আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুরে আমন ধানের খেতে কারেন্ট পোকার ব্যাপক আক্রমণ দেখা দিয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার বেশ আগেভাগে এই পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। উপজেলার সব এলাকার ধানখেতে এই পোকার আক্রমণ দেখা গেছে।
হঠাৎ ব্যাপক হারে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। বিভিন্ন বালাইনাশক ব্যবহার করেও এর প্রতিকার মিলছে না। অনেকে বুঝে ওঠার আগেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কেউ কেউ আবার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে খেতে আগাম বালাইনাশক ছিটাচ্ছেন। এবার কৃষকেরা আশানুরূপ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, প্রতিবছরই আমন খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ লাগে। বিশেষ করে ধানের শিষ সম্পূর্ণ বেরিয়ে ঝুল দিলে এ পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। কিন্তু এবার শিষ বের হওয়ার আগেই এ পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে, যা অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে কৃষক বুঝে ওঠার আগেই কারেন্ট পোকার আক্রমণে খেতের ধানগাছ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
চাষিরা জানান, কারেন্ট পোকা ধানে লাগলে খেত নষ্ট হতে মাত্র দুই রাত সময় লাগে। এর মধ্য যদি ব্যবস্থা না নেওয়া যায়, তাহলে ধান বাঁচানো সম্ভব হয় না।
কারেন্ট পোকা মূলত ধানগাছের গোড়ায় আক্রমণ করে পচন ধরিয়ে দেয়। এরপর রস শুষে নিয়ে গাছ কালচে করে ফেলে। তখন শুকিয়ে ধানগাছ লুটিয়ে পড়ে। অনেক সময় এই পোকার আক্রমণে ধানগাছের পাতা লালচে হয়ে যায়।
রাতে ঠান্ডা দিনে ভ্যাপসা গরম, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং খেতে হালকা পানি কারেন্ট পোকার আক্রমণের অনুকূল পরিবেশ বলে জানিয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন।
মনিরামপুরে গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। আকাশও মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। এর ফলে উপজেলার খেদাপাড়া, রোহিতা, কাশিমনগর, মনিরামপুর সদর, ভোজগাতী, হরিহরনগর, ঝাঁপা, মশ্মিমনগর, চালুয়াহাটি, খানপুর ও শ্যামকুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে বিক্ষিপ্তভাবে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, এমন সংকট মুহূর্তে তাঁরা কৃষি অফিসের পরামর্শ পাচ্ছেন না। কীটনাশক দোকানিদের পরামর্শে নানা ব্যবস্থা নিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না। ফলে এবার ঘরে কাঙ্ক্ষিত ফসল তোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে।
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দাবি, কারেন্ট পোকার আক্রমণ প্রকটভাবে দেখা দিলেও তা এখনো মারাত্মক ক্ষতির পর্যায়ে পৌঁছায়নি। কৃষি অফিস কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে তৎপর রয়েছে।
উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের চাষি ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘এক বিঘা জমির আমন খেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে। কীটনাশক দোকানির পরামর্শে বালাইনাশক ছিটিয়েছি।’
কৃষক ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘এ বছরের মতো এত বিষ কোনোবার ছিটাইনি। একটার পর একটা রোগ দেখা দিচ্ছে। কোনো কৃষি অফিসাররে দেখিনি কোনো দিন।’
একই কথা বলছেন রোহিতা শেখপাড়ার কৃষক আজিজুর রহমান, মাহমুদকাটি গ্রামের কামাল হোসেন, শহীদ হোসেন ও নূর ইসলাম।
মাহমুদকাটি গ্রামের কৃষক কামাল বলেন, ‘পাঁচ বিঘায় আমন চাষ করেছি। সব জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে।’
রঘুনাথপুর গ্রামের মাস্টার দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘মাঠে ব্যাপক হারে কারেন্ট পোকা লেগেছে। আমার খেতে এখনো লাগেনি। খেত রক্ষায় দুই বিঘা জমিতে আগাম স্প্রে করার জন্য ৭৫০ টাকার বিষ কিনেছি।’
মনিরামপুরে এবার ২২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে, যা আগের যে কোনো বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বাজারে ধানের চড়া দাম থাকায় কৃষক এ মৌসুমে উচ্চফলনশীল নানা জাতের ধান চাষ করেছেন।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘আবহাওয়াজনিত কারণে এবার কারেন্ট পোকার আক্রমণ ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। সেটা যেন ক্ষতির পর্যায়ে না যায় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’
কৃষকদের যেকোনো প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন এই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
যশোরের মনিরামপুরে আমন ধানের খেতে কারেন্ট পোকার ব্যাপক আক্রমণ দেখা দিয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার বেশ আগেভাগে এই পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। উপজেলার সব এলাকার ধানখেতে এই পোকার আক্রমণ দেখা গেছে।
হঠাৎ ব্যাপক হারে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। বিভিন্ন বালাইনাশক ব্যবহার করেও এর প্রতিকার মিলছে না। অনেকে বুঝে ওঠার আগেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কেউ কেউ আবার আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে খেতে আগাম বালাইনাশক ছিটাচ্ছেন। এবার কৃষকেরা আশানুরূপ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, প্রতিবছরই আমন খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ লাগে। বিশেষ করে ধানের শিষ সম্পূর্ণ বেরিয়ে ঝুল দিলে এ পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। কিন্তু এবার শিষ বের হওয়ার আগেই এ পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে, যা অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে কৃষক বুঝে ওঠার আগেই কারেন্ট পোকার আক্রমণে খেতের ধানগাছ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
চাষিরা জানান, কারেন্ট পোকা ধানে লাগলে খেত নষ্ট হতে মাত্র দুই রাত সময় লাগে। এর মধ্য যদি ব্যবস্থা না নেওয়া যায়, তাহলে ধান বাঁচানো সম্ভব হয় না।
কারেন্ট পোকা মূলত ধানগাছের গোড়ায় আক্রমণ করে পচন ধরিয়ে দেয়। এরপর রস শুষে নিয়ে গাছ কালচে করে ফেলে। তখন শুকিয়ে ধানগাছ লুটিয়ে পড়ে। অনেক সময় এই পোকার আক্রমণে ধানগাছের পাতা লালচে হয়ে যায়।
রাতে ঠান্ডা দিনে ভ্যাপসা গরম, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং খেতে হালকা পানি কারেন্ট পোকার আক্রমণের অনুকূল পরিবেশ বলে জানিয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন।
মনিরামপুরে গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। আকাশও মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। এর ফলে উপজেলার খেদাপাড়া, রোহিতা, কাশিমনগর, মনিরামপুর সদর, ভোজগাতী, হরিহরনগর, ঝাঁপা, মশ্মিমনগর, চালুয়াহাটি, খানপুর ও শ্যামকুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে বিক্ষিপ্তভাবে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, এমন সংকট মুহূর্তে তাঁরা কৃষি অফিসের পরামর্শ পাচ্ছেন না। কীটনাশক দোকানিদের পরামর্শে নানা ব্যবস্থা নিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না। ফলে এবার ঘরে কাঙ্ক্ষিত ফসল তোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে।
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দাবি, কারেন্ট পোকার আক্রমণ প্রকটভাবে দেখা দিলেও তা এখনো মারাত্মক ক্ষতির পর্যায়ে পৌঁছায়নি। কৃষি অফিস কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে তৎপর রয়েছে।
উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের চাষি ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘এক বিঘা জমির আমন খেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে। কীটনাশক দোকানির পরামর্শে বালাইনাশক ছিটিয়েছি।’
কৃষক ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘এ বছরের মতো এত বিষ কোনোবার ছিটাইনি। একটার পর একটা রোগ দেখা দিচ্ছে। কোনো কৃষি অফিসাররে দেখিনি কোনো দিন।’
একই কথা বলছেন রোহিতা শেখপাড়ার কৃষক আজিজুর রহমান, মাহমুদকাটি গ্রামের কামাল হোসেন, শহীদ হোসেন ও নূর ইসলাম।
মাহমুদকাটি গ্রামের কৃষক কামাল বলেন, ‘পাঁচ বিঘায় আমন চাষ করেছি। সব জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে।’
রঘুনাথপুর গ্রামের মাস্টার দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘মাঠে ব্যাপক হারে কারেন্ট পোকা লেগেছে। আমার খেতে এখনো লাগেনি। খেত রক্ষায় দুই বিঘা জমিতে আগাম স্প্রে করার জন্য ৭৫০ টাকার বিষ কিনেছি।’
মনিরামপুরে এবার ২২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে, যা আগের যে কোনো বছরের তুলনায় অনেক বেশি। বাজারে ধানের চড়া দাম থাকায় কৃষক এ মৌসুমে উচ্চফলনশীল নানা জাতের ধান চাষ করেছেন।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘আবহাওয়াজনিত কারণে এবার কারেন্ট পোকার আক্রমণ ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। সেটা যেন ক্ষতির পর্যায়ে না যায় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’
কৃষকদের যেকোনো প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন এই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
বাজারের খুচরা পর্যায়ে দেখা গেছে, গত মাসে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। অথচ আমদানিকারকের নথিপত্র অনুযায়ী ভারত থেকে প্রতি কেজি মরিচ আমদানির পর সব খরচ মিলিয়ে বেনাপোল বন্দরে দাম দাঁড়াচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
১ সেকেন্ড আগে২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। আপিল বিভাগ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে রায় দেবেন।
৮ মিনিট আগেঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি চুরি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. ইব্রাহিম হোসেনকে (২৪) জয়পুরহাটের কালাইবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তি
১৮ মিনিট আগেফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন ‘আমি মো. নাজমুল ইসলাম। যুগ্ম আহবায়ক বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে পদত্যাগ করছি। আগামীকাল পদত্যাগের কারণ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।’
২৭ মিনিট আগে