রাকিবুল ইসলাম মেহেরপুর
শত শত বছরের কিছু ঐতিহ্য বাঙালি সংস্কৃতির ধারক-বাহক। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার অনেক ঐতিহ্য। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মানুষের জীবনে প্রবেশ করছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আগেকার দিনে গোয়ালভরা গরু, গোলাভরা ধান গৃহস্থের কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। বর্তমানে বিলুপ্তির পথে ধানের গোলাসহ গ্রামবাংলার অনেক ঐতিহ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগেকার দিনে গ্রামের অনেক কৃষকের বাড়িতেই দেখা যেত ধানের গোলা। গ্রাম্য কারিগরেরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বাঁশের বাতা দিয়ে তৈরি করতেন ধানের গোলা। এই ধানের গোলার মুখ রাখা হতো ওপরের দিকে। আর এর ছাউনি তৈরি করা হতো খড় বা টিন দিয়ে। এই গোলাগুলোতে ধানের ধারণক্ষমতা ছিল ৩০ থেকে ৪০ মণ। তবে এখন ধানের গোলা আর গোলাভরা ধান চোখে পড়ে না।
বর্তমানে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কয়েকটি গেরস্থের বাড়িতে দেখা মেলে এই গোলা। তবে এখন আগেকার মতো দেখা যায় না গোলা কারিগরদের। একসময় গোলা নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষ শ্রমিকেরা আসতেন। তাঁরা মনের মতো গোলা তৈরি করতেন। বর্তমানে গোলার ব্যবহার না থাকায় পেশা বদলে অন্য কাজে জীবিকা নির্বাহ করছেন ধানের গোলার কারিগরেরা।
এ বিষয়ে ধানের গোলার কারিগর আকবর আলী বলেন, 'এখন আর ধানের গোলার ব্যবহার নেই। কিন্তু একসময় এ গোলাই ছিল সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য। সময়ের পরিবর্তে বাড়ছে মানুষ, কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। তাই গোলায় তোলার মতো তেমন ধানও আর থাকছে না কৃষকের ঘরে, যার কারণে গোলার পরিবর্তে গ্রামের কৃষকেরা এখন ব্যবহার করছেন প্লাস্টিকের ড্রাম ও স্টিলের ব্যারেল। অনেক ক্ষুদ্র কৃষকই বস্তা ও ব্যারেল ভর্তি করে রাখছেন আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমের উৎপাদিত ধান। আগামী প্রজন্ম ভুলে যাবে গোলার ব্যবহার। গোলাঘরগুলো একটি স্মৃতিতে পরিণত হবে।'
কারিগর আকবর আলী আরও বলেন, 'আধুনিক গুদামঘর ধান-চাল রাখার জায়গা হিসেবে দখল করায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের ধানের গোলা। গোলার ব্যবহার না থাকায় আমাদের পেশা বদল করতে হয়েছে। বর্তমানে চাটাইয়ের কাজ করি আর মাঝে মাঝে পরের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি।'
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য নবীছদ্দিন বলেন, 'বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আর আধুনিকতার ছোঁয়াতেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের ধানের গোলা। তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এসব ঐতিহ্য সংরক্ষণে রাখা উচিত। গ্রামবাংলার এই প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো যদি সংরক্ষণ করে না রাখা হয়, তাহলে এই ধানের গোলা স্থান নেবে পাঠ্যপুস্তকের পাতায় অথবা কোনো জাদুঘরে।'
গোলার মালিক ময়েজউদ্দিন বলেন, 'আমি এই ধানের গোলা তৈরি করেছিলাম আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে। তখন আমি বাঁশ দিয়েছিলাম আর মজুরি খরচ নিয়েছিল ১ হাজার টাকা। এখন এই গোলা তৈরি করতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে। বর্তমানে গোলা কেউ তৈরি করে না আর গোলার কারিগরদেরও দেখা যায় না।'
শত শত বছরের কিছু ঐতিহ্য বাঙালি সংস্কৃতির ধারক-বাহক। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার অনেক ঐতিহ্য। দিন যতই যাচ্ছে, ততই মানুষের জীবনে প্রবেশ করছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আগেকার দিনে গোয়ালভরা গরু, গোলাভরা ধান গৃহস্থের কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। বর্তমানে বিলুপ্তির পথে ধানের গোলাসহ গ্রামবাংলার অনেক ঐতিহ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগেকার দিনে গ্রামের অনেক কৃষকের বাড়িতেই দেখা যেত ধানের গোলা। গ্রাম্য কারিগরেরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বাঁশের বাতা দিয়ে তৈরি করতেন ধানের গোলা। এই ধানের গোলার মুখ রাখা হতো ওপরের দিকে। আর এর ছাউনি তৈরি করা হতো খড় বা টিন দিয়ে। এই গোলাগুলোতে ধানের ধারণক্ষমতা ছিল ৩০ থেকে ৪০ মণ। তবে এখন ধানের গোলা আর গোলাভরা ধান চোখে পড়ে না।
বর্তমানে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কয়েকটি গেরস্থের বাড়িতে দেখা মেলে এই গোলা। তবে এখন আগেকার মতো দেখা যায় না গোলা কারিগরদের। একসময় গোলা নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষ শ্রমিকেরা আসতেন। তাঁরা মনের মতো গোলা তৈরি করতেন। বর্তমানে গোলার ব্যবহার না থাকায় পেশা বদলে অন্য কাজে জীবিকা নির্বাহ করছেন ধানের গোলার কারিগরেরা।
এ বিষয়ে ধানের গোলার কারিগর আকবর আলী বলেন, 'এখন আর ধানের গোলার ব্যবহার নেই। কিন্তু একসময় এ গোলাই ছিল সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য। সময়ের পরিবর্তে বাড়ছে মানুষ, কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। তাই গোলায় তোলার মতো তেমন ধানও আর থাকছে না কৃষকের ঘরে, যার কারণে গোলার পরিবর্তে গ্রামের কৃষকেরা এখন ব্যবহার করছেন প্লাস্টিকের ড্রাম ও স্টিলের ব্যারেল। অনেক ক্ষুদ্র কৃষকই বস্তা ও ব্যারেল ভর্তি করে রাখছেন আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমের উৎপাদিত ধান। আগামী প্রজন্ম ভুলে যাবে গোলার ব্যবহার। গোলাঘরগুলো একটি স্মৃতিতে পরিণত হবে।'
কারিগর আকবর আলী আরও বলেন, 'আধুনিক গুদামঘর ধান-চাল রাখার জায়গা হিসেবে দখল করায় হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের ধানের গোলা। গোলার ব্যবহার না থাকায় আমাদের পেশা বদল করতে হয়েছে। বর্তমানে চাটাইয়ের কাজ করি আর মাঝে মাঝে পরের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি।'
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য নবীছদ্দিন বলেন, 'বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আর আধুনিকতার ছোঁয়াতেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের ধানের গোলা। তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এসব ঐতিহ্য সংরক্ষণে রাখা উচিত। গ্রামবাংলার এই প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো যদি সংরক্ষণ করে না রাখা হয়, তাহলে এই ধানের গোলা স্থান নেবে পাঠ্যপুস্তকের পাতায় অথবা কোনো জাদুঘরে।'
গোলার মালিক ময়েজউদ্দিন বলেন, 'আমি এই ধানের গোলা তৈরি করেছিলাম আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে। তখন আমি বাঁশ দিয়েছিলাম আর মজুরি খরচ নিয়েছিল ১ হাজার টাকা। এখন এই গোলা তৈরি করতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে। বর্তমানে গোলা কেউ তৈরি করে না আর গোলার কারিগরদেরও দেখা যায় না।'
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবির আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দির রনি, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগেখাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) সদস্য বলে পুলিশ দাবি করেছে। আজ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেহান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসব না। কখনো বলব না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবুও আমি চাইব, অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক।
১ ঘণ্টা আগেসি-সেফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামির চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা এবং পেশায় রেফ্রিজারেটর মেকানিক। সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, সকালে সামিরসহ চার বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। দুপুরে সৈকতে গোসলে নামলে ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকেন সামির।
১ ঘণ্টা আগে