Ajker Patrika

জামালপুর কারা বিদ্রোহে গুলিবিদ্ধ হাজতির ঢাকায় মৃত্যু 

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুর কারা বিদ্রোহে গুলিবিদ্ধ হাজতির ঢাকায় মৃত্যু 

জামালপুরে কারা বিদ্রোহের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হাজতি আবু সুফিয়ানের (২০) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। 

সুফিয়ান জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইরমারী গ্রামের আব্দুল মালেক খোকার ছেলে। এ নিয়ে জামালপুরে কারা বিদ্রোহে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জনে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি২) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা। 

গত ৮ আগস্ট দুপুরে কারাগারের ভেতর বন্দীদের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ জন ও পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জেলার ও ৩ কারারক্ষীসহ আরও ১৯ জন আহত হয়। এ ঘটনায় আহত হাজতি আবু সুফিয়ান ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে মারা গেছেন। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাজতি আবু সুফিয়ান বকশিগঞ্জের ঝালরচর এর আবু রায়হান নামের এক স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতির মামলায় গত ১৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। পরদিন তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আবু সুফিয়ান দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলে আদালত তাঁকে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠায়। 

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি২) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, আবু সুফিয়ান ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলা কারাগারে ছিল। গত ৮ আগস্ট কারা বিদ্রোহের ঘটনায় সে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিল। সে সোমবার দিবাগত রাতে মারা গেছে। 

তিনি আরও জানান, আসামি আবু সুফিয়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। যা সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে দস্যুতার অপরাধে সে জামালপুর জেলা কারাগারে ছিল এবং সেখান থেকে পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মারা গিয়েছে। 

জামালপুর জেলা কারাগারের সাবেক জেলার আবু ফাতাহ বলেন, ‘আবু সুফিয়ান কারা বিদ্রোহের একজন লিডার ছিল। ওই সময় সুফিয়ানসহ সাতজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। সুফিয়ান গুরুতর আহত ছিল। তাকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে কী হয়েছে আর জানি না।’ 

উল্লেখ্য, কারা বিদ্রোহের সময় বিক্ষুব্ধ বন্দীরা কারাগারের ভেতরের দুটি ভবন, জেলারের কক্ষ ও প্রধান গেটের ভেতরে একটি গেট ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস প্রায় ১৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর কারাগার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জেলারের কার্যালয়, হাসপাতাল ও আটটি ওয়ার্ডে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে এতে কারাগারের জেলার, কারারক্ষী, বন্দীসহ ১৯ জন আহত হয়। জামালপুর জেলা কারাগারে ৬৬৯ বন্দীর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দী ছিল ১০০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৩
তারিক সাইফ মামুন। ছবি: সংগৃহীত
তারিক সাইফ মামুন। ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, ‘গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন। তিনি ইমন-মামুন গ্রুপের মামুন।’

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢালিউড নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ভাই সাইদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলায় ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী গ্রুপ ইমন-মামুন জড়িত। এই গ্রুপের ইমন বর্তমানে পলাতক। মামুন আজ মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন।

ঘটনার বর্ণনায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে গোলাগুলি হয়। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এসে তিনি এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত দাবি করা জনৈক ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।

ঢামেকে মামুনের স্ত্রী দীপা জানান, মিরপুরে মামুনের গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে আফতাবনগরের এফ-ব্লকে থাকেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, দুই দিন পর আজ সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মামুন। জজকোর্টে একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। এরপরই ফোনে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।

দীপা বলেন, ‘কারা আমার স্বামীকে খুন করছে জানি না।’ এ সময় ‘ইমন’ নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইমন ছাড়া কেউ এই কাজ করে নাই। কয়েক দিন আগে ইমনই লোক দিয়ে মামুনকে মারধর করেছিল।’

তবে ইমনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে তাৎক্ষণিকভাবে রাজি হননি দীপা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানেই দেশের সর্বনাশ: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৮
আজ সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বিএনপি মহাসচিব জানান, তাঁর দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মান করে ও শ্রদ্ধা করে এবং আশা করে যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অতি দ্রুত আর কোনো কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবেন। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।

তিনি বলেন, ’একটা কথা মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। এই মানুষগুলো আমাদের।’

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, সেই চক্রই এখন ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে দেশটাকে ’গ্রাস করার চেষ্টা’ করছে। এ সময় তিনি সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে একটা চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ঘুরিয়ে দেওয়ার। বলা হচ্ছে—’৭১-এ হয় নাই, আমরা কিছুই করি নাই। দেশটার জন্য আমরা কোনো অবদানই রাখিনি। এখন যারা ’২৪-এ করেছে তারাই সব করেছে—এই রকম একটা ধারণা দিচ্ছে।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস যারা যুদ্ধ করেছি, পরিবার-পরিজনের কোনো খবর নিতে পারিনি... সেই দিনটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে—সেটাকে কি ভুলিয়ে দেওয়া যায়?’ মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ বললে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমার জন্মটাকে কি আমি ভুলতে পারি?’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, একটি মহল দেশের স্বাধীনতা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি বলেন, ’আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল, তাদের মেয়েদের তুলে দিয়েছিল পাক বাহিনীর হাতে। তাদের সঙ্গে কি এ দেশের মানুষ আপস করতে পারে?’

তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ সূচক মন্তব্য করেন। এ সময় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্লোগান দেন, ’একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। রাজাকার, আলবদর হুঁশিয়ার সাবধান।’

মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এসব কথা বলতে চাই না, কিন্তু যারা দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, গ্রাস করার চেষ্টা করতেছে’, তাদের রুখতে আজ বিভেদের চেতনাকে সামনে আনতে হবে।

তিনি জানান, তাঁদের দল ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধার ভাতা শুরু করেছিলেন। তিনি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কা, প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বনশ্রীতে ট্রাক ধাক্কায় আরাফ আফতাহী (৮) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আরাফের বাবা ইঞ্জিনিয়ার আজহারুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা বনশ্রী জি ব্লকে। বাসার বিপরীতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুলে পড়ত আরাফ। সকালে তাদের বাসার আয়া সোনিয়া আরাফকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক আরাফকে ধাক্কা দেয়। এতে আরাফ রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অতীতের কলঙ্ক মুছতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই: নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল

কুমিল্লা প্রতিনিধি
বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

অতীতের ভুল ও বিতর্ক কাটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ‘অতীতের কলঙ্ক মুছতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই।’

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লার সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আয়োজিত ‘ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একক প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়—প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন নিরপেক্ষতা ও সততা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো চাপ, ভীতি বা প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করা নয়।’

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এবং জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত