Ajker Patrika

গোপালগঞ্জে ‘গণগ্রেপ্তার’ বন্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি 
প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেপ্তার বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি দিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক আইনজীবী। আজ শনিবার গোপালগঞ্জ জজকোর্টের এই আইনজীবী তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর এ খোলা চিঠি পোস্ট করেন।

জেলার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে উল্লেখ করে খোলা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মানচিত্রের একটি অংশ। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ স্বাধীন সার্বভৌমত্বের দেশ আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের নাগরিক। ১৯৫২, ৫৪, ৫৮, ৬৬, ৭৯, ৭০-এর শোষণ-নির্যাতন আর বঞ্চনা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী থেকে নিজেদের বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

‘সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই জাতীয় নেতার জন্ম স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম জেলা আমাদের এই গোপালগঞ্জ। এ ছাড়া ঊনবিংশ শতাব্দীর ইসলামি রেনেসাঁ এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন মোজাহেদে আজম আল্লামা শামচুল হক ছদর সাহেব হুজুর (র.)-এর জন্ম আমাদের এই গোপালগঞ্জ।’

আইনজীবী হাবিব লেখেন, ‘বাংলাদেশ একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে বহু দল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। একটি গণতান্ত্রিক দল তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে, এটা তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। এ অধিকার ক্ষুণ্ন করার ক্ষমতা রাষ্ট্র কাউকে দেয় নাই।

‘গোপালগঞ্জে এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, নিঃসন্দেহে বলা যায় একটি অপরাধ। আর এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিন্তিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রতিটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাম্য। গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ এই ঘটনার সহিত জড়িত প্রকৃত অপরাধীর বিচার প্রত্যাশা করে।

‘কিন্তু আমরা খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে পুলিশ অনেক নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তার করছে, যাহা খুবই উদ্বেগ ও আতঙ্কের বিষয়।

‘প্রত্যেকটি অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীর বিচার গোপালগঞ্জ জেলার সর্বসাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কারওই কাম্য নয়। জেলার সর্বসাধারণকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যাহা সত্যিই অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শামিল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় গোপালগঞ্জ জেলার নিরপরাধ সর্বসাধারণ মানুষ বর্তমান সময়ে গণগ্রেপ্তারে আতঙ্কিত হয়ে অতি মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় আপনার সমীপে আরজি এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তাহা নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

‘একই সঙ্গে নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে গণগ্রেপ্তারের আতঙ্ক থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ করছি।’

জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘গোপালগঞ্জের সব সাধারণ মানুষ তো এই সহিংসতায় জড়িত নয়। বর্তমানে কারফিউ আর গণগ্রেপ্তারে প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত। তাই সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পোস্ট করেছি।’

এ বিষয়ে কথা বলতে গোপালগঞ্জের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানকে মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৪
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’

এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’

এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।

জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাটোর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট

নাটোর প্রতিনিধি 
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাতক্ষীরায় মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীর সমর্থনে সড়ক অবরোধ

দেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৫
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত