Ajker Patrika

বশেমুরবিপ্রবির সেই শিক্ষকের যোগদানের খবরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জুন ২০২২, ২০: ৩০
বশেমুরবিপ্রবির সেই শিক্ষকের যোগদানের খবরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক মো. আক্কাস আলীর যোগদানের প্রতিবাদে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক সাজা ভোগ শেষে ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদানের সংবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের ঘোষণা দেন। 

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সিএসই বিভাগের সামনে শিক্ষকের যোগদানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান-সংবলিত ফেস্টুন প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনরত সিএসই বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুজন শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিসহ ভর্তি-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মো. আক্কাস আলী। তাঁর বিরুদ্ধে সাড়ে তিন বছর আগে তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই তদন্ত প্রতিবেদন আজও প্রকাশিত হয়নি। ভবিষ্যতে তিনি আবার যোগদান করছেন। আবার আমাদের বোনদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে না এর নিশ্চয়তা পাব কীভাবে। আমরা তাঁর যোগদানের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছি। আমরা যৌন নিপীড়কমুক্ত ক্যাম্পাস চাই।’ 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আক্কাস আলী বলেন, ‘আমার বিষয়ে যে অভিযোগ এসেছিল সেটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে আমি জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক বিভাগের শিক্ষার্থীদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করাচ্ছেন।’ 
 
সকাল থেকে সিএসই বিভাগের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কোনো বিষয় পেলেই আন্দোলন শুরু করে। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ এ কথা জানিয়ে মোবাইল রেখে দেন তিনি। 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. আক্কাস আলী ওই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়াসহ যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত হন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বশির উদ্দিনকে সদস্যসচিব করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাস আলীকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জানুয়ারি-জুন ২০১৯ থেকে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট ৮ সেমিস্টারের জন্য সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

এরই মধ্যে গত বছর নভেম্বর মাসে আক্কাস আলী ও তদন্তকারী দলের প্রধান অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম খানের ফোনালাপ ফাঁস হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...