আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন অনেকে।
এখন শুধু দখল টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে তাঁরা এসব ঘরে আসেন।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলায় পাঁচ ধাপে ২ শতাংশ জমিসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি আধাপাকা ঘর পেয়েছে ৩২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলার ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে উপকারভোগী পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-সংযোগ, স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ, রিংওয়েল নলকূপ ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন। যাঁরা এই সেবার আওতায় এসেছেন, এর বাইরেও বহু গৃহহীন দরিদ্র পরিবার আছে কাপাসিয়ায়। তারপরও ২০২৩ সালের ২২ মার্চ কাপাসিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিন ধাপে ১১৪টি পরিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের বরাদ্দ পেয়েছে। এ ঘরগুলোর মাঝে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের গাড়িচালক সোহেল রানার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপের ১২ নম্বর ঘরটি। সেখানে কেউ থাকেন না। ঘরটি এখন কুকুরের দখলে। সম্প্রতি এ ঘরে একটি কুকুর তিনটি বাচ্চা প্রসব করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ১৩ নম্বর ঘর। তিনি সেখানে থাকেন না। এ ছাড়া আশ্রয়ণের ১৩, ১৪, ৩৬ ও ৫৪ নম্বর ঘরেও কেউ থাকেন না। এ ধাপের ৪৭ নম্বর ঘরে কেউ বসবাস না করায় এক প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি ছাগল লালনপালন করেন।
১৮ নম্বর ঘরে বসবাসকারী একজন কাঠমিস্ত্রি পাশের ১৭ নম্বর ঘরটি খালি পেয়ে প্রথম থেকে তাঁর আসবাব তৈরির কাঠগুলো সেই ঘরে রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তা ছাড়া ৩, ১২, ১৬, ২৯, ৪৯, ৫৭, ৬৫ নম্বর ঘরসহ ৩৫-৪০টি ঘর প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন।
রায়েদ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, মোট ৬৫ ঘর রয়েছে। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ, ৬ নম্বর ঘরের বাসিন্দা ইন্তাজ মিয়া, ২২ নম্বর ঘরের বাসিন্দা শামীমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দুই বছর ধরে ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭, ২৭, ২৯, ৩৫, ৩৬, ৪২, ৪৪, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪, ৫৭, ৬৫ ও ৩৮ নম্বর ঘরগুলো খালি পড়ে রয়েছে। এখানেও ২৫-২৬টি ঘর খালি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাড়ির মালিক না আসায় স্থানীয় বখাটেরা এসব ঘরে আড্ডা দেন। এখানে একটি গভীর নলকূপ এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত পানির ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৭টি ঘর রয়েছে। সেখানে ৫, ১০, ৩৪ ও ৪৭ নম্বর ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বাসিন্দা জানান, সেখানেও ১৪-১৫টি ঘর প্রথম থেকেই খালি পড়ে রয়েছে।
বারিষাব ইউনিয়নের শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর রয়েছে ৩৮টি। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা আসমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৭, ২৮ নম্বর ঘরসহ ১৫-১৬টি ঘরে কেউ কোনো দিন বসবাস করতে দেখেনি। সেখানকার ২১ নম্বর ঘরে এক প্রতিবেশী গরু পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম জানান, তিনি যোগদানের বহু আগে এসব ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা থাকেন না বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন অনেকে।
এখন শুধু দখল টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে তাঁরা এসব ঘরে আসেন।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলায় পাঁচ ধাপে ২ শতাংশ জমিসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি আধাপাকা ঘর পেয়েছে ৩২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলার ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে উপকারভোগী পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-সংযোগ, স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ, রিংওয়েল নলকূপ ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন। যাঁরা এই সেবার আওতায় এসেছেন, এর বাইরেও বহু গৃহহীন দরিদ্র পরিবার আছে কাপাসিয়ায়। তারপরও ২০২৩ সালের ২২ মার্চ কাপাসিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিন ধাপে ১১৪টি পরিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের বরাদ্দ পেয়েছে। এ ঘরগুলোর মাঝে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের গাড়িচালক সোহেল রানার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপের ১২ নম্বর ঘরটি। সেখানে কেউ থাকেন না। ঘরটি এখন কুকুরের দখলে। সম্প্রতি এ ঘরে একটি কুকুর তিনটি বাচ্চা প্রসব করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ১৩ নম্বর ঘর। তিনি সেখানে থাকেন না। এ ছাড়া আশ্রয়ণের ১৩, ১৪, ৩৬ ও ৫৪ নম্বর ঘরেও কেউ থাকেন না। এ ধাপের ৪৭ নম্বর ঘরে কেউ বসবাস না করায় এক প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি ছাগল লালনপালন করেন।
১৮ নম্বর ঘরে বসবাসকারী একজন কাঠমিস্ত্রি পাশের ১৭ নম্বর ঘরটি খালি পেয়ে প্রথম থেকে তাঁর আসবাব তৈরির কাঠগুলো সেই ঘরে রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তা ছাড়া ৩, ১২, ১৬, ২৯, ৪৯, ৫৭, ৬৫ নম্বর ঘরসহ ৩৫-৪০টি ঘর প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন।
রায়েদ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, মোট ৬৫ ঘর রয়েছে। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ, ৬ নম্বর ঘরের বাসিন্দা ইন্তাজ মিয়া, ২২ নম্বর ঘরের বাসিন্দা শামীমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দুই বছর ধরে ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭, ২৭, ২৯, ৩৫, ৩৬, ৪২, ৪৪, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪, ৫৭, ৬৫ ও ৩৮ নম্বর ঘরগুলো খালি পড়ে রয়েছে। এখানেও ২৫-২৬টি ঘর খালি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাড়ির মালিক না আসায় স্থানীয় বখাটেরা এসব ঘরে আড্ডা দেন। এখানে একটি গভীর নলকূপ এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত পানির ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৭টি ঘর রয়েছে। সেখানে ৫, ১০, ৩৪ ও ৪৭ নম্বর ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বাসিন্দা জানান, সেখানেও ১৪-১৫টি ঘর প্রথম থেকেই খালি পড়ে রয়েছে।
বারিষাব ইউনিয়নের শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর রয়েছে ৩৮টি। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা আসমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৭, ২৮ নম্বর ঘরসহ ১৫-১৬টি ঘরে কেউ কোনো দিন বসবাস করতে দেখেনি। সেখানকার ২১ নম্বর ঘরে এক প্রতিবেশী গরু পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম জানান, তিনি যোগদানের বহু আগে এসব ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা থাকেন না বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন অনেকে।
এখন শুধু দখল টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে তাঁরা এসব ঘরে আসেন।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলায় পাঁচ ধাপে ২ শতাংশ জমিসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি আধাপাকা ঘর পেয়েছে ৩২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলার ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে উপকারভোগী পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-সংযোগ, স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ, রিংওয়েল নলকূপ ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন। যাঁরা এই সেবার আওতায় এসেছেন, এর বাইরেও বহু গৃহহীন দরিদ্র পরিবার আছে কাপাসিয়ায়। তারপরও ২০২৩ সালের ২২ মার্চ কাপাসিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিন ধাপে ১১৪টি পরিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের বরাদ্দ পেয়েছে। এ ঘরগুলোর মাঝে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের গাড়িচালক সোহেল রানার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপের ১২ নম্বর ঘরটি। সেখানে কেউ থাকেন না। ঘরটি এখন কুকুরের দখলে। সম্প্রতি এ ঘরে একটি কুকুর তিনটি বাচ্চা প্রসব করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ১৩ নম্বর ঘর। তিনি সেখানে থাকেন না। এ ছাড়া আশ্রয়ণের ১৩, ১৪, ৩৬ ও ৫৪ নম্বর ঘরেও কেউ থাকেন না। এ ধাপের ৪৭ নম্বর ঘরে কেউ বসবাস না করায় এক প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি ছাগল লালনপালন করেন।
১৮ নম্বর ঘরে বসবাসকারী একজন কাঠমিস্ত্রি পাশের ১৭ নম্বর ঘরটি খালি পেয়ে প্রথম থেকে তাঁর আসবাব তৈরির কাঠগুলো সেই ঘরে রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তা ছাড়া ৩, ১২, ১৬, ২৯, ৪৯, ৫৭, ৬৫ নম্বর ঘরসহ ৩৫-৪০টি ঘর প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন।
রায়েদ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, মোট ৬৫ ঘর রয়েছে। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ, ৬ নম্বর ঘরের বাসিন্দা ইন্তাজ মিয়া, ২২ নম্বর ঘরের বাসিন্দা শামীমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দুই বছর ধরে ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭, ২৭, ২৯, ৩৫, ৩৬, ৪২, ৪৪, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪, ৫৭, ৬৫ ও ৩৮ নম্বর ঘরগুলো খালি পড়ে রয়েছে। এখানেও ২৫-২৬টি ঘর খালি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাড়ির মালিক না আসায় স্থানীয় বখাটেরা এসব ঘরে আড্ডা দেন। এখানে একটি গভীর নলকূপ এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত পানির ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৭টি ঘর রয়েছে। সেখানে ৫, ১০, ৩৪ ও ৪৭ নম্বর ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বাসিন্দা জানান, সেখানেও ১৪-১৫টি ঘর প্রথম থেকেই খালি পড়ে রয়েছে।
বারিষাব ইউনিয়নের শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর রয়েছে ৩৮টি। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা আসমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৭, ২৮ নম্বর ঘরসহ ১৫-১৬টি ঘরে কেউ কোনো দিন বসবাস করতে দেখেনি। সেখানকার ২১ নম্বর ঘরে এক প্রতিবেশী গরু পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম জানান, তিনি যোগদানের বহু আগে এসব ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা থাকেন না বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন অনেকে।
এখন শুধু দখল টিকিয়ে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে তাঁরা এসব ঘরে আসেন।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলায় পাঁচ ধাপে ২ শতাংশ জমিসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি আধাপাকা ঘর পেয়েছে ৩২৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। উপজেলার ১০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে উপকারভোগী পরিবারগুলোকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিটি ঘরে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-সংযোগ, স্থাপন করা হয়েছে নলকূপ, রিংওয়েল নলকূপ ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন। যাঁরা এই সেবার আওতায় এসেছেন, এর বাইরেও বহু গৃহহীন দরিদ্র পরিবার আছে কাপাসিয়ায়। তারপরও ২০২৩ সালের ২২ মার্চ কাপাসিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিন ধাপে ১১৪টি পরিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের বরাদ্দ পেয়েছে। এ ঘরগুলোর মাঝে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের গাড়িচালক সোহেল রানার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপের ১২ নম্বর ঘরটি। সেখানে কেউ থাকেন না। ঘরটি এখন কুকুরের দখলে। সম্প্রতি এ ঘরে একটি কুকুর তিনটি বাচ্চা প্রসব করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ১৩ নম্বর ঘর। তিনি সেখানে থাকেন না। এ ছাড়া আশ্রয়ণের ১৩, ১৪, ৩৬ ও ৫৪ নম্বর ঘরেও কেউ থাকেন না। এ ধাপের ৪৭ নম্বর ঘরে কেউ বসবাস না করায় এক প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি ছাগল লালনপালন করেন।
১৮ নম্বর ঘরে বসবাসকারী একজন কাঠমিস্ত্রি পাশের ১৭ নম্বর ঘরটি খালি পেয়ে প্রথম থেকে তাঁর আসবাব তৈরির কাঠগুলো সেই ঘরে রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তা ছাড়া ৩, ১২, ১৬, ২৯, ৪৯, ৫৭, ৬৫ নম্বর ঘরসহ ৩৫-৪০টি ঘর প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন।
রায়েদ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, মোট ৬৫ ঘর রয়েছে। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ, ৬ নম্বর ঘরের বাসিন্দা ইন্তাজ মিয়া, ২২ নম্বর ঘরের বাসিন্দা শামীমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দুই বছর ধরে ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭, ২৭, ২৯, ৩৫, ৩৬, ৪২, ৪৪, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫৩, ৫৪, ৫৭, ৬৫ ও ৩৮ নম্বর ঘরগুলো খালি পড়ে রয়েছে। এখানেও ২৫-২৬টি ঘর খালি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাড়ির মালিক না আসায় স্থানীয় বখাটেরা এসব ঘরে আড্ডা দেন। এখানে একটি গভীর নলকূপ এবং তার সঙ্গে সংযুক্ত পানির ট্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।
উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪৭টি ঘর রয়েছে। সেখানে ৫, ১০, ৩৪ ও ৪৭ নম্বর ঘরগুলো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বাসিন্দা জানান, সেখানেও ১৪-১৫টি ঘর প্রথম থেকেই খালি পড়ে রয়েছে।
বারিষাব ইউনিয়নের শ্যামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর রয়েছে ৩৮টি। সেখানকার ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা আসমাসহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৭, ২৮ নম্বর ঘরসহ ১৫-১৬টি ঘরে কেউ কোনো দিন বসবাস করতে দেখেনি। সেখানকার ২১ নম্বর ঘরে এক প্রতিবেশী গরু পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম জানান, তিনি যোগদানের বহু আগে এসব ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা থাকেন না বলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
৩০ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
৩০ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
৩০ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ধোঁয়া দেখে আগুন লাগার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। পরে নির্বাচন অফিসের প্রহরী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভান।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু দাউদ জানান, আগুনে কিছু নথি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্টোররুমের পেছনের জানালার পাশ থেকে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ধোঁয়া দেখে আগুন লাগার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। পরে নির্বাচন অফিসের প্রহরী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভান।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু দাউদ জানান, আগুনে কিছু নথি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্টোররুমের পেছনের জানালার পাশ থেকে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
৩০ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে