আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

একটি শিশু মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠের পর পৃথিবীর আলোতে বেড়ে উঠতে গিয়ে মা-বাবা কিংবা নিকটাত্মীয় থেকে বুলি, চলন-বলন শিখতে শুরু করে। এরপর বড়দের দেখানো দৃশ্য বা নির্দেশনায় অক্ষরজ্ঞান সম্পর্কে পরিচয় লাভ করে। এ ক্ষেত্রে একেক শিশু একেক বিষয়ে আকৃষ্ট হয়ে ওঠে। কেউ পড়ালেখায়, কেউ নৃত্যে, কেউ গানে, কেউবা ক্রীড়ায়।
এ সময়কালে আর্ট বা চিত্রকর্ম আয়ত্ত করা শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক কমই হয়। আর যেসব শিশু মুখের বুলির সঙ্গে চিত্রকর্মে আকৃষ্ট হতে পেরেছে, তাদেরই একজন মেহেরুন্নিসা।
মাত্র চার বছর বয়স থেকে ছবি আঁকায় হাতেখড়ি হয় পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মেহেরুন্নিসার। সে বর্তমানে উপজেলার রাণী নীহার দেবী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ছোটকালে একমাত্র মেয়ের আঁকাআঁকির ধরন ও আগ্রহ দেখে মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু ও বাবা খাজা মুহাম্মদ তুষার মেয়ের রংতুলির মিতালিতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছবি আঁকায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেয় মেহেরুন্নিসা।

এ ছাড়া মেহেরুন্নিসার নানা শিক্ষাবিদ মো. আতিউল ইসলাম নিজেও চিত্রকর্মে পারদর্শী। ফলে মেহেরুন্নিসাকে চিত্রকর্ম আয়ত্ত করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। একদিকে নানা ভাইয়ের হাতের ছোঁয়া, অন্যদিকে মা-বাবার প্রচেষ্টায় ১২ বছর বয়সে মেহেরুন্নিসা হাজারের বেশি চিত্রকর্ম এঁকে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছে।
আর ছবি এঁকেই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছে এই খুদে চিত্রশিল্পী। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলন ও দিবস, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, ফোক আর্ট, পশুপাখি, ঐতিহাসিক স্থান, নদী-পাহাড়, প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন ঋতুসংশ্লিষ্ট গ্রামবাংলার চিরাচরিত দৃশ্য ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে তার রংতুলিতে।
এ ছাড়া দেয়াল চিত্রাঙ্কন ও পেইন্টিংয়েও বেশ পারদর্শিতা অর্জন করেছে মেহেরুন্নিসা। এরই মধ্যে তার আঁকা বেশ কিছু ছবি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, কিডস ক্লাব, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে পেয়েছে পুরস্কার, সম্মাননা ও সনদ।

খুদে চিত্রশিল্পী মেহেরুন্নিসা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘খুব ছোটবেলায় আঁকাআঁকির প্রবল ইচ্ছা দেখে মা আমাকে আর্ট স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। সেই থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ছবি আঁকা শুরু আমার। এখন পর্যন্ত আমি হাজারের বেশি ছবি এঁকেছি। ইতিমধ্যে অনেক ছবি পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে জায়গা করে নিয়েছে।’
সে আরও যোগ করে, ‘সুযোগ পেলে ছবি অঙ্কনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণসহ ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই।’

সন্তানের এমন নিখুঁত চিত্রকর্মে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসা মেহেরুন্নিসার মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু বলেন, ‘ছোট বয়স থেকে ছবি আঁকায় বেশ মনোযোগী ছিল মেহেরুন্নিসা। তাই তাকে আর্ট স্কুলেও ভর্তি করিয়েছিলাম। তার ইচ্ছা, ছবি আঁকার পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়বে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকায় তাকে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে আসছি।’
স্বপ্নচূড়া কালচারাল একাডেমির ড্রইং স্টুডেন্ট ও মেহেরুন্নিসার শিক্ষক মোহনা মোহা বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিভা বিকাশে চিত্রাঙ্কন শিশুদের সৃজনশীলতা ও সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়। মেহেরুন্নিসা রংতুলিতে নিখুঁতভাবে যেকোনো চিত্রকর্ম সহজে ফুটিয়ে তুলতে পারে।’

