নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর রামপুরার ডিআইটি রোডের হাজিপাড়া থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করা শাকির বিন ওয়ালী নামের এক চিকিৎসককে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। গত রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শাকিরকে তুলে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা ডা. এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ।
মালিবাগে সিআইডির প্রধান শাখায় গিয়ে ছেলের সন্ধান পাননি বলে জানান ওয়ালী উল্লাহ। তিনি জানান, বারবার থানায় গেলেও তারা অভিযোগ ও জিডি নেয়নি।
৪৮ ঘণ্টা পার হলেও একমাত্র ছেলের বিষয়ে কোনো সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন ওয়ালী উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সিভিল পোশাকে চার ব্যক্তি আমার বাসায় প্রবেশ করে। আমি তখন পেশাগত কাজে বাইরে ছিলাম। শুধু আমার স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে বাসায় ছিল। তারা আমার দ্বিতীয় সন্তান সদ্য এমবিবিএস পাস করা ডা. শাকির বিন ওয়ালীকে বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে নিয়ে যায়। তাদের নাম, পরিচয় ও ফোন নম্বর জানতে চাইলে তারা শুধু বলে, আমরা সিআইডির লোক। আমি খবর পেয়ে রামপুরা থানায় সরাসরি যোগাযোগ করি। তারা বলে, এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই। তখন আমি জিডি করতে চাইলে রামপুরা থানার (তদন্ত) গোলাম মাওলা আমার কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো ওনার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে নোট করেন এবং আমাকে বলেন, ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘একই দিন অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে আরও চার-পাঁচজনের একটি দল আমার বাসায় আসে, নিজেদের সিআইডির লোক পরিচয় দেয় এবং আমার ছেলে শাকির বিন ওয়ালীর রুম তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। তাদের নাম, পরিচয় জানতে চাইলে শুধু বলে, আমরা সিআইডির লোক।’
শাকিরের বাবা জানান, ১২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি সিআইডির মালিবাগ অফিসে যান এবং সেখানে রিসেপশনে যোগাযোগ করেন। তবে তারা শাকির বিন ওয়ালীর ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
শাকির কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, জানতে চাইলে ডা. এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ জানান, শাকির কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ে ছাত্রজীবনে রেটিনা কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ওই কোচিং সেন্টারে পড়াতেন। রেটিনা জামায়াতসংশ্লিষ্ট থাকায় হয়তো তাঁর ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে একটা সময়ে ওই কোচিং সেন্টারে পড়াত। সেখান থেকে পাস করে চলে আসার পর কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত না। সামনে তার এফসিপিএস পরীক্ষা। তাই পড়াশোনা নিয়েই থাকত।’
বারবার অভিযোগ জানাতে গেলেও থানায় অভিযোগ নেয়নি উল্লেখ করে ডাক্তার ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ‘১১ তারিখ থেকে একাধিকবার থানায় গিয়েছি। কিন্তু তারা কিছু জানাতে পারেনি। আমার অভিযোগ কিংবা সাধারণ ডায়েরিও রাখা হয়নি। আজ মঙ্গলবার আবারও যাব। পুলিশ যেতে বলেছে।’
ছেলের সন্ধান না পেলেও একটি ইমো নম্বর থেকে ছেলের সন্ধান দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এই চক্ষু বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমার ছেলের সন্ধানে আমাদের দিনরাত উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিয়ে কাটছে। আর এদিকে একটি ইমো নম্বর থেকে ছেলের সন্ধান দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা ২ লাখ টাকা দাবি করেছে। টাকা দিলে ছেলের সন্ধান দেবে বলে আশ্বাস দিলেও আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে না।’
জানা গেছে, নিখোঁজ শাকিরের বাবা ডাক্তার ওয়ালী উল্লাহ ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিফ) সহসভাপতি। এই প্রতিষ্ঠানটি ডানপন্থী ঘরানার চিকিৎসকদের সংগঠন।
এদিকে চিকিৎসককে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি সাড়া দেননি।
অভিযোগ ও জিডি না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডা. শাকির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
কী অভিযোগে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।’
রাজধানীর রামপুরার ডিআইটি রোডের হাজিপাড়া থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করা শাকির বিন ওয়ালী নামের এক চিকিৎসককে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। গত রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শাকিরকে তুলে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা ডা. এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ।
মালিবাগে সিআইডির প্রধান শাখায় গিয়ে ছেলের সন্ধান পাননি বলে জানান ওয়ালী উল্লাহ। তিনি জানান, বারবার থানায় গেলেও তারা অভিযোগ ও জিডি নেয়নি।
৪৮ ঘণ্টা পার হলেও একমাত্র ছেলের বিষয়ে কোনো সন্ধান না পেয়ে উদ্বিগ্ন ওয়ালী উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সিভিল পোশাকে চার ব্যক্তি আমার বাসায় প্রবেশ করে। আমি তখন পেশাগত কাজে বাইরে ছিলাম। শুধু আমার স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে বাসায় ছিল। তারা আমার দ্বিতীয় সন্তান সদ্য এমবিবিএস পাস করা ডা. শাকির বিন ওয়ালীকে বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে নিয়ে যায়। তাদের নাম, পরিচয় ও ফোন নম্বর জানতে চাইলে তারা শুধু বলে, আমরা সিআইডির লোক। আমি খবর পেয়ে রামপুরা থানায় সরাসরি যোগাযোগ করি। তারা বলে, এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই। তখন আমি জিডি করতে চাইলে রামপুরা থানার (তদন্ত) গোলাম মাওলা আমার কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো ওনার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে নোট করেন এবং আমাকে বলেন, ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘একই দিন অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে আরও চার-পাঁচজনের একটি দল আমার বাসায় আসে, নিজেদের সিআইডির লোক পরিচয় দেয় এবং আমার ছেলে শাকির বিন ওয়ালীর রুম তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। তাদের নাম, পরিচয় জানতে চাইলে শুধু বলে, আমরা সিআইডির লোক।’
শাকিরের বাবা জানান, ১২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি সিআইডির মালিবাগ অফিসে যান এবং সেখানে রিসেপশনে যোগাযোগ করেন। তবে তারা শাকির বিন ওয়ালীর ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
শাকির কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, জানতে চাইলে ডা. এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ জানান, শাকির কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ে ছাত্রজীবনে রেটিনা কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ওই কোচিং সেন্টারে পড়াতেন। রেটিনা জামায়াতসংশ্লিষ্ট থাকায় হয়তো তাঁর ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে একটা সময়ে ওই কোচিং সেন্টারে পড়াত। সেখান থেকে পাস করে চলে আসার পর কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত না। সামনে তার এফসিপিএস পরীক্ষা। তাই পড়াশোনা নিয়েই থাকত।’
বারবার অভিযোগ জানাতে গেলেও থানায় অভিযোগ নেয়নি উল্লেখ করে ডাক্তার ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ‘১১ তারিখ থেকে একাধিকবার থানায় গিয়েছি। কিন্তু তারা কিছু জানাতে পারেনি। আমার অভিযোগ কিংবা সাধারণ ডায়েরিও রাখা হয়নি। আজ মঙ্গলবার আবারও যাব। পুলিশ যেতে বলেছে।’
ছেলের সন্ধান না পেলেও একটি ইমো নম্বর থেকে ছেলের সন্ধান দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে এই চক্ষু বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমার ছেলের সন্ধানে আমাদের দিনরাত উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিয়ে কাটছে। আর এদিকে একটি ইমো নম্বর থেকে ছেলের সন্ধান দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা ২ লাখ টাকা দাবি করেছে। টাকা দিলে ছেলের সন্ধান দেবে বলে আশ্বাস দিলেও আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে না।’
জানা গেছে, নিখোঁজ শাকিরের বাবা ডাক্তার ওয়ালী উল্লাহ ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিফ) সহসভাপতি। এই প্রতিষ্ঠানটি ডানপন্থী ঘরানার চিকিৎসকদের সংগঠন।
এদিকে চিকিৎসককে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি সাড়া দেননি।
অভিযোগ ও জিডি না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডা. শাকির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
কী অভিযোগে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবির আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দির রনি, কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগেখাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপি) সদস্য বলে পুলিশ দাবি করেছে। আজ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেহান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসব না। কখনো বলব না আপনারা আমাকে ভোট দেন। আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবুও আমি চাইব, অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক।
১ ঘণ্টা আগেসি-সেফ লাইফ গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামির চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা এবং পেশায় রেফ্রিজারেটর মেকানিক। সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, সকালে সামিরসহ চার বন্ধু মিলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। দুপুরে সৈকতে গোসলে নামলে ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকেন সামির।
১ ঘণ্টা আগে