Ajker Patrika

দুদকের মামলায় সাবেক অধ্যক্ষসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
দুদকের মামলায় সাবেক অধ্যক্ষসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

সাতক্ষীরায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক অধ্যক্ষসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতের বিচারক জেলা দায়রা জজ চাঁদ মো. আব্দুল আলীম আল রাজী এ আদেশ দেন। 

আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাঈদ, দেবহাটা গ্রামের উত্তর পারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক মো. মনিরুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলার নাকতাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক এসএম আবু রায়হান, সদর উপজেলার নেবাখালি গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক নাসির আহম্মেদ ও সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক অরুন কুমার সরকার। 
 
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু সাইদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতি করে চার প্রভাষককে এমপিওভুক্ত করার মাধ্যমে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৯ মার্চ অধ্যক্ষসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার দাস। 

পরবর্তীতে এটি সাতক্ষীরা বিশেষ আদালতের মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের খুলনা অফিসের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় চলতি বছরের ৫ মে সাতক্ষীরা আদালতে ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

এরপর গত ২ অক্টোবর পর্যন্ত আদালতে তিনটি ধার্য দিনে অভিযোগপত্রটির আমল গ্রহণ শুনানি হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

এ ব্যাপারে বিশেষ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটির আমলে নিয়ে সব আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ আদালতের বিচারক চাঁদ মো. আব্দুল আলীম আল রাজী। সে ক্ষেত্রে আসামিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া বিকল্প নেই।’ 

জানা যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে রেজুলেশন জালিয়াতি করে সাতক্ষীরা সিটি কলেজে ২৪ জন শিক্ষক নিয়োগ ও ২১ জনকে এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ উঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট সাতক্ষীরায় এসে তদন্ত শুরু করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রবীর কুমার দাস। 

২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর সাবেক অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুকুমার দাসকে সাতক্ষীরা এলজিইডি অফিসের রেস্ট হাউসে ডেকে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত হন। পরে অভিযুক্ত ২১ জন প্রভাষক ও অধ্যক্ষ আবু সাঈদকে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েক দফায় দুদক কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নেওয়া হয় তাদের লিখিত জবানবন্দিও। 

পরবর্তীতে বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. মনিরুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের প্রভাষক নাসির আহম্মেদ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এস্এম আবু রায়হান এবং হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অরুন কুমার সরকারের নিয়োগ ও এমপিওভুক্তকরণের কাগজপত্র জাল প্রমাণিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত