Ajker Patrika

সরিষাবাড়ীতে ট্রেনযাত্রা

৩ কারণে ভোগান্তি যাত্রীদের

  • ঢাকা থেকে তিনটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে এই উপজেলায়।
  • তিন ট্রেনের দুটি প্রায় প্রতিদিনই বিলম্বে চলে, একটি চলে মাঝরাতে।
  • বিলম্ব, সূচি সুবিধাজনক না হওয়া, ধীরগতির কারণে ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী।
জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ০৭: ২৯
সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন
সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মানুষের কাছে প্রিয় বাহন ট্রেন। যাত্রী চাহিদার কারণে ঢাকা থেকে এই উপজেলায় তিনটি আন্তনগর ট্রেন চলে। কিন্তু বিলম্ব, ট্রেনের সূচি সুবিধাজনক না হওয়া এবং ক্রসিংয়ের কারণে জায়গায় জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতি ও ট্রেনের ধীরগতির কারণে দুর্ভোগ এখন যাত্রীদের নিত্যসঙ্গী। তাঁদের দাবি, ট্রেন তিনটির সূচি পরিবর্তন করে সুবিধাজনক করলে এবং বিলম্ব কমিয়ে আনতে পারলে দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যেত।

ঢাকা থেকে জামালপুরে পাঁচটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে সরিষাবাড়ীর ওপর দিয়ে চলে তিনটি ট্রেন। এগুলো হলো জামালপুর এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ও যমুনা এক্সপ্রেস। এর মধ্যে জামালপুর এক্সপ্রেস চলে ঢাকা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত। অগ্নিবীণা ও যমুনা এক্সপ্রেস চলে ঢাকা থেকে সরিষাবাড়ীর তারাকান্দি পর্যন্ত। ঢাকা থেকে জামালপুর চলাচলকারী অন্য দুই ট্রেন তিস্তা এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস যায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়।

রেলের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সরিষাবাড়ীতে চলাচলকারী তিন ট্রেনের মধ্যে জামালপুর এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক ছুটি রোববার। বাকি দুটি সপ্তাহে সাত দিনই চলে। জামালপুর এক্সপ্রেসের ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় সকাল ১০টায়, সরিষাবাড়ী পৌঁছানোর সময় বেলা ৩টা ২১ মিনিটে। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে, সরিষাবাড়ী পৌঁছানোর সময় বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে। আর যমুনা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে, সরিষাবাড়ী পৌঁছানোর সময় রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে।

ফিরতি পথে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের সরিষাবাড়ী থেকে ছাড়ার সময় বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে, ঢাকায় কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর সময় রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে। জামালপুর এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে, ঢাকায় পৌঁছানোর সময় রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে। যমুনা এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় রাত ২টা ১৮ মিনিটে, ঢাকায় পৌঁছানোর সময় সকাল ৮টায়।

তবে যাত্রী ও রেলসূত্র বলেছে, তিন ট্রেনের কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। এ ক্ষেত্রে জামালপুর এক্সপ্রেস ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের বিলম্বের অন্যতম কারণ ঢাকা থেকে ছেড়ে সরিষাবাড়ীতে দেরিতে পৌঁছানো। অনেক সময় নির্ধারিত সময়ের এক-দুই ঘণ্টাও বিলম্ব হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ফিরতি যাত্রায়ও। ট্রেন দুটির ঢাকা পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক সময় মাঝরাতও পেরিয়ে যায়। এমন সময় ঢাকায় পৌঁছানোর পর নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন যাত্রীরা। অনেকে স্টেশনে বসেই রাত কাটাতে বাধ্য হন।

রেলে নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রী মজনু মিয়া, আব্দুর রহিম, কাজল ও রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জামালপুর এক্সপ্রেস ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রতিদিনই ট্রেন দুটি নির্ধারিত সময়ের ১ থেকে ২ ঘণ্টা বিলম্বে সরিষাবাড়ীতে আসে। ফলে ফিরতি পথেও বিলম্বের খাঁড়ায় পড়তে হয়। যমুনা এক্সপ্রেস সরিষাবাড়ী ছাড়ে গভীর রাতে। সে সময়ও এই ট্রেনে সওয়ার হওয়া কঠিন। বিশেষ করে দূরদূরান্তের যাত্রীদের এই ট্রেন ধরতে হলে সন্ধ্যার পরপরই স্টেশনে কিংবা স্টেশনের আশপাশে আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিতে হয়। ফলে স্বচ্ছন্দের ট্রেনযাত্রা সরিষাবাড়ীর মানুষের কাছে ভোগান্তির যাত্রায় পরিণত হয়েছে।

যাত্রীদের দাবি, তিন ট্রেনেরই সূচি পরিবর্তন করলে যাত্রী ভোগান্তি কমত। বিশেষ করে জামালপুর এক্সপ্রেস ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের সূচি এমনভাবে পরিবর্তন করা দরকার, যেন ঢাকা থেকে সকালে ছেড়ে দুপুরের মধ্যে সরিষাবাড়ী পৌঁছানো যায় এবং সরিষাবাড়ী থেকে বিকেলে ছেড়ে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানো যায়। অন্যদিকে যমুনা এক্সপ্রেসের সূচি পরিবর্তন করে সকালের দিকে করলে দুপুরের মধ্যে যাত্রীরা ঢাকায় পৌঁছাতে পারতেন।

সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই ট্রেন বিলম্বে যাতায়াত করে। মাঝরাতে ও বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়লেও সকালে কোনো ট্রেন নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা, নিহত ৩

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
ট্রাকের নিচে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রাকের নিচে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ি ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ আজ সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যক্তিরা সবাই সিএনজি অটোরিকশার আরোহী। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে। তাঁরা হলেন নাঙ্গলকোট উপজেলার মহিশ্বর গ্রামের আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডার আব্দুর রহিম (২৭), ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক মাহবুবুল হক ও আনোয়ারা বেগম (৪২)। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাঁদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রহিম, আনোয়ারা বেগম, আবু তৈয়বসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ির সামনে ইউটার্নে লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রামমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোটগামী একটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে ট্রাকের নিচে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন পুরুষ, একজন নারীসহ তিনজন নিহত হন।

অটোচালক মাহবুবুল হক জানান, ট্রাকটি বেপরোয়া সিএনজি অটোরিকশাটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজি অটোরিকশার পেছনে ধাক্কা দেন। চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ট্রাকের ভেতরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ঢুকে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ১০৯ বছরের কারমাইকেল কলেজ

রংপুর প্রতিনিধি
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা

শতবর্ষ পেরিয়েও প্রাণচঞ্চল উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ। আজ সোমবার নানা আয়োজনে উদ্‌যাপিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর। বেলুন-পায়রায় সেজেছে ক্যাম্পাস, মিলেছেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। আলো-রং-সংগীতে মুখর বিদ্যাপীঠ যেন ফিরে পেয়েছে তার সোনালি দিনের গৌরব আর তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।

সকাল ১০টায় কলেজের জি এল হোস্টেল মাঠে পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধন করেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুহম্মদ রেজাউল হক। পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমজাদ হোসেন, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ইসমাইল হোসেন সরকার, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. বোরহান উদ্দিন, কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান ও কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর দিলীপ কুমার রায়।

১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান জানান, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা প্রেক্ষাপটের সাক্ষী কারমাইকেল কলেজ একটি ইতিহাস। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত বছরের যে গৌরব ও অর্জন, তা অবিস্মরণীয়। উত্তরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনে নবীন-প্রবীণ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।

ড. মো. সাইফুর রহমান আরও জানান, দুদিনের এই আয়োজনের সমাপনী দিনে (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের প্রতিষ্ঠার ১০৯ বছর উদ্‌যাপন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরের বছর থেকেই পাঠদান শুরু হয়। উত্তরবঙ্গের প্রাচীনতম এই কলেজ বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত, যেখানে উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

ইন্দোস্যারানিক শৈলীতে নির্মিত ৬১০ ফুট দীর্ঘ সাদা মূল ভবন, শতবর্ষী বৃক্ষ ‘কাইজেলিয়া’, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য ‘প্রজন্ম’, প্রাচীন গ্রন্থাগার ও নানা সাংস্কৃতিক সংগঠনে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস যেন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। এখানে রয়েছে সাতটি আবাসিক হল, আধুনিক অডিটরিয়াম, লাইব্রেরি, মঞ্চ ও নানা সহপাঠক্রমিক সংগঠন।

কারমাইকেল কলেজে পড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, লেখক আনিসুল হক, জাহানারা ইমাম, সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন, প্রথম প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমসহ বহু কৃতী ব্যক্তি। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম—সবখানেই কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রেখেছেন অমর ভূমিকা।

তবে ৩৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (কাকসু)। ১৯৯০ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘবিরতির কারণে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাবিতে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষকের বরখাস্তের দাবি

রাবি প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, বডি শেমিং, অনৈতিক প্রস্তাব ও মামলার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিল ভূঁইয়ার স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এসব অভিযোগকে ‘বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে তানজিল ভূঁইয়ার চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করে আসছেন। পাশাপাশি অনৈতিক প্রস্তাব, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটু মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘উনি নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। যেমন, ‘‘তোমার কোমর তো ভালো দোলে’, ‘‘রাতের রানি’’, ‘‘রাতের গার্ড’’। আমাদের প্রথম ব্যাচ থেকে এখন সপ্তম ব্যাচ পর্যন্ত অনেকে উনার এমন আচরণের শিকার হয়েছেন। আগের এক ঘটনায় উনি শিক্ষার্থীদের মারতে এসেছিলেন, সেই ভিডিওও আছে।’

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘উনার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে উনি ওই শিক্ষার্থীদের নম্বর ছড়িয়ে দেন। এমনকি তাঁর তাকানোর ভঙ্গিতেও ভয় লাগে। আমরা ক্লাসে যেতেও এখন ভয় পাচ্ছি। তাই আমরা উনার স্থায়ী বরখাস্ত চাই।’

আরও এক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘তানজিল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মারতে আসা ও মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক সময় নিজের বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন; এরপর তাঁর স্ত্রীও সহপাঠীদের নানা হুমকি দেন। এসব কারণে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁর স্থায়ী বরখাস্ত দাবি করছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক তানজিল ভূঁইয়া জানান, তাঁরা যে অভিযোগ করেছেন, এর একটিও সত্য নয়। এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক।

তানজিল ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘটনার শুরু আমাদের প্রথম ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে। এক ট্যুরে ওই শিক্ষার্থী মেয়েদের রুমে কয়েকজন ছেলে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। আমি গিয়ে বাধা দিই। সেই ঘটনাতেই সে আমার নামে এসব ছড়াচ্ছে। তার পাশাপাশি সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভাগের অন্যদের উসকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব করছে।’

শিক্ষার্থীদের মারমুখী হওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তানজিল বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, যদি আমার স্ত্রীর কিছু হয়, তাহলে মামলা করব—এর বাইরে কিছু না। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ফাঁসাচ্ছে। যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে সেটা সামনে আনুক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১৫ কেজি ওজনের অজগর সাপ অবমুক্ত

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাপটির দৈঘ্য ১০ ফুট ও ওজন ১৫ কেজি বলে জানান বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন।

রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাপটির দৈঘ্য ১০ ফুট ও ওজন ১৫ কেজি বলে জানান বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় অজগর সাপটি কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন, বড়ইছড়ি পরীক্ষণ ফাঁড়ি কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, রাম পাহাড় বিট কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার, শুকনাছড়ি বিট কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল নাঈম, সুনয়ন দেওয়ান, কাপ্তাই প্রেসক্লাব সভাপতি কবির হোসেন, স্থানীয় কবিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও বন বিভাগের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।  

বন বিভাগের রাঙামাটি সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, রাঙামাটি সদর কালিন্দপুর সড়কের ইন্দু বিকাশ তালুকদারের বাসার আঙিনায় আজ সকালে অজগর সাপটি জালে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগকে খবর দেওয়া হলে স্থানীয় জনতার সহায়তায় অজগর সাপটি উদ্ধার করে কাপ্তাই বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

আসিফ ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি ফুটবলারদের

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

দিনদুপুরে রাজধানীতে হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত