Ajker Patrika

বাহুবলে ৭ ইউনিয়নে ৭৬ কেন্দ্রের ৫৬টিই ঝুঁকিপূর্ণ

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ০৫
বাহুবলে ৭ ইউনিয়নে ৭৬ কেন্দ্রের ৫৬টিই ঝুঁকিপূর্ণ

আগামীকাল সোমবার বাহুবলের সাত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট। উপজেলার ৭৬ কেন্দ্র প্রস্তুত। যথারীতি উপকরণ পৌঁছেছে। প্রার্থীরাও সেরে নিয়েছেন শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। তবে উপজেলায় ৭৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী কঠোর নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। 

এদিকে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিতব্য এই ভোটকে ঘিরে রয়েছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। একেবারেই নতুন এই পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দিতে নির্বাচন কমিশন গত শনিবার সব কটি কেন্দ্রে মক (প্রশিক্ষণ) ভোটের আয়োজন করলেও সাড়া মেলেনি ভোটারদের। 

জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৭০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭২ হাজার ৭১২ জন এবং নারী ৬৮ হাজার ৫৪ জন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪০ জন চেয়ারম্যান, ১০২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ৩২৬ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী। 

উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে কেন্দ্রগুলোতে মোট ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৮০ জন বিজিবি সদস্য, ৪৩ জন র‍্যাব সদস্য, পুলিশ সদস্য ৮৬০ জন ও আনসার বাহিনীর ১ হাজার ২৯২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। 

এ ছাড়া ইভিএম মেশিন পরিচালনায় অভিজ্ঞ দুজন করে অপারেটর প্রতিটি কেন্দ্রে এবং প্রতিতিন কেন্দ্রের জন্য একটি করে ইভিএম বিশেষজ্ঞ টিম টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলার ৭৬টি কেন্দ্রের মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৩৪টি এবং ২২টিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ধরা হয়েছে। 

সাতটি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন স্নানঘাট ইউনিয়নে হারুন অর রশীদ (নৌকা), মো. তাজুল ইসলাম (আনারস), মো. মুদ্দত আলী অ্যাডভোকেট (মোটরসাইকেল), মনোরঞ্জন রায় (চশমা) ও মো. তোফাজ্জল হক (ঘোড়া)। পুঁটিজুরী ইউনিয়নে মো. মুদ্দত আলী (নৌকা), খোরশেদ আলম (ঘোড়া), শাহ ফয়জুল কবির (আনারস) ও মঈন উদ্দিন আরিফ (চশমা)। সাতকাপন ইউনিয়নে নারায়ণ চন্দ্র পাল (নৌকা), শাহ আবদাল মিয়া (লাঙল) মো. আব্দুর রেজ্জাক (আনারস), ফজলুল হক (ঘোড়া), আজিজুর রহমান তালুকদার (মোটরসাইকেল), মোহাম্মদ ছায়েদ আহম্মদ (দেওয়াল ঘড়ি)। বাহুবল ইউনিয়নে মো. রিফাত ইসলাম মুরাদ (নৌকা), নূর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (লাঙল), আজমল হোসেন চৌধুরী (ঘোড়া) ও মো. কাজল তালুকদার (আনারস। লামাতাসী ইউনিয়নে সাইফুর রহমান জুয়েল (নৌকা), আ ফ ম উস্তার মিয়া তালুকদার (লাঙল), হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু (চশমা), আব্দুল কাইয়ূম (চেয়ার), এস এম ফারুক (ঘোড়া) ও শাহীন মিয়া (আনারস)। মিরপুর ইউনিয়নে মো. সাইফুদ্দিন (নৌকা), ডা. মো রমিজ আলী (লাঙল), মো. নূরুল হক আছকির (আনারস), আব্দুল আউয়াল (মোটরসাইকেল), মো. শামিম আহমেদ (চশমা), মীর এ কে এম জমিলুননব্বী (টেবিল ফ্যান), মো. হেলাল মিয়া (অটোরিকশা), মো. আব্দুল মুতালিব রুবেল (ঘোড়া) ও মো. শামীম মিয়া (টেলিফোন)। ভাদেশ্বর ইউনিয়নে কামরুজ্জামান (নৌকা), মো. শাহাব উদ্দিন (হাতপাখা), মো. আব্দুর রউফ বাহার (চশমা), মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী (আনারস), মো. মাখন মিয়া (মোটরসাইকেল) ও মো. জুনায়েদ মিয়া (ঘোড়া)। 

বাহুবল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার ৭৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরে সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে চার স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী সার্বক্ষণিক কাজ করবে। আগামীকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ শঙ্কামুক্ত, গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সরওয়ার বাবলা নামে আরেকজন নিহত হয়েছেন। শান্ত নামে এক বিএনপি কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

হতাহত তিনজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনজনের মধ্যে সরওয়ার বাবলা মারা গেছেন। বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে ঘটনাস্থলে গুলিতে লুটিয়ে পড়া সরওয়ার বাবলার একটি ছবি আজকের পত্রিকার সংগ্রহে এসেছে। বুধবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজার বাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মনোনয়ন পেয়ে হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। সময়টা ছিল মাগরিবের নামাজের পরপরই। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করে।

ঘটনাস্থলে এরশাদ উল্লাহর কাছাকাছি থাকা বিএনপি নেতা মো. ইসমাইল বলেন, ‘আমি এরশাদ ভাইয়ের খুব কাছেই ছিলাম। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়া শুরু করে। হুড়োহুড়িতে আমি নিজেও পায়ে আঘাত পেয়েছি।’ বর্তমানে তিনিও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ইসমাইল।

বিষয়টি জানতে বায়েজিদ থানারি ওসিকে বারবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় মুজিবুর রহমান শেখ (৪৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে মোড়লডাঙ্গা এলাকার একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মুজিবুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

মুজিবুর উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মোড়লডাঙ্গা গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ সকালে মোড়লডাঙ্গায় নিজাম শেখের বাগানের একটি মেহগনিগাছে মুজিবুরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়।

মৃতের ভাই জিল্লাল শেখ ও হাবি শেখের দাবি, তাঁদের ভাইকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাঁরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা মুজিবুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজজাক মীর বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে সঠিকভাবে জানা যাবে আসলে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে ইয়াছিনের সমর্থকদের বিক্ষোভ, অগ্রভাগে নারীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় নারীদের নেতৃত্বে মিছিল করেন মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লায় নারীদের নেতৃত্বে মিছিল করেন মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা নারীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

নগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে মিছিল শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করা হয়।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইয়াছিনকে কুমিল্লা-৬ আসনে দলের প্রার্থী করার দাবি তুলেছেন তাঁর অনুসারীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজকের মিছিলে প্রায় ৮ হাজার নারী অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা ‘ইয়াছিন ভাইয়ের মনোনয়ন ফেরত চাই’, ‘৮-এর প্রার্থী ৬-এ কেন—মানিনা, মানব না’, ‘আমি কে, তুমি কে, ইয়াছিন ভাই, ইয়াছিন ভাই’, ‘জেল-জুলুম, কারাগারে ইয়াছিন ভাই’ স্লোগান দেন।

ইয়াছিনের সমর্থকেরা বলছেন, ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সাবেক ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তিনি নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সহায়তায় নেতা-কর্মীরা আইনি সহায়তা, চিকিৎসা খরচ, পারিবারিক সহায়তা, ঈদ ও অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা তৈরি হয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, রাজনৈতিক অবদান ও তৃণমূলের সঙ্গে সংযুক্তি বিবেচনা করে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলে হাজি ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকা কলা ঘুষ নেওয়া সেই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

­যশোর প্রতিনিধি
পাকা কলা, আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
পাকা কলা, আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কাজ করে দেওয়ার কথা বলে পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করা যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, জেলা পরিষদের জমি ইজারার নামে উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে গত ২৬ অক্টোবর যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি হয়। গণশুনানিতে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও পাকা কলা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আলমগীর হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। দুদক কমিশনারের নির্দেশনার ১০ দিন পর আজ আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

জেলা পরিষদের আদেশে বলা হয়, গত ২৬ অক্টোবর যশোরে দুদকের গণশুনানিতে রুস্তম আলীসহ আরও চার ব্যক্তির জমি ইজারা প্রদানসংক্রান্ত যশোর জিলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক গণশুনানি অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী যশোর জেলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনকে অন্যত্র বদলিসহ সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা দেন। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন বলেন, উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে। মামলার তদন্তে প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক ছুটিতে থাকায় আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করতে দেরি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত