Ajker Patrika

সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৪ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৫৩
ফরিদপুরের সালথার তালুকদার বাজার এলাকায় আজ সোমবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরের সালথার তালুকদার বাজার এলাকায় আজ সোমবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চারটি গ্রামের বাসিন্দারা এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর তালুকদার বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ বাধে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে ফরিদপুর সদর হাসপাতাল ও পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদারের ছোট ভাই উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুস কুদ্দুস তালুকদার। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের উসমান তালুকদারের ছেলে রবিউল তালুকদার। তিনিও নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রামকান্তপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর সূত্র ধরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে কুদ্দুস তালুকদারের পক্ষে পার্শ্ববর্তী শৈলডুবী ও নিধিপট্টি এবং রবিউলের পক্ষে নারাণদিয়া গ্রামের সমর্থকেরা অংশ নেন বলে উভয় মাতব্বর অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জানতে চাইলে যুবদল নেতা আব্দুস কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ‘গতকাল (রোববার) রাতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজনীতি করা নিয়ে আমার এক সমর্থকের সঙ্গে রবিউলের লোকদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। রবিউল আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি রাতেই হুমকি দিয়ে বলে যান, “বিএনপি করিস, তাই কী হয়েছে, দেখায় দেব”। সকালে বাজারে গিয়ে আমার লোকজন একটি দোকানে চা পান করছিল। তখনই অতর্কিতভাবে হামলা করে আওয়ামী লীগের লোকজন। আমার দলের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে এবং চারজনকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

ফরিদপুরের সালথার তালুকদার বাজার এলাকায় আজ সোমবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা বাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরের সালথার তালুকদার বাজার এলাকায় আজ সোমবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা বাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রবিউল তালুকদার নিজেকে বিএনপির কর্মী এবং উপজেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ মাতুব্বরের সমর্থক দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, বিএনপি কোনো বিষয় না। মূল ঘটনা গত তিন দিন আগে ক্যারম খেলা নিয়ে ওই দলের লোকজনের সঙ্গে আমার লোকদের তর্ক হয়েছিল। সেদিন তারা হেরে যাওয়ায় আজ আমার লোকজন বাজারে গেলে তারা তিন গ্রামের লোকজন জড়ো করে ধাওয়া দেয়। পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে তারা ফজলু তালুকদারের বিল্ডিংয়ে ঢাল-কাতরা ও ইট এনে রেখেছিল।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাম্য আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে রাখা হতে পারে সাবজেলে

‘কলিজা ছেঁড়ার’ হুমকি সারজিসের: ৮ মিনিট বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণ জানাল নেসকো

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, স্বজনদের সঙ্গে মরদেহ খোঁজেন অভিযুক্ত তরুণ

অবৈধ ভাটা বন্ধ না হলে উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে চেয়ারে রাখব না— হুঁশিয়ারি এনসিপি নেতার

ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে উপমা ব্যবহার করেছি, সেটা উচিত হয়নি—‘কলিজা ছেঁড়া’ মন্তব্যের ব্যাখ্যায় সারজিস

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত