Ajker Patrika

মহিলা লীগ নেত্রী ও যুবদল নেতার ফোনালাপ: চার্জশিট থেকে নাম কাটার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাইলেন ঠিকাদারি

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ৩৬
উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি জহুরা বেগম ও উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু। ছবি: সংগৃহীত
উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি জহুরা বেগম ও উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানায় বিএনপির এক কর্মীর করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে চার্জশিট থেকে বাদ দিতে যুবদল নেতার কাছে ফোন করে অনুরোধ জানিয়েছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী। এ বিষয়ে দুই নেতার কথোপকথনের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত থেকে ফোনালাপের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ফোনালাপে বলতে শোনা গেছে, মামলার তালিকা থেকে নাম কাটার অনুরোধ করেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা বেগম। জবাবে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু তাঁকে আশ্বস্ত করেন এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগরের সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

ফোনালাপে আরও শোনা যায়, ওই নেত্রীর রাস্তার ঠিকাদারির কাজ চান যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান লাভলু। তবে জহুরা বেগম জবাবে মানিক সওদাগরের সঙ্গে বসে কথা বলিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে বিএনপির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান লাভলু ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী জহুরা বেগমের কল রেকর্ড তুলে ধরা হলো—

জহুরা: আসসালামু আলাইকুম, ভাই।

লাভলু: ওয়ালাইকুম আসসালাম। ভালো আছেন?

জহুরা: কই ভালো ভাই? শেষ পর্যন্ত থাকবার দিলেন কই।

লাভলু: আপনে গড়ে এলাকার গামা উকিলে এগুলা করছে।

জহুরা: হ, গামা আর ইয়ে মানিক ভাই (বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর) বলে এগুলা জানেই।

লাভলু: মানিক ভাই আপনের বিষয়টা জানেন না।

জহুরা: মামলার তালিকা বলে না দেখে দেয় না। থানায় দেওয়ার আগে বলে তালিকা দেইখা দেয়। এখন আমাদের ভাইস চেয়ারম্যানই ফেরত দিবো? এখন এগুলোর মধ্যে মামলা দিয়া থুইলে কেমনে কী করি!

লাভলু: ঠিকই আছে। মামলার মধ্যে পইরা থাকলে আরেক ঝামেলা।

জহুরা: নাম কি চার্জশিট থেকে কাটা যাব?

লাভলু: আপনে আমার সাথে যোগাযোগ কইরেন। চার্জশিট থেকে আমি নাম কেটে দিমুনি।

জহুরা: এখন কোনো কিছু করা যাবো না?

লাভলু: এখন মানিক ভাইয়ের সঙ্গে বসে কথা বলতে হবো।

জহুরা: আমি তো এখন মামলার ভয়ে বের হতে পারছি না। উপজেলা থেকে কাগজপত্র সব আইসা পরতাছে। কোর্টে যাইতে বলতাছে সমন্বয়কারীরা। সবাই রিট করবো। এলাকায় যদি না থাকতে পারি, জনগণের কাজই যদি না করতে পারি, শুধুমাত্র উপজেলার চেয়ারম্যান থাকবো না। আর যে মেম্বাররা পলাতক তারা থাকতে পারবো না।

লাভলু: আপনার বলে রাস্তার ঠিকাদারি কাজ চলতাছে। ওইডা আমাকে দিয়া দেন, আমি করি।

জহুরা: আমার তো নিজস্ব কোনো কাজ নাই। ওইটা আমার না। এইল্লা মানসে বাড়তি কথা কয়। মাইনসে ফেসবুকে দিছে কোটি কোটি টাকা কামাইছি। এই করছি, সেই করছি। দয়া করে মানিক সওদাগরের সাথে বইসেন তো দেখি।

লাভলু: ঠিক আছে। আপনে আমি কালকে বসমু।

জহুরা: আমি তো আপনাদের সঙ্গেই কাজ করতে চাই মিলেমিশে।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়াম্যান জহুরা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা কথা বলব।’ এরপরই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু বলেন, ‘একটি ছেলে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলে, জহুরা বেগম পলাতক। সে কোনো কাজ করতে পারছে না, একটু কথা বলেন। পরে আমি কথা বলি। আমি সহজ সরল মানুষ। তিনি ফোনে কথা বলার শুরুতেই মামলা নিয়ে কথা বলে। মামলার বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। কাজের জন্য তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর বলেন, ‘ফোনালাপের অডিও রেকর্ড শুনেছি। এখন একজন যদি বলে যে অমুকের কাছে গেলে মামলা শেষ হবে। কিন্তু আমার কাছে তো আসতে হবে। শুনতে হবে। এ ছাড়া মামলা তো আর আমিই করিনি। মামলা থেকে আমি কীভাবে কারও নাম বাদ দেব?’

জেলা যুবদলের সদস্যসচিব সোহেল খান বলেন, ‘আমি এখনো কল রেকর্ডটি শুনিনি। আগে শুনি তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর নাশকতার অভিযোগে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন বুলবুল বিএসসি নামে এক বিএনপি কর্মী। ওই মামলায় বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা বেগমেরও নাম রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতি মিয়া (৬৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতি মিয়া ও তাঁর ছেলে ফারুক মিয়া দুজনেই শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় থাকতেন এবং মতি মিয়া ওই এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করতেন। ফারুক মিয়া সাধারণত ঢাকায় কাজ করলেও গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শিবচরে তাঁর বাবার কাছে আসেন এবং বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা মতি মিয়ার সঙ্গে ছেলে ফারুক মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এই বিরোধের জেরে রাত ১২টার দিকে বাবা মতি মিয়া ঘুমিয়ে থাকলে ছেলে ফারুক মিয়া তাঁকে কোদাল (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ছেলে ফারুক মিয়া লাশের পাশেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে আটক করে।

স্থানীয়দের ধারণা, ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়।’ তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত মতি মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে প্রবর্তনার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল স্কুলবাস

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড়ে সারমানো সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের পাশে পার্কিং করে রাখা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন দেয়।

খবর পেয়ে শিবালয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে বাসটির আংশিক অংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল ৬টার দিকে উথুলী মোড় থেকে গিলন্ড পর্যন্ত ওই বাসে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করা হয়। প্রতিদিনের মতো রোববারও বাসটি উথুলী মোড়ে পার্কিং করে রাখা ছিল। সন্ধ্যার পর কে বা কারা বাসটিতে আগুন দেয়, তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কে বা কারা এ অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তা উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলতে বাধা, নিজের ঘরেই আগুন দিলেন যুবক

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৯
আগুনে পুড়ছে বসতঘর। ছবি: সংগৃহীত
আগুনে পুড়ছে বসতঘর। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজ বসতঘরে তুলতে না পারায় নিজের বসতঘর আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওমর ফারুক খবির (৩৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর ঘোড়ামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘরসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ফার্নিচার পুড়ে গেছে।

ওমর ফারুকের ভুক্তভোগী স্ত্রী সোনিয়া বেগমের (বর্তমানে সাবেক স্ত্রী) অভিযোগ, কয়েক মাস আগে তাঁর স্বামী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ওই মেয়েকে বিয়ে না করেই বাড়িতে রাখার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ঝগড়াবিবাদ হলে স্থানীয়ভাবে সালিসে বিষয়টি মীমাংসা হয়। পরে খবির তাঁকে না জানিয়ে অন্য এলাকায় গিয়ে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পর সোনিয়াকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। সোনিয়াকে ডিভোর্স দিলেও তিনি সন্তান নিয়ে ওই বাড়িতেই বসবাস করছিলেন।

সোনিয়া বেগম বলেন, ‘আমাকে ও সন্তানদের সুখে থাকতে দেবে না বলে হুমকি দিত সে। এমনকি আগুনে পুড়িয়ে মারবে বলেছিল। ঘটনার রাতে সৌভাগ্যক্রমে আমি বোনের বাড়িতে ছিলাম। তাই প্রাণে বেঁচে গেছি।’

স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন, তবে ততক্ষণে ঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

সিরাজদিখান ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আরিফ আনোয়ার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, পছন্দের নারীকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতে না পারার ক্ষোভেই ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত