Ajker Patrika

সরিষাবাড়ীতে ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ১০

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
সরিষাবাড়ীতে ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ১০

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১ ব্যক্তি নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নে আগামী ৩১ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে চলছে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার কাজ। এ নিয়ে পিংনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নলসন্ধ্যা গ্রামের ইউপি সদস্য প্রার্থী নুরুল ইসলাম (ফুটবল প্রতীক) ও সুজাত আলী সুরুর (মোরগ প্রতীক) বিরোধ চলে আসছিল। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরের দিকে পশ্চিম নলসন্ধ্যা চরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নুরুল ইসলামের এক সমর্থক ভোলা শেখ (৫৫) নিহত হন। 

নিহত ভোলা শেখ পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার কাজল গ্রামের হারুনোর রশিদের ছেলে। সংঘর্ষে আব্দুল হালিম, রুবেল মিয়া, শুক্কুর আলী, আব্দুল হাই, আবু সাঈদ, টুটুল মিয়া, বজল ও সাখাওয়াতসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। 

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার দুপুরে ১০ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম জানাতে পারেনি পুলিশ। 

ওই গ্রামের দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী শুরু থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। তাদের দায় একে অপরের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী অভিযোগ করেন তার কর্মী-সমর্থকদের প্রচার কাজে বাঁধে দিয়ে আসছেন মোরগ প্রতীকের সমর্থকেরা। মোরগ প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকেরা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা নানা পাঁয়তারা শুরু করেছেন। গত ১৯ জানুয়ারি রাতে তারা নিজেরা মারামারির ঘটনা সাজিয়ে তার দায় প্রতিপক্ষের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয় এ নিয়ে তারা মানববন্ধনও করে। 

একপর্যায়ে শনিবার দুপুরের দিকে ফুটবল প্রতীকের সমর্থকদের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠি-সোঁটা নিয়ে হামলা চালায় মোরগ প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকেরা। এ সময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফুটবল প্রতীকের সমর্থক ভোলা শেখ (৫৫) নিহত হন। 

মোরগ প্রতীকের প্রার্থী বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা মোরগ প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে মোরগ প্রতীকের সমর্থক হজরত আলী (৪০) গুলিবিদ্ধ হন। ভোলা শেখ নিহতের ঘটনাটি তারা নিজেরাই ঘটিয়েছে। এ ঘটনা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোন ঘটনা নয় বলে দাবি করেন তিনি। 

এ বিষয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম জানান, তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর শনিবার দুপুরের দিকে পশ্চিম নলসন্ধ্যা চরে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মোরগ প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকেরা। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে ভোলা শেখ নিহত হয়েছেন। এ সময় তার আরও কয়েকজন সমর্থক আহত হন। 

মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সুজাত আলী সুরু বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই নানা তাল বাহানায় তাকেসহ তার সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকেরা। ভোলা নিহতের ঘটনায় তারা নিজেরাই জড়িত বলে দাবি করেন তিনি। 

তারাকান্দি তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পরিদর্শন করেছে বলেও তিনি জানান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ শঙ্কামুক্ত, গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সরওয়ার বাবলা নামে আরেকজন নিহত হয়েছেন। শান্ত নামে এক বিএনপি কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

হতাহত তিনজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনজনের মধ্যে সরওয়ার বাবলা মারা গেছেন। বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে ঘটনাস্থলে গুলিতে লুটিয়ে পড়া সরওয়ার বাবলার একটি ছবি আজকের পত্রিকার সংগ্রহে এসেছে। বুধবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজার বাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মনোনয়ন পেয়ে হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। সময়টা ছিল মাগরিবের নামাজের পরপরই। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করে।

ঘটনাস্থলে এরশাদ উল্লাহর কাছাকাছি থাকা বিএনপি নেতা মো. ইসমাইল বলেন, ‘আমি এরশাদ ভাইয়ের খুব কাছেই ছিলাম। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়া শুরু করে। হুড়োহুড়িতে আমি নিজেও পায়ে আঘাত পেয়েছি।’ বর্তমানে তিনিও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ইসমাইল।

বিষয়টি জানতে বায়েজিদ থানারি ওসিকে বারবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় মুজিবুর রহমান শেখ (৪৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে মোড়লডাঙ্গা এলাকার একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মুজিবুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

মুজিবুর উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মোড়লডাঙ্গা গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ সকালে মোড়লডাঙ্গায় নিজাম শেখের বাগানের একটি মেহগনিগাছে মুজিবুরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়।

মৃতের ভাই জিল্লাল শেখ ও হাবি শেখের দাবি, তাঁদের ভাইকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাঁরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা মুজিবুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজজাক মীর বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে সঠিকভাবে জানা যাবে আসলে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে ইয়াছিনের সমর্থকদের বিক্ষোভ, অগ্রভাগে নারীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় নারীদের নেতৃত্বে মিছিল করেন মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লায় নারীদের নেতৃত্বে মিছিল করেন মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা নারীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

নগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে মিছিল শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করা হয়।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইয়াছিনকে কুমিল্লা-৬ আসনে দলের প্রার্থী করার দাবি তুলেছেন তাঁর অনুসারীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজকের মিছিলে প্রায় ৮ হাজার নারী অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা ‘ইয়াছিন ভাইয়ের মনোনয়ন ফেরত চাই’, ‘৮-এর প্রার্থী ৬-এ কেন—মানিনা, মানব না’, ‘আমি কে, তুমি কে, ইয়াছিন ভাই, ইয়াছিন ভাই’, ‘জেল-জুলুম, কারাগারে ইয়াছিন ভাই’ স্লোগান দেন।

ইয়াছিনের সমর্থকেরা বলছেন, ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সাবেক ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তিনি নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সহায়তায় নেতা-কর্মীরা আইনি সহায়তা, চিকিৎসা খরচ, পারিবারিক সহায়তা, ঈদ ও অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা তৈরি হয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, রাজনৈতিক অবদান ও তৃণমূলের সঙ্গে সংযুক্তি বিবেচনা করে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলে হাজি ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকা কলা ঘুষ নেওয়া সেই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

­যশোর প্রতিনিধি
পাকা কলা, আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
পাকা কলা, আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কাজ করে দেওয়ার কথা বলে পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করা যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, জেলা পরিষদের জমি ইজারার নামে উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে গত ২৬ অক্টোবর যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি হয়। গণশুনানিতে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আলমগীর হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। দুদক কমিশনারের নির্দেশনার ১০ দিন পর আজ আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

জেলা পরিষদের আদেশে বলা হয়, গত ২৬ অক্টোবর যশোরে দুদকের গণশুনানিতে রুস্তম আলীসহ আরও চার ব্যক্তির জমি ইজারা প্রদানসংক্রান্ত যশোর জিলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক গণশুনানি অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী যশোর জেলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনকে অন্যত্র বদলিসহ সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা দেন। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন বলেন, উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে। মামলার তদন্তে প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক ছুটিতে থাকায় আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করতে দেরি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত