সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি

বিগত ২০১৬ সালের ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সামছুদ্দিন খোকনের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দিনদুপুরে গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন শিপন (২০)। উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁ বাজার হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—গুলিতে হত্যার পর পরিবারকে উল্টো হয়রানি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মামলা না নিয়ে উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে নিহতের আত্মীয়সহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে বাধাদানের মামলা করে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ হয়ে পড়েছেন বাবা।
পুলিশের সেই মামলায় আসামি করা হয় নিহত শিপনের মামা ফকির আহম্মদ এবং স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা বাবুল কোম্পানিকে। তাঁরা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মিলনের ভাড়া করা লোকজনই গুলি করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে আবার মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমরা একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে, কোন প্রক্রিয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
তৎকালীন চরচান্দিয়ার বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সামছুদ্দিন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের দিন সকালেই আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি আওয়ামী লীগের লোকজন কেন্দ্রগুলো দখল করে নিচ্ছে। আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। নুর হোসেন শিপন যুবদলের সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে নিহত হন। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে তাঁর বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। পরিবারের বিভিন্ন সময় খোঁজখবর নিয়েছি। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলব।’
রোববার (১৩ অক্টোবর) সরেজমিনে নিহত শিপনের পরিবারের খোঁজখবর নিতে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁর দোকান সংলগ্ন কোরবান আলী বাড়িতে গেলে জানা যায়, একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোক সইতে না পেরে শিপনের বাবা করিমুল হক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। এদিকে পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে চরম দুঃখ-দুর্দশায় দিনাপাতিত করছেন মা রহিমা খাতুন। তাঁদের থাকার ঘরটির অবস্থা নড়বড়ে। বৃষ্টির সময় টিনের চালা বেয়ে ভেতরে পানি পড়ে। খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটছে পরিবারের মানুষগুলোর।
নিহত নুর হোসেন শিপনের মা রহিমা খাতুন বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে আমার স্বামী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। একদিকে ছেলে হারানোর শোক অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকিতে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে কেটেছে বিগত ৯ বছর। বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় খোঁজখবর নিলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অনুদান পাইনি। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করব, আমাদের এই দুর্দশা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করুন। আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যে দু’মুঠো ডাল ভাত খাওয়ার মতো একটা ব্যবস্থা করে দিন। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাঁদের বিচার যাতে হয় আপনারা সহযোগিতা করুন।’
চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সেই সময়কার যুবদলের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘বিএনপি করার অপরাধেই শিপনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তাঁর জানাজা ও লাশ দাফনে পর্যন্ত বাধা দিয়েছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য এস্কান্দার রকি বলেন, ‘শিপনকে হত্যার পর তাঁদের পরিবার অত্যন্ত অসহায় হয়ে যায়। শিপনের বাবাও অসুস্থ হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানসহ হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঞাঁ বলেন, ‘এরা বিএনপি পরিবার। বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারণেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা তাঁদের সহযোগিতা করব।’
এদিকে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে তৎকালীন চরচান্দিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মিলন দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিগত ২০১৬ সালের ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সামছুদ্দিন খোকনের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দিনদুপুরে গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন শিপন (২০)। উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁ বাজার হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—গুলিতে হত্যার পর পরিবারকে উল্টো হয়রানি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মামলা না নিয়ে উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে নিহতের আত্মীয়সহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে বাধাদানের মামলা করে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ হয়ে পড়েছেন বাবা।
পুলিশের সেই মামলায় আসামি করা হয় নিহত শিপনের মামা ফকির আহম্মদ এবং স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা বাবুল কোম্পানিকে। তাঁরা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মিলনের ভাড়া করা লোকজনই গুলি করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে আবার মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমরা একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে, কোন প্রক্রিয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
তৎকালীন চরচান্দিয়ার বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সামছুদ্দিন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের দিন সকালেই আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি আওয়ামী লীগের লোকজন কেন্দ্রগুলো দখল করে নিচ্ছে। আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। নুর হোসেন শিপন যুবদলের সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে নিহত হন। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে তাঁর বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। পরিবারের বিভিন্ন সময় খোঁজখবর নিয়েছি। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলব।’
রোববার (১৩ অক্টোবর) সরেজমিনে নিহত শিপনের পরিবারের খোঁজখবর নিতে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁর দোকান সংলগ্ন কোরবান আলী বাড়িতে গেলে জানা যায়, একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোক সইতে না পেরে শিপনের বাবা করিমুল হক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। এদিকে পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে চরম দুঃখ-দুর্দশায় দিনাপাতিত করছেন মা রহিমা খাতুন। তাঁদের থাকার ঘরটির অবস্থা নড়বড়ে। বৃষ্টির সময় টিনের চালা বেয়ে ভেতরে পানি পড়ে। খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটছে পরিবারের মানুষগুলোর।
নিহত নুর হোসেন শিপনের মা রহিমা খাতুন বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে আমার স্বামী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। একদিকে ছেলে হারানোর শোক অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকিতে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে কেটেছে বিগত ৯ বছর। বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় খোঁজখবর নিলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অনুদান পাইনি। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করব, আমাদের এই দুর্দশা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করুন। আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যে দু’মুঠো ডাল ভাত খাওয়ার মতো একটা ব্যবস্থা করে দিন। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাঁদের বিচার যাতে হয় আপনারা সহযোগিতা করুন।’
চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সেই সময়কার যুবদলের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘বিএনপি করার অপরাধেই শিপনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তাঁর জানাজা ও লাশ দাফনে পর্যন্ত বাধা দিয়েছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য এস্কান্দার রকি বলেন, ‘শিপনকে হত্যার পর তাঁদের পরিবার অত্যন্ত অসহায় হয়ে যায়। শিপনের বাবাও অসুস্থ হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানসহ হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঞাঁ বলেন, ‘এরা বিএনপি পরিবার। বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারণেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা তাঁদের সহযোগিতা করব।’
এদিকে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে তৎকালীন চরচান্দিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মিলন দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি

বিগত ২০১৬ সালের ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সামছুদ্দিন খোকনের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দিনদুপুরে গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন শিপন (২০)। উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁ বাজার হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—গুলিতে হত্যার পর পরিবারকে উল্টো হয়রানি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মামলা না নিয়ে উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে নিহতের আত্মীয়সহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে বাধাদানের মামলা করে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ হয়ে পড়েছেন বাবা।
পুলিশের সেই মামলায় আসামি করা হয় নিহত শিপনের মামা ফকির আহম্মদ এবং স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা বাবুল কোম্পানিকে। তাঁরা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মিলনের ভাড়া করা লোকজনই গুলি করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে আবার মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমরা একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে, কোন প্রক্রিয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
তৎকালীন চরচান্দিয়ার বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সামছুদ্দিন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের দিন সকালেই আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি আওয়ামী লীগের লোকজন কেন্দ্রগুলো দখল করে নিচ্ছে। আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। নুর হোসেন শিপন যুবদলের সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে নিহত হন। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে তাঁর বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। পরিবারের বিভিন্ন সময় খোঁজখবর নিয়েছি। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলব।’
রোববার (১৩ অক্টোবর) সরেজমিনে নিহত শিপনের পরিবারের খোঁজখবর নিতে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁর দোকান সংলগ্ন কোরবান আলী বাড়িতে গেলে জানা যায়, একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোক সইতে না পেরে শিপনের বাবা করিমুল হক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। এদিকে পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে চরম দুঃখ-দুর্দশায় দিনাপাতিত করছেন মা রহিমা খাতুন। তাঁদের থাকার ঘরটির অবস্থা নড়বড়ে। বৃষ্টির সময় টিনের চালা বেয়ে ভেতরে পানি পড়ে। খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটছে পরিবারের মানুষগুলোর।
নিহত নুর হোসেন শিপনের মা রহিমা খাতুন বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে আমার স্বামী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। একদিকে ছেলে হারানোর শোক অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকিতে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে কেটেছে বিগত ৯ বছর। বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় খোঁজখবর নিলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অনুদান পাইনি। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করব, আমাদের এই দুর্দশা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করুন। আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যে দু’মুঠো ডাল ভাত খাওয়ার মতো একটা ব্যবস্থা করে দিন। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাঁদের বিচার যাতে হয় আপনারা সহযোগিতা করুন।’
চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সেই সময়কার যুবদলের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘বিএনপি করার অপরাধেই শিপনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তাঁর জানাজা ও লাশ দাফনে পর্যন্ত বাধা দিয়েছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য এস্কান্দার রকি বলেন, ‘শিপনকে হত্যার পর তাঁদের পরিবার অত্যন্ত অসহায় হয়ে যায়। শিপনের বাবাও অসুস্থ হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানসহ হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঞাঁ বলেন, ‘এরা বিএনপি পরিবার। বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারণেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা তাঁদের সহযোগিতা করব।’
এদিকে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে তৎকালীন চরচান্দিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মিলন দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিগত ২০১৬ সালের ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সামছুদ্দিন খোকনের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দিনদুপুরে গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন শিপন (২০)। উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁ বাজার হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—গুলিতে হত্যার পর পরিবারকে উল্টো হয়রানি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মামলা না নিয়ে উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে নিহতের আত্মীয়সহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্রে বাধাদানের মামলা করে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ হয়ে পড়েছেন বাবা।
পুলিশের সেই মামলায় আসামি করা হয় নিহত শিপনের মামা ফকির আহম্মদ এবং স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা বাবুল কোম্পানিকে। তাঁরা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মিলনের ভাড়া করা লোকজনই গুলি করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে আবার মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমরা একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে, কোন প্রক্রিয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
তৎকালীন চরচান্দিয়ার বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সামছুদ্দিন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের দিন সকালেই আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি আওয়ামী লীগের লোকজন কেন্দ্রগুলো দখল করে নিচ্ছে। আমি নিজেও ভোট দিতে পারিনি। নুর হোসেন শিপন যুবদলের সমর্থক ছিলেন। তিনি কেন্দ্রে নিহত হন। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে তাঁর বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। পরিবারের বিভিন্ন সময় খোঁজখবর নিয়েছি। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলব।’
রোববার (১৩ অক্টোবর) সরেজমিনে নিহত শিপনের পরিবারের খোঁজখবর নিতে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁর দোকান সংলগ্ন কোরবান আলী বাড়িতে গেলে জানা যায়, একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোক সইতে না পেরে শিপনের বাবা করিমুল হক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। এদিকে পরিবারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে চরম দুঃখ-দুর্দশায় দিনাপাতিত করছেন মা রহিমা খাতুন। তাঁদের থাকার ঘরটির অবস্থা নড়বড়ে। বৃষ্টির সময় টিনের চালা বেয়ে ভেতরে পানি পড়ে। খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটছে পরিবারের মানুষগুলোর।
নিহত নুর হোসেন শিপনের মা রহিমা খাতুন বলেন, ‘একমাত্র ছেলেকে হারানোর শোকে আমার স্বামী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। একদিকে ছেলে হারানোর শোক অন্যদিকে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকিতে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে কেটেছে বিগত ৯ বছর। বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় খোঁজখবর নিলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অনুদান পাইনি। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করব, আমাদের এই দুর্দশা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করুন। আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যে দু’মুঠো ডাল ভাত খাওয়ার মতো একটা ব্যবস্থা করে দিন। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাঁদের বিচার যাতে হয় আপনারা সহযোগিতা করুন।’
চরচান্দিয়া ইউনিয়নের সেই সময়কার যুবদলের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘বিএনপি করার অপরাধেই শিপনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তাঁর জানাজা ও লাশ দাফনে পর্যন্ত বাধা দিয়েছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য এস্কান্দার রকি বলেন, ‘শিপনকে হত্যার পর তাঁদের পরিবার অত্যন্ত অসহায় হয়ে যায়। শিপনের বাবাও অসুস্থ হয়ে যায়। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানসহ হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভূঞাঁ বলেন, ‘এরা বিএনপি পরিবার। বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কারণেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা তাঁদের সহযোগিতা করব।’
এদিকে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে তৎকালীন চরচান্দিয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মিলন দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি ও চিরিরবন্দর সংবাদদাতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

বিগত ২০১৬ সালের ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দিনদুপুরে গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন শিপন (২০)। উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁ বাজার হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—গুলিতে হত্যার পর পরিবারকে উল্টো
১৪ অক্টোবর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেসাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

বিগত ২০১৬ সালের ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দিনদুপুরে গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন শিপন (২০)। উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁ বাজার হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—গুলিতে হত্যার পর পরিবারকে উল্টো
১৪ অক্টোবর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

বিগত ২০১৬ সালের ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দিনদুপুরে গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন শিপন (২০)। উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁ বাজার হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—গুলিতে হত্যার পর পরিবারকে উল্টো
১৪ অক্টোবর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

বিগত ২০১৬ সালের ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে দিনদুপুরে গুলিতে নিহত হন নুর হোসেন শিপন (২০)। উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞাঁ বাজার হাজী তোফায়েল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—গুলিতে হত্যার পর পরিবারকে উল্টো
১৪ অক্টোবর ২০২৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
২ ঘণ্টা আগে