আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী অ্যাডভোকেট মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন পৃথকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশনা দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন— সাবকে সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের স্ত্রী মে হ্লা প্রু এবং তিন সন্তান উসিং হাই, থোওয়াই শৈ ওয়াং ও ম্যা ম্যা খিং ভেনাস।
তৌফিকা করিমের দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মোছাম্মৎ মাহফুজা খাতুন। অন্যদিকে বীর বাহাদুরের পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের সরকারি পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।
তৌফিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও মিসেস তৌফিকা করিমসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তৌফিকা করিম সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি ও জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ এবং অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণগত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড ব্যাংক ও সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসিতে নিজ নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানাধীন টিম গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে- তৌফিকা করিম যে কোনো সময় পালিয়ে বিদেশ চলে যেতে পারেন। তিনি বিদেশ পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে অথবা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ কারণে তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারালয়ের অঘোষিত ‘নিয়ন্ত্রক’ ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংস্পর্শে থেকে এ অসাধ্য সাধ্য করেছিলেন তিনি। উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত সবখানেই তাঁর বিচরণ ছিল বলে জানা যায়। এ ছাড়া গড়ে তুলেছিলেন বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব সিন্ডিকেট। গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রভাব খাঁটিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো রায় ও জামিন করিয়েছেন অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার দুর্ধর্ষ আসামিদের।
অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম একাধারে একজন আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও ব্যাংকার। আইন অঙ্গনে পরিচিত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে। অনেকে আনিসুল হকের বান্ধবী হিসেবে তৌফিকা করিমকে চেনেন।
বীর বাহাদুরের পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এই পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধান টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বীর বাহাদুর তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যে কোনো সময় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁরা পালিয়ে গেলে দুর্নীতির অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হবে ও দীর্ঘায়িত হবে। কাজেই তাঁদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া আবশ্যক।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী অ্যাডভোকেট মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন পৃথকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশনা দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন— সাবকে সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের স্ত্রী মে হ্লা প্রু এবং তিন সন্তান উসিং হাই, থোওয়াই শৈ ওয়াং ও ম্যা ম্যা খিং ভেনাস।
তৌফিকা করিমের দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মোছাম্মৎ মাহফুজা খাতুন। অন্যদিকে বীর বাহাদুরের পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের সরকারি পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।
তৌফিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও মিসেস তৌফিকা করিমসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তৌফিকা করিম সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি ও জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ এবং অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণগত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড ব্যাংক ও সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসিতে নিজ নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানাধীন টিম গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে- তৌফিকা করিম যে কোনো সময় পালিয়ে বিদেশ চলে যেতে পারেন। তিনি বিদেশ পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে অথবা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ কারণে তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারালয়ের অঘোষিত ‘নিয়ন্ত্রক’ ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংস্পর্শে থেকে এ অসাধ্য সাধ্য করেছিলেন তিনি। উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত সবখানেই তাঁর বিচরণ ছিল বলে জানা যায়। এ ছাড়া গড়ে তুলেছিলেন বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব সিন্ডিকেট। গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রভাব খাঁটিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো রায় ও জামিন করিয়েছেন অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার দুর্ধর্ষ আসামিদের।
অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম একাধারে একজন আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও ব্যাংকার। আইন অঙ্গনে পরিচিত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে। অনেকে আনিসুল হকের বান্ধবী হিসেবে তৌফিকা করিমকে চেনেন।
বীর বাহাদুরের পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এই পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধান টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বীর বাহাদুর তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যে কোনো সময় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁরা পালিয়ে গেলে দুর্নীতির অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হবে ও দীর্ঘায়িত হবে। কাজেই তাঁদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া আবশ্যক।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী অ্যাডভোকেট মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন পৃথকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশনা দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন— সাবকে সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের স্ত্রী মে হ্লা প্রু এবং তিন সন্তান উসিং হাই, থোওয়াই শৈ ওয়াং ও ম্যা ম্যা খিং ভেনাস।
তৌফিকা করিমের দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মোছাম্মৎ মাহফুজা খাতুন। অন্যদিকে বীর বাহাদুরের পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের সরকারি পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।
তৌফিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও মিসেস তৌফিকা করিমসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তৌফিকা করিম সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি ও জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ এবং অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণগত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড ব্যাংক ও সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসিতে নিজ নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানাধীন টিম গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে- তৌফিকা করিম যে কোনো সময় পালিয়ে বিদেশ চলে যেতে পারেন। তিনি বিদেশ পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে অথবা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ কারণে তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারালয়ের অঘোষিত ‘নিয়ন্ত্রক’ ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংস্পর্শে থেকে এ অসাধ্য সাধ্য করেছিলেন তিনি। উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত সবখানেই তাঁর বিচরণ ছিল বলে জানা যায়। এ ছাড়া গড়ে তুলেছিলেন বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব সিন্ডিকেট। গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রভাব খাঁটিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো রায় ও জামিন করিয়েছেন অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার দুর্ধর্ষ আসামিদের।
অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম একাধারে একজন আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও ব্যাংকার। আইন অঙ্গনে পরিচিত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে। অনেকে আনিসুল হকের বান্ধবী হিসেবে তৌফিকা করিমকে চেনেন।
বীর বাহাদুরের পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এই পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধান টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বীর বাহাদুর তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যে কোনো সময় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁরা পালিয়ে গেলে দুর্নীতির অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হবে ও দীর্ঘায়িত হবে। কাজেই তাঁদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া আবশ্যক।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী অ্যাডভোকেট মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন পৃথকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশনা দেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন— সাবকে সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের স্ত্রী মে হ্লা প্রু এবং তিন সন্তান উসিং হাই, থোওয়াই শৈ ওয়াং ও ম্যা ম্যা খিং ভেনাস।
তৌফিকা করিমের দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মোছাম্মৎ মাহফুজা খাতুন। অন্যদিকে বীর বাহাদুরের পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের সরকারি পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।
তৌফিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও মিসেস তৌফিকা করিমসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তৌফিকা করিম সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি ও জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ এবং অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণগত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড ব্যাংক ও সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসিতে নিজ নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধানাধীন টিম গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে- তৌফিকা করিম যে কোনো সময় পালিয়ে বিদেশ চলে যেতে পারেন। তিনি বিদেশ পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে অথবা দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ কারণে তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারালয়ের অঘোষিত ‘নিয়ন্ত্রক’ ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংস্পর্শে থেকে এ অসাধ্য সাধ্য করেছিলেন তিনি। উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত সবখানেই তাঁর বিচরণ ছিল বলে জানা যায়। এ ছাড়া গড়ে তুলেছিলেন বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব সিন্ডিকেট। গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রভাব খাঁটিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো রায় ও জামিন করিয়েছেন অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার দুর্ধর্ষ আসামিদের।
অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম একাধারে একজন আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও ব্যাংকার। আইন অঙ্গনে পরিচিত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে। অনেকে আনিসুল হকের বান্ধবী হিসেবে তৌফিকা করিমকে চেনেন।
বীর বাহাদুরের পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এই পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অনুসন্ধান টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বীর বাহাদুর তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যে কোনো সময় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারেন। তাঁরা পালিয়ে গেলে দুর্নীতির অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হবে ও দীর্ঘায়িত হবে। কাজেই তাঁদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া আবশ্যক।

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৪৪ মিনিট আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামসহ সারা দেশে দুই দফায় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই দুই দফায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা বাকি। এই ১৪ আসনের মধ্যে অন্তত সাতটিতে নিজ দলেই বিরোধিতার মুখে পড়েছেন দলের প্রার্থীরা। এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে...
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। তাঁদের কেউ কেউ আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। আবার কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন না পেলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে দলটির ভেতরের কোন্দল আবারও সামনে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে। জেলার ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক এই নদী বর্তমানে পরিণত হয়েছে শহরের এক বিশালাকার ড্রেনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মাথাভাঙ্গা আজ শুধু নামেই নদী। ক্রমাগত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া আর যথাযথ খননের অভাবে নদীটি সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এর বুক চিরে এখন আর জাহাজ চলে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাথাভাঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি চিত্রা, নবগঙ্গা ও ভৈরবের মতো নদ-নদীগুলোর উৎস। ফলে মাথাভাঙ্গা মারা গেলে এই অঞ্চলের পুরো নদী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে। বর্তমানে নদীর পানি এতটাই দূষিত, তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ে তবুও অনেক প্রান্তিক মানুষ এই পানিতেই নিত্যকাজ সারছেন। অন্যদিকে দূষণের কারণে প্রায় হারিয়ে গেছে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ড্রেনের নোংরা পানি শোধন না করে নদীতে ফেলা বন্ধ করা এবং সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত খননকাজ শুরু করাই এখন সময়ের দাবি। চুয়াডাঙ্গাবাসী চান, প্রশাসন যেন শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবেই মাথাভাঙ্গাকে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেয়।
জেলার প্রবীণ বাসিন্দাদের স্মৃতি হাতড়ালে পাওয়া যায় এক টইটম্বুর মাথাভাঙ্গার ছবি। মালোপাড়ার প্রবীণ জামাত আলী বিষণ্ণ মনে বলেন, ‘ছোটবেলায় এই নদীর স্রোত দেখে ভয় পেতাম। বড় বড় জাহাজ চলত এখানে। আজ নদীটার এই হাল দেখে মনটা কষ্টে ফেটে যায়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর এই মরণদশার অন্যতম কারণ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরের প্রায় সব কটি প্রধান ড্রেনের মুখ সরাসরি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নদীর সঙ্গে। দিনরাত পৌরসভার নোংরা পানি, হোটেলের আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং বাজারের পচা বর্জ্য মিশছে নদীর স্বচ্ছ জলে। বিশেষ করে নিচের বাজার এলাকার মাংসপট্টির বর্জ্য এবং ব্রিজসংলগ্ন হোটেলগুলোর উচ্ছিষ্ট সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি কালো হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করলেই নাকে আসে উৎকট দুর্গন্ধ।
স্থানীয় যুবক রিমন আলী বলেন, ‘আগে যেখানে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতাম, আজ সেখানে দুর্গন্ধের চোটে দাঁড়ানোই দায়।’
নদীটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে। বড় বড় এনজিওর ভবনও নদীর সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পৌরসভার দিকে। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর গলার কাঁটা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। তারা নদীটিকে ড্রেন বানিয়ে ছাড়ছে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।
নদীটির এমন শোচনীয় অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদী হওয়ার কারণে বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘নদীদূষণকারীদের কোনো ছাড় নেই। জরিমানা নয়, এখন থেকে সরাসরি জেল হবে। পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নিয়ে আমি এই নদীকে বাঁচাতে চাই।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনগুলো নদীতে গিয়ে পড়েছে। আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে নোটিশ করেছি। তবে এখনো আমরা বিকল্প পাইনি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করব। আপনাদের সঙ্গে বসব।’

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে। জেলার ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক এই নদী বর্তমানে পরিণত হয়েছে শহরের এক বিশালাকার ড্রেনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মাথাভাঙ্গা আজ শুধু নামেই নদী। ক্রমাগত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া আর যথাযথ খননের অভাবে নদীটি সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এর বুক চিরে এখন আর জাহাজ চলে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাথাভাঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি চিত্রা, নবগঙ্গা ও ভৈরবের মতো নদ-নদীগুলোর উৎস। ফলে মাথাভাঙ্গা মারা গেলে এই অঞ্চলের পুরো নদী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে। বর্তমানে নদীর পানি এতটাই দূষিত, তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ে তবুও অনেক প্রান্তিক মানুষ এই পানিতেই নিত্যকাজ সারছেন। অন্যদিকে দূষণের কারণে প্রায় হারিয়ে গেছে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ড্রেনের নোংরা পানি শোধন না করে নদীতে ফেলা বন্ধ করা এবং সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত খননকাজ শুরু করাই এখন সময়ের দাবি। চুয়াডাঙ্গাবাসী চান, প্রশাসন যেন শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবেই মাথাভাঙ্গাকে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেয়।
জেলার প্রবীণ বাসিন্দাদের স্মৃতি হাতড়ালে পাওয়া যায় এক টইটম্বুর মাথাভাঙ্গার ছবি। মালোপাড়ার প্রবীণ জামাত আলী বিষণ্ণ মনে বলেন, ‘ছোটবেলায় এই নদীর স্রোত দেখে ভয় পেতাম। বড় বড় জাহাজ চলত এখানে। আজ নদীটার এই হাল দেখে মনটা কষ্টে ফেটে যায়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর এই মরণদশার অন্যতম কারণ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরের প্রায় সব কটি প্রধান ড্রেনের মুখ সরাসরি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নদীর সঙ্গে। দিনরাত পৌরসভার নোংরা পানি, হোটেলের আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং বাজারের পচা বর্জ্য মিশছে নদীর স্বচ্ছ জলে। বিশেষ করে নিচের বাজার এলাকার মাংসপট্টির বর্জ্য এবং ব্রিজসংলগ্ন হোটেলগুলোর উচ্ছিষ্ট সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি কালো হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করলেই নাকে আসে উৎকট দুর্গন্ধ।
স্থানীয় যুবক রিমন আলী বলেন, ‘আগে যেখানে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতাম, আজ সেখানে দুর্গন্ধের চোটে দাঁড়ানোই দায়।’
নদীটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে। বড় বড় এনজিওর ভবনও নদীর সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পৌরসভার দিকে। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর গলার কাঁটা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। তারা নদীটিকে ড্রেন বানিয়ে ছাড়ছে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।
নদীটির এমন শোচনীয় অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদী হওয়ার কারণে বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘নদীদূষণকারীদের কোনো ছাড় নেই। জরিমানা নয়, এখন থেকে সরাসরি জেল হবে। পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নিয়ে আমি এই নদীকে বাঁচাতে চাই।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনগুলো নদীতে গিয়ে পড়েছে। আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে নোটিশ করেছি। তবে এখনো আমরা বিকল্প পাইনি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করব। আপনাদের সঙ্গে বসব।’

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী অ্যাডভোকেট মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর...
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামসহ সারা দেশে দুই দফায় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই দুই দফায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা বাকি। এই ১৪ আসনের মধ্যে অন্তত সাতটিতে নিজ দলেই বিরোধিতার মুখে পড়েছেন দলের প্রার্থীরা। এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে...
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। তাঁদের কেউ কেউ আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। আবার কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন না পেলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে দলটির ভেতরের কোন্দল আবারও সামনে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেজিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ)

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে সমুদয় চাল উত্তোলন করেছেন।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো হলো বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তা (৫.৫ টন), চকরামাকান্ত পাকা রাস্তা হতে আব্বাসের বাড়ির রাস্তা (৯ টন), চকমানিক মসজিদ হতে সোহবারের বাড়ির রাস্তা (৭ টন) এবং চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তা (৯ টন)।
সরকারি হিসাবে প্রতি টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী আত্মসাৎকৃত ৩০ দশমিক ৫ টন চালের বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকাগুলো ঘুরে কোথাও দৃশ্যমান কোনো কাজ পাওয়া যায়নি। দু-একটি স্থানে সামান্য মাটি ফেলে পুরো কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে। চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তায় একেবারেই কোনো কাজ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকগৌরী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকটা শ্রমিক দিয়ে মাত্র এক দিন সামান্য কাজ করানো হয়েছে। এভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, অথচ গ্রামীণ এলাকার রাস্তাগুলো অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্প সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাকে নামমাত্র সভাপতি করা হয়েছে। প্রকল্পের সবকিছু দেখভাল করেন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু ও ইউপি সদস্য মনসুর রহমান। কত টনের প্রকল্প, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি। শুধু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।’
আরেক প্রকল্পের সভাপতি তানজিলা খাতুন বলেন, ‘প্রকল্প সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। সবকিছু মনসুর মেম্বারই করেন।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই, উপজেলায় গেলে কথা হবে। এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলামকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে সমুদয় চাল উত্তোলন করেছেন।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো হলো বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তা (৫.৫ টন), চকরামাকান্ত পাকা রাস্তা হতে আব্বাসের বাড়ির রাস্তা (৯ টন), চকমানিক মসজিদ হতে সোহবারের বাড়ির রাস্তা (৭ টন) এবং চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তা (৯ টন)।
সরকারি হিসাবে প্রতি টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী আত্মসাৎকৃত ৩০ দশমিক ৫ টন চালের বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকাগুলো ঘুরে কোথাও দৃশ্যমান কোনো কাজ পাওয়া যায়নি। দু-একটি স্থানে সামান্য মাটি ফেলে পুরো কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে। চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তায় একেবারেই কোনো কাজ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকগৌরী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকটা শ্রমিক দিয়ে মাত্র এক দিন সামান্য কাজ করানো হয়েছে। এভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, অথচ গ্রামীণ এলাকার রাস্তাগুলো অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্প সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাকে নামমাত্র সভাপতি করা হয়েছে। প্রকল্পের সবকিছু দেখভাল করেন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু ও ইউপি সদস্য মনসুর রহমান। কত টনের প্রকল্প, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি। শুধু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।’
আরেক প্রকল্পের সভাপতি তানজিলা খাতুন বলেন, ‘প্রকল্প সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। সবকিছু মনসুর মেম্বারই করেন।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই, উপজেলায় গেলে কথা হবে। এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলামকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী অ্যাডভোকেট মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর...
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৪৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামসহ সারা দেশে দুই দফায় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই দুই দফায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা বাকি। এই ১৪ আসনের মধ্যে অন্তত সাতটিতে নিজ দলেই বিরোধিতার মুখে পড়েছেন দলের প্রার্থীরা। এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে...
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। তাঁদের কেউ কেউ আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। আবার কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন না পেলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে দলটির ভেতরের কোন্দল আবারও সামনে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেসবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে দুই দফায় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই দুই দফায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা বাকি। এই ১৪ আসনের মধ্যে অন্তত সাতটিতে নিজ দলেই বিরোধিতার মুখে পড়েছেন দলের প্রার্থীরা। এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক ও রেল অবরোধ, মশাল মিছিল, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নবঞ্চিত কেউ কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কয়েকজন এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। বঞ্চিত ব্যক্তিদের আশা, শেষ মুহূর্তে হলেও হয়তো তাঁদের ভাগ্য খুলবে। দলের মধ্যে এমন ‘বিদ্রোহ’ নিয়ে অনেকটা বিব্রত অবস্থায় পড়েছে বিএনপি।
বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করা এই সাত আসন হলো চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)। এর বাইরে আরও দু-একটি আসনে চাপা ক্ষোভ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে।
দলীয় সূত্র বলেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীকে উপেক্ষা করে এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চট্টগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিএনপির নেতা শামসুল আলম ও আবুল হাসেম বক্কর, চট্টগ্রাম-৫ আসনের এস এম ফজলুল হক ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনের বিএনপির নেতা লেয়াকত আলী। তাঁরা গত রোববার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা সবার বক্তব্য প্রায় অভিন্ন। তাঁরা জানান, দলের দুর্দিনে তাঁরা কাজ করেছেন। মাঠে-ময়দানে থেকে যাবতীয় অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। দল শেষ মুহূর্তে হলেও তাঁদের কাজের মূল্যায়ন করবে। দুই দফায় ইতিমধ্যে যে মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা প্রাথমিক মনোনয়ন। এতে আরও পরিবর্ধন ও পরিমার্জন সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
তথ্যমতে, প্রথম দফায় গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এ তালিকায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ছিল ১০টি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী) আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সরওয়ার জামাল নিজাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী।
৪ ডিসেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের চারটি আসন রয়েছে। এই প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মোস্তফা কামাল পাশা এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিন।
এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) ও চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে। এর মধ্যে বন্দর-পতেঙ্গা আসনে বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইস্রাফিল খসরু ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানের মনোনয়ন নিয়ে জোর আলোচনা আছে। চন্দনাইশ আসনে বিএনপির জোট শরিক এলডিপির কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
ঘোষিত ১৪ আসনের মধ্যে অন্তত পাঁচটি প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে বিস্ফোরণোন্মুখ। এগুলো হলো চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-১২ ও চট্টগ্রাম-১৬। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৫ ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বাইরে কয়েক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
সব মিলিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে চট্টগ্রামে বিএনপির নিজেদের মধ্যে কোন্দল চলছে চরম আকারে। সীতাকুণ্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা বেশি থাকলেও যুবদল নেতা কাজী সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এরপরই তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা রেললাইনও অবরোধ করেন। শেষ মুহূর্তে হলেও আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন দরজা খুলবে, এমন প্রত্যাশা সমর্থকদের।
এ বিষয়ে আসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি করার কারণে কী পরিমাণ সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি, তা দলের অজানা নয়। দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে প্রত্যাশা করি।’
অন্যদিকে কাজী সালাহউদ্দিন মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে মাঠ গোছানোর চেষ্টায় রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীরা যতই বিক্ষোভ করুন না কেন, তিনি মনে করেন না তাঁর মনোনয়নে কোনো আঁচ পড়বে।
এদিকে ফটিকছড়িতে নিজেদের নেতা মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারের অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ আসনে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীরের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
রাউজানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার চৌধুরী ও গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ মাসে রাউজানে খুন হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। এর মধ্যে ১২ জনই খুন হয়েছেন বিএনপির দুই গ্রুপের অন্তর্দ্বন্দ্বে। সংঘাতের কারণে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় সহসভাপতির পদ হারান সম্প্রতি। গোলাম আকবরের নেতৃত্বাধীন উত্তর জেলার আহ্বায়ক কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এই আসনে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এতে ক্ষুব্ধ গোলাম আকবরের অনুসারীরা।
বিদ্রোহের এই দাবানলের মাঝে মনোনয়ন পরিবর্তন হবে, এমন প্রত্যাশা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা জসিম সিকদারের। তিনি বলেন, এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শেষ মুহূর্তে দল মনোনয়ন নিশ্চিত করবে।
এদিকে পটিয়ায় দক্ষিণ জেলার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের মনোনয়ন মেনে নিতে পারেননি সাবেক সংসদ সদস্য গাজী শাহজাহান জুয়েল ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার অনুসারীরা। মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে গত ১৮ নভেম্বর গুলশান কার্যালয়ে একটি আবেদন জমা দেন তাঁরা। ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম নেছারসহ অন্য নেতারা।
বাঁশখালীতে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে বিস্ফোরণোন্মুখ এই উপজেলা। এই অবস্থায় পুরো বাঁশখালী চষে গণসংযোগ, মিছিল ও সমাবেশ করে ভোটার টানার চেষ্টা করছেন গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। গত ২২ নভেম্বর বাঁশখালীর প্রাণকেন্দ্র জলদীতে বড় সমাবেশ করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
লেয়াকত আলী বলেন, ‘৪১ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করছি। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে ছিলাম। নেতাদের ড্রয়িংরুমে হাজিরা দিতাম না বলে ড্রয়িংরুম পলিটিকসে বারবার পরাজিত হয়েছি। মনোনয়ন রাজনীতিতেও পরাজিত হলাম। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করব। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, বাঁশখালীবাসীর সিদ্ধান্ত। স্বতন্ত্র বা দলীয় বুঝি না, আমি নির্বাচন করব, এটাই শেষ কথা।’

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে দুই দফায় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই দুই দফায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা বাকি। এই ১৪ আসনের মধ্যে অন্তত সাতটিতে নিজ দলেই বিরোধিতার মুখে পড়েছেন দলের প্রার্থীরা। এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক ও রেল অবরোধ, মশাল মিছিল, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নবঞ্চিত কেউ কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কয়েকজন এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। বঞ্চিত ব্যক্তিদের আশা, শেষ মুহূর্তে হলেও হয়তো তাঁদের ভাগ্য খুলবে। দলের মধ্যে এমন ‘বিদ্রোহ’ নিয়ে অনেকটা বিব্রত অবস্থায় পড়েছে বিএনপি।
বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করা এই সাত আসন হলো চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)। এর বাইরে আরও দু-একটি আসনে চাপা ক্ষোভ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে।
দলীয় সূত্র বলেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীকে উপেক্ষা করে এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চট্টগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ আসনের বিএনপির নেতা শামসুল আলম ও আবুল হাসেম বক্কর, চট্টগ্রাম-৫ আসনের এস এম ফজলুল হক ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনের বিএনপির নেতা লেয়াকত আলী। তাঁরা গত রোববার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা সবার বক্তব্য প্রায় অভিন্ন। তাঁরা জানান, দলের দুর্দিনে তাঁরা কাজ করেছেন। মাঠে-ময়দানে থেকে যাবতীয় অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। দল শেষ মুহূর্তে হলেও তাঁদের কাজের মূল্যায়ন করবে। দুই দফায় ইতিমধ্যে যে মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা প্রাথমিক মনোনয়ন। এতে আরও পরিবর্ধন ও পরিমার্জন সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
তথ্যমতে, প্রথম দফায় গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এ তালিকায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ছিল ১০টি। সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী) আসনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সরওয়ার জামাল নিজাম এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী।
৪ ডিসেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের চারটি আসন রয়েছে। এই প্রার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে মোস্তফা কামাল পাশা এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিন।
এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) ও চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে। এর মধ্যে বন্দর-পতেঙ্গা আসনে বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইস্রাফিল খসরু ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানের মনোনয়ন নিয়ে জোর আলোচনা আছে। চন্দনাইশ আসনে বিএনপির জোট শরিক এলডিপির কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
ঘোষিত ১৪ আসনের মধ্যে অন্তত পাঁচটি প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে বিস্ফোরণোন্মুখ। এগুলো হলো চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-১২ ও চট্টগ্রাম-১৬। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৫ ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বাইরে কয়েক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
সব মিলিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে চট্টগ্রামে বিএনপির নিজেদের মধ্যে কোন্দল চলছে চরম আকারে। সীতাকুণ্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা বেশি থাকলেও যুবদল নেতা কাজী সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এরপরই তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা রেললাইনও অবরোধ করেন। শেষ মুহূর্তে হলেও আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন দরজা খুলবে, এমন প্রত্যাশা সমর্থকদের।
এ বিষয়ে আসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি করার কারণে কী পরিমাণ সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি, তা দলের অজানা নয়। দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে প্রত্যাশা করি।’
অন্যদিকে কাজী সালাহউদ্দিন মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে মাঠ গোছানোর চেষ্টায় রয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীরা যতই বিক্ষোভ করুন না কেন, তিনি মনে করেন না তাঁর মনোনয়নে কোনো আঁচ পড়বে।
এদিকে ফটিকছড়িতে নিজেদের নেতা মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারের অনুসারীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ আসনে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীরের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
রাউজানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার চৌধুরী ও গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ মাসে রাউজানে খুন হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। এর মধ্যে ১২ জনই খুন হয়েছেন বিএনপির দুই গ্রুপের অন্তর্দ্বন্দ্বে। সংঘাতের কারণে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় সহসভাপতির পদ হারান সম্প্রতি। গোলাম আকবরের নেতৃত্বাধীন উত্তর জেলার আহ্বায়ক কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এই আসনে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এতে ক্ষুব্ধ গোলাম আকবরের অনুসারীরা।
বিদ্রোহের এই দাবানলের মাঝে মনোনয়ন পরিবর্তন হবে, এমন প্রত্যাশা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা জসিম সিকদারের। তিনি বলেন, এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শেষ মুহূর্তে দল মনোনয়ন নিশ্চিত করবে।
এদিকে পটিয়ায় দক্ষিণ জেলার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের মনোনয়ন মেনে নিতে পারেননি সাবেক সংসদ সদস্য গাজী শাহজাহান জুয়েল ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার অনুসারীরা। মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে গত ১৮ নভেম্বর গুলশান কার্যালয়ে একটি আবেদন জমা দেন তাঁরা। ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম নেছারসহ অন্য নেতারা।
বাঁশখালীতে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে বিস্ফোরণোন্মুখ এই উপজেলা। এই অবস্থায় পুরো বাঁশখালী চষে গণসংযোগ, মিছিল ও সমাবেশ করে ভোটার টানার চেষ্টা করছেন গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেয়াকত আলী। গত ২২ নভেম্বর বাঁশখালীর প্রাণকেন্দ্র জলদীতে বড় সমাবেশ করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
লেয়াকত আলী বলেন, ‘৪১ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করছি। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে ছিলাম। নেতাদের ড্রয়িংরুমে হাজিরা দিতাম না বলে ড্রয়িংরুম পলিটিকসে বারবার পরাজিত হয়েছি। মনোনয়ন রাজনীতিতেও পরাজিত হলাম। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করব। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, বাঁশখালীবাসীর সিদ্ধান্ত। স্বতন্ত্র বা দলীয় বুঝি না, আমি নির্বাচন করব, এটাই শেষ কথা।’

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী অ্যাডভোকেট মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর...
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৪৪ মিনিট আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। তাঁদের কেউ কেউ আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। আবার কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন না পেলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে দলটির ভেতরের কোন্দল আবারও সামনে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। তাঁদের কেউ কেউ আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। আবার কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন না পেলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে দলটির ভেতরের কোন্দল আবারও সামনে এসেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর), রাজশাহী-৪ (বাগমারা) ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে একজন করে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে পাঁচজন বিএনপি নেতা সংগ্রহ করেছেন। দলের ঘোষিত প্রার্থীদের পাশাপাশি একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
রাজশাহী-১ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। গত সোমবার গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার মানুষ ধানের শীষে ভোট দিতে মুখিয়ে রয়েছে। ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। এই এলাকার মানুষ ধানের শীষ ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে ভোট দেবে না।
তবে দলীয় প্রার্থী শরীফ উদ্দিনের আগেই জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তোলেন এ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। তারেকের আশা, এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হবে। তবে মনোনয়ন না পেলেও তারেক ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।
রাজশাহী-২ (সদর) ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত কেউ এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তবে রাজশাহী-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুলের পক্ষে। তিনি আসনটিতে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। মনোনয়ন পেয়েছেন বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান।
রাজশাহী-৫ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফার ছেলে বিএনপি নেতা জুলফার নাঈম মোস্তফা বিস্ময়, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আল মামুন খান, রাজশাহী জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রুকুনুজ্জামান আলম, বিএনপি নেতা ইসফা খায়রুল হক শিমুল এবং পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিকের অনুসারীরা মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মণ্ডলও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
রাজশাহী নিউ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভিপি গোলাম মোর্শেদ শিবলী বলেন, ‘চূড়ান্ত মনোনয়ন এখনো ঘোষণা না হওয়ায় রাজশাহী-৫ আসনে একাধিক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে এই আসনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা হতে পারে, এমন প্রত্যাশা থেকেই নেতারা ফরম নিয়েছেন।’
পুঠিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আল মামুন খান বলেন, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এবং স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আগ্রহ থেকেই তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে চূড়ান্তভাবে যাঁকে দল মনোনয়ন দেবে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর পক্ষেই মাঠে কাজ করবেন।
রাজশাহী-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। ইতিমধ্যে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের পক্ষেও মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে।
দলীয় এই কোন্দলের বিষয়ে দলীয় প্রার্থী ও বিএনপির জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘দল ত্যাগী ও যোগ্যদেরই মনোনয়ন দিয়েছে। অনেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। যাঁরা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে মনোনয়ন তুলছেন, তাঁদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি। আশা করি দলের বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে তাঁরা নিজেরাই সরে যাবেন এবং দলীয় প্রার্থীর হয়ে মাঠে নামবেন।’

রাজশাহীর চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। তাঁদের কেউ কেউ আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। আবার কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন না পেলে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে দলটির ভেতরের কোন্দল আবারও সামনে এসেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর), রাজশাহী-৪ (বাগমারা) ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে একজন করে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে পাঁচজন বিএনপি নেতা সংগ্রহ করেছেন। দলের ঘোষিত প্রার্থীদের পাশাপাশি একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
রাজশাহী-১ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। গত সোমবার গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার মানুষ ধানের শীষে ভোট দিতে মুখিয়ে রয়েছে। ভোটের মাধ্যমে ভোটারদের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটবে। এই এলাকার মানুষ ধানের শীষ ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে ভোট দেবে না।
তবে দলীয় প্রার্থী শরীফ উদ্দিনের আগেই জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তোলেন এ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা। তারেকের আশা, এ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হবে। তবে মনোনয়ন না পেলেও তারেক ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।
রাজশাহী-২ (সদর) ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত কেউ এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তবে রাজশাহী-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুলের পক্ষে। তিনি আসনটিতে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। মনোনয়ন পেয়েছেন বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি এম জিয়াউর রহমান।
রাজশাহী-৫ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফার ছেলে বিএনপি নেতা জুলফার নাঈম মোস্তফা বিস্ময়, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আল মামুন খান, রাজশাহী জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রুকুনুজ্জামান আলম, বিএনপি নেতা ইসফা খায়রুল হক শিমুল এবং পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিকের অনুসারীরা মনোনয়ন ফরম তুলেছেন। এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মণ্ডলও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
রাজশাহী নিউ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভিপি গোলাম মোর্শেদ শিবলী বলেন, ‘চূড়ান্ত মনোনয়ন এখনো ঘোষণা না হওয়ায় রাজশাহী-৫ আসনে একাধিক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে এই আসনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা হতে পারে, এমন প্রত্যাশা থেকেই নেতারা ফরম নিয়েছেন।’
পুঠিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আল মামুন খান বলেন, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এবং স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আগ্রহ থেকেই তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে চূড়ান্তভাবে যাঁকে দল মনোনয়ন দেবে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর পক্ষেই মাঠে কাজ করবেন।
রাজশাহী-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। ইতিমধ্যে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের পক্ষেও মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে।
দলীয় এই কোন্দলের বিষয়ে দলীয় প্রার্থী ও বিএনপির জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘দল ত্যাগী ও যোগ্যদেরই মনোনয়ন দিয়েছে। অনেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। যাঁরা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে মনোনয়ন তুলছেন, তাঁদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি। আশা করি দলের বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে তাঁরা নিজেরাই সরে যাবেন এবং দলীয় প্রার্থীর হয়ে মাঠে নামবেন।’

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী অ্যাডভোকেট মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উ শৈ সিংসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর...
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৪৪ মিনিট আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামসহ সারা দেশে দুই দফায় সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই দুই দফায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা বাকি। এই ১৪ আসনের মধ্যে অন্তত সাতটিতে নিজ দলেই বিরোধিতার মুখে পড়েছেন দলের প্রার্থীরা। এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে...
১ ঘণ্টা আগে