একটি শিশু মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠের পর পৃথিবীর আলোতে বেড়ে উঠতে গিয়ে মা-বাবা কিংবা নিকটাত্মীয় থেকে বুলি, চলন-বলন শিখতে শুরু করে। এরপর বড়দের দেখানো দৃশ্য বা নির্দেশনায় অক্ষরজ্ঞান সম্পর্কে পরিচয় লাভ করে। এ ক্ষেত্রে একেক শিশু একেক বিষয়ে আকৃষ্ট হয়ে ওঠে। কেউ পড়ালেখায়, কেউ নৃত্যে, কেউ গানে, কেউবা ক্রীড়ায়।
এ সময়কালে আর্ট বা চিত্রকর্ম আয়ত্ত করা শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক কমই হয়। আর যেসব শিশু মুখের বুলির সঙ্গে চিত্রকর্মে আকৃষ্ট হতে পেরেছে, তাদেরই একজন মেহেরুন্নিসা।
মাত্র চার বছর বয়স থেকে ছবি আঁকায় হাতেখড়ি হয় পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মেহেরুন্নিসার। সে বর্তমানে উপজেলার রাণী নীহার দেবী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ছোটকালে একমাত্র মেয়ের আঁকাআঁকির ধরন ও আগ্রহ দেখে মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু ও বাবা খাজা মুহাম্মদ তুষার মেয়ের রংতুলির মিতালিতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছবি আঁকায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেয় মেহেরুন্নিসা।

এ ছাড়া মেহেরুন্নিসার নানা শিক্ষাবিদ মো. আতিউল ইসলাম নিজেও চিত্রকর্মে পারদর্শী। ফলে মেহেরুন্নিসাকে চিত্রকর্ম আয়ত্ত করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। একদিকে নানা ভাইয়ের হাতের ছোঁয়া, অন্যদিকে মা-বাবার প্রচেষ্টায় ১২ বছর বয়সে মেহেরুন্নিসা হাজারের বেশি চিত্রকর্ম এঁকে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছে।
আর ছবি এঁকেই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছে এই খুদে চিত্রশিল্পী। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলন ও দিবস, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, ফোক আর্ট, পশুপাখি, ঐতিহাসিক স্থান, নদী-পাহাড়, প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন ঋতুসংশ্লিষ্ট গ্রামবাংলার চিরাচরিত দৃশ্য ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে তার রংতুলিতে।
এ ছাড়া দেয়াল চিত্রাঙ্কন ও পেইন্টিংয়েও বেশ পারদর্শিতা অর্জন করেছে মেহেরুন্নিসা। এরই মধ্যে তার আঁকা বেশ কিছু ছবি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, কিডস ক্লাব, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে পেয়েছে পুরস্কার, সম্মাননা ও সনদ।

খুদে চিত্রশিল্পী মেহেরুন্নিসা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘খুব ছোটবেলায় আঁকাআঁকির প্রবল ইচ্ছা দেখে মা আমাকে আর্ট স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। সেই থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ছবি আঁকা শুরু আমার। এখন পর্যন্ত আমি হাজারের বেশি ছবি এঁকেছি। ইতিমধ্যে অনেক ছবি পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে জায়গা করে নিয়েছে।’
সে আরও যোগ করে, ‘সুযোগ পেলে ছবি অঙ্কনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণসহ ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই।’

সন্তানের এমন নিখুঁত চিত্রকর্মে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসা মেহেরুন্নিসার মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু বলেন, ‘ছোট বয়স থেকে ছবি আঁকায় বেশ মনোযোগী ছিল মেহেরুন্নিসা। তাই তাকে আর্ট স্কুলেও ভর্তি করিয়েছিলাম। তার ইচ্ছা, ছবি আঁকার পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়বে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকায় তাকে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে আসছি।’
স্বপ্নচূড়া কালচারাল একাডেমির ড্রইং স্টুডেন্ট ও মেহেরুন্নিসার শিক্ষক মোহনা মোহা বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিভা বিকাশে চিত্রাঙ্কন শিশুদের সৃজনশীলতা ও সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়। মেহেরুন্নিসা রংতুলিতে নিখুঁতভাবে যেকোনো চিত্রকর্ম সহজে ফুটিয়ে তুলতে পারে।’
আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

একটি শিশু মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠের পর পৃথিবীর আলোতে বেড়ে উঠতে গিয়ে মা-বাবা কিংবা নিকটাত্মীয় থেকে বুলি, চলন-বলন শিখতে শুরু করে। এরপর বড়দের দেখানো দৃশ্য বা নির্দেশনায় অক্ষরজ্ঞান সম্পর্কে পরিচয় লাভ করে। এ ক্ষেত্রে একেক শিশু একেক বিষয়ে আকৃষ্ট হয়ে ওঠে। কেউ পড়ালেখায়, কেউ নৃত্যে, কেউ গানে, কেউবা ক্রীড়ায়।
এ সময়কালে আর্ট বা চিত্রকর্ম আয়ত্ত করা শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক কমই হয়। আর যেসব শিশু মুখের বুলির সঙ্গে চিত্রকর্মে আকৃষ্ট হতে পেরেছে, তাদেরই একজন মেহেরুন্নিসা।
মাত্র চার বছর বয়স থেকে ছবি আঁকায় হাতেখড়ি হয় পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মেহেরুন্নিসার। সে বর্তমানে উপজেলার রাণী নীহার দেবী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ছোটকালে একমাত্র মেয়ের আঁকাআঁকির ধরন ও আগ্রহ দেখে মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু ও বাবা খাজা মুহাম্মদ তুষার মেয়ের রংতুলির মিতালিতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছবি আঁকায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেয় মেহেরুন্নিসা।

এ ছাড়া মেহেরুন্নিসার নানা শিক্ষাবিদ মো. আতিউল ইসলাম নিজেও চিত্রকর্মে পারদর্শী। ফলে মেহেরুন্নিসাকে চিত্রকর্ম আয়ত্ত করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। একদিকে নানা ভাইয়ের হাতের ছোঁয়া, অন্যদিকে মা-বাবার প্রচেষ্টায় ১২ বছর বয়সে মেহেরুন্নিসা হাজারের বেশি চিত্রকর্ম এঁকে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছে।
আর ছবি এঁকেই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছে এই খুদে চিত্রশিল্পী। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলন ও দিবস, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, ফোক আর্ট, পশুপাখি, ঐতিহাসিক স্থান, নদী-পাহাড়, প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন ঋতুসংশ্লিষ্ট গ্রামবাংলার চিরাচরিত দৃশ্য ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে তার রংতুলিতে।
এ ছাড়া দেয়াল চিত্রাঙ্কন ও পেইন্টিংয়েও বেশ পারদর্শিতা অর্জন করেছে মেহেরুন্নিসা। এরই মধ্যে তার আঁকা বেশ কিছু ছবি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, কিডস ক্লাব, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে পেয়েছে পুরস্কার, সম্মাননা ও সনদ।

খুদে চিত্রশিল্পী মেহেরুন্নিসা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘খুব ছোটবেলায় আঁকাআঁকির প্রবল ইচ্ছা দেখে মা আমাকে আর্ট স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। সেই থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ছবি আঁকা শুরু আমার। এখন পর্যন্ত আমি হাজারের বেশি ছবি এঁকেছি। ইতিমধ্যে অনেক ছবি পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে জায়গা করে নিয়েছে।’
সে আরও যোগ করে, ‘সুযোগ পেলে ছবি অঙ্কনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণসহ ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই।’

সন্তানের এমন নিখুঁত চিত্রকর্মে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসা মেহেরুন্নিসার মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু বলেন, ‘ছোট বয়স থেকে ছবি আঁকায় বেশ মনোযোগী ছিল মেহেরুন্নিসা। তাই তাকে আর্ট স্কুলেও ভর্তি করিয়েছিলাম। তার ইচ্ছা, ছবি আঁকার পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়বে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকায় তাকে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে আসছি।’
স্বপ্নচূড়া কালচারাল একাডেমির ড্রইং স্টুডেন্ট ও মেহেরুন্নিসার শিক্ষক মোহনা মোহা বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিভা বিকাশে চিত্রাঙ্কন শিশুদের সৃজনশীলতা ও সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়। মেহেরুন্নিসা রংতুলিতে নিখুঁতভাবে যেকোনো চিত্রকর্ম সহজে ফুটিয়ে তুলতে পারে।’

একটি শিশু মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠের পর পৃথিবীর আলোতে বেড়ে উঠতে গিয়ে মা-বাবা কিংবা নিকটাত্মীয় থেকে বুলি, চলন-বলন শিখতে শুরু করে। এরপর বড়দের দেখানো দৃশ্য বা নির্দেশনায় অক্ষরজ্ঞান সম্পর্কে পরিচয় লাভ করে। এ ক্ষেত্রে একেক শিশু একেক বিষয়ে আকৃষ্ট হয়ে ওঠে। কেউ পড়ালেখায়, কেউ নৃত্যে, কেউ গানে, কেউবা ক্রীড়ায়।
এ সময়কালে আর্ট বা চিত্রকর্ম আয়ত্ত করা শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক কমই হয়। আর যেসব শিশু মুখের বুলির সঙ্গে চিত্রকর্মে আকৃষ্ট হতে পেরেছে, তাদেরই একজন মেহেরুন্নিসা।
মাত্র চার বছর বয়স থেকে ছবি আঁকায় হাতেখড়ি হয় পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মেহেরুন্নিসার। সে বর্তমানে উপজেলার রাণী নীহার দেবী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ছোটকালে একমাত্র মেয়ের আঁকাআঁকির ধরন ও আগ্রহ দেখে মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু ও বাবা খাজা মুহাম্মদ তুষার মেয়ের রংতুলির মিতালিতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছবি আঁকায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেয় মেহেরুন্নিসা।

এ ছাড়া মেহেরুন্নিসার নানা শিক্ষাবিদ মো. আতিউল ইসলাম নিজেও চিত্রকর্মে পারদর্শী। ফলে মেহেরুন্নিসাকে চিত্রকর্ম আয়ত্ত করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। একদিকে নানা ভাইয়ের হাতের ছোঁয়া, অন্যদিকে মা-বাবার প্রচেষ্টায় ১২ বছর বয়সে মেহেরুন্নিসা হাজারের বেশি চিত্রকর্ম এঁকে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছে।
আর ছবি এঁকেই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করছে এই খুদে চিত্রশিল্পী। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলন ও দিবস, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, ফোক আর্ট, পশুপাখি, ঐতিহাসিক স্থান, নদী-পাহাড়, প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিভিন্ন ঋতুসংশ্লিষ্ট গ্রামবাংলার চিরাচরিত দৃশ্য ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে তার রংতুলিতে।
এ ছাড়া দেয়াল চিত্রাঙ্কন ও পেইন্টিংয়েও বেশ পারদর্শিতা অর্জন করেছে মেহেরুন্নিসা। এরই মধ্যে তার আঁকা বেশ কিছু ছবি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, কিডস ক্লাব, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে পেয়েছে পুরস্কার, সম্মাননা ও সনদ।

খুদে চিত্রশিল্পী মেহেরুন্নিসা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘খুব ছোটবেলায় আঁকাআঁকির প্রবল ইচ্ছা দেখে মা আমাকে আর্ট স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। সেই থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ছবি আঁকা শুরু আমার। এখন পর্যন্ত আমি হাজারের বেশি ছবি এঁকেছি। ইতিমধ্যে অনেক ছবি পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে জায়গা করে নিয়েছে।’
সে আরও যোগ করে, ‘সুযোগ পেলে ছবি অঙ্কনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণসহ ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই।’

সন্তানের এমন নিখুঁত চিত্রকর্মে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসা মেহেরুন্নিসার মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু বলেন, ‘ছোট বয়স থেকে ছবি আঁকায় বেশ মনোযোগী ছিল মেহেরুন্নিসা। তাই তাকে আর্ট স্কুলেও ভর্তি করিয়েছিলাম। তার ইচ্ছা, ছবি আঁকার পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ক্যারিয়ার গড়বে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকায় তাকে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে আসছি।’
স্বপ্নচূড়া কালচারাল একাডেমির ড্রইং স্টুডেন্ট ও মেহেরুন্নিসার শিক্ষক মোহনা মোহা বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিভা বিকাশে চিত্রাঙ্কন শিশুদের সৃজনশীলতা ও সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হয়। মেহেরুন্নিসা রংতুলিতে নিখুঁতভাবে যেকোনো চিত্রকর্ম সহজে ফুটিয়ে তুলতে পারে।’

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

ছোটকালে একমাত্র মেয়ের আঁকাআঁকির ধরন ও আগ্রহ দেখে মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু ও বাবা খাজা মুহাম্মদ তুষার মেয়ের রংতুলির মিতালিতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছবি আঁকায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেয় মেহেরুন্নিসা।
২৮ জুন ২০২৫
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীরা হলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওয়ালেরটেক গ্রামের মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৪), একই এলাকার বাবু মিয়ার মেয়ে অনাদি আক্তার (১৩) এবং নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মরজাল এলাকার বাসিন্দা কমলা বেগম (৫৫)। নিহত কমলা বেগম ও অনাদি আক্তার সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং সাদিয়া বেগম তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়িখোলা রেলব্রিজ এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নোয়াখালীগামী ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলে আসে। এ সময় তাঁরা রেলব্রিজের ওপর থাকায় সেখান থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। পরে ট্রেনটি তাঁদের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই কমলা বেগম ও সাদিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অনাদি আক্তারকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জিয়াউর রহমান জানান, অনাদি আক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হক জানান, এটি রেলওয়ের আওতাধীন দুর্ঘটনা হওয়ায় রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছি। নিহত নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ছোটকালে একমাত্র মেয়ের আঁকাআঁকির ধরন ও আগ্রহ দেখে মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু ও বাবা খাজা মুহাম্মদ তুষার মেয়ের রংতুলির মিতালিতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছবি আঁকায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেয় মেহেরুন্নিসা।
২৮ জুন ২০২৫
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেথানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি। এসব মশারি ও ইঞ্জিনের পাখা বান্দরবানের থানচির বড় মদক সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ ঘটনায় নৌকা দুটি থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের থানচি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন থোয়াই হ্লা চিং মারমা, উমং সাইং মারমা, হ্লাচিংথোয়াই মারমা, উক্যছাইন মারমা ও মো. ইউনুস।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি বলিপাড়া ৩৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেনের জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে তাঁরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ, কাপড়, জুতা, মোজা, মশারি, নৌকা ইঞ্জিনের পাখা ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে সরবরাহ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পাচারকারীদের ধরতে সীমান্তের বিজিবি চৌকিগুলোতে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।
জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বুধবার তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় মালবাহী তিনটি ইঞ্জিন নৌকা দেখে বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় নৌকা থামাতে বললে একটি নৌকা দ্রুত চলে যায়। বাকি দুটি নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি ইঞ্জিন বোটসহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।

ছোটকালে একমাত্র মেয়ের আঁকাআঁকির ধরন ও আগ্রহ দেখে মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু ও বাবা খাজা মুহাম্মদ তুষার মেয়ের রংতুলির মিতালিতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছবি আঁকায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেয় মেহেরুন্নিসা।
২৮ জুন ২০২৫
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।
ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’
ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাট এখন থেকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে পরিচিত হবে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিতে গাথা এই লঞ্চঘাট তাঁর নামের সঙ্গে চিরস্থায়ীভাবে যুক্ত হলো।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৫ ডিসেম্বর) জানান, শহীদ ওসমান হাদির জন্মস্থান নলছিটি। শৈশব, বেড়ে ওঠা এবং জীবনসংগ্রামের সঙ্গে লঞ্চঘাট এলাকার নিবিড় সম্পর্ক থাকার কারণে এটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে টার্মিনালের সংস্কার ও রঙের কাজ চলমান রয়েছে।
আগামী শনিবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ঘাটটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান তিনি।
নলছিটি লঞ্চঘাট শহীদ ওসমান হাদির জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে তার পৈতৃক বাড়ি। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে মানুষের আসা-যাওয়া দেখা এবং লঞ্চের ভিড়ে সময় কাটানো—এই ঘাট ছিল তার বেড়ে ওঠার নীরব সাক্ষী।
ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রব হাওলাদার বলেন, ‘আমরা চাইছিলাম হাদির স্মরণে এমন কিছু হোক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সিদ্ধান্ত।’
ব্যবসায়ী শাহাদত আলম ফকির যোগ করেন, ‘এই ঘাটে আমরা হাদিকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সে এখানকারই ছেলে ছিল। আজ তার নামে ঘাটের নামকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত।’
ওসমান হাদির প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন নান্নু বলেন, ‘হাদি এই এলাকার সন্তান। এই ঘাট, এই নদী, এই মানুষ—সবকিছুতেই তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। লঞ্চঘাটের নাম তার নামে হওয়া মানে, সে এখানেই চিরদিন বেঁচে থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর হত্যার উদ্দেশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে প্রথমে ঢাকায় ভর্তি করা হয় এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান ওসমান হাদি। পরবর্তীকালে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয় এবং সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে) সমাহিত করা হয়।

ছোটকালে একমাত্র মেয়ের আঁকাআঁকির ধরন ও আগ্রহ দেখে মা ফরিদা ইয়াছমিন সিমু ও বাবা খাজা মুহাম্মদ তুষার মেয়ের রংতুলির মিতালিতে এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ২০১৭ সালে ঢাকার বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ছবি আঁকায় প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও অংশ নেয় মেহেরুন্নিসা।
২৮ জুন ২০২৫
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী-ভৈরব রেলপথের আড়িখোলা রেলস্টেশনসংলগ্ন টেকপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০টি মশারি, ১২০টি নৌকার ইঞ্জিনের পাখা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন্দুমুখ বিজিবি চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় নৌকাগুলো তল্লাশি করে এসব জিনিস জব্দ করে বিজিবি।
১ ঘণ্টা আগে