Ajker Patrika

দ্বন্দ্বের জেরে মোংলা বন্দরে আটকা কয়লাবোঝাই ২ জাহাজ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
দ্বন্দ্বের জেরে মোংলা বন্দরে আটকা কয়লাবোঝাই ২ জাহাজ

বাগেরহাটে আমদানিকারকের করা মামলায় মোংলা বন্দরে আটকে আছে পানামা পতাকাবাহী কয়লাবোঝাই দুটি জাহাজ। আদালতের নির্দেশনার কারণে জাহাজ দুটিকে বন্দর ত্যাগ করার অনুমতি দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, ‘এমভি সানবাল্ক’ ও ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ নামে দুটি জাহাজে ৫১ হাজার ২৪৩ টন কয়লা রয়েছে। জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান ওই কয়লা আমদানি করেছে। মামলার বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়ায় জাহাজগুলো বন্দরে থাকবে বলে জানিয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেলে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘জাহাজের মালিক ও ভাড়া নেওয়া কোম্পানির দ্বন্দ্বের কারণে আমদানি করা কয়লা নির্ধারিত সময়ে মোংলা বন্দরে আসেনি। এ ছাড়া জাহাজে থাকা কয়লার গুণগতমান নষ্ট হয়ে গেছে। এ কয়লার বাজারমূল্য হ্রাস পেয়েছে। ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চেয়ে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছি। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, গত ৭ জানুয়ারি ‘এমভি সানবাল্ক’ নামের জাহাজটি ২৭ হাজার ২৪৩ টন কয়লা নিয়ে বন্দরের হারবাড়িয়ায় নোঙর করেছে। পরে কয়লাগুলো পুরোপুরি খালাস করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২৫ জানুয়ারি ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ নামের জাহাজটি ২৪ হাজার টন কয়লা নিয়ে বন্দরে ভিড়লেও মামলা জটিলতায় খালাস শুরু হয়নি।

বিদেশি জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স কসমসের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমভি সানবাল্ক জাহাজে আসা ২৭ হাজার ২৪৩ টন কয়লা পুরোপুরি খালাস করা হয়েছে। কিন্তু মামলার কারণে এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি জাহাজে থাকা কয়লার খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

মো. সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার একটি বন্দর থেকে কয়লাবোঝাই করতে জাহাজ দুটি সেখানে যায়। এরই মধ্যে জাহাজের মালিক ও ভাড়া নেওয়া কোম্পানির (চার্টারার) মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দেড় মাস পর ওই বন্দর থেকে কয়লাবোঝাই করে জাহাজগুলো মোংলা বন্দরে আসে। এতে কয়লা আমদানিকারকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এ বিষয়ে শাহীন মজিদ বলেন, ‘গত ৬ ফেব্রুয়ারি জাহাজ দুটির ব্যাপারে আদালতের একটি নির্দেশনা আসে। আমরা আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জাহাজ দুটিকে বন্দরে অবস্থান করতে বলেছি। একই সঙ্গে বন্দর ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আদালত থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা জাহাজ দুটিকে বন্দর ত্যাগের অনুমতি দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত