টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর এ খোলা চিঠি পোস্ট করেন।
জেলার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মানচিত্রের একটি অংশ। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ স্বাধীন সার্বভৌমত্বের দেশ আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের নাগরিক। ১৯৫২, ৫৪, ৫৮, ৬৬, ৭৯, ৭০-এর শোষণ-নির্যাতন আর বঞ্চনা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী থেকে নিজেদের বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
‘সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই জাতীয় নেতার জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম জেলা আমাদের এই গোপালগঞ্জ। এ ছাড়া ঊনবিংশ শতাব্দীর ইসলামি রেনেসাঁ এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন মোজাহেদে আজম আল্লামা শামচুল হক ছদর সাহেব হুজুর (র.)-এর জন্ম আমাদের এই গোপালগঞ্জ।’
আইনজীবী হাবিব লেখেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে বহু দল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একটি গণতান্ত্রিক দল তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে, এটা তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। এ অধিকার ক্ষুণ্ন করার ক্ষমতা রাষ্ট্র কাউকে দেয় নাই।
‘গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, নিঃসন্দেহে বলা যায় একটি অপরাধ। আর এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিন্তিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রতিটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাম্য। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ এই ঘটনার সহিত জড়িত প্রকৃত অপরাধীর বিচার প্রত্যাশা করে।
‘কিন্তু আমরা খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে পুলিশ অনেক নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তার করছে, যাহা খুবই উদ্বেগ ও আতঙ্কের বিষয়।
‘প্রত্যেকটি অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীর বিচার গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কারওই কাম্য নয়। জেলার সর্বসাধারণকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যাহা সত্যিই অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শামিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় গোপালগঞ্জ জেলার নিরপরাধ সর্বসাধারণ মানুষ বর্তমান সময়ে গণগ্রেপ্তারে আতঙ্কিত হয়ে অতি মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় আপনার সমীপে আরজি এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তাহা নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
‘একই সঙ্গে নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তারের আতঙ্ক থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ করছি।’
জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘গোপালগঞ্জের সব সাধারণ মানুষ তো এই সহিংসতায় জড়িত নয়। বর্তমানে কারফিউ আর গণগ্রেপ্তারে প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত। তাই সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পোস্ট করেছি।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গোপালগঞ্জের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানকে মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর এ খোলা চিঠি পোস্ট করেন।
জেলার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মানচিত্রের একটি অংশ। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ স্বাধীন সার্বভৌমত্বের দেশ আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের নাগরিক। ১৯৫২, ৫৪, ৫৮, ৬৬, ৭৯, ৭০-এর শোষণ-নির্যাতন আর বঞ্চনা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী থেকে নিজেদের বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
‘সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই জাতীয় নেতার জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম জেলা আমাদের এই গোপালগঞ্জ। এ ছাড়া ঊনবিংশ শতাব্দীর ইসলামি রেনেসাঁ এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন মোজাহেদে আজম আল্লামা শামচুল হক ছদর সাহেব হুজুর (র.)-এর জন্ম আমাদের এই গোপালগঞ্জ।’
আইনজীবী হাবিব লেখেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে বহু দল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একটি গণতান্ত্রিক দল তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে, এটা তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। এ অধিকার ক্ষুণ্ন করার ক্ষমতা রাষ্ট্র কাউকে দেয় নাই।
‘গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, নিঃসন্দেহে বলা যায় একটি অপরাধ। আর এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিন্তিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রতিটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাম্য। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ এই ঘটনার সহিত জড়িত প্রকৃত অপরাধীর বিচার প্রত্যাশা করে।
‘কিন্তু আমরা খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে পুলিশ অনেক নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তার করছে, যাহা খুবই উদ্বেগ ও আতঙ্কের বিষয়।
‘প্রত্যেকটি অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীর বিচার গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কারওই কাম্য নয়। জেলার সর্বসাধারণকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যাহা সত্যিই অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শামিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় গোপালগঞ্জ জেলার নিরপরাধ সর্বসাধারণ মানুষ বর্তমান সময়ে গণগ্রেপ্তারে আতঙ্কিত হয়ে অতি মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় আপনার সমীপে আরজি এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তাহা নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
‘একই সঙ্গে নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তারের আতঙ্ক থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ করছি।’
জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘গোপালগঞ্জের সব সাধারণ মানুষ তো এই সহিংসতায় জড়িত নয়। বর্তমানে কারফিউ আর গণগ্রেপ্তারে প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত। তাই সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পোস্ট করেছি।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গোপালগঞ্জের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানকে মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর এ খোলা চিঠি পোস্ট করেন।
জেলার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মানচিত্রের একটি অংশ। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ স্বাধীন সার্বভৌমত্বের দেশ আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের নাগরিক। ১৯৫২, ৫৪, ৫৮, ৬৬, ৭৯, ৭০-এর শোষণ-নির্যাতন আর বঞ্চনা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী থেকে নিজেদের বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
‘সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই জাতীয় নেতার জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম জেলা আমাদের এই গোপালগঞ্জ। এ ছাড়া ঊনবিংশ শতাব্দীর ইসলামি রেনেসাঁ এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন মোজাহেদে আজম আল্লামা শামচুল হক ছদর সাহেব হুজুর (র.)-এর জন্ম আমাদের এই গোপালগঞ্জ।’
আইনজীবী হাবিব লেখেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে বহু দল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একটি গণতান্ত্রিক দল তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে, এটা তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। এ অধিকার ক্ষুণ্ন করার ক্ষমতা রাষ্ট্র কাউকে দেয় নাই।
‘গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, নিঃসন্দেহে বলা যায় একটি অপরাধ। আর এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিন্তিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রতিটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাম্য। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ এই ঘটনার সহিত জড়িত প্রকৃত অপরাধীর বিচার প্রত্যাশা করে।
‘কিন্তু আমরা খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে পুলিশ অনেক নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তার করছে, যাহা খুবই উদ্বেগ ও আতঙ্কের বিষয়।
‘প্রত্যেকটি অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীর বিচার গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কারওই কাম্য নয়। জেলার সর্বসাধারণকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যাহা সত্যিই অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শামিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় গোপালগঞ্জ জেলার নিরপরাধ সর্বসাধারণ মানুষ বর্তমান সময়ে গণগ্রেপ্তারে আতঙ্কিত হয়ে অতি মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় আপনার সমীপে আরজি এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তাহা নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
‘একই সঙ্গে নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তারের আতঙ্ক থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ করছি।’
জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘গোপালগঞ্জের সব সাধারণ মানুষ তো এই সহিংসতায় জড়িত নয়। বর্তমানে কারফিউ আর গণগ্রেপ্তারে প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত। তাই সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পোস্ট করেছি।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গোপালগঞ্জের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানকে মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর এ খোলা চিঠি পোস্ট করেন।
জেলার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মানচিত্রের একটি অংশ। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ স্বাধীন সার্বভৌমত্বের দেশ আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের নাগরিক। ১৯৫২, ৫৪, ৫৮, ৬৬, ৭৯, ৭০-এর শোষণ-নির্যাতন আর বঞ্চনা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী থেকে নিজেদের বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
‘সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই জাতীয় নেতার জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম জেলা আমাদের এই গোপালগঞ্জ। এ ছাড়া ঊনবিংশ শতাব্দীর ইসলামি রেনেসাঁ এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন মোজাহেদে আজম আল্লামা শামচুল হক ছদর সাহেব হুজুর (র.)-এর জন্ম আমাদের এই গোপালগঞ্জ।’
আইনজীবী হাবিব লেখেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে বহু দল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একটি গণতান্ত্রিক দল তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে, এটা তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। এ অধিকার ক্ষুণ্ন করার ক্ষমতা রাষ্ট্র কাউকে দেয় নাই।
‘গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, নিঃসন্দেহে বলা যায় একটি অপরাধ। আর এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিন্তিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রতিটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাম্য। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ এই ঘটনার সহিত জড়িত প্রকৃত অপরাধীর বিচার প্রত্যাশা করে।
‘কিন্তু আমরা খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে পুলিশ অনেক নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তার করছে, যাহা খুবই উদ্বেগ ও আতঙ্কের বিষয়।
‘প্রত্যেকটি অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীর বিচার গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কারওই কাম্য নয়। জেলার সর্বসাধারণকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যাহা সত্যিই অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শামিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় গোপালগঞ্জ জেলার নিরপরাধ সর্বসাধারণ মানুষ বর্তমান সময়ে গণগ্রেপ্তারে আতঙ্কিত হয়ে অতি মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় আপনার সমীপে আরজি এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তাহা নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
‘একই সঙ্গে নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তারের আতঙ্ক থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ করছি।’
জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘গোপালগঞ্জের সব সাধারণ মানুষ তো এই সহিংসতায় জড়িত নয়। বর্তমানে কারফিউ আর গণগ্রেপ্তারে প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত। তাই সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পোস্ট করেছি।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গোপালগঞ্জের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানকে মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
৩৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
১ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।
কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।
ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।
কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।
ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস...
১৯ জুলাই ২০২৫
তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
৩৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
১ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
দৌলতপুর উপজেলায় নিজস্ব আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া আরও এক দিন, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। রোববার কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনমজুর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। তা ছাড়া আমার ঠান্ডাজনিত রোগ আছে, তাই বাইরে বের হওয়াও কষ্টকর।’
উপজেলার মথুরাপুর বাজারের অটোরিকশাচালক মামুন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের কারণে যাতায়াত কমে গেছে, আয়ও আগের তুলনায় অনেক কম।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে দু-এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আরও উন্নত হবে।
এদিকে শীতের প্রভাবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শীত থেকে বাঁচতে সবাইকে গরম পোশাক পরতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সব সময় গরম পোশাকে রাখতে এবং গরম খাবার খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
দৌলতপুর উপজেলায় নিজস্ব আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া আরও এক দিন, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। রোববার কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনমজুর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। তা ছাড়া আমার ঠান্ডাজনিত রোগ আছে, তাই বাইরে বের হওয়াও কষ্টকর।’
উপজেলার মথুরাপুর বাজারের অটোরিকশাচালক মামুন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের কারণে যাতায়াত কমে গেছে, আয়ও আগের তুলনায় অনেক কম।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে দু-এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আরও উন্নত হবে।
এদিকে শীতের প্রভাবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শীত থেকে বাঁচতে সবাইকে গরম পোশাক পরতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সব সময় গরম পোশাকে রাখতে এবং গরম খাবার খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস...
১৯ জুলাই ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হানিফা আলী বেরিবাইদ ইউনিয়নের চুনিয়া দিগলবাইদ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে জলছত্র বাজার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ পাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
বিমল চন্দ পাইন জানান, ঘাতক পরিবহন শনাক্ত ও চালককে আটক করার জন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হানিফা আলী বেরিবাইদ ইউনিয়নের চুনিয়া দিগলবাইদ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে জলছত্র বাজার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ পাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
বিমল চন্দ পাইন জানান, ঘাতক পরিবহন শনাক্ত ও চালককে আটক করার জন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস...
১৯ জুলাই ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
৩৩ মিনিট আগে
ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আশিষ জোয়াদ্দার (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে পালানোর সময় বাসের ধাক্কায় এক ছিনতাইকারী গুরুতর আহত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর আড়তের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা আশিষকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশিষ জোয়াদ্দারকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্থানীয় এক দোকানি মাহমুদুর রহমান তুহিন জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী আড়তের সামনে ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পান তিনি। তখন এগিয়ে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় একজন পড়ে আছেন। ওই ব্যক্তিকে পূর্বপরিচিত হিসেবে চেনেন তিনি। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান।
তুহিন আরও বলেন, ওই ব্যক্তির নাম আশিষ জোয়াদ্দার। তাঁর বাড়ি মাগুরা জেলায়। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা ১ নম্বর গেটে তিনি থাকতেন। যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশে ৭-৮টি ভ্যান গাড়িতে করে জামাকাপড় বিক্রি করা হয় এমন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার তিনি। তাঁদের মূল দোকান যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে। সেখানে বসেই ব্যবসার হিসাবপত্র রাখতেন আশিষ। গ্রাম থেকে শনিবার রাতেই ঢাকায় ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে কয়েকটি ব্যাগ ছিল। এগুলো দেখে ফ্লাইওভারের নিচে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। তবে কোনো কিছু দিতে না চাইলে ছিনতাইকারীরা তাঁর বুকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা তাঁর সঙ্গে থাকা আইফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছিনতাইকারীরা ওই যুবকের বুকে ছুরিকাঘাত করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা গেছেন। ছিনতাইকারীরা তার সঙ্গে থাকে একটি আইফোন সেট, টাকা ও স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। সে তার নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারছে না।
এসআই আব্দুর করিম আরও জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আশিষ জোয়াদ্দার (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে পালানোর সময় বাসের ধাক্কায় এক ছিনতাইকারী গুরুতর আহত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ীর আড়তের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা আশিষকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশিষ জোয়াদ্দারকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্থানীয় এক দোকানি মাহমুদুর রহমান তুহিন জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী আড়তের সামনে ফ্লাইওভার ব্রিজের নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পান তিনি। তখন এগিয়ে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় একজন পড়ে আছেন। ওই ব্যক্তিকে পূর্বপরিচিত হিসেবে চেনেন তিনি। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান।
তুহিন আরও বলেন, ওই ব্যক্তির নাম আশিষ জোয়াদ্দার। তাঁর বাড়ি মাগুরা জেলায়। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা ১ নম্বর গেটে তিনি থাকতেন। যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশে ৭-৮টি ভ্যান গাড়িতে করে জামাকাপড় বিক্রি করা হয় এমন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার তিনি। তাঁদের মূল দোকান যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে। সেখানে বসেই ব্যবসার হিসাবপত্র রাখতেন আশিষ। গ্রাম থেকে শনিবার রাতেই ঢাকায় ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে কয়েকটি ব্যাগ ছিল। এগুলো দেখে ফ্লাইওভারের নিচে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। তবে কোনো কিছু দিতে না চাইলে ছিনতাইকারীরা তাঁর বুকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা তাঁর সঙ্গে থাকা আইফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ছিনতাইকারীরা ওই যুবকের বুকে ছুরিকাঘাত করেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা গেছেন। ছিনতাইকারীরা তার সঙ্গে থাকে একটি আইফোন সেট, টাকা ও স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নিয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীদের ধাওয়ায় বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। তাকেও উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বর্তমানে পুলিশ পাহারায় ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। সে তার নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারছে না।
এসআই আব্দুর করিম আরও জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস...
১৯ জুলাই ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৩ মিনিট আগে
তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
৩৩ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে