি বের হওয়ার পথ ভবদহ স্লুইস গেট দিয়ে পানি বের হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। এই মুহূর্তে এই বাধা অপসারণ করা জরুরি। তাহলে দ্রুত ১৫০ গ্রামের বাড়ি-ঘর, ফসল, স্কুল-কলেজ জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘২০১২ সাল থেকে সব গেট বন্ধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত তৎকালীন সরকারের প্রতিমন্ত্রীসহ কায়েমি স্বার্থবাদী মহলের ষড়যন্ত্রে বারোআড়িয়া মোহনা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার নদী হত্যা করা হয়। সরকারি অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য তৈরি করে এবং সমগ্র এলাকা স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। ইতিপূর্বেও স্লুইস গেট বন্ধ করে উদ্ভূত অনুরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানাচ্ছে জনগণ। বর্তমান সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ ও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ গ্রহণে জনপদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে এ ক্ষেত্রে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা জনদুর্ভোগকে বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা আশা করি, দ্রুত এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, উপদেষ্টা তসলিম-উর-রহমান, সদস্য নাজিম উদ্দিন, শিবপদ বিশ্বাস, শেখর বিশ্বাস, অনিল বিশ্বাস, সাধন বিশ্বাস, রাজু আহম্মেদ, আলমগীর হোসেন, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস প্রমুখ।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে বয়স ২৩-২৪-এর আশপাশে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি তাঁর। এ বিষয়ে আঞ্জুমানে রহমানিয়া ট্রাস্টের (জুলুস আয়োজক) মিডিয়া টিমের সমন্বয়ক আবু তালেব বলেন, ‘মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন নিচে পড়ে যান।
৩ ঘণ্টা আগে‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম-৫ আ
৩ ঘণ্টা আগেবান্দরবান শহরের পুলিশ লাইনসের চারতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে রাশেদুল ইসলাম (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৯ জনকে সিসা বার পরিচালনার অভিযোগের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে