হারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

নরসিংদীর রায়পুরার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের এক অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠেছে ‘জাগরণী পাঠাগার’। দুর্লভ বইয়ের এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন মাওলানা অছিউদ্দীন। পাঠাগারটিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই। বর্তমানে মাওলানা অছিউদ্দীনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার একটি অব্যবহৃত কক্ষে চলছে ১৯৫৬ সালের এই পাঠাগার।
আদিয়াবাদে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের সিরাজনগর নয়াচর গ্রামের শিক্ষক মৃত হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ মাস্টারের ছেলে অছিউদ্দীন আহমদ। জন্ম ১৯৪৬ সালে। কওমি মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) করেন । ১৯৭৩-৭৪ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে বিএ পাস করেন।
এবার বরং এই পাঠাগার গড়ে তোলার গল্পটি জানা যাক। ছেলেবেলায় বাবার বই পড়া দেখে বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। পড়াশোনার খরচ বাঁচিয়ে টিফিনের এক-দুই পয়সা বাঁচিয়ে জমাতে থাকেন টিনের বাক্সে। জমানো টাকায় কিনতেন পছন্দের বই। বইগুলো বাড়িতে রাখতেন বাক্সে ভরে। সহপাঠীরা বেড়াতে এলেই উঠোনে মেলে ধরতেন সেই বাক্স। বন্ধুরা বই দেখে রীতিমতো অবাক হতো! তাঁর জমানো বইয়ের অনুপ্রেরণায় বন্ধুদের নিয়ে ১৯৬৪ সালে গড়লেন পাঠাগার। নাম দিলেন ‘কিশোর সমিতি’। এ নামে চার বছর চলার পর যৌবনের পদচারণায় নতুন জাগরণে উজ্জীবিত হয়ে পাঠাগারটির নাম রাখেন ‘জাগরণী সমিতি’। ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে পাঠাগারটি রেজিস্ট্রেশন পায়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা পাঠাগারটি ২০১১ সালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর থেকে নরসিংদী জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের মাধ্যমে ‘জাগরণী পাঠাগার’ নামে সনদ পায়।
সিরাজনগর উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার একটি অব্যবহৃত কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, জাগরণী পাঠাগারের টেবিলে বসে বই পড়া, সম্পাদনা, লেখালেখিতে ব্যস্ত ডা. অছিউদ্দীন। পাশের চেয়ারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাঠক জ্ঞানচর্চায় মগ্ন।
পাঠাগারটিতে উপন্যাস, গল্প, কবিতাসহ ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভ্রমণ, রম্যরচনা, বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ের বই আলমারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর রচনাবলিসহ পাঠাগারে আছে হাজার বিশেক বই। এ ছাড়া ‘তত্ত্ববোধিনী’, ‘প্রবাসী’, ‘শনিবারের চিঠি’, ‘মোহাম্মদী’, ‘সওগাত’ ইত্যাদি পত্রিকার সংখ্যা আছে। ৫৬ বছর ধরে বিভিন্ন পত্রিকার দুর্লভ কাটিং ১০টি বইয়ের আকরে আলাদা আলাদা বিষয় ধরে সংরক্ষণ করেছেন। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোয় খোলা রাখেন পাঠাগার। দূরদূরান্ত থেকে আসা পাঠক মুগ্ধ হন একজন মানুষের অসাধারণ এক কাজ দেখে।
পাঠাগারটিতে যারা এসেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন ১৯৯০ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও জীবনানন্দ গবেষক উইলিয়াম রাদিচে, ২০০৮ সালে তৎকালীন নরসিংদী জেলার অ্যাডিশনাল ডিসি বিজয় কান্তিসহ বহু গুণীজন। সবাই পাঠাগারটি দেখে মুগ্ধ হয়ে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
ডা. অছিউদ্দীন আহমদ পাঠাগার পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা করেছেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করছেন এখনো। এ জন্য মানুষের কাছে ডা. অছিউদ্দীন নামেও পরিচিত তিনি। পাশাপাশি লেখালেখিও চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্পাদনা করেছেন মাসিক পত্রিকা ও সাময়িকী। তাঁর সম্পাদিত বই জাগরণ, অগ্রদূত, লাব্বাইক, নাজাত, নওরোজ পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটটি। অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি ২২টি।
রায়পুরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দীর্ঘকাল সহসভাপতি তিনি। ছিলেন ‘সাপ্তাহিক বার্তা’র স্টাফ রিপোর্টার। ১৯৭০ সাল থেকে দুই যুগ সিরাজনগর হাইস্কুল ও সিরাজনগর উম্মুল কুরা সিনিয়র মাদ্রাসায় বাংলা সাহিত্যে পাঠদান করান।
পাঠাগারে আসা আদিয়াবাদ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘আমার বাড়ি স্যারের বাড়ির পাশেই। একটা মানুষ বইয়ের জন্য এত পাগল হতে পারে, স্যারকে না দেখলে বুঝতামই না। আমি সময় পেলে পাঠাগারে পড়তে আসি।’
মুফতি মুহাম্মদ রাকিব বলেন, ‘তাঁকে দেখেই বই পড়ার আগ্রহ জন্মে। কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়িতে এলে বারবার পাঠাগারে ছুটে আসি।’
স্থানীয় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, উমর আলী মোল্লা, মুর্শিদা আক্তার বলেন, পাঠাগারটি আদর্শ মানুষ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। অজপাড়াগাঁয়ে পাঠাগারটি থাকায় গ্রামের এবং গ্রামের বাইরে যারা সবাই উপকৃত হচ্ছেন।
সিরাজনগর উম্মুর কুরা ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উমর ফারুক বলেন, ‘পাঠাগারটি ৫৬ বছর ধরে জ্ঞানের আলো বিতরণ করছে। এতে সমাজ উপকৃত হচ্ছে, মানুষ জ্ঞান অর্জন করে ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগাতে পারছেন। যুবসমাজ মাদকসহ বিভিন্ন অন্যায় থেকে বিরত থাকছে। ’
খুবই সাধাসাধি জীবনযাপন মাওলানা অছিউদ্দীনের। বহু বছরের পুরোনো টিনের ভাঙা ঘরেই পরিবার নিয়ে বাস তাঁর। ছয় সন্তানের জনক তিনি। বর্তমানে শরীরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগ বাসা বাঁধলেও পাঠাগারে সময় দেন।
ডা. অছিউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বই পড়াতে আনন্দ পাই, সে জন্যই আমার এই প্রচেষ্টা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জাগরণী পাঠাগারকে দেশের শীর্ষস্থানীয় গ্রামীণ পাঠাগারে পরিণত করার স্বপ্ন দেখি। ১৯৬৪ সালে পড়াশোনা করতে পুরান ঢাকায় ছিলাম। ফুটপাতে দোকানিরা বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসত। হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা কিংবা এক টাকায় বই কিনতাম। দীর্ঘদিন ধরে আমি খেয়ে না-খেয়ে বইয়ের পাহাড়ই গড়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির যুগে আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। নতুন প্রজন্ম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহারে মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়েছে। এগুলো যত কম ব্যবহার হবে, ততই মঙ্গল। তাই নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করা অতি জরুরি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও গ্রামের মানুষের মধ্যে আলো ছড়াতে তিল তিল করে পাঠাগারটি গড়েছি। পাঠাগারের স্থায়ী কোনো স্থাপনা নেই। টাকার অভাবে বইয়ের যত্ন নিতে পারছি না। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে বড় উপকার হতো। আমার ছেলে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে অসিয়ত করেছি, সে এই পাঠাগার দেখাশোনা করবে।’

নরসিংদীর রায়পুরার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের এক অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠেছে ‘জাগরণী পাঠাগার’। দুর্লভ বইয়ের এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন মাওলানা অছিউদ্দীন। পাঠাগারটিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই। বর্তমানে মাওলানা অছিউদ্দীনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার একটি অব্যবহৃত কক্ষে চলছে ১৯৫৬ সালের এই পাঠাগার।
আদিয়াবাদে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের সিরাজনগর নয়াচর গ্রামের শিক্ষক মৃত হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ মাস্টারের ছেলে অছিউদ্দীন আহমদ। জন্ম ১৯৪৬ সালে। কওমি মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) করেন । ১৯৭৩-৭৪ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে বিএ পাস করেন।
এবার বরং এই পাঠাগার গড়ে তোলার গল্পটি জানা যাক। ছেলেবেলায় বাবার বই পড়া দেখে বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। পড়াশোনার খরচ বাঁচিয়ে টিফিনের এক-দুই পয়সা বাঁচিয়ে জমাতে থাকেন টিনের বাক্সে। জমানো টাকায় কিনতেন পছন্দের বই। বইগুলো বাড়িতে রাখতেন বাক্সে ভরে। সহপাঠীরা বেড়াতে এলেই উঠোনে মেলে ধরতেন সেই বাক্স। বন্ধুরা বই দেখে রীতিমতো অবাক হতো! তাঁর জমানো বইয়ের অনুপ্রেরণায় বন্ধুদের নিয়ে ১৯৬৪ সালে গড়লেন পাঠাগার। নাম দিলেন ‘কিশোর সমিতি’। এ নামে চার বছর চলার পর যৌবনের পদচারণায় নতুন জাগরণে উজ্জীবিত হয়ে পাঠাগারটির নাম রাখেন ‘জাগরণী সমিতি’। ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে পাঠাগারটি রেজিস্ট্রেশন পায়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা পাঠাগারটি ২০১১ সালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর থেকে নরসিংদী জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের মাধ্যমে ‘জাগরণী পাঠাগার’ নামে সনদ পায়।
সিরাজনগর উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার একটি অব্যবহৃত কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, জাগরণী পাঠাগারের টেবিলে বসে বই পড়া, সম্পাদনা, লেখালেখিতে ব্যস্ত ডা. অছিউদ্দীন। পাশের চেয়ারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাঠক জ্ঞানচর্চায় মগ্ন।
পাঠাগারটিতে উপন্যাস, গল্প, কবিতাসহ ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভ্রমণ, রম্যরচনা, বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ের বই আলমারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর রচনাবলিসহ পাঠাগারে আছে হাজার বিশেক বই। এ ছাড়া ‘তত্ত্ববোধিনী’, ‘প্রবাসী’, ‘শনিবারের চিঠি’, ‘মোহাম্মদী’, ‘সওগাত’ ইত্যাদি পত্রিকার সংখ্যা আছে। ৫৬ বছর ধরে বিভিন্ন পত্রিকার দুর্লভ কাটিং ১০টি বইয়ের আকরে আলাদা আলাদা বিষয় ধরে সংরক্ষণ করেছেন। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোয় খোলা রাখেন পাঠাগার। দূরদূরান্ত থেকে আসা পাঠক মুগ্ধ হন একজন মানুষের অসাধারণ এক কাজ দেখে।
পাঠাগারটিতে যারা এসেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন ১৯৯০ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও জীবনানন্দ গবেষক উইলিয়াম রাদিচে, ২০০৮ সালে তৎকালীন নরসিংদী জেলার অ্যাডিশনাল ডিসি বিজয় কান্তিসহ বহু গুণীজন। সবাই পাঠাগারটি দেখে মুগ্ধ হয়ে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
ডা. অছিউদ্দীন আহমদ পাঠাগার পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা করেছেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করছেন এখনো। এ জন্য মানুষের কাছে ডা. অছিউদ্দীন নামেও পরিচিত তিনি। পাশাপাশি লেখালেখিও চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্পাদনা করেছেন মাসিক পত্রিকা ও সাময়িকী। তাঁর সম্পাদিত বই জাগরণ, অগ্রদূত, লাব্বাইক, নাজাত, নওরোজ পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটটি। অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি ২২টি।
রায়পুরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দীর্ঘকাল সহসভাপতি তিনি। ছিলেন ‘সাপ্তাহিক বার্তা’র স্টাফ রিপোর্টার। ১৯৭০ সাল থেকে দুই যুগ সিরাজনগর হাইস্কুল ও সিরাজনগর উম্মুল কুরা সিনিয়র মাদ্রাসায় বাংলা সাহিত্যে পাঠদান করান।
পাঠাগারে আসা আদিয়াবাদ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘আমার বাড়ি স্যারের বাড়ির পাশেই। একটা মানুষ বইয়ের জন্য এত পাগল হতে পারে, স্যারকে না দেখলে বুঝতামই না। আমি সময় পেলে পাঠাগারে পড়তে আসি।’
মুফতি মুহাম্মদ রাকিব বলেন, ‘তাঁকে দেখেই বই পড়ার আগ্রহ জন্মে। কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়িতে এলে বারবার পাঠাগারে ছুটে আসি।’
স্থানীয় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, উমর আলী মোল্লা, মুর্শিদা আক্তার বলেন, পাঠাগারটি আদর্শ মানুষ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। অজপাড়াগাঁয়ে পাঠাগারটি থাকায় গ্রামের এবং গ্রামের বাইরে যারা সবাই উপকৃত হচ্ছেন।
সিরাজনগর উম্মুর কুরা ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উমর ফারুক বলেন, ‘পাঠাগারটি ৫৬ বছর ধরে জ্ঞানের আলো বিতরণ করছে। এতে সমাজ উপকৃত হচ্ছে, মানুষ জ্ঞান অর্জন করে ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগাতে পারছেন। যুবসমাজ মাদকসহ বিভিন্ন অন্যায় থেকে বিরত থাকছে। ’
খুবই সাধাসাধি জীবনযাপন মাওলানা অছিউদ্দীনের। বহু বছরের পুরোনো টিনের ভাঙা ঘরেই পরিবার নিয়ে বাস তাঁর। ছয় সন্তানের জনক তিনি। বর্তমানে শরীরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগ বাসা বাঁধলেও পাঠাগারে সময় দেন।
ডা. অছিউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বই পড়াতে আনন্দ পাই, সে জন্যই আমার এই প্রচেষ্টা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জাগরণী পাঠাগারকে দেশের শীর্ষস্থানীয় গ্রামীণ পাঠাগারে পরিণত করার স্বপ্ন দেখি। ১৯৬৪ সালে পড়াশোনা করতে পুরান ঢাকায় ছিলাম। ফুটপাতে দোকানিরা বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসত। হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা কিংবা এক টাকায় বই কিনতাম। দীর্ঘদিন ধরে আমি খেয়ে না-খেয়ে বইয়ের পাহাড়ই গড়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির যুগে আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। নতুন প্রজন্ম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহারে মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়েছে। এগুলো যত কম ব্যবহার হবে, ততই মঙ্গল। তাই নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করা অতি জরুরি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও গ্রামের মানুষের মধ্যে আলো ছড়াতে তিল তিল করে পাঠাগারটি গড়েছি। পাঠাগারের স্থায়ী কোনো স্থাপনা নেই। টাকার অভাবে বইয়ের যত্ন নিতে পারছি না। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে বড় উপকার হতো। আমার ছেলে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে অসিয়ত করেছি, সে এই পাঠাগার দেখাশোনা করবে।’
হারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)

নরসিংদীর রায়পুরার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের এক অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠেছে ‘জাগরণী পাঠাগার’। দুর্লভ বইয়ের এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন মাওলানা অছিউদ্দীন। পাঠাগারটিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই। বর্তমানে মাওলানা অছিউদ্দীনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার একটি অব্যবহৃত কক্ষে চলছে ১৯৫৬ সালের এই পাঠাগার।
আদিয়াবাদে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের সিরাজনগর নয়াচর গ্রামের শিক্ষক মৃত হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ মাস্টারের ছেলে অছিউদ্দীন আহমদ। জন্ম ১৯৪৬ সালে। কওমি মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) করেন । ১৯৭৩-৭৪ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে বিএ পাস করেন।
এবার বরং এই পাঠাগার গড়ে তোলার গল্পটি জানা যাক। ছেলেবেলায় বাবার বই পড়া দেখে বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। পড়াশোনার খরচ বাঁচিয়ে টিফিনের এক-দুই পয়সা বাঁচিয়ে জমাতে থাকেন টিনের বাক্সে। জমানো টাকায় কিনতেন পছন্দের বই। বইগুলো বাড়িতে রাখতেন বাক্সে ভরে। সহপাঠীরা বেড়াতে এলেই উঠোনে মেলে ধরতেন সেই বাক্স। বন্ধুরা বই দেখে রীতিমতো অবাক হতো! তাঁর জমানো বইয়ের অনুপ্রেরণায় বন্ধুদের নিয়ে ১৯৬৪ সালে গড়লেন পাঠাগার। নাম দিলেন ‘কিশোর সমিতি’। এ নামে চার বছর চলার পর যৌবনের পদচারণায় নতুন জাগরণে উজ্জীবিত হয়ে পাঠাগারটির নাম রাখেন ‘জাগরণী সমিতি’। ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে পাঠাগারটি রেজিস্ট্রেশন পায়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা পাঠাগারটি ২০১১ সালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর থেকে নরসিংদী জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের মাধ্যমে ‘জাগরণী পাঠাগার’ নামে সনদ পায়।
সিরাজনগর উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার একটি অব্যবহৃত কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, জাগরণী পাঠাগারের টেবিলে বসে বই পড়া, সম্পাদনা, লেখালেখিতে ব্যস্ত ডা. অছিউদ্দীন। পাশের চেয়ারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাঠক জ্ঞানচর্চায় মগ্ন।
পাঠাগারটিতে উপন্যাস, গল্প, কবিতাসহ ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভ্রমণ, রম্যরচনা, বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ের বই আলমারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর রচনাবলিসহ পাঠাগারে আছে হাজার বিশেক বই। এ ছাড়া ‘তত্ত্ববোধিনী’, ‘প্রবাসী’, ‘শনিবারের চিঠি’, ‘মোহাম্মদী’, ‘সওগাত’ ইত্যাদি পত্রিকার সংখ্যা আছে। ৫৬ বছর ধরে বিভিন্ন পত্রিকার দুর্লভ কাটিং ১০টি বইয়ের আকরে আলাদা আলাদা বিষয় ধরে সংরক্ষণ করেছেন। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোয় খোলা রাখেন পাঠাগার। দূরদূরান্ত থেকে আসা পাঠক মুগ্ধ হন একজন মানুষের অসাধারণ এক কাজ দেখে।
পাঠাগারটিতে যারা এসেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন ১৯৯০ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও জীবনানন্দ গবেষক উইলিয়াম রাদিচে, ২০০৮ সালে তৎকালীন নরসিংদী জেলার অ্যাডিশনাল ডিসি বিজয় কান্তিসহ বহু গুণীজন। সবাই পাঠাগারটি দেখে মুগ্ধ হয়ে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
ডা. অছিউদ্দীন আহমদ পাঠাগার পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা করেছেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করছেন এখনো। এ জন্য মানুষের কাছে ডা. অছিউদ্দীন নামেও পরিচিত তিনি। পাশাপাশি লেখালেখিও চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্পাদনা করেছেন মাসিক পত্রিকা ও সাময়িকী। তাঁর সম্পাদিত বই জাগরণ, অগ্রদূত, লাব্বাইক, নাজাত, নওরোজ পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটটি। অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি ২২টি।
রায়পুরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দীর্ঘকাল সহসভাপতি তিনি। ছিলেন ‘সাপ্তাহিক বার্তা’র স্টাফ রিপোর্টার। ১৯৭০ সাল থেকে দুই যুগ সিরাজনগর হাইস্কুল ও সিরাজনগর উম্মুল কুরা সিনিয়র মাদ্রাসায় বাংলা সাহিত্যে পাঠদান করান।
পাঠাগারে আসা আদিয়াবাদ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘আমার বাড়ি স্যারের বাড়ির পাশেই। একটা মানুষ বইয়ের জন্য এত পাগল হতে পারে, স্যারকে না দেখলে বুঝতামই না। আমি সময় পেলে পাঠাগারে পড়তে আসি।’
মুফতি মুহাম্মদ রাকিব বলেন, ‘তাঁকে দেখেই বই পড়ার আগ্রহ জন্মে। কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়িতে এলে বারবার পাঠাগারে ছুটে আসি।’
স্থানীয় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, উমর আলী মোল্লা, মুর্শিদা আক্তার বলেন, পাঠাগারটি আদর্শ মানুষ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। অজপাড়াগাঁয়ে পাঠাগারটি থাকায় গ্রামের এবং গ্রামের বাইরে যারা সবাই উপকৃত হচ্ছেন।
সিরাজনগর উম্মুর কুরা ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উমর ফারুক বলেন, ‘পাঠাগারটি ৫৬ বছর ধরে জ্ঞানের আলো বিতরণ করছে। এতে সমাজ উপকৃত হচ্ছে, মানুষ জ্ঞান অর্জন করে ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগাতে পারছেন। যুবসমাজ মাদকসহ বিভিন্ন অন্যায় থেকে বিরত থাকছে। ’
খুবই সাধাসাধি জীবনযাপন মাওলানা অছিউদ্দীনের। বহু বছরের পুরোনো টিনের ভাঙা ঘরেই পরিবার নিয়ে বাস তাঁর। ছয় সন্তানের জনক তিনি। বর্তমানে শরীরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগ বাসা বাঁধলেও পাঠাগারে সময় দেন।
ডা. অছিউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বই পড়াতে আনন্দ পাই, সে জন্যই আমার এই প্রচেষ্টা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জাগরণী পাঠাগারকে দেশের শীর্ষস্থানীয় গ্রামীণ পাঠাগারে পরিণত করার স্বপ্ন দেখি। ১৯৬৪ সালে পড়াশোনা করতে পুরান ঢাকায় ছিলাম। ফুটপাতে দোকানিরা বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসত। হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা কিংবা এক টাকায় বই কিনতাম। দীর্ঘদিন ধরে আমি খেয়ে না-খেয়ে বইয়ের পাহাড়ই গড়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির যুগে আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। নতুন প্রজন্ম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহারে মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়েছে। এগুলো যত কম ব্যবহার হবে, ততই মঙ্গল। তাই নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করা অতি জরুরি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও গ্রামের মানুষের মধ্যে আলো ছড়াতে তিল তিল করে পাঠাগারটি গড়েছি। পাঠাগারের স্থায়ী কোনো স্থাপনা নেই। টাকার অভাবে বইয়ের যত্ন নিতে পারছি না। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে বড় উপকার হতো। আমার ছেলে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে অসিয়ত করেছি, সে এই পাঠাগার দেখাশোনা করবে।’

নরসিংদীর রায়পুরার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের এক অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠেছে ‘জাগরণী পাঠাগার’। দুর্লভ বইয়ের এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন মাওলানা অছিউদ্দীন। পাঠাগারটিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই। বর্তমানে মাওলানা অছিউদ্দীনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার একটি অব্যবহৃত কক্ষে চলছে ১৯৫৬ সালের এই পাঠাগার।
আদিয়াবাদে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের সিরাজনগর নয়াচর গ্রামের শিক্ষক মৃত হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ মাস্টারের ছেলে অছিউদ্দীন আহমদ। জন্ম ১৯৪৬ সালে। কওমি মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) করেন । ১৯৭৩-৭৪ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে বিএ পাস করেন।
এবার বরং এই পাঠাগার গড়ে তোলার গল্পটি জানা যাক। ছেলেবেলায় বাবার বই পড়া দেখে বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। পড়াশোনার খরচ বাঁচিয়ে টিফিনের এক-দুই পয়সা বাঁচিয়ে জমাতে থাকেন টিনের বাক্সে। জমানো টাকায় কিনতেন পছন্দের বই। বইগুলো বাড়িতে রাখতেন বাক্সে ভরে। সহপাঠীরা বেড়াতে এলেই উঠোনে মেলে ধরতেন সেই বাক্স। বন্ধুরা বই দেখে রীতিমতো অবাক হতো! তাঁর জমানো বইয়ের অনুপ্রেরণায় বন্ধুদের নিয়ে ১৯৬৪ সালে গড়লেন পাঠাগার। নাম দিলেন ‘কিশোর সমিতি’। এ নামে চার বছর চলার পর যৌবনের পদচারণায় নতুন জাগরণে উজ্জীবিত হয়ে পাঠাগারটির নাম রাখেন ‘জাগরণী সমিতি’। ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে পাঠাগারটি রেজিস্ট্রেশন পায়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা পাঠাগারটি ২০১১ সালে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর থেকে নরসিংদী জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের মাধ্যমে ‘জাগরণী পাঠাগার’ নামে সনদ পায়।
সিরাজনগর উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার একটি অব্যবহৃত কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, জাগরণী পাঠাগারের টেবিলে বসে বই পড়া, সম্পাদনা, লেখালেখিতে ব্যস্ত ডা. অছিউদ্দীন। পাশের চেয়ারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী পাঠক জ্ঞানচর্চায় মগ্ন।
পাঠাগারটিতে উপন্যাস, গল্প, কবিতাসহ ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভ্রমণ, রম্যরচনা, বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ের বই আলমারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর রচনাবলিসহ পাঠাগারে আছে হাজার বিশেক বই। এ ছাড়া ‘তত্ত্ববোধিনী’, ‘প্রবাসী’, ‘শনিবারের চিঠি’, ‘মোহাম্মদী’, ‘সওগাত’ ইত্যাদি পত্রিকার সংখ্যা আছে। ৫৬ বছর ধরে বিভিন্ন পত্রিকার দুর্লভ কাটিং ১০টি বইয়ের আকরে আলাদা আলাদা বিষয় ধরে সংরক্ষণ করেছেন। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোয় খোলা রাখেন পাঠাগার। দূরদূরান্ত থেকে আসা পাঠক মুগ্ধ হন একজন মানুষের অসাধারণ এক কাজ দেখে।
পাঠাগারটিতে যারা এসেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন ১৯৯০ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও জীবনানন্দ গবেষক উইলিয়াম রাদিচে, ২০০৮ সালে তৎকালীন নরসিংদী জেলার অ্যাডিশনাল ডিসি বিজয় কান্তিসহ বহু গুণীজন। সবাই পাঠাগারটি দেখে মুগ্ধ হয়ে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
ডা. অছিউদ্দীন আহমদ পাঠাগার পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা করেছেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করছেন এখনো। এ জন্য মানুষের কাছে ডা. অছিউদ্দীন নামেও পরিচিত তিনি। পাশাপাশি লেখালেখিও চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্পাদনা করেছেন মাসিক পত্রিকা ও সাময়িকী। তাঁর সম্পাদিত বই জাগরণ, অগ্রদূত, লাব্বাইক, নাজাত, নওরোজ পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটটি। অমুদ্রিত পাণ্ডুলিপি ২২টি।
রায়পুরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দীর্ঘকাল সহসভাপতি তিনি। ছিলেন ‘সাপ্তাহিক বার্তা’র স্টাফ রিপোর্টার। ১৯৭০ সাল থেকে দুই যুগ সিরাজনগর হাইস্কুল ও সিরাজনগর উম্মুল কুরা সিনিয়র মাদ্রাসায় বাংলা সাহিত্যে পাঠদান করান।
পাঠাগারে আসা আদিয়াবাদ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ‘আমার বাড়ি স্যারের বাড়ির পাশেই। একটা মানুষ বইয়ের জন্য এত পাগল হতে পারে, স্যারকে না দেখলে বুঝতামই না। আমি সময় পেলে পাঠাগারে পড়তে আসি।’
মুফতি মুহাম্মদ রাকিব বলেন, ‘তাঁকে দেখেই বই পড়ার আগ্রহ জন্মে। কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়িতে এলে বারবার পাঠাগারে ছুটে আসি।’
স্থানীয় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, উমর আলী মোল্লা, মুর্শিদা আক্তার বলেন, পাঠাগারটি আদর্শ মানুষ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। অজপাড়াগাঁয়ে পাঠাগারটি থাকায় গ্রামের এবং গ্রামের বাইরে যারা সবাই উপকৃত হচ্ছেন।
সিরাজনগর উম্মুর কুরা ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উমর ফারুক বলেন, ‘পাঠাগারটি ৫৬ বছর ধরে জ্ঞানের আলো বিতরণ করছে। এতে সমাজ উপকৃত হচ্ছে, মানুষ জ্ঞান অর্জন করে ব্যক্তিজীবনে কাজে লাগাতে পারছেন। যুবসমাজ মাদকসহ বিভিন্ন অন্যায় থেকে বিরত থাকছে। ’
খুবই সাধাসাধি জীবনযাপন মাওলানা অছিউদ্দীনের। বহু বছরের পুরোনো টিনের ভাঙা ঘরেই পরিবার নিয়ে বাস তাঁর। ছয় সন্তানের জনক তিনি। বর্তমানে শরীরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগ বাসা বাঁধলেও পাঠাগারে সময় দেন।
ডা. অছিউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বই পড়াতে আনন্দ পাই, সে জন্যই আমার এই প্রচেষ্টা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জাগরণী পাঠাগারকে দেশের শীর্ষস্থানীয় গ্রামীণ পাঠাগারে পরিণত করার স্বপ্ন দেখি। ১৯৬৪ সালে পড়াশোনা করতে পুরান ঢাকায় ছিলাম। ফুটপাতে দোকানিরা বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসত। হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা কিংবা এক টাকায় বই কিনতাম। দীর্ঘদিন ধরে আমি খেয়ে না-খেয়ে বইয়ের পাহাড়ই গড়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির যুগে আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। নতুন প্রজন্ম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহারে মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়েছে। এগুলো যত কম ব্যবহার হবে, ততই মঙ্গল। তাই নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করা অতি জরুরি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও গ্রামের মানুষের মধ্যে আলো ছড়াতে তিল তিল করে পাঠাগারটি গড়েছি। পাঠাগারের স্থায়ী কোনো স্থাপনা নেই। টাকার অভাবে বইয়ের যত্ন নিতে পারছি না। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে বড় উপকার হতো। আমার ছেলে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে অসিয়ত করেছি, সে এই পাঠাগার দেখাশোনা করবে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

নরসিংদীর রায়পুরার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের এক অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠেছে ‘জাগরণী পাঠাগার’। দুর্লভ বইয়ের এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন মাওলানা অছিউদ্দীন। পাঠাগারটিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই। বর্তমানে মাওলানা অছিউদ্দীনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) ম
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নরসিংদীর রায়পুরার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের এক অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠেছে ‘জাগরণী পাঠাগার’। দুর্লভ বইয়ের এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন মাওলানা অছিউদ্দীন। পাঠাগারটিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই। বর্তমানে মাওলানা অছিউদ্দীনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) ম
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

নরসিংদীর রায়পুরার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের এক অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠেছে ‘জাগরণী পাঠাগার’। দুর্লভ বইয়ের এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন মাওলানা অছিউদ্দীন। পাঠাগারটিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই। বর্তমানে মাওলানা অছিউদ্দীনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) ম
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীর রায়পুরার আড়িয়াল খাঁ নদের তীরের এক অজপাড়াগাঁয়ে গড়ে উঠেছে ‘জাগরণী পাঠাগার’। দুর্লভ বইয়ের এই সংগ্রহশালার মাধ্যমে অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছেন মাওলানা অছিউদ্দীন। পাঠাগারটিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বই। বর্তমানে মাওলানা অছিউদ্দীনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা ফাজিল (ডিগ্রি) ম
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে