Ajker Patrika

চলতি বছরে ঢাকার সড়কে প্রাণ ঝরেছে ১১৯ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১০: ৪০
চলতি বছরে ঢাকার সড়কে প্রাণ ঝরেছে ১১৯ জনের

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে ১১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পথচারী ৬২ জন, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৩৩ জন এবং অন্যান্য যানবাহনের যাত্রী ও আরোহী ২৪ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

সময় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ভোরবেলা সব থেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভোরবেলা দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ২৩টি, সকালে ২১টি, দুপুরে ১১টি, বিকেলে ১৬টি, সন্ধ্যায় ৪টি এবং রাতে ৩৯টি।

এসব দুর্ঘটনায় ১৭২টি যানবাহন সম্পৃক্ত। ট্রাক ৩৭টি, বাস ৪২টি, মোটরসাইকেল ৩৩টি, কাভার্ডভ্যান ৪টি, পিকআপ ১৫টি, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ৪টি, অটোরিকশা ৮টি, লরি ২টি, লেগুনা ৪টি, জিপ ২টি, রিকশা ৬টি, ট্রেন ১টি, রেকার ২টি, প্রাইভেটকার ৭টি, ঠেলাগাড়ি ১টি এবং অটোভ্যান ৪টি।

অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অপ্রতুল সড়ক, একই সড়কে অযান্ত্রিক-যান্ত্রিক, স্বল্প ও দ্রুতগতির যানবাহনের চলাচল এবং দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবসহ মোট ১২টি কারণকে দায়ী করা হয়েছে দুর্ঘটনার জন্য।

দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ঢাকার জনসংখ্যা কমানো, ঢাকার খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শাখা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খোলা, জেলা ও বিভাগী পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে কর্মজীবী মানুষের ঢাকামুখী স্রোত থামানোসহ ৮টি সুপারিশও করা হয়।

গণপরিবহনের নৈরাজ্য এবং যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকা বর্তমানে বসবাস অনুপোযোগী শহরের তালিকায়। এখানে পিক আওয়ারে যানবাহনের গড় গতিবেগ ৫ কিলোমিটার। রোড সেফটির গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীতে যানজটে প্রতিদিন ৫০ লক্ষ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যার বাৎসরিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

রাজধানীর সড়কের ৭০ শতাংশ দখল করে চলে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা। ৩০ শতাংশেরও কম জায়গায় চলে গণপরিবহন। অথচ ব্যক্তিগত গাড়ি মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রী বহন করে, আর গণপরিবহন বহন করে ৪৯ শতাংশ যাত্রী।

এই বৈষম্যমূলক অবস্থার প্রধান কারণ হলো, রাজধানীর গণপরিবহন বিষয়ে যারা পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার গণপরিবহন ব্যবহার করেন না। ফলে জনভোগান্তির যন্ত্রণা তারা বোধ করেন না। তারা দুর্ঘটনায়ও আক্রান্ত হন না। এটি বুর্জোয়া এবং আমলাতান্ত্রিক আচরণগত সমস্যা। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে রাজধানীতে একটি নিরাপদ, জনবান্ধব ও টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা অতীব জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ বার কল দিয়েছেন ট্রাম্প, ধরেননি মোদি

জিন সম্পাদনায় নতুন সাফল্য, ডায়াবেটিস রোগীদের আর ইনসুলিন নিতে হবে না

প্রায় ৭ লাখ টাকার ধার শোধ না করায় এসপি থেকে অতিরিক্ত এসপি হলেন নিহার রঞ্জন হাওলাদার

অবৈধ মোবাইল দিয়ে বন্দীরা আমাকে কল করেন, এটা বিস্ময়কর: কারা মহাপরিদর্শক

ন্যূনতম কর একটা কালাকানুন: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত