শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভোররাতে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বজনেরা।
আজ রোববার রাতে পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিহত নবজাতকের মায়ের নাম সোনিয়া আক্তার (২৪)। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। সোনিয়া আরিফুল দম্পতি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
নবজাতকের নানি অভিযোগ করে বলেন, নবজাতক পেটের ভেতরে উল্টো অবস্থায় থাকলেও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরিবারের পক্ষ থেকে চারবার পরীক্ষা করানো হয়, কিন্তু মতিনুর বেগম মালা নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন এবং চিকিৎসার জন্য ৯ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও বাকিটা পরে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
নবজাতকের নানি আরও বলেন, ‘আমরা যদি জানতাম তারা নরমাল ডেলিভারি করাতে পারবে না, তাহলে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করাতাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুযোগ দেয়নি এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে জোর করে প্রসব করিয়েছে। এর ফলে আমার নাতির মৃত্যু হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিল না। ডায়াগনস্টিকের নিজস্ব নার্স সুমাইয়া ও আয়া জরিনা মারজিয়া নরমাল ডেলিভারি করান। যার কারণে সঠিকভাবে ডেলিভারি করাতে পারেনি। ডেলিভারির সময় নবজাতককে টেনেহিঁচড়ে বের করার কারণে জন্মের পরপর তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
জানতে চাইলে মা ডায়াগনস্টিকের মালিক কথিত ডাক্তার মতিনুর বেগম মালা বলেন, ‘আমি মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আছি। বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি সাধারণত নার্স ও আয়া দিয়ে করানো হয়ে থাকে। এটা কোনো ফ্যাক্টর না। নরমাল ডেলিভারিতে আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা নেই।’ আপনি হাসপাতালে না থেকে কী করে এমন কাজ করালেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে ফোনে পরামর্শ দিয়েছি।’ আপনি তো ডাক্তার নন, তবে কী করে প্যাডে ডাক্তার লেখেন, চেম্বার করেন কী করে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা জানা তো আপনাদের কাজ না।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নামজুল হুদাকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন হলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকা ও শাহরিনা নাসরিন।
স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, একজন মানুষ চিকিৎসক না হয়ে কোনোমতেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। মতিনুর বেগম মালা কোনোভাবেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় নবজাতকের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভোররাতে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বজনেরা।
আজ রোববার রাতে পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিহত নবজাতকের মায়ের নাম সোনিয়া আক্তার (২৪)। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। সোনিয়া আরিফুল দম্পতি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
নবজাতকের নানি অভিযোগ করে বলেন, নবজাতক পেটের ভেতরে উল্টো অবস্থায় থাকলেও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরিবারের পক্ষ থেকে চারবার পরীক্ষা করানো হয়, কিন্তু মতিনুর বেগম মালা নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন এবং চিকিৎসার জন্য ৯ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও বাকিটা পরে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
নবজাতকের নানি আরও বলেন, ‘আমরা যদি জানতাম তারা নরমাল ডেলিভারি করাতে পারবে না, তাহলে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করাতাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুযোগ দেয়নি এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে জোর করে প্রসব করিয়েছে। এর ফলে আমার নাতির মৃত্যু হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিল না। ডায়াগনস্টিকের নিজস্ব নার্স সুমাইয়া ও আয়া জরিনা মারজিয়া নরমাল ডেলিভারি করান। যার কারণে সঠিকভাবে ডেলিভারি করাতে পারেনি। ডেলিভারির সময় নবজাতককে টেনেহিঁচড়ে বের করার কারণে জন্মের পরপর তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
জানতে চাইলে মা ডায়াগনস্টিকের মালিক কথিত ডাক্তার মতিনুর বেগম মালা বলেন, ‘আমি মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আছি। বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি সাধারণত নার্স ও আয়া দিয়ে করানো হয়ে থাকে। এটা কোনো ফ্যাক্টর না। নরমাল ডেলিভারিতে আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা নেই।’ আপনি হাসপাতালে না থেকে কী করে এমন কাজ করালেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে ফোনে পরামর্শ দিয়েছি।’ আপনি তো ডাক্তার নন, তবে কী করে প্যাডে ডাক্তার লেখেন, চেম্বার করেন কী করে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা জানা তো আপনাদের কাজ না।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নামজুল হুদাকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন হলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকা ও শাহরিনা নাসরিন।
স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, একজন মানুষ চিকিৎসক না হয়ে কোনোমতেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। মতিনুর বেগম মালা কোনোভাবেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় নবজাতকের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভোররাতে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বজনেরা।
আজ রোববার রাতে পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিহত নবজাতকের মায়ের নাম সোনিয়া আক্তার (২৪)। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। সোনিয়া আরিফুল দম্পতি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
নবজাতকের নানি অভিযোগ করে বলেন, নবজাতক পেটের ভেতরে উল্টো অবস্থায় থাকলেও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরিবারের পক্ষ থেকে চারবার পরীক্ষা করানো হয়, কিন্তু মতিনুর বেগম মালা নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন এবং চিকিৎসার জন্য ৯ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও বাকিটা পরে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
নবজাতকের নানি আরও বলেন, ‘আমরা যদি জানতাম তারা নরমাল ডেলিভারি করাতে পারবে না, তাহলে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করাতাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুযোগ দেয়নি এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে জোর করে প্রসব করিয়েছে। এর ফলে আমার নাতির মৃত্যু হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিল না। ডায়াগনস্টিকের নিজস্ব নার্স সুমাইয়া ও আয়া জরিনা মারজিয়া নরমাল ডেলিভারি করান। যার কারণে সঠিকভাবে ডেলিভারি করাতে পারেনি। ডেলিভারির সময় নবজাতককে টেনেহিঁচড়ে বের করার কারণে জন্মের পরপর তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
জানতে চাইলে মা ডায়াগনস্টিকের মালিক কথিত ডাক্তার মতিনুর বেগম মালা বলেন, ‘আমি মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আছি। বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি সাধারণত নার্স ও আয়া দিয়ে করানো হয়ে থাকে। এটা কোনো ফ্যাক্টর না। নরমাল ডেলিভারিতে আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা নেই।’ আপনি হাসপাতালে না থেকে কী করে এমন কাজ করালেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে ফোনে পরামর্শ দিয়েছি।’ আপনি তো ডাক্তার নন, তবে কী করে প্যাডে ডাক্তার লেখেন, চেম্বার করেন কী করে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা জানা তো আপনাদের কাজ না।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নামজুল হুদাকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন হলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকা ও শাহরিনা নাসরিন।
স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, একজন মানুষ চিকিৎসক না হয়ে কোনোমতেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। মতিনুর বেগম মালা কোনোভাবেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় নবজাতকের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভোররাতে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বজনেরা।
আজ রোববার রাতে পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিহত নবজাতকের মায়ের নাম সোনিয়া আক্তার (২৪)। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী। সোনিয়া আরিফুল দম্পতি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
নবজাতকের নানি অভিযোগ করে বলেন, নবজাতক পেটের ভেতরে উল্টো অবস্থায় থাকলেও সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পরিবারের পক্ষ থেকে চারবার পরীক্ষা করানো হয়, কিন্তু মতিনুর বেগম মালা নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেন এবং চিকিৎসার জন্য ৯ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হলেও বাকিটা পরে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
নবজাতকের নানি আরও বলেন, ‘আমরা যদি জানতাম তারা নরমাল ডেলিভারি করাতে পারবে না, তাহলে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করাতাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো সুযোগ দেয়নি এবং নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে জোর করে প্রসব করিয়েছে। এর ফলে আমার নাতির মৃত্যু হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিল না। ডায়াগনস্টিকের নিজস্ব নার্স সুমাইয়া ও আয়া জরিনা মারজিয়া নরমাল ডেলিভারি করান। যার কারণে সঠিকভাবে ডেলিভারি করাতে পারেনি। ডেলিভারির সময় নবজাতককে টেনেহিঁচড়ে বের করার কারণে জন্মের পরপর তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
জানতে চাইলে মা ডায়াগনস্টিকের মালিক কথিত ডাক্তার মতিনুর বেগম মালা বলেন, ‘আমি মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আছি। বিষয়টি হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি সাধারণত নার্স ও আয়া দিয়ে করানো হয়ে থাকে। এটা কোনো ফ্যাক্টর না। নরমাল ডেলিভারিতে আমাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা নেই।’ আপনি হাসপাতালে না থেকে কী করে এমন কাজ করালেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ফোনে ফোনে পরামর্শ দিয়েছি।’ আপনি তো ডাক্তার নন, তবে কী করে প্যাডে ডাক্তার লেখেন, চেম্বার করেন কী করে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা জানা তো আপনাদের কাজ না।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নামজুল হুদাকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন হলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ আয়েশা সিদ্দিকা ও শাহরিনা নাসরিন।
স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, একজন মানুষ চিকিৎসক না হয়ে কোনোমতেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। মতিনুর বেগম মালা কোনোভাবেই ‘ডাক্তার’ লিখতে পারেন না। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় নবজাতকের স্বজনদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
২৮ মিনিট আগে
পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
৩৬ মিনিট আগে
মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে। এতে চারপাশে পচা-গলা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পুকুরপাড় দিয়ে নাক চেপে চলাচল করতে হয়। পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, বাণিজ্যিকভাবে পুকুরটিতে মাছ চাষ করায় বিভিন্ন সময় মাছ মরার ঘটনা ঘটছে। এতে পুকুরের পানিতে দূষণ ঘটছে। দুর্গন্ধে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বিবির পুকুরের সঙ্গে অতীতে কীর্তনখোলা নদীর সংযোগ ছিল। বর্তমানে নদী থেকে পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকাসহ ময়লা ফেলার কারণে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। নীল রং ধারণ করা পানিতে একধরনের স্তর পড়ে গেছে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) তত্ত্বাবধানে থাকা বিবির পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছচাষিরা বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেন। বিভিন্ন সময় সেই মাছ মরে পচে ভেসে উঠে। এতে দুর্গন্ধে পুকুরপাড়ে আসা বিনোদনপ্রেমী ও পথচারীদের টেকা দায় হয়ে পড়ে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, পুকুরপাড়ে এসে মরা মাছের গন্ধে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। দ্রুত মরা মাছ অপসারণ করে পুকুরটির পানিদূষণ রোধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশালের সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বিবির পুকুরটির অবস্থান। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করায় নানা সময় মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হয়তো পুকুরের পানির মান খারাপ হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনকে উচিত হবে, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শক রকিব উদ্দিন বলেন, বিবির পুকুরের পানিতে অক্সিজেন কমে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পানির মান দেখতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় এবং নদীর পানির মানমাত্রা পরীক্ষা করেন। বিবির পুকুরের পরিস্থিতি পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, মরা মাছ দ্রুত অপসারণের জন্য ইজারাদারকে বলা হচ্ছে। যদিও তাঁরা পুকুরের পানি দূষণ ঠেকাতে কিছু অংশ জাল দিয়ে আটকে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিবির পুকুর বরিশাল নগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জলাশয়। উনিশ শতকে জনসাধারণের জলকষ্ট দূর করতে জিন্নাত বিবি নামে এক মুসলিম নারীর উদ্যোগে পুকুরটি খনন করা হয়েছিল। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই পুকুরটি সদর রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং এটি বরিশাল নগরের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি এখন আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে। এতে চারপাশে পচা-গলা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পুকুরপাড় দিয়ে নাক চেপে চলাচল করতে হয়। পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, বাণিজ্যিকভাবে পুকুরটিতে মাছ চাষ করায় বিভিন্ন সময় মাছ মরার ঘটনা ঘটছে। এতে পুকুরের পানিতে দূষণ ঘটছে। দুর্গন্ধে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বিবির পুকুরের সঙ্গে অতীতে কীর্তনখোলা নদীর সংযোগ ছিল। বর্তমানে নদী থেকে পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকাসহ ময়লা ফেলার কারণে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। নীল রং ধারণ করা পানিতে একধরনের স্তর পড়ে গেছে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) তত্ত্বাবধানে থাকা বিবির পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছচাষিরা বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেন। বিভিন্ন সময় সেই মাছ মরে পচে ভেসে উঠে। এতে দুর্গন্ধে পুকুরপাড়ে আসা বিনোদনপ্রেমী ও পথচারীদের টেকা দায় হয়ে পড়ে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, পুকুরপাড়ে এসে মরা মাছের গন্ধে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। দ্রুত মরা মাছ অপসারণ করে পুকুরটির পানিদূষণ রোধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশালের সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বিবির পুকুরটির অবস্থান। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করায় নানা সময় মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হয়তো পুকুরের পানির মান খারাপ হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনকে উচিত হবে, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শক রকিব উদ্দিন বলেন, বিবির পুকুরের পানিতে অক্সিজেন কমে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পানির মান দেখতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় এবং নদীর পানির মানমাত্রা পরীক্ষা করেন। বিবির পুকুরের পরিস্থিতি পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, মরা মাছ দ্রুত অপসারণের জন্য ইজারাদারকে বলা হচ্ছে। যদিও তাঁরা পুকুরের পানি দূষণ ঠেকাতে কিছু অংশ জাল দিয়ে আটকে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিবির পুকুর বরিশাল নগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জলাশয়। উনিশ শতকে জনসাধারণের জলকষ্ট দূর করতে জিন্নাত বিবি নামে এক মুসলিম নারীর উদ্যোগে পুকুরটি খনন করা হয়েছিল। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই পুকুরটি সদর রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং এটি বরিশাল নগরের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি এখন আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভো
১৬ মার্চ ২০২৫
পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
৩৬ মিনিট আগে
মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
কিন্তু গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে সিয়ামের সেই স্বপ্ন থেমে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ককটেলটি ওপর থেকে এসে তাঁর মাথায় লাগে।
সিয়ামের পরিবার জানায়, ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন তাঁর বাবা আলী আকবর মজুমদার। মা সিজু বেগম বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ নেন। ছোট ভাই সেজান মজুমদারও ইস্কাটন এলাকায় একটি গাড়ি ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করেন। পরিবারের সবাই মিলে চেষ্টা করছিলেন ঋণমুক্ত হওয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ ইস্কাটনের দুই হাজার গলির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, শোকে ভেঙে পড়েছেন সিয়ামের মা সিজু বেগম। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ঢাকায় এসে তাঁদের সব শেষ হয়ে গেছে। ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
ছোট ভাই সেজান মজুমদার বলেন, পরিবারের আর্থিক সংকট কাটিয়ে ভাই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ এই মৃত্যু পুরো পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলের মরদেহ নিতে গিয়ে বাবা আলী আকবর মজুমদার বলেন, ভাগ্য বদলাতে ঢাকায় এসে ছেলেকে হারাতে হবে—এমনটা জানলে তিনি কখনোই ঢাকায় আসতেন না।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বিস্ফোরকদ্রব্যের আঘাতে সিয়াম মজুমদার নিহত হন। ঘটনার সময় তিনি মগবাজার-নিউ ইস্কাটন সড়কে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ঘটনাস্থলের চা-দোকানি মো. ফারুক আজ বিকেলে বলেন, চা বানানোর সময় বিকট শব্দ হয়। পরে দেখা যায়, সিয়াম মাটিতে পড়ে আছেন, মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।
এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
কিন্তু গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে সিয়ামের সেই স্বপ্ন থেমে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ককটেলটি ওপর থেকে এসে তাঁর মাথায় লাগে।
সিয়ামের পরিবার জানায়, ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন তাঁর বাবা আলী আকবর মজুমদার। মা সিজু বেগম বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ নেন। ছোট ভাই সেজান মজুমদারও ইস্কাটন এলাকায় একটি গাড়ি ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করেন। পরিবারের সবাই মিলে চেষ্টা করছিলেন ঋণমুক্ত হওয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ ইস্কাটনের দুই হাজার গলির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, শোকে ভেঙে পড়েছেন সিয়ামের মা সিজু বেগম। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ঢাকায় এসে তাঁদের সব শেষ হয়ে গেছে। ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
ছোট ভাই সেজান মজুমদার বলেন, পরিবারের আর্থিক সংকট কাটিয়ে ভাই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ এই মৃত্যু পুরো পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলের মরদেহ নিতে গিয়ে বাবা আলী আকবর মজুমদার বলেন, ভাগ্য বদলাতে ঢাকায় এসে ছেলেকে হারাতে হবে—এমনটা জানলে তিনি কখনোই ঢাকায় আসতেন না।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বিস্ফোরকদ্রব্যের আঘাতে সিয়াম মজুমদার নিহত হন। ঘটনার সময় তিনি মগবাজার-নিউ ইস্কাটন সড়কে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ঘটনাস্থলের চা-দোকানি মো. ফারুক আজ বিকেলে বলেন, চা বানানোর সময় বিকট শব্দ হয়। পরে দেখা যায়, সিয়াম মাটিতে পড়ে আছেন, মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।
এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভো
১৬ মার্চ ২০২৫
বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
২৮ মিনিট আগে
মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের
৩৮ মিনিট আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের নির্দেশ দিয়েছে।
মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সবুজ খাঁন চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত মাস্টার্স ডিগ্রির সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব েনন। তবে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে গত ১ নভেম্বর জনৈক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সনদ যাচাই কার্যক্রম শুরু করে।
সূত্র আরও জানায়, যাচাই শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবুজ খাঁনের দাখিল করা সনদে কোনো ক্রমিক নম্বর নেই, কোর্স কোডে অসংগতি রয়েছে এবং স্বাক্ষর ও তারিখেও গরমিল পাওয়া গেছে। এসব কারণে সনদ দুটিকে জাল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরে আসে। পরে গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক লিখিত নির্দেশনায় দক্ষিণ আইচা কলেজের অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়। সেই নির্দেশনায় বলা হয়, মো. সিরাজুল ইসলামের মাস্টার্স সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর সভাপতির দায়িত্ব আর বৈধ নয়। ফলে শূন্য ঘোষিত পদে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী যোগ্য তিনজন প্রার্থীর নাম শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আদেশ প্রকাশের পর কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ থেকে সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁনের অব্যাহতিপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেইলে পাওয়ার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ আইচা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলেজের সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন একটি কথা শুনেছি। এখনো অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। তবে আমি এর প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।’ তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেও জানান সবুজ খাঁন।
সবুজ খাঁন নিজেকে থানা বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও দলের কোনো সাংগঠনিক পদে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের নির্দেশ দিয়েছে।
মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সবুজ খাঁন চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত মাস্টার্স ডিগ্রির সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব েনন। তবে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে গত ১ নভেম্বর জনৈক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সনদ যাচাই কার্যক্রম শুরু করে।
সূত্র আরও জানায়, যাচাই শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবুজ খাঁনের দাখিল করা সনদে কোনো ক্রমিক নম্বর নেই, কোর্স কোডে অসংগতি রয়েছে এবং স্বাক্ষর ও তারিখেও গরমিল পাওয়া গেছে। এসব কারণে সনদ দুটিকে জাল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরে আসে। পরে গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক লিখিত নির্দেশনায় দক্ষিণ আইচা কলেজের অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়। সেই নির্দেশনায় বলা হয়, মো. সিরাজুল ইসলামের মাস্টার্স সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর সভাপতির দায়িত্ব আর বৈধ নয়। ফলে শূন্য ঘোষিত পদে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী যোগ্য তিনজন প্রার্থীর নাম শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আদেশ প্রকাশের পর কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ থেকে সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁনের অব্যাহতিপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেইলে পাওয়ার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ আইচা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলেজের সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন একটি কথা শুনেছি। এখনো অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। তবে আমি এর প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।’ তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেও জানান সবুজ খাঁন।
সবুজ খাঁন নিজেকে থানা বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও দলের কোনো সাংগঠনিক পদে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

গাজীপুরের শ্রীপুরে মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভো
১৬ মার্চ ২০২৫
বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
২৮ মিনিট আগে
পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
৩৬ মিনিট আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
ওই কয়েদির নাম বিমল কুমার দাস (৬২)। কয়েদি নম্বর ২৫২৫। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কদমতলী আমিরাবাদ গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি মাদারীপুর কারাগারে ছিলেন। ওই হাজতি ডায়াবেটিসসহ বয়সের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মাদারীপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে মাদারীপুর কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে আনা হয়। ফরিদপুরে আসামাত্রই তাঁকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
ওই কয়েদির নাম বিমল কুমার দাস (৬২)। কয়েদি নম্বর ২৫২৫। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কদমতলী আমিরাবাদ গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি মাদারীপুর কারাগারে ছিলেন। ওই হাজতি ডায়াবেটিসসহ বয়সের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মাদারীপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে মাদারীপুর কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে আনা হয়। ফরিদপুরে আসামাত্রই তাঁকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স ও আয়া দিয়ে নরমাল ডেলিভারির পর এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। পরে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে রাতভর ডায়াগনস্টিকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও আহাজারি করেন নবজাতকের স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর বিচারের আশ্বাস পেয়ে ভো
১৬ মার্চ ২০২৫
বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
২৮ মিনিট আগে
পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
৩৬ মিনিট আগে
মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের
৩৮ মিনিট আগে