আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিএমপি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে গিয়ে এজাজের ভর্তি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নথিতে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন এজাজ। তবে তিনি ভর্তি ফরমে প্রকৃত নাম আড়াল করে ফাহিম আহম্মেদ নাম দেন। তাঁর সঙ্গে এ সময় এক ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁকে তিনি বাবা পরিচয় দেন। বাবার নাম লেখেন কামরুল ইসলাম। ধানমন্ডি ৯/এ-এর একটি বাসা নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাসায় তিনি থাকেন না।
হাসপাতালের নথিতে আরও দেখা যায়, হাসপাতালটির কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম ফাহাদ ভূঁইয়ার অধীনে তিনি ভর্তি হন। ভর্তির পর তাঁকে হাসপাতালটির ২০৩ নম্বর কেবিনে নেওয়া হয়। তাঁর চারটি পরীক্ষা করে কিডনি রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হন চিকিৎসকেরা। এরপর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। সে সময় পুলিশের ৩০-৪০ জন সদস্য ছিলেন।
হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক মো. মুরাদ হোসেন খান বলেন, ‘ডিবির সদস্যরা জ্যাকেট পরা ছিলেন। তাঁরা হাসপাতালে এসেই ২০৩ নম্বর কেবিনে কে ভর্তি, তাঁর বিষয়ে তথ্য চান। কেবিনে গিয়ে তাঁরা ওই রোগীকে দেখতে চান। এরপর ডিবি পুলিশ ডিউটি ডক্টরকে নিয়ে ওই কেবিনে যান। তাঁরা কিছু তথ্য যাচাই-বাছাই করেন। পরে ডিবির একজন অফিসার হাসপাতালের ডিউটি ডক্টরকে বলেন, এই রোগী ফাহিম আহম্মেদ না, তার নাম এজাজ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। তাকে তাঁরা নিয়ে যেতে চান। এরপর হাসপাতাল থেকে ডিবি পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁকে নিয়ে যায়।’
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, ‘এজাজের কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই আমরা দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে যখন নিয়ে যায়, তাতে আমাদের স্টাফরা বাধা দিতে পারেননি। কারণ, তাঁরা অনেক ডিবি সদস্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে যান।’
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে বের করে নেওয়ার পর এজাজকে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর নাম লেখা হয় এজাজ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ। ভর্তি রসিদে ডিবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভর্তির আগে পথে দুই ঘণ্টা সময় কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, জিগাতলা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে ভোররাতে ২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা নয়। এজাজের পরিবারের অভিযোগ, এই সময় এজাজকে মারধর করা হয়।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢামেক হাসপাতালে শনিবার ভোরে ভর্তির পর তাঁর ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। এরপর একই দিন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এজাজের মৃত্যু হয়।
এজাজের মৃত্যুর পর মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ কাদের আহম্মেদ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, এজাজের ডান ও বাম ঊরুর পেছন দিকে নিতম্ব পর্যন্ত রক্তজমা কালশিটে দাগ আছে। পা সামান্য ফোলা। পায়ের পাতা ও আঙুল স্বাভাবিক। বুক ও পিঠের মাঝামাঝি পুরোনো দাগ। পিঠে রক্ত জমা কালচে দাগ আছে এবং দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরানোর দাগ রয়েছে।
নিহত এজাজের বাবা শাহ আলমের দাবি, জামিনে থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার মাঝরাতে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে এজাজকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে শনিবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে একই দিন রাত সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। ওয়ারী জোনের একজন এডিসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও করেন তিনি।
ডিবির সূত্র জানিয়েছে, ডিবির ওয়ারীর একাধিক টিম এজাজকে গ্রেপ্তারে ওই হাসপাতালে গিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে ডিবি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
ডিবি ও মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে ১১ মার্চ সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। ১২ মার্চ তাঁকে আদালতে তোলে পুলিশ। অসুস্থতার কারণে তিনি আদালত থেকে জামিন পান। এরপর ১৪ মার্চ রাতে তিনি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হন। ডিবি তাঁকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে ডিবি হেফাজতে এজাজের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, ‘এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যায়নি। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হন এজাজ। জামিন পাওয়ার পর আমরা তাঁকে নজরদারিতে রাখি। এরপর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। গতকাল শনিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তাঁর নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢামেক হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।’
সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনার মূল হোতা ছিলেন এজাজ। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন তিনি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলাল বর্তমানে পলাতক থাকায় তাঁদের সন্ত্রাসী গ্যাং এজাজের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল। এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, এজাজের নেতৃত্বে ১২০ থেকে ১৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র সক্রিয় রয়েছে।
এজাজের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ১২ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিএমপি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে গিয়ে এজাজের ভর্তি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নথিতে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন এজাজ। তবে তিনি ভর্তি ফরমে প্রকৃত নাম আড়াল করে ফাহিম আহম্মেদ নাম দেন। তাঁর সঙ্গে এ সময় এক ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁকে তিনি বাবা পরিচয় দেন। বাবার নাম লেখেন কামরুল ইসলাম। ধানমন্ডি ৯/এ-এর একটি বাসা নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাসায় তিনি থাকেন না।
হাসপাতালের নথিতে আরও দেখা যায়, হাসপাতালটির কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম ফাহাদ ভূঁইয়ার অধীনে তিনি ভর্তি হন। ভর্তির পর তাঁকে হাসপাতালটির ২০৩ নম্বর কেবিনে নেওয়া হয়। তাঁর চারটি পরীক্ষা করে কিডনি রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হন চিকিৎসকেরা। এরপর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। সে সময় পুলিশের ৩০-৪০ জন সদস্য ছিলেন।
হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক মো. মুরাদ হোসেন খান বলেন, ‘ডিবির সদস্যরা জ্যাকেট পরা ছিলেন। তাঁরা হাসপাতালে এসেই ২০৩ নম্বর কেবিনে কে ভর্তি, তাঁর বিষয়ে তথ্য চান। কেবিনে গিয়ে তাঁরা ওই রোগীকে দেখতে চান। এরপর ডিবি পুলিশ ডিউটি ডক্টরকে নিয়ে ওই কেবিনে যান। তাঁরা কিছু তথ্য যাচাই-বাছাই করেন। পরে ডিবির একজন অফিসার হাসপাতালের ডিউটি ডক্টরকে বলেন, এই রোগী ফাহিম আহম্মেদ না, তার নাম এজাজ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। তাকে তাঁরা নিয়ে যেতে চান। এরপর হাসপাতাল থেকে ডিবি পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁকে নিয়ে যায়।’
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, ‘এজাজের কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই আমরা দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে যখন নিয়ে যায়, তাতে আমাদের স্টাফরা বাধা দিতে পারেননি। কারণ, তাঁরা অনেক ডিবি সদস্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে যান।’
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে বের করে নেওয়ার পর এজাজকে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর নাম লেখা হয় এজাজ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ। ভর্তি রসিদে ডিবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভর্তির আগে পথে দুই ঘণ্টা সময় কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, জিগাতলা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে ভোররাতে ২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা নয়। এজাজের পরিবারের অভিযোগ, এই সময় এজাজকে মারধর করা হয়।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢামেক হাসপাতালে শনিবার ভোরে ভর্তির পর তাঁর ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। এরপর একই দিন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এজাজের মৃত্যু হয়।
এজাজের মৃত্যুর পর মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ কাদের আহম্মেদ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, এজাজের ডান ও বাম ঊরুর পেছন দিকে নিতম্ব পর্যন্ত রক্তজমা কালশিটে দাগ আছে। পা সামান্য ফোলা। পায়ের পাতা ও আঙুল স্বাভাবিক। বুক ও পিঠের মাঝামাঝি পুরোনো দাগ। পিঠে রক্ত জমা কালচে দাগ আছে এবং দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরানোর দাগ রয়েছে।
নিহত এজাজের বাবা শাহ আলমের দাবি, জামিনে থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার মাঝরাতে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে এজাজকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে শনিবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে একই দিন রাত সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। ওয়ারী জোনের একজন এডিসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও করেন তিনি।
ডিবির সূত্র জানিয়েছে, ডিবির ওয়ারীর একাধিক টিম এজাজকে গ্রেপ্তারে ওই হাসপাতালে গিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে ডিবি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
ডিবি ও মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে ১১ মার্চ সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। ১২ মার্চ তাঁকে আদালতে তোলে পুলিশ। অসুস্থতার কারণে তিনি আদালত থেকে জামিন পান। এরপর ১৪ মার্চ রাতে তিনি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হন। ডিবি তাঁকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে ডিবি হেফাজতে এজাজের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, ‘এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যায়নি। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হন এজাজ। জামিন পাওয়ার পর আমরা তাঁকে নজরদারিতে রাখি। এরপর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। গতকাল শনিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তাঁর নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢামেক হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।’
সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনার মূল হোতা ছিলেন এজাজ। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন তিনি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলাল বর্তমানে পলাতক থাকায় তাঁদের সন্ত্রাসী গ্যাং এজাজের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল। এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, এজাজের নেতৃত্বে ১২০ থেকে ১৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র সক্রিয় রয়েছে।
এজাজের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ১২ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিএমপি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে গিয়ে এজাজের ভর্তি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নথিতে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন এজাজ। তবে তিনি ভর্তি ফরমে প্রকৃত নাম আড়াল করে ফাহিম আহম্মেদ নাম দেন। তাঁর সঙ্গে এ সময় এক ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁকে তিনি বাবা পরিচয় দেন। বাবার নাম লেখেন কামরুল ইসলাম। ধানমন্ডি ৯/এ-এর একটি বাসা নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাসায় তিনি থাকেন না।
হাসপাতালের নথিতে আরও দেখা যায়, হাসপাতালটির কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম ফাহাদ ভূঁইয়ার অধীনে তিনি ভর্তি হন। ভর্তির পর তাঁকে হাসপাতালটির ২০৩ নম্বর কেবিনে নেওয়া হয়। তাঁর চারটি পরীক্ষা করে কিডনি রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হন চিকিৎসকেরা। এরপর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। সে সময় পুলিশের ৩০-৪০ জন সদস্য ছিলেন।
হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক মো. মুরাদ হোসেন খান বলেন, ‘ডিবির সদস্যরা জ্যাকেট পরা ছিলেন। তাঁরা হাসপাতালে এসেই ২০৩ নম্বর কেবিনে কে ভর্তি, তাঁর বিষয়ে তথ্য চান। কেবিনে গিয়ে তাঁরা ওই রোগীকে দেখতে চান। এরপর ডিবি পুলিশ ডিউটি ডক্টরকে নিয়ে ওই কেবিনে যান। তাঁরা কিছু তথ্য যাচাই-বাছাই করেন। পরে ডিবির একজন অফিসার হাসপাতালের ডিউটি ডক্টরকে বলেন, এই রোগী ফাহিম আহম্মেদ না, তার নাম এজাজ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। তাকে তাঁরা নিয়ে যেতে চান। এরপর হাসপাতাল থেকে ডিবি পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁকে নিয়ে যায়।’
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, ‘এজাজের কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই আমরা দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে যখন নিয়ে যায়, তাতে আমাদের স্টাফরা বাধা দিতে পারেননি। কারণ, তাঁরা অনেক ডিবি সদস্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে যান।’
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে বের করে নেওয়ার পর এজাজকে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর নাম লেখা হয় এজাজ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ। ভর্তি রসিদে ডিবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভর্তির আগে পথে দুই ঘণ্টা সময় কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, জিগাতলা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে ভোররাতে ২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা নয়। এজাজের পরিবারের অভিযোগ, এই সময় এজাজকে মারধর করা হয়।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢামেক হাসপাতালে শনিবার ভোরে ভর্তির পর তাঁর ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। এরপর একই দিন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এজাজের মৃত্যু হয়।
এজাজের মৃত্যুর পর মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ কাদের আহম্মেদ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, এজাজের ডান ও বাম ঊরুর পেছন দিকে নিতম্ব পর্যন্ত রক্তজমা কালশিটে দাগ আছে। পা সামান্য ফোলা। পায়ের পাতা ও আঙুল স্বাভাবিক। বুক ও পিঠের মাঝামাঝি পুরোনো দাগ। পিঠে রক্ত জমা কালচে দাগ আছে এবং দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরানোর দাগ রয়েছে।
নিহত এজাজের বাবা শাহ আলমের দাবি, জামিনে থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার মাঝরাতে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে এজাজকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে শনিবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে একই দিন রাত সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। ওয়ারী জোনের একজন এডিসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও করেন তিনি।
ডিবির সূত্র জানিয়েছে, ডিবির ওয়ারীর একাধিক টিম এজাজকে গ্রেপ্তারে ওই হাসপাতালে গিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে ডিবি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
ডিবি ও মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে ১১ মার্চ সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। ১২ মার্চ তাঁকে আদালতে তোলে পুলিশ। অসুস্থতার কারণে তিনি আদালত থেকে জামিন পান। এরপর ১৪ মার্চ রাতে তিনি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হন। ডিবি তাঁকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে ডিবি হেফাজতে এজাজের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, ‘এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যায়নি। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হন এজাজ। জামিন পাওয়ার পর আমরা তাঁকে নজরদারিতে রাখি। এরপর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। গতকাল শনিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তাঁর নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢামেক হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।’
সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনার মূল হোতা ছিলেন এজাজ। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন তিনি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলাল বর্তমানে পলাতক থাকায় তাঁদের সন্ত্রাসী গ্যাং এজাজের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল। এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, এজাজের নেতৃত্বে ১২০ থেকে ১৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র সক্রিয় রয়েছে।
এজাজের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ১২ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিএমপি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে গিয়ে এজাজের ভর্তি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নথিতে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন এজাজ। তবে তিনি ভর্তি ফরমে প্রকৃত নাম আড়াল করে ফাহিম আহম্মেদ নাম দেন। তাঁর সঙ্গে এ সময় এক ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁকে তিনি বাবা পরিচয় দেন। বাবার নাম লেখেন কামরুল ইসলাম। ধানমন্ডি ৯/এ-এর একটি বাসা নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাসায় তিনি থাকেন না।
হাসপাতালের নথিতে আরও দেখা যায়, হাসপাতালটির কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম ফাহাদ ভূঁইয়ার অধীনে তিনি ভর্তি হন। ভর্তির পর তাঁকে হাসপাতালটির ২০৩ নম্বর কেবিনে নেওয়া হয়। তাঁর চারটি পরীক্ষা করে কিডনি রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হন চিকিৎসকেরা। এরপর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। সে সময় পুলিশের ৩০-৪০ জন সদস্য ছিলেন।
হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক মো. মুরাদ হোসেন খান বলেন, ‘ডিবির সদস্যরা জ্যাকেট পরা ছিলেন। তাঁরা হাসপাতালে এসেই ২০৩ নম্বর কেবিনে কে ভর্তি, তাঁর বিষয়ে তথ্য চান। কেবিনে গিয়ে তাঁরা ওই রোগীকে দেখতে চান। এরপর ডিবি পুলিশ ডিউটি ডক্টরকে নিয়ে ওই কেবিনে যান। তাঁরা কিছু তথ্য যাচাই-বাছাই করেন। পরে ডিবির একজন অফিসার হাসপাতালের ডিউটি ডক্টরকে বলেন, এই রোগী ফাহিম আহম্মেদ না, তার নাম এজাজ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। তাকে তাঁরা নিয়ে যেতে চান। এরপর হাসপাতাল থেকে ডিবি পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁকে নিয়ে যায়।’
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, ‘এজাজের কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই আমরা দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে যখন নিয়ে যায়, তাতে আমাদের স্টাফরা বাধা দিতে পারেননি। কারণ, তাঁরা অনেক ডিবি সদস্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে যান।’
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে বের করে নেওয়ার পর এজাজকে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর নাম লেখা হয় এজাজ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ। ভর্তি রসিদে ডিবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভর্তির আগে পথে দুই ঘণ্টা সময় কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, জিগাতলা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে ভোররাতে ২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা নয়। এজাজের পরিবারের অভিযোগ, এই সময় এজাজকে মারধর করা হয়।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢামেক হাসপাতালে শনিবার ভোরে ভর্তির পর তাঁর ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। এরপর একই দিন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এজাজের মৃত্যু হয়।
এজাজের মৃত্যুর পর মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ কাদের আহম্মেদ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, এজাজের ডান ও বাম ঊরুর পেছন দিকে নিতম্ব পর্যন্ত রক্তজমা কালশিটে দাগ আছে। পা সামান্য ফোলা। পায়ের পাতা ও আঙুল স্বাভাবিক। বুক ও পিঠের মাঝামাঝি পুরোনো দাগ। পিঠে রক্ত জমা কালচে দাগ আছে এবং দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরানোর দাগ রয়েছে।
নিহত এজাজের বাবা শাহ আলমের দাবি, জামিনে থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার মাঝরাতে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে এজাজকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে শনিবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে একই দিন রাত সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। ওয়ারী জোনের একজন এডিসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও করেন তিনি।
ডিবির সূত্র জানিয়েছে, ডিবির ওয়ারীর একাধিক টিম এজাজকে গ্রেপ্তারে ওই হাসপাতালে গিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে ডিবি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
ডিবি ও মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে ১১ মার্চ সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। ১২ মার্চ তাঁকে আদালতে তোলে পুলিশ। অসুস্থতার কারণে তিনি আদালত থেকে জামিন পান। এরপর ১৪ মার্চ রাতে তিনি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হন। ডিবি তাঁকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে ডিবি হেফাজতে এজাজের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, ‘এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যায়নি। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হন এজাজ। জামিন পাওয়ার পর আমরা তাঁকে নজরদারিতে রাখি। এরপর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। গতকাল শনিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তাঁর নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢামেক হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।’
সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনার মূল হোতা ছিলেন এজাজ। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন তিনি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলাল বর্তমানে পলাতক থাকায় তাঁদের সন্ত্রাসী গ্যাং এজাজের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল। এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, এজাজের নেতৃত্বে ১২০ থেকে ১৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র সক্রিয় রয়েছে।
এজাজের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ১২ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
২৩ মিনিট আগে
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।
১৬ মার্চ ২০২৫
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।
ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।
ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।
১৬ মার্চ ২০২৫
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
২৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।
১৬ মার্চ ২০২৫
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
২৩ মিনিট আগে
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৩ মিনিট আগে
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে ধানের শীষের জয়ের জন্য লড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণার পরপরই বগুড়ায় জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় বরাবরই বগুড়া বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে এই জেলার দুটি আসনে (বগুড়া-৬ ও ৭) নির্বাচনে অংশ নিয়ে কখনো পরাজিত হননি। ঐতিহ্যবাহী এই নির্বাচনী এলাকায় এবার তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
আজ রাত ৮টায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে এক আনন্দ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাতমাথা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
সমাবেশে রেজাউল করিম বাদশা এই মনোনয়নকে ‘বগুড়ার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুশির সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ খবর পাওয়ার পরপরই তারেক রহমানকে ফোন করে বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি বগুড়াবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বগুড়াবাসী নির্বাচিত করবে। আমরা আশা করছি, বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে ধানের শীষের জয়ের জন্য লড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণার পরপরই বগুড়ায় জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় বরাবরই বগুড়া বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে এই জেলার দুটি আসনে (বগুড়া-৬ ও ৭) নির্বাচনে অংশ নিয়ে কখনো পরাজিত হননি। ঐতিহ্যবাহী এই নির্বাচনী এলাকায় এবার তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
আজ রাত ৮টায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে এক আনন্দ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাতমাথা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
সমাবেশে রেজাউল করিম বাদশা এই মনোনয়নকে ‘বগুড়ার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুশির সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ খবর পাওয়ার পরপরই তারেক রহমানকে ফোন করে বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি বগুড়াবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বগুড়াবাসী নির্বাচিত করবে। আমরা আশা করছি, বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।
১৬ মার্চ ২০২৫
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।
২৩ মিনিট আগে
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে