ফরিদপুর প্রতিনিধি
‘আপনি স্বতন্ত্র লীগ–নাকি লীগ, সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু কেন এই ষড়যন্ত্র, কী অন্যায় করেছি আমি। আমার বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার কেন।’ আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর-৩ আসনে (সদর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে এভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর উদ্দেশ্যে একের পর এক প্রশ্নের তির ছোড়েন।
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রথমে নির্বাচন কমিশন ও পরে হাইকোর্টের রায়ে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আজ (মঙ্গলবার) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে তাঁর প্রার্থিতা বহালের আদেশ দেন।
এরপর সন্ধ্যায় তিনি ফরিদপুরের নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফিরে আসেন। এর আগে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ নির্বাচন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ আনেন।
শামীম হক বলেন, ‘আপনি স্বতন্ত্র লীগ–নাকি লীগ, সেটা আপনার ব্যাপার, সমস্যা নাই। কিন্তু কেন এই ষড়যন্ত্র, কী অন্যায় করেছি আমি। আমার বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার কেন, আমি কী করেছি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দশ দিন আমার ঘুম নষ্ট করছেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী ফোন দেওয়ার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েছে, আমাদের কী হবে। এই ষড়যন্ত্র কেন করলেন? আপনি শেখ হাসিনার কর্মীদের চেনেন না। ষড়যন্ত্রের সমস্ত লাল-নীল ফিতা দেখেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে অপমানিত করবেন না, তাঁদের নিয়ে মিথ্যাচার করবেন না, অবমূল্যায়ন করবেন না। এতে বঙ্গবন্ধুর অবমূল্যায়ন করা হয়।’
একে আজাদকে উদ্দেশ করে শামীম হক বলেন, ‘আপনি কে? আপনি কোথা থেকে এসেছেন? কিছু পয়সাই না হয়েছে। আমার কথা কি জানেন, আমি কে। কয়দিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন। আপনাকে কি আমি চিনি না। ৭৩ সাল থেকে শুরু করেছেন, কিছু করতে পারেন নাই।’
ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে এসেছে আমার ছোট ভাই (একে আজাদ)। এর আগেও উনি নির্বাচন করেছেন। এখন এসেছেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। আমার ছোট ভাইয়ের আশা যেন পূর্ণ হয়। নির্বাচনে এই ফরিদপুরের জনগণ যাঁকে ভোট দেবেন, সেই নির্বাচিত হবেন।’
শামীম হক বলেন, ‘আমি তাঁকে আগেই বলেছিলাম, আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেছি। এগুলো করার দরকার কী। আমাকে বলল, পলিটিকস, পলিটিকস, পলিটিকস...। আজ তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আজ সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন, আমি শামীম হকই সত্য। ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা আজ পরাজিত হয়েছে।’
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এই ষড়যন্ত্রের উত্তর আপনারা দেবেন ৭ তারিখ ভোটের মাধ্যমে। কোনো ধরনের হুমকি-ধমকি দেবেন না, যদি কেউ করেন নিজ দায়িত্বে করবেন। এ জন্য শামীম হক বা জেলা আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গসংগঠন দায়িত্ব নেবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে শামীম হক বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ করে, যার বুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়েছে, সে কখনো নৌকার বাইরে ভোট দিতে পারে না। আমি বলব না নৌকার বিরুদ্ধে গেছেন, হয়তো আমার ওপরে রাগ-অভিমান করে গেছেন। আমি জানি, আপনারা ফিরে আসবেন। সবাই তো বলেছিলেন, নেত্রী যাকে নৌকা দেবে আমরা তার পক্ষে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হয়েছে, আমরা তো সবাইকে পদ দিতে পারি নাই। সব সিদ্ধান্তই কেন্দ্র থেকে আসে। আমরা তো কেন্দ্রের কথা মানি ও শুনি। আমাদের দোষটা কী। এ জন্য কি আমার ওপর এত অত্যাচার, এত রাগ। কেন, কী কারণে, আমার ওপরে ষড়যন্ত্র কেন।’
সমাবেশ শেষে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, অনিমেষ রায়, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছির, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘আপনি স্বতন্ত্র লীগ–নাকি লীগ, সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু কেন এই ষড়যন্ত্র, কী অন্যায় করেছি আমি। আমার বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার কেন।’ আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর-৩ আসনে (সদর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে এভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর উদ্দেশ্যে একের পর এক প্রশ্নের তির ছোড়েন।
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রথমে নির্বাচন কমিশন ও পরে হাইকোর্টের রায়ে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আজ (মঙ্গলবার) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে তাঁর প্রার্থিতা বহালের আদেশ দেন।
এরপর সন্ধ্যায় তিনি ফরিদপুরের নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফিরে আসেন। এর আগে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ নির্বাচন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ আনেন।
শামীম হক বলেন, ‘আপনি স্বতন্ত্র লীগ–নাকি লীগ, সেটা আপনার ব্যাপার, সমস্যা নাই। কিন্তু কেন এই ষড়যন্ত্র, কী অন্যায় করেছি আমি। আমার বিরুদ্ধে এত মিথ্যাচার কেন, আমি কী করেছি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘দশ দিন আমার ঘুম নষ্ট করছেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী ফোন দেওয়ার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েছে, আমাদের কী হবে। এই ষড়যন্ত্র কেন করলেন? আপনি শেখ হাসিনার কর্মীদের চেনেন না। ষড়যন্ত্রের সমস্ত লাল-নীল ফিতা দেখেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে অপমানিত করবেন না, তাঁদের নিয়ে মিথ্যাচার করবেন না, অবমূল্যায়ন করবেন না। এতে বঙ্গবন্ধুর অবমূল্যায়ন করা হয়।’
একে আজাদকে উদ্দেশ করে শামীম হক বলেন, ‘আপনি কে? আপনি কোথা থেকে এসেছেন? কিছু পয়সাই না হয়েছে। আমার কথা কি জানেন, আমি কে। কয়দিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন। আপনাকে কি আমি চিনি না। ৭৩ সাল থেকে শুরু করেছেন, কিছু করতে পারেন নাই।’
ষড়যন্ত্রকারীরা পরাজিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে এসেছে আমার ছোট ভাই (একে আজাদ)। এর আগেও উনি নির্বাচন করেছেন। এখন এসেছেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। আমার ছোট ভাইয়ের আশা যেন পূর্ণ হয়। নির্বাচনে এই ফরিদপুরের জনগণ যাঁকে ভোট দেবেন, সেই নির্বাচিত হবেন।’
শামীম হক বলেন, ‘আমি তাঁকে আগেই বলেছিলাম, আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেছি। এগুলো করার দরকার কী। আমাকে বলল, পলিটিকস, পলিটিকস, পলিটিকস...। আজ তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আজ সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন, আমি শামীম হকই সত্য। ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা আজ পরাজিত হয়েছে।’
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এই ষড়যন্ত্রের উত্তর আপনারা দেবেন ৭ তারিখ ভোটের মাধ্যমে। কোনো ধরনের হুমকি-ধমকি দেবেন না, যদি কেউ করেন নিজ দায়িত্বে করবেন। এ জন্য শামীম হক বা জেলা আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গসংগঠন দায়িত্ব নেবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে শামীম হক বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ করে, যার বুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়েছে, সে কখনো নৌকার বাইরে ভোট দিতে পারে না। আমি বলব না নৌকার বিরুদ্ধে গেছেন, হয়তো আমার ওপরে রাগ-অভিমান করে গেছেন। আমি জানি, আপনারা ফিরে আসবেন। সবাই তো বলেছিলেন, নেত্রী যাকে নৌকা দেবে আমরা তার পক্ষে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হয়েছে, আমরা তো সবাইকে পদ দিতে পারি নাই। সব সিদ্ধান্তই কেন্দ্র থেকে আসে। আমরা তো কেন্দ্রের কথা মানি ও শুনি। আমাদের দোষটা কী। এ জন্য কি আমার ওপর এত অত্যাচার, এত রাগ। কেন, কী কারণে, আমার ওপরে ষড়যন্ত্র কেন।’
সমাবেশ শেষে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, অনিমেষ রায়, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছির, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় বর্তমানে সুশাসন, অর্থনীতি ও নীতিগত সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুশাসন ও কার্যকর নীতির সংস্কার ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন
২ মিনিট আগেগত ৫ আগস্ট খুলনায় রেডিও সেন্টার থেকে লুট হওয়া ৪১টি চায়নিজ রাইফেলের তাজা গুলি ও ৪টি চায়নিজ রাইফেলের চার্জারসহ দুজনকে আটক করেছে কেএমপির ডিবি পুলিশ।
৭ মিনিট আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশকে বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে করণীয় কিছু নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির উপসচিব রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
১৭ মিনিট আগেসামনে জাতীয় নির্বাচন, একে সামনে রেখে এখন থেকে আপনাকে সারাদেশে অবহেলিত বঞ্চিত নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, তা না হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আমাদেরকে বড় ধরনের মাসুল দিতে হতে পারে। তাই আপনার কাছে একটা বিশেষ অনুরোধ আপনি যত দ্রুত সম্ভব সারা দেশ
৩৪ মিনিট আগে