কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাবেচা কমে গেছে। এখন দাম বেড়ে যাওয়ায় একহালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি একটি ডিম নেয় সে ক্ষেত্রে ১৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দাম বাড়ায় মানুষজন ডিম কেনা অনেক কমে দিয়েছেন। ফলে লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালক হাসেন আলী স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন এলাকায় বাস করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাবারের তালিকায় ডিম আর ডাউল বেশি রাখা হয়। সাত বছরের ছেলেকে পুষ্টিকর খাদ্যতালিকায় খাবার হিসেবে প্রতিদিন ডিম সিদ্ধ বা ভাজি করে খেতে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক দিনে কয়েক দফায় ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাবার তালিকায় প্রতিদিন আর ডিম রাখতে পারছি না।’
হাসেন আলী আরও বলেন, ‘সারা দিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই টেনেটুনে সংসার চালাই। করোনার আগে ভালোই ছিলাম। আয় ভালোই করেছি। কিন্তু করোনার পর থেকে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন আমাদের মতো মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খাবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি রেখেছিলাম ডাল আর ডিম। কিন্তু এখন ডিমের বাজারেও আগুন। ৪৮-৫০ টাকা হালিতে ডিম কেনা আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব না। আমার মতো অনেকেই অতিরিক্ত দামের কারণে খাদ্যতালিকা থেকে ডিম বাদ দিয়েছেন।’
বাজার করতে আসা শফিকুল নামের একজন বলেন, ‘মাছ-মাংস খুব কম খাওয়া হয়। মাছ মাঝে মাঝে খাওয়া হলেও গরুর মাংস বড় কোনো অনুষ্ঠান বা কোরবানির ঈদ ছাড়া খাওয়া হয় না। সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় ডিম। অল্পদামে এক হালি ডিম কিনে অর্ধেক করে ৪ জন মানুষের খাবারটা কোনো মতে হয়ে যেত। কিন্তু ডিমের দামও বেড়ে গেছে। কিন্তু আয় বাড়েনি। এভাবে আর কত দিন পরিবার নিয়ে চলব।’
মনিহারী দোকানদার ইয়াসিন আজকের পত্রিকাকে জানান, একহালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। তবে একটি ডিম ১৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাবেচা কমে গেছে। যখন দাম কম ছিল তখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি ডিম বিক্রি করতেন। কিন্তু এখন মাত্র ৮-১০টি ডিম বিক্রি হয়। ফলে লোকসান গুনছেন তিনি।
জামতৈল বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা রাসেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে প্রতি হালি লাল ডিম ৪৫-৪৮ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর প্রতি খাচি বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এভাবে পোলট্রি ফিডের দাম বাড়ার কারণে খামারিরা ডিমের দাম বেড়ে গেছে। এতে ডিমের কেনাবেচা কমে গেছে। আগে ৫০-৬০ খাচি ডিম বিক্রি করতাম। এখন ডিম বিক্রি হয় ২০-২৫ খাচি। এতে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে।’
উপজেলার জামতৈল পশ্চিম বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন মোবাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে, শুধু ডিমের দাম একটু বেশি। এটা যে শুধু আমাদের এখানে বেশি তা তো নয়। সারা বাংলাদেশেই ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য কাঁচা বাজারে জিনিসপত্রের দাম ঠিকই আছে। আশা করছি, ডিমের দামটা কিছুদিন পরে কমে যাবে।
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মাসিক মিটিংয়ে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাবেচা কমে গেছে। এখন দাম বেড়ে যাওয়ায় একহালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি একটি ডিম নেয় সে ক্ষেত্রে ১৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দাম বাড়ায় মানুষজন ডিম কেনা অনেক কমে দিয়েছেন। ফলে লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালক হাসেন আলী স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন এলাকায় বাস করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাবারের তালিকায় ডিম আর ডাউল বেশি রাখা হয়। সাত বছরের ছেলেকে পুষ্টিকর খাদ্যতালিকায় খাবার হিসেবে প্রতিদিন ডিম সিদ্ধ বা ভাজি করে খেতে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক দিনে কয়েক দফায় ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাবার তালিকায় প্রতিদিন আর ডিম রাখতে পারছি না।’
হাসেন আলী আরও বলেন, ‘সারা দিন গাড়ি চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই টেনেটুনে সংসার চালাই। করোনার আগে ভালোই ছিলাম। আয় ভালোই করেছি। কিন্তু করোনার পর থেকে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন আমাদের মতো মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। খাবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি রেখেছিলাম ডাল আর ডিম। কিন্তু এখন ডিমের বাজারেও আগুন। ৪৮-৫০ টাকা হালিতে ডিম কেনা আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব না। আমার মতো অনেকেই অতিরিক্ত দামের কারণে খাদ্যতালিকা থেকে ডিম বাদ দিয়েছেন।’
বাজার করতে আসা শফিকুল নামের একজন বলেন, ‘মাছ-মাংস খুব কম খাওয়া হয়। মাছ মাঝে মাঝে খাওয়া হলেও গরুর মাংস বড় কোনো অনুষ্ঠান বা কোরবানির ঈদ ছাড়া খাওয়া হয় না। সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় ডিম। অল্পদামে এক হালি ডিম কিনে অর্ধেক করে ৪ জন মানুষের খাবারটা কোনো মতে হয়ে যেত। কিন্তু ডিমের দামও বেড়ে গেছে। কিন্তু আয় বাড়েনি। এভাবে আর কত দিন পরিবার নিয়ে চলব।’
মনিহারী দোকানদার ইয়াসিন আজকের পত্রিকাকে জানান, একহালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। তবে একটি ডিম ১৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাবেচা কমে গেছে। যখন দাম কম ছিল তখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫টি ডিম বিক্রি করতেন। কিন্তু এখন মাত্র ৮-১০টি ডিম বিক্রি হয়। ফলে লোকসান গুনছেন তিনি।
জামতৈল বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা রাসেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে প্রতি হালি লাল ডিম ৪৫-৪৮ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর প্রতি খাচি বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এভাবে পোলট্রি ফিডের দাম বাড়ার কারণে খামারিরা ডিমের দাম বেড়ে গেছে। এতে ডিমের কেনাবেচা কমে গেছে। আগে ৫০-৬০ খাচি ডিম বিক্রি করতাম। এখন ডিম বিক্রি হয় ২০-২৫ খাচি। এতে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে।’
উপজেলার জামতৈল পশ্চিম বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন মোবাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে, শুধু ডিমের দাম একটু বেশি। এটা যে শুধু আমাদের এখানে বেশি তা তো নয়। সারা বাংলাদেশেই ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য কাঁচা বাজারে জিনিসপত্রের দাম ঠিকই আছে। আশা করছি, ডিমের দামটা কিছুদিন পরে কমে যাবে।
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মাসিক মিটিংয়ে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৬ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৯ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে