Ajker Patrika

আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: বাদীর রহস্যজনক মৃত্যু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ২০: ০৯
আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা: বাদীর রহস্যজনক মৃত্যু

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী কলেজছাত্রী এশার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

আজ শনিবার বিকেলে তার মৃতের খবর জানার পর পুলিশ টাঙ্গাইল পৌরসভার বোয়ালী এলাকায় এশার বাসায় গেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সরফুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল শহরের এক কিশোরী বাদী হয়ে বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। 

টাঙ্গাইল মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধ সমাধানের জন্য বড় মনির শরণাপন্ন হয় ওই কিশোরী। বড় মনি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। গত ১৭ ডিসেম্বর ওই কিশোরীকে শহরের আদালতপাড়ায় বড় মনির বাড়ির পাশে একটি ফ্ল্যাটে যেতে বলেন। সেখানে গেলে কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বড় মনি কক্ষে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ছবি তুলে রাখেন। 

এদিকে ধর্ষণ শেষে কাউকে এ কথা জানাতে নিষেধ করেন। কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তিনি। এরপর ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে প্রায়ই মেয়েটিকে বড় মনি ধর্ষণ করতেন বলেও উল্লেখ করা হয়। 

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণের কারণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বড় মনি তাকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে বড় মনি মেয়েটিকে আদালতপাড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। এতেও রাজি না হওয়ায় ওই বাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় মেয়েটিকে। 

সেখানে আবারও ধর্ষণ করেন বড় মনি। ধর্ষণের পর বড় মনির স্ত্রী তাকে মারধর করলে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাত ৩টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে। এর পর থেকে ওই কিশোরীকে নানা হুমকি দেওয়া হতো।

ধর্ষণ মামলায় গত ১৮ এপ্রিল হাজির হয়ে বড় মনির আবেদন করলে হাইকোর্ট তাঁকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৩০ এপ্রিল চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী গত ১৫ মে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বড় মনির।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সরফুদ্দিন বলেন, ঘটনা জানার পর পুলিশ তার বাসায় গিয়েছে। ক্রাইম সিন ইউনিট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত