Ajker Patrika

হাসিনার ফোনালাপ: ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এখন কোথায়, যা বলছেন স্থানীয় নেতা–কর্মীরা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
শেখ হাসিনা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের নামে একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের নামে একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র–জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতের আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার পর একবার বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নেতা–কর্মীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বেশ কয়েকটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এসব ফোনালাপের সত্যতা কোনো স্বাধীন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কথা বলা হয়েছে। ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে এ ব্যাপারে সতর্কও করা হয়েছে। 

এমনই একটি ৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ফোনালাপ দুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার মতো কণ্ঠস্বরকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তোমাদের বাড়ি ঘরে যারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের বাড়ি ঘর নেই। সব কথা কি বলে দিতে হয়?’

ফোনকলের অন্য প্রান্তের ব্যক্তিকে নিজেকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুল বলে পরিচয় দিয়েছেন। স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফোনালাপের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে শাকিলের কণ্ঠস্বরের মিল রয়েছে। 

শাকিল ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে। তিনি বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন সেটি জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকা। 

ফোনালাপে শেখ হাসিনার সদৃশ কণ্ঠ বলেন, ‘যারা এখন বেশি বেশি বাড়াবাড়ি করছে। বেশি ভালো থাকবেন না আপনি। দেখো ডিসেম্বর পর্যন্ত তোদের ওই শক্ররা টেকে কিনা। কাওকে পালাতে দেওয়া হবে না। যে কয়টা নাফরমানি করছে তাদের একটাও অস্ত্র থাকবে না।’ 

এ সময় অন্য প্রান্ত থেকে বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার কথায় আমরা ভরসা রাখছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘একদম একদম।’ তখন অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলেন, ‘আপনি একটু মাথা ঠান্ডা রেখে, আপনার কৌশলে এগোন নেত্রী। তবে সবাইকে সব কাজ বরাদ্দ রেখে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি সবাইকে বলছি, তোমরা শুধু দুই মাস অপেক্ষা করো। কিছু বলো না।’ 

স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বিষোদ্‌গার করে বলেন, ‘ওরা ফেল করবে, আর আমরা যদি কিছু করি, তখন বলবে আমাদের জন্য করতে পারে নাই। সেটা আর বলার মুখ নেই। জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাবেও। ওই যে সুদ খোর ইউনূসের গুটি গুটি চেহারা...।’ 

অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, অলরেডি বাংলার মানুষ বুঝে গেছে। মানুষ ভয়তেই কেউ মুখ খুলতে পারছে না।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এখন ওদের ভয় দিতে হবে।’ 

এ সময় অপর প্রান্তের ব্যক্তি তাঁর ও গোবিন্দগঞ্জের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ জানান। তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘না আমি একটা কথা আমি বলি, তোমাদের বাড়ি পোড়াই দিছে কে?’ শাকিল বলেন, ‘ওরাই নেত্রী, জামায়াত–বিএনপি সবাই।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ঘর-বাড়ি নেই? সবকিছু কি প্রকাশ্যে করতে হয়! তোমাদের নাই, তাহলে কারও কারও ঘর-বাড়ি থাকবে না।’ 

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাকিল এরপর গোবিন্দগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সেক্রেটারির নামে কোনো মামলা না হওয়া ও তাঁদের বাড়িঘর অক্ষত থাকার কথা জানান। তবে শেখ হাসিনা এর ব্যাখ্যা বলেন, ‘শোনো ওরা দেখে যেগুলি পটেনশিয়াল, যে গুলি দেখে একেবারেই শক্ত তাদের ওরা তালিকা করে।’ 

নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মামলা, আমার তো শুধু গোবিন্দগঞ্জ না, আমার তো সারা বাংলাদেশে ২২৭টি মার্ডার কেস। আমি বলছি সবাই তালিকা করো। তোমরাও তালিকা করো। ২২৭ মার্ডার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এক মামলায় যে শাস্তি শোয়া দুইশ মামলায় একই শাস্তি। তাই না। জ্বি ঠিক আছে সেই শাস্তি নিব। তার আগে শোয়া দুইশ হিসাব করে নিব। এটা যেন মাথায় থাকে!’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকিল আলম বুলবুল সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের ঘনিষ্ঠ। এমপিই তাঁকে সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান থাকাকালে শাকিল বিভিন্ন ধর্মীয় কাজের নামে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি। 

সাঁওতালদের জমি জমা নিয়ে বিরোধে তৎকালীন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ডকে আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে শাকিলই হত্যা করেন অভিযোগ রয়েছে। 

২০১৬ সালের গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লিতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর তিনজনকে হত্যার পেছনেও আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান ও শাকিল আলম বুলবুলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

সাঁওতাল হত্যা মামলার চার্জশিট ভুক্ত ৯০ নম্বর আসামি শাকিল আলম বুলবুল। 

এদিকে ৫ আগস্টের পর থেকেই সাবেক আবুল কালাম আজাদ ও শাকিলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো নেতা–কর্মীর সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করছেন না। তাঁদের ব্যবহৃত ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের এক সহ–সভাপতি বলেন, ‘ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি শাকিল আলম বুলবুলের। বুলবুলসহ সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ দুজনই ভারতে পালিয়ে গেছেন। তিনি নিরাপদে থেকে নেত্রীর কাছে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি চাচ্ছেন উপজেলায় যেসব আসামি আছে তারাও বিপদে পড়ুক। নিজেরা ক্ষমতায় থাকায় সময় হাজার হাজার কোটি টাকায় কামাই করে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে আছেন। তিনি চাচ্ছেন, আওয়ামী লীগের সবাই যেন জনরোষে পড়ে। এসব নেতার কারণেই আজ দেশে আওয়ামী লীগের এমন অবস্থা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতি মিয়া (৬৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতি মিয়া ও তাঁর ছেলে ফারুক মিয়া দুজনেই শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় থাকতেন এবং মতি মিয়া ওই এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করতেন। ফারুক মিয়া সাধারণত ঢাকায় কাজ করলেও গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শিবচরে তাঁর বাবার কাছে আসেন এবং বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা মতি মিয়ার সঙ্গে ছেলে ফারুক মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এই বিরোধের জেরে রাত ১২টার দিকে বাবা মতি মিয়া ঘুমিয়ে থাকলে ছেলে ফারুক মিয়া তাঁকে কোদাল (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ছেলে ফারুক মিয়া লাশের পাশেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে আটক করে।

স্থানীয়দের ধারণা, ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়।’ তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত মতি মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে প্রবর্তনার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল স্কুলবাস

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড়ে সারমানো সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের পাশে পার্কিং করে রাখা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন দেয়।

খবর পেয়ে শিবালয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে বাসটির আংশিক অংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল ৬টার দিকে উথুলী মোড় থেকে গিলন্ড পর্যন্ত ওই বাসে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করা হয়। প্রতিদিনের মতো রোববারও বাসটি উথুলী মোড়ে পার্কিং করে রাখা ছিল। সন্ধ্যার পর কে বা কারা বাসটিতে আগুন দেয়, তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কে বা কারা এ অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তা উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলতে বাধা, নিজের ঘরেই আগুন দিলেন যুবক

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৯
আগুনে পুড়ছে বসতঘর। ছবি: সংগৃহীত
আগুনে পুড়ছে বসতঘর। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিজ বসতঘরে তুলতে না পারায় নিজের বসতঘর আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওমর ফারুক খবির (৩৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর ঘোড়ামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঘরসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ফার্নিচার পুড়ে গেছে।

ওমর ফারুকের ভুক্তভোগী স্ত্রী সোনিয়া বেগমের (বর্তমানে সাবেক স্ত্রী) অভিযোগ, কয়েক মাস আগে তাঁর স্বামী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ওই মেয়েকে বিয়ে না করেই বাড়িতে রাখার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ঝগড়াবিবাদ হলে স্থানীয়ভাবে সালিসে বিষয়টি মীমাংসা হয়। পরে খবির তাঁকে না জানিয়ে অন্য এলাকায় গিয়ে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পর সোনিয়াকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। সোনিয়াকে ডিভোর্স দিলেও তিনি সন্তান নিয়ে ওই বাড়িতেই বসবাস করছিলেন।

সোনিয়া বেগম বলেন, ‘আমাকে ও সন্তানদের সুখে থাকতে দেবে না বলে হুমকি দিত সে। এমনকি আগুনে পুড়িয়ে মারবে বলেছিল। ঘটনার রাতে সৌভাগ্যক্রমে আমি বোনের বাড়িতে ছিলাম। তাই প্রাণে বেঁচে গেছি।’

স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেন, তবে ততক্ষণে ঘরসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

সিরাজদিখান ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আরিফ আনোয়ার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, পছন্দের নারীকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতে না পারার ক্ষোভেই ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত