বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি
হেমন্তের শুরুতে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। এ সময় গাছিরা রস আহরণের জন্য খেজুরগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেন। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর গাছিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাস্তায়, জমিতে কিংবা পুকুরে, মাঠে-ঘাটে খেজুরগাছের আশপাশে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে।
গাছ পরিষ্কার শেষে এখন নলি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তাই শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই গাছিদের সব প্রস্তুতি শেষের দিকে। এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে খেজুরগাছ নেই। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই লক্ষ করা যায় খেজুরগাছ।
গাছ কেটে যাঁরা প্রতিনিয়ত রস সংগ্রহ করেন, স্থানীয় ভাষায় তাঁদের গাছি বলা হয়। আর যে নলের মাধ্যমে ফোঁটা ফোঁটা রস পড়ে, তাকে নলি বলা হয়। প্রথমে গাছের মাথার ডগা পরিষ্কার করা কষ্ট হলেও যখন গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হয়, তখন আর গাছির আনন্দের শেষ থাকে না। গাছিরা হাতে দা ও কোমরে দড়ি বেঁধে প্রতিদিন বিকেল বেলা গাছ কেটে নলির মুখে পাত্র বসিয়ে পরদিন খুব সকালে গাছ থেকে রসসহ পাত্র নামিয়ে ফেলেন। এভাবে একে একে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে থাকেন গাছিরা।
কয়েক দিনের মধ্যেই রস ঘরে আসবে আর তা দিয়ে তৈরি হবে নানা উপকরণ। শীতের সকালে এক গ্লাস ঠান্ডা খেজুরের রস শরীরে এনে দেয় সজীবতা। গ্রামে শীতকালের সকালটা খেজুর রস ছাড়া যেন একেবারে জমেই না। স্বাদে আর গন্ধে যেন অমৃত। পাখিরাও সরু ঠোঁট দিয়ে পান করে সুমিষ্ট রস।
খেজুরের রসের পায়েস ও ক্ষির খুবই মজাদার খাবার। আবার এই রস দিয়ে তৈরি হয় পাটালি ও ঝোলা গুড়। শীত মৌসুমে প্রতিটি গ্রামে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে সেটি দিয়ে পায়েস ও পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। এই রসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া মুছি-পাটালির কদরও রয়েছে অনেক। খেজুরের রসের তৈরি যাবতীয় উপকরণ এনে দেয় বাড়তি স্বাদ। কয়েক দিন পরেই গাছি মধুর সুরে গাইতে থাকবেন—‘হারা (রসের হাঁড়ি) ধুয়ে দে বউ গাছ কাটতি যাব।’
উপজেলার বারোআড়িয়া গ্রামের সুখেন্দু মণ্ডল বলেন, `আর মাত্র কয়েক দিন পরই গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হবে। প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই আমরা গাছ কেটে পর্যায়ক্রমে রস সংগ্রহের উপযোগী করে থাকি। কাঁচা রস বিক্রি করি আবার রস থেকে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করি।'
সুরখালী এলাকার গাছি শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, `প্রতিবছর শীত মৌসুমে খেজুরগাছ কেটে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় হয়। প্রায় ২০ বছর ধরে এই পেশায় আছি। খেজুরগাছ ছাড়াও তালের মৌসুমে তালগাছ কাটি।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, `গাছিদের জন্য সরকারিভাবে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করা হয় না। তবে গাছিরা যদি আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চান, সে ক্ষেত্রে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।'
হেমন্তের শুরুতে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। এ সময় গাছিরা রস আহরণের জন্য খেজুরগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেন। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর গাছিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাস্তায়, জমিতে কিংবা পুকুরে, মাঠে-ঘাটে খেজুরগাছের আশপাশে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে।
গাছ পরিষ্কার শেষে এখন নলি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তাই শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই গাছিদের সব প্রস্তুতি শেষের দিকে। এমন কোনো বাড়ি নেই, যেখানে খেজুরগাছ নেই। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই লক্ষ করা যায় খেজুরগাছ।
গাছ কেটে যাঁরা প্রতিনিয়ত রস সংগ্রহ করেন, স্থানীয় ভাষায় তাঁদের গাছি বলা হয়। আর যে নলের মাধ্যমে ফোঁটা ফোঁটা রস পড়ে, তাকে নলি বলা হয়। প্রথমে গাছের মাথার ডগা পরিষ্কার করা কষ্ট হলেও যখন গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হয়, তখন আর গাছির আনন্দের শেষ থাকে না। গাছিরা হাতে দা ও কোমরে দড়ি বেঁধে প্রতিদিন বিকেল বেলা গাছ কেটে নলির মুখে পাত্র বসিয়ে পরদিন খুব সকালে গাছ থেকে রসসহ পাত্র নামিয়ে ফেলেন। এভাবে একে একে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে থাকেন গাছিরা।
কয়েক দিনের মধ্যেই রস ঘরে আসবে আর তা দিয়ে তৈরি হবে নানা উপকরণ। শীতের সকালে এক গ্লাস ঠান্ডা খেজুরের রস শরীরে এনে দেয় সজীবতা। গ্রামে শীতকালের সকালটা খেজুর রস ছাড়া যেন একেবারে জমেই না। স্বাদে আর গন্ধে যেন অমৃত। পাখিরাও সরু ঠোঁট দিয়ে পান করে সুমিষ্ট রস।
খেজুরের রসের পায়েস ও ক্ষির খুবই মজাদার খাবার। আবার এই রস দিয়ে তৈরি হয় পাটালি ও ঝোলা গুড়। শীত মৌসুমে প্রতিটি গ্রামে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে সেটি দিয়ে পায়েস ও পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। এই রসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া মুছি-পাটালির কদরও রয়েছে অনেক। খেজুরের রসের তৈরি যাবতীয় উপকরণ এনে দেয় বাড়তি স্বাদ। কয়েক দিন পরেই গাছি মধুর সুরে গাইতে থাকবেন—‘হারা (রসের হাঁড়ি) ধুয়ে দে বউ গাছ কাটতি যাব।’
উপজেলার বারোআড়িয়া গ্রামের সুখেন্দু মণ্ডল বলেন, `আর মাত্র কয়েক দিন পরই গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হবে। প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই আমরা গাছ কেটে পর্যায়ক্রমে রস সংগ্রহের উপযোগী করে থাকি। কাঁচা রস বিক্রি করি আবার রস থেকে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করি।'
সুরখালী এলাকার গাছি শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, `প্রতিবছর শীত মৌসুমে খেজুরগাছ কেটে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় হয়। প্রায় ২০ বছর ধরে এই পেশায় আছি। খেজুরগাছ ছাড়াও তালের মৌসুমে তালগাছ কাটি।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, `গাছিদের জন্য সরকারিভাবে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করা হয় না। তবে গাছিরা যদি আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চান, সে ক্ষেত্রে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।'
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৩ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৮ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৩ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে