ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনেই বিরাজমান অস্থিরতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন।
আজ বুধবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের শামীম হকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগ এবং একই সময়ে শহরের ঝিলটুলীতে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষ থেকে ২৩টি সহিংস ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর করা অভিযোগ তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের শামীম হক।
তিনি বলেন, ‘এ কে আজাদ ও তার সমর্থকেরা বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভ্যন্তরীণ দায়ভার আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর চাপানো এবং নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা করছেন।’
শামীম হক বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকার প্রচার-প্রচারণা ও পোস্টার লাগানোর সময় তাঁর কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করেন। এ ছাড়া মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে এ কে আজাদ ও তাঁর সমর্থকেরা নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করছে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব গুজব-মিথ্যা প্রচারকারীদের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ২৩ ডিসেম্বর মামুদপুরে শওকতসহ তাঁর তিন ভাইকে, ২৫ ডিসেম্বর ঈশান গোপালপুরের বিষ্ণুপুরে কামরুল ও সেলিমকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। ২৩ ডিসেম্বর রাতে বাইপাস সড়কে, ২৬ ডিসেম্বর খাবাসপুরে নৌকার প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ দাবি করেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে তাঁর নেতা-কর্মীদের ওপর ৯ দিনে ১৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নেতা-কর্মীদের মারধর, ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন, প্রচারণায় বাধা, হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা ও ১৩টি জিডি হয়েছে কোতোয়ালি থানায়।
তিনি বলেন, ‘আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গত কয়েক দিনে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক, নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঈশান গোপালপুরে দুই দফা, গেরদা, মাহমুদপুর, কানাইপুরসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম গঙ্গাবর্দী ও টেপাখোলায় ঈগলের ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আব্দুর রহমান ঝনকের অবস্থা সংকটাপন্ন, সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগ দেওয়ার পরে হামলার ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।’
শামীম হকের এসব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। তাঁরা হলেন জেলা শ্রমিক লীগে সভাপতি গোয়ালচামট এলাকার গোলাম মো. নাছির, আলিয়াবাদের তোফাজ্জেল হোসেন সম্রাট, চরকমলাপুরের মোবারক খলিফা। এ ছাড়া অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি ডিআইবি বটতলার হেলমেট বাহিনীর প্রধান তরিকুল ইসলাম নাসিম, শোভারামপুরের ফাহাব বিন ওয়াজেদ ফাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জনি, হাত কাটা আক্তার, শাহীন মোল্যা, এজাজ খান, শওকত হোসেন ওরফে সাকো, শোয়ানুর রহমান শোহাগ, রাকিবুর রহমান রাকিব, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু ও ডিক্রিরচরের আনোয়ার হোসেন আবু ফকির।
দিন দিন নির্বাচনের পরিবেশ ভয়াবহ হচ্ছে উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ওনার (শামীম হক) দুইটা দায়িত্ব। যার মধ্যে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আনার তাঁর কাজ। উনি তো আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। ইসির নির্দেশনায় প্রার্থিতা বাতিলের যত নিয়ম রয়েছে, উনি সবগুলো করেছেন। বিষয়গুলো তুলে ধরে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আমি ইসিতে আবেদন করব।’

ফরিদপুর-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনেই বিরাজমান অস্থিরতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন।
আজ বুধবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের শামীম হকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগ এবং একই সময়ে শহরের ঝিলটুলীতে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষ থেকে ২৩টি সহিংস ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর করা অভিযোগ তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে দাবি করেছেন নৌকা প্রতীকের শামীম হক।
তিনি বলেন, ‘এ কে আজাদ ও তার সমর্থকেরা বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভ্যন্তরীণ দায়ভার আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর চাপানো এবং নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা করছেন।’
শামীম হক বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকার প্রচার-প্রচারণা ও পোস্টার লাগানোর সময় তাঁর কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করেন। এ ছাড়া মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে এ কে আজাদ ও তাঁর সমর্থকেরা নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করছে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব গুজব-মিথ্যা প্রচারকারীদের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ২৩ ডিসেম্বর মামুদপুরে শওকতসহ তাঁর তিন ভাইকে, ২৫ ডিসেম্বর ঈশান গোপালপুরের বিষ্ণুপুরে কামরুল ও সেলিমকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। ২৩ ডিসেম্বর রাতে বাইপাস সড়কে, ২৬ ডিসেম্বর খাবাসপুরে নৌকার প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ দাবি করেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে তাঁর নেতা-কর্মীদের ওপর ৯ দিনে ১৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নেতা-কর্মীদের মারধর, ক্যাম্প ভাঙচুর ও আগুন, প্রচারণায় বাধা, হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা ও ১৩টি জিডি হয়েছে কোতোয়ালি থানায়।
তিনি বলেন, ‘আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গত কয়েক দিনে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থক, নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঈশান গোপালপুরে দুই দফা, গেরদা, মাহমুদপুর, কানাইপুরসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম গঙ্গাবর্দী ও টেপাখোলায় ঈগলের ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আব্দুর রহমান ঝনকের অবস্থা সংকটাপন্ন, সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগ দেওয়ার পরে হামলার ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।’
শামীম হকের এসব কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। তাঁরা হলেন জেলা শ্রমিক লীগে সভাপতি গোয়ালচামট এলাকার গোলাম মো. নাছির, আলিয়াবাদের তোফাজ্জেল হোসেন সম্রাট, চরকমলাপুরের মোবারক খলিফা। এ ছাড়া অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি ডিআইবি বটতলার হেলমেট বাহিনীর প্রধান তরিকুল ইসলাম নাসিম, শোভারামপুরের ফাহাব বিন ওয়াজেদ ফাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জনি, হাত কাটা আক্তার, শাহীন মোল্যা, এজাজ খান, শওকত হোসেন ওরফে সাকো, শোয়ানুর রহমান শোহাগ, রাকিবুর রহমান রাকিব, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু ও ডিক্রিরচরের আনোয়ার হোসেন আবু ফকির।
দিন দিন নির্বাচনের পরিবেশ ভয়াবহ হচ্ছে উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ওনার (শামীম হক) দুইটা দায়িত্ব। যার মধ্যে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আনার তাঁর কাজ। উনি তো আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। ইসির নির্দেশনায় প্রার্থিতা বাতিলের যত নিয়ম রয়েছে, উনি সবগুলো করেছেন। বিষয়গুলো তুলে ধরে তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আমি ইসিতে আবেদন করব।’

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
২৩ মিনিট আগে
একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
২৯ মিনিট আগে
খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
৩৪ মিনিট আগে
আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
৩৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে চারুকলা অনুষদ, হাইকোর্টসংলগ্ন কার্জন হল গেট, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ পাঁচটি একাডেমিক স্থাপনায় তালা ঝোলানো হয় বলে জানা যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা খুলে ফেলে।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তালা লাগিয়েছে ৩টা ৩৭ মিনিটের দিকে, জানার পরেই আমার টিম ৪টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিটের (তখনই) মধ্যে তালা ভেঙে ফেলে। ছবি ও সিসিটিভি অলরেডি (ইতিমধ্যে) আমরা হাতে পেয়েছি। তাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ ও আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেই সময়ে যেসব গার্ড এসব গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তা আমরা যাচাই করছি। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তালা লাগানোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীরা জড়িত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ১০ বছরের আগের শিক্ষার্থীকেও চেনা খুব ডিফিকাল্ট। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমাদের শিক্ষার্থী নাকি কোথাকার কী। সেটা পুলিশও দেখছে।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত (পাঁচ দিন) বিভিন্ন জায়গায় নানান সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তালা লাগানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালা লাগানোর ঘটনাটি সত্য। সকালে তালাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করছি এবং সিকিউরিটি অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩৭ মিনিটে চারুকলা অনুষদ, হাইকোর্টসংলগ্ন কার্জন হল গেট, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ পাঁচটি একাডেমিক স্থাপনায় তালা ঝোলানো হয় বলে জানা যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তালা খুলে ফেলে।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তালা লাগিয়েছে ৩টা ৩৭ মিনিটের দিকে, জানার পরেই আমার টিম ৪টা থেকে ৪টা ৩০ মিনিটের (তখনই) মধ্যে তালা ভেঙে ফেলে। ছবি ও সিসিটিভি অলরেডি (ইতিমধ্যে) আমরা হাতে পেয়েছি। তাদের চিহ্নিত করার জন্য পুলিশ ও আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেই সময়ে যেসব গার্ড এসব গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তা আমরা যাচাই করছি। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তালা লাগানোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীরা জড়িত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, ১০ বছরের আগের শিক্ষার্থীকেও চেনা খুব ডিফিকাল্ট। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমাদের শিক্ষার্থী নাকি কোথাকার কী। সেটা পুলিশও দেখছে।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে ৮ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত (পাঁচ দিন) বিভিন্ন জায়গায় নানান সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
তালা লাগানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তালা লাগানোর ঘটনাটি সত্য। সকালে তালাগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর ব্যাপারে কাজ করছি এবং সিকিউরিটি অফিসারকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

ফরিদপুর-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনেই বিরাজমান অস্থিরতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। এতে উভয় পক্ষ থেকে ২৩টি সহিংস ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
২৯ মিনিট আগে
খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
৩৪ মিনিট আগে
আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
৩৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদের চশমাহিলে নওফেলের বাসায় এই অভিযান চলে, যেটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা জানাননি তিনি।
ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আজ (বুধবার) দুপুরে ফেসবুকে একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ দেওয়া একটি স্ট্যাটাস তাঁদের নজরে আসে। সেখানে উল্লেখ ছিল, ১৩ নভেম্বরের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করতে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী একত্র হয়ে মিটিং করছেন। এমন স্ট্যাটাসের পর আরও কয়েকজন নিজেদের জুলাই যোদ্ধা দাবি করে ওসিকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নওফেলের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ওই বাসার গেটে তালা লাগানো। বাইরে থেকে কোনো লোক ঢোকার সুযোগ নেই। যেসব জুলাই যোদ্ধা আমাদের তথ্য দিয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে এই বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। আমরা শুধু দুজন ছাড়া কাউকে অ্যালাউ করিনি। পুলিশের অনুমতি ব্যতীত কেউ যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে, আমরা সজাগ ছিলাম। আমরা পুরো ভবনে অভিযান চালিয়েছি। ওই বাসায় এখন পরিবারের সদস্য কেউ থাকে না। সাতজনকে পেয়েছি, যারা নিজেদের কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাদের আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। যাচাই-বাছাই করে তাদের মধ্যে যদি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা ফ্যাসিস্টের সহযোগী কেউ থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি সোলাইমানের দেওয়া তথ্যমতে, নওফেলের ছয়তলা বাসার চতুর্থ তলায় রান্নাবান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নিয়মিত রান্না হয়, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বিএনপি নেতা নিয়াজের যৌথ মালিকানায় নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদে ইয়াকুব সেন্টারে ক্যাফে মিলানো নামে একটি রেস্তোরাঁ আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ওই হোটেলের নামে ফুডপান্ডা বা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে খাবার সরবরাহ করা হয়। ওই বাসার চতুর্থ তলার ওই রান্নাঘরে সেই খাবার রান্না করা হয় এবং প্যাকেটে ভরে সেটা সরবরাহ করা হয়। আজ দুটি অর্ডার পেয়েছিলেন হোটেলকর্মীরা, বেলা ২টার মধ্যে সেই খাবার সরবরাহ করা হয়। অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে বা নগদ টাকা গ্রহণ করে বিল দেওয়ার দুটি মেশিন ওই বাসায় পেয়ে সেগুলো জব্দ করেছে পুলিশ। তবে নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একত্র হয়ে সভা করার খবরটি ‘গুজব’ ছিল বলে জানান ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৮ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নওফেল দেশত্যাগ করেন।

চট্টগ্রামে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদের চশমাহিলে নওফেলের বাসায় এই অভিযান চলে, যেটি সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা জানাননি তিনি।
ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আজ (বুধবার) দুপুরে ফেসবুকে একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ দেওয়া একটি স্ট্যাটাস তাঁদের নজরে আসে। সেখানে উল্লেখ ছিল, ১৩ নভেম্বরের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করতে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী একত্র হয়ে মিটিং করছেন। এমন স্ট্যাটাসের পর আরও কয়েকজন নিজেদের জুলাই যোদ্ধা দাবি করে ওসিকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নওফেলের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ওই বাসার গেটে তালা লাগানো। বাইরে থেকে কোনো লোক ঢোকার সুযোগ নেই। যেসব জুলাই যোদ্ধা আমাদের তথ্য দিয়েছেন, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে এই বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। আমরা শুধু দুজন ছাড়া কাউকে অ্যালাউ করিনি। পুলিশের অনুমতি ব্যতীত কেউ যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে, আমরা সজাগ ছিলাম। আমরা পুরো ভবনে অভিযান চালিয়েছি। ওই বাসায় এখন পরিবারের সদস্য কেউ থাকে না। সাতজনকে পেয়েছি, যারা নিজেদের কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাদের আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। যাচাই-বাছাই করে তাদের মধ্যে যদি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কিংবা ফ্যাসিস্টের সহযোগী কেউ থাকে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি সোলাইমানের দেওয়া তথ্যমতে, নওফেলের ছয়তলা বাসার চতুর্থ তলায় রান্নাবান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নিয়মিত রান্না হয়, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও বিএনপি নেতা নিয়াজের যৌথ মালিকানায় নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদে ইয়াকুব সেন্টারে ক্যাফে মিলানো নামে একটি রেস্তোরাঁ আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রেস্তোরাঁটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ওই হোটেলের নামে ফুডপান্ডা বা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে খাবার সরবরাহ করা হয়। ওই বাসার চতুর্থ তলার ওই রান্নাঘরে সেই খাবার রান্না করা হয় এবং প্যাকেটে ভরে সেটা সরবরাহ করা হয়। আজ দুটি অর্ডার পেয়েছিলেন হোটেলকর্মীরা, বেলা ২টার মধ্যে সেই খাবার সরবরাহ করা হয়। অনলাইনে কার্ডের মাধ্যমে বা নগদ টাকা গ্রহণ করে বিল দেওয়ার দুটি মেশিন ওই বাসায় পেয়ে সেগুলো জব্দ করেছে পুলিশ। তবে নওফেলের বাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একত্র হয়ে সভা করার খবরটি ‘গুজব’ ছিল বলে জানান ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান।
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৮ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নওফেল দেশত্যাগ করেন।

ফরিদপুর-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনেই বিরাজমান অস্থিরতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। এতে উভয় পক্ষ থেকে ২৩টি সহিংস ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
২৩ মিনিট আগে
খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
৩৪ মিনিট আগে
আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
৩৭ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
এদিকে গভীর রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) খুলনা জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে নগরীর টাইগার গার্ডেনসংলগ্ন কার্যালয়ে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এনসিপি সূত্রে জানা যায়, রাত ১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই দলীয় নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে পৌঁছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেন।
এ বিষয়ে এনসিপির খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজই আমরা মামলা করব।’
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, লবণচরার সাচিবুনিয়া টেক্সটাইল মিলের পাশে বাইপাস সড়কে রাত ৮টার দিকে ৪০-৫০ জন ঝটিকা মশালমিছিল করে। খুলনা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ মিছিল বের হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।
একই সময় মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন ঝটিকা মিছিল বের করে।খবর পেয়ে সদর ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
জানতে চাইলে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৮-১০ জন রাতে ফেরিঘাটের মোড় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে। এর আগে আরও দুজনকে আটক করা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, ১৩ নভেম্বর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ও সিটিএসবি এবং সঙ্গে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। মোবাইল টিম ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
এদিকে গভীর রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) খুলনা জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে নগরীর টাইগার গার্ডেনসংলগ্ন কার্যালয়ে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এনসিপি সূত্রে জানা যায়, রাত ১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই দলীয় নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ে পৌঁছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেন।
এ বিষয়ে এনসিপির খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজই আমরা মামলা করব।’
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, লবণচরার সাচিবুনিয়া টেক্সটাইল মিলের পাশে বাইপাস সড়কে রাত ৮টার দিকে ৪০-৫০ জন ঝটিকা মশালমিছিল করে। খুলনা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ মিছিল বের হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।
একই সময় মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন ঝটিকা মিছিল বের করে।খবর পেয়ে সদর ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
জানতে চাইলে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৮-১০ জন রাতে ফেরিঘাটের মোড় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে। এর আগে আরও দুজনকে আটক করা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, ১৩ নভেম্বর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ ও সিটিএসবি এবং সঙ্গে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। মোবাইল টিম ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

ফরিদপুর-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনেই বিরাজমান অস্থিরতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। এতে উভয় পক্ষ থেকে ২৩টি সহিংস ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
২৩ মিনিট আগে
একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
২৯ মিনিট আগে
আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
৩৭ মিনিট আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত শিশু আনাস খান (৪) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আনাসের প্রতিবেশী গৃহবধূকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে আনাস। এ জন্য তাকে গলা টিপে ও কাঁচি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করে মেরে লাশ বিলে ফেলে দেন ওই প্রেমিক। পরে আনাসের পরিবারের সঙ্গে লাশ খোঁজাখুঁজিতেও অংশ নেন ওই প্রেমিক। প্রতিবেশী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম এসব কথা জানান। এ ঘটনায় ওই নারী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আনাস উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আল আমিন খান ও লিজা আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
আনাস হত্যায় গ্রেপ্তার প্রতিবেশী নারী শাহিনূর বেগম ওরফে হাসিনা (৩০) চিনাশুকানিয়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের নজরুল মোল্লার স্ত্রী। গ্রেপ্তার প্রেমিক মোমেন খাঁ উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের মোতালেব খাঁর ছেলে।

আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসি। খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কী বিচার চাইব। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার সকালে আনাস তার বাইসাইকেল নিয়ে প্রতিবেশী নজরুল মোল্লার ছেলে আবদুল্লাহর (৫) সঙ্গে খেলতে তার বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণ পর আনাসের দাদি তাকে খোঁজার জন্য নজরুল মোল্লার বাড়িতে যান। তখন নজরুল মোল্লার স্ত্রী হাসিনা তাঁকে জানান, আনাস তাঁদের বাড়িতে সাইকেলটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় তার দাদা শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আনাসকে উদ্ধারে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে হাসিনা ও তাঁর স্বামী নজরুল মোল্লাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিনা স্বীকার করেন, পাশের বাড়ির মোতালেব খাঁর ছেলে মোমেনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে স্বামী বের হয়ে গেলে প্রেমিককে ঘরে নিয়ে আসেন হাসিনা। আনাস তাঁর বাড়িতে এসে খেলার সাথি আবদুল্লাহকে খুঁজতে খুঁজতে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে হাসিনা ও তাঁর প্রেমিক মোমেনকে একসঙ্গে দেখে ফেলে সে। নিজেদের অপকর্ম লুকাতে মোমেন আনাসের গলা টিপে ধরেন এবং কাঁচি দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে সুযোগ বুঝে মোমেন আনাসের লাশ বাড়ির উত্তর পাশের বাঙ্গালপাড়া বিলে ফেলে আসেন। অন্যদিকে হাসিনা আনাসের সাইকেলটি আনাসের বাড়ির কাছে রাস্তায় রেখে আসেন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচিটি ধুয়ে রান্নাঘরের চালে গুঁজে রাখেন। পরে হাসিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গত সোমবার দুপুরে বিল থেকে আনাসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে আলোচিত শিশু আনাস খান (৪) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আনাসের প্রতিবেশী গৃহবধূকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে আনাস। এ জন্য তাকে গলা টিপে ও কাঁচি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করে মেরে লাশ বিলে ফেলে দেন ওই প্রেমিক। পরে আনাসের পরিবারের সঙ্গে লাশ খোঁজাখুঁজিতেও অংশ নেন ওই প্রেমিক। প্রতিবেশী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম এসব কথা জানান। এ ঘটনায় ওই নারী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আনাস উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আল আমিন খান ও লিজা আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
আনাস হত্যায় গ্রেপ্তার প্রতিবেশী নারী শাহিনূর বেগম ওরফে হাসিনা (৩০) চিনাশুকানিয়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের নজরুল মোল্লার স্ত্রী। গ্রেপ্তার প্রেমিক মোমেন খাঁ উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুকানিয়া মধ্যপাড়া (নতুন বাজার) গ্রামের মোতালেব খাঁর ছেলে।

আনাসের বাবা আল আমিন বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে চলে আসি। খুনি মোমেন খাঁ আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে। সে যে আমার মানিককে খুন করেছে, এটা তো বুঝতে পারিনি। কী বিচার চাইব। কোন বিচার হলে আমার মানিক শান্তি পাবে, আল্লাহ যেন তা-ই করেন।’
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) আমিনুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার সকালে আনাস তার বাইসাইকেল নিয়ে প্রতিবেশী নজরুল মোল্লার ছেলে আবদুল্লাহর (৫) সঙ্গে খেলতে তার বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণ পর আনাসের দাদি তাকে খোঁজার জন্য নজরুল মোল্লার বাড়িতে যান। তখন নজরুল মোল্লার স্ত্রী হাসিনা তাঁকে জানান, আনাস তাঁদের বাড়িতে সাইকেলটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় তার দাদা শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আনাসকে উদ্ধারে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে হাসিনা ও তাঁর স্বামী নজরুল মোল্লাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিনা স্বীকার করেন, পাশের বাড়ির মোতালেব খাঁর ছেলে মোমেনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে স্বামী বের হয়ে গেলে প্রেমিককে ঘরে নিয়ে আসেন হাসিনা। আনাস তাঁর বাড়িতে এসে খেলার সাথি আবদুল্লাহকে খুঁজতে খুঁজতে ঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানে হাসিনা ও তাঁর প্রেমিক মোমেনকে একসঙ্গে দেখে ফেলে সে। নিজেদের অপকর্ম লুকাতে মোমেন আনাসের গলা টিপে ধরেন এবং কাঁচি দিয়ে তাকে নৃশংসভাবে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে সুযোগ বুঝে মোমেন আনাসের লাশ বাড়ির উত্তর পাশের বাঙ্গালপাড়া বিলে ফেলে আসেন। অন্যদিকে হাসিনা আনাসের সাইকেলটি আনাসের বাড়ির কাছে রাস্তায় রেখে আসেন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচিটি ধুয়ে রান্নাঘরের চালে গুঁজে রাখেন। পরে হাসিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গত সোমবার দুপুরে বিল থেকে আনাসের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

ফরিদপুর-৩ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। দুজনেই বিরাজমান অস্থিরতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। এতে উভয় পক্ষ থেকে ২৩টি সহিংস ঘটনার তথ্য উঠে এসেছে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচটি স্থাপনার মূল ফটকে তালা ঝোলানো হয়েছে। তালার ওপর লেখা ছিল ‘লকডাউন, বিএসএল’। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
২৩ মিনিট আগে
একজন ‘জুলাই যোদ্ধার’ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ওই স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নওফেলের বাসায় কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘বৈঠক করছেন’ বলে তথ্য পাওয়া যায়।
২৯ মিনিট আগে
খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউস মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
৩৪ মিনিট আগে