অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে মেয়র পদে শপথের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের পরিস্থিতি থেকে আমরা বুঝতে পারছি—সরকার বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করেছে, নির্বাচন কমিশনকে চাপে রেখেছে এবং পুরো প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমি একজন প্রার্থী হিসেবে যদি এমন আচরণের সম্মুখীন হই, তাহলে জাতীয় নির্বাচন হলে কি নিরপেক্ষতা আশা করা যায়? না। এই সরকারের অধীনে কখনোই না। পূর্বেও যা ঘটেছে, এখনো তা-ই ঘটছে—বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ধ্বংস, প্রশাসনের অপব্যবহার।’
ইশরাক বলেন, ‘অদৃশ্য চাপে নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায়। অথচ নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম সংস্থা। তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হওয়া উচিত। এই চর্চা যদি আমরা এখনই বন্ধ না করি, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কখনোই সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না। অতীতে যেমন হয়েছে, এখনো ভিন্ন ব্যানারে একই কার্যক্রম চলছে। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একমাত্র দায়িত্ব—প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আমার শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা। তাদের কোনো মতামত দেওয়ার এখতিয়ার নেই; কারণ, নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পেলাম, একটি নতুন রাজনৈতিক দল, যাদের নিয়ে আমি শুরুতে আশাবাদী ছিলাম। আমি মনে করেছিলাম, তরুণ নেতৃত্ব রাজনীতিকে নতুন দিশা দেবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এই দলের কয়েকজন প্রতিনিধি এখনো সরকারের ভেতরে রয়ে গেছে। এর মানে, আমরা যে উদ্দেশ্যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম—একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, সেই দাবি থেকে আমরা আবার পিছিয়ে পড়লাম।’
তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত, তাদের উদ্দেশ্য জনগণের সামনে উন্মোচন করা আমাদের কর্তব্য। আমি মনে করি, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করি না, কিন্তু গণতন্ত্রের স্বার্থে তাঁকে সরকারের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া উচিত।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে তিনি বলেন, আমরা আজ যে অবস্থানে আছি, তা একটি সমাধানের লক্ষ্যে। এখানে কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমরা আসিনি। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ, সর্বদলীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ হোক, যেখানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যারা রাষ্ট্র সংস্কারে দীর্ঘমেয়াদী ভূমিকা রাখবে।
সবশেষে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই আন্দোলন কারও ব্যক্তিগত মেয়র হওয়ার জন্য নয়; এটি আপনাদের, আমাদের, সকল নাগরিকের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। আমি এই আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করছি এবং অবস্থান কর্মসূচিতে যুক্ত থাকব। আমাদের দাবি যত দিন পূরণ না হবে, তত দিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা এখানেই—আমাদের দাবিগুলো মানতে হবে, অন্যথায় আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
এর আগে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ইশরাক হোসেন নির্দেশ দেন, ‘যতক্ষণ দরকার, রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না।’
আজ বেলা ১১টা থেকে মৎস্য ভবন ও কাকরাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন তাঁর অনুসারীরা। বিকেল ৪টায় বৃষ্টি নামলেও তা উপেক্ষা করে ইশরাকের শপথ ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এদিকে আজও নগর ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ।
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে মেয়র পদে শপথের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের পরিস্থিতি থেকে আমরা বুঝতে পারছি—সরকার বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করেছে, নির্বাচন কমিশনকে চাপে রেখেছে এবং পুরো প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমি একজন প্রার্থী হিসেবে যদি এমন আচরণের সম্মুখীন হই, তাহলে জাতীয় নির্বাচন হলে কি নিরপেক্ষতা আশা করা যায়? না। এই সরকারের অধীনে কখনোই না। পূর্বেও যা ঘটেছে, এখনো তা-ই ঘটছে—বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ধ্বংস, প্রশাসনের অপব্যবহার।’
ইশরাক বলেন, ‘অদৃশ্য চাপে নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায়। অথচ নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম সংস্থা। তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হওয়া উচিত। এই চর্চা যদি আমরা এখনই বন্ধ না করি, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কখনোই সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না। অতীতে যেমন হয়েছে, এখনো ভিন্ন ব্যানারে একই কার্যক্রম চলছে। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে। এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একমাত্র দায়িত্ব—প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আমার শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা। তাদের কোনো মতামত দেওয়ার এখতিয়ার নেই; কারণ, নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পেলাম, একটি নতুন রাজনৈতিক দল, যাদের নিয়ে আমি শুরুতে আশাবাদী ছিলাম। আমি মনে করেছিলাম, তরুণ নেতৃত্ব রাজনীতিকে নতুন দিশা দেবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এই দলের কয়েকজন প্রতিনিধি এখনো সরকারের ভেতরে রয়ে গেছে। এর মানে, আমরা যে উদ্দেশ্যে আন্দোলন শুরু করেছিলাম—একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, সেই দাবি থেকে আমরা আবার পিছিয়ে পড়লাম।’
তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত, তাদের উদ্দেশ্য জনগণের সামনে উন্মোচন করা আমাদের কর্তব্য। আমি মনে করি, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করি না, কিন্তু গণতন্ত্রের স্বার্থে তাঁকে সরকারের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া উচিত।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে তিনি বলেন, আমরা আজ যে অবস্থানে আছি, তা একটি সমাধানের লক্ষ্যে। এখানে কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমরা আসিনি। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ, সর্বদলীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ হোক, যেখানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যারা রাষ্ট্র সংস্কারে দীর্ঘমেয়াদী ভূমিকা রাখবে।
সবশেষে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই আন্দোলন কারও ব্যক্তিগত মেয়র হওয়ার জন্য নয়; এটি আপনাদের, আমাদের, সকল নাগরিকের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। আমি এই আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করছি এবং অবস্থান কর্মসূচিতে যুক্ত থাকব। আমাদের দাবি যত দিন পূরণ না হবে, তত দিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই আন্দোলনের চূড়ান্ত ঘোষণা এখানেই—আমাদের দাবিগুলো মানতে হবে, অন্যথায় আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
এর আগে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ইশরাক হোসেন নির্দেশ দেন, ‘যতক্ষণ দরকার, রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না।’
আজ বেলা ১১টা থেকে মৎস্য ভবন ও কাকরাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন তাঁর অনুসারীরা। বিকেল ৪টায় বৃষ্টি নামলেও তা উপেক্ষা করে ইশরাকের শপথ ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এদিকে আজও নগর ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনের মতো নগর ভবনের কার্যক্রম বন্ধ।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশা অনুমোদনের অনলাইন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে জালিয়াত চক্র বিতর্কিত নকশার অনুমোদন নিয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নিরাপদ সাইট থেকে ১৭ মিনিটে তারা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন করিয়ে নেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে অনলাইনে নকশা
১ ঘণ্টা আগে২০২২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সৌদি আরবের সহায়তায় নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই বছরের মাথায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশে ধসে যায়। গত শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের পর এই ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও বাড়েনি প্রয়োজনীয় জনবল ও বাজেট বরাদ্দ। ৩১ শয্যার অনুমোদিত জনবল দিয়েই চলছে ৫০ শয্যার কার্যক্রম। অথচ ৩১ শয্যার পূর্ণাঙ্গ জনবলও এখানে নেই। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আর সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মরত লোকজন প্রায় প্রতিদিনই নানান দাবি নিয়ে নামছে রাস্তায়। দিনের পর দিন দাবি আদায়ের নামে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে রাখা হচ্ছে। ফলে যানজটের ভোগান্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ঢাকাবাসীর। একদিকে আন্দোলন, অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার খোঁড়া
৪ ঘণ্টা আগে