Ajker Patrika

বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার আসামি টগর অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুশফিক উদ্দীন টগর। ছবি: সংগৃহীত
মুশফিক উদ্দীন টগর। ছবি: সংগৃহীত

বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় সাজা ভোগ করা মুশফিক উদ্দীন টগরকে (৫০) লালবাগ থানার অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করে লালবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই মতিয়ার রহমান বুলবুল পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান দীপু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে টগরকে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে আটক করে র‌্যাব। আজিমপুরের চায়না বিল্ডিং গলির একটি বাসায় মাদক বিক্রির খবরে র‌্যাব সেখানে যায়। তিন রুমের একটি ফ্ল্যাটে ছিলেন টগর। পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁর কক্ষ থেকে বিদেশি রিভলবার, ম্যাগাজিন, গুলি, মুখোশ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৩-এর ডিএডি (কোম্পানি কমান্ডার) মো. খালেকুজ্জামান শুক্রবার বিকেলে টগরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে আসামির মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বা তাঁকে নিয়ে অভিযান করলে মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন, উদ্ধার করা অস্ত্রের তথ্য, তাঁর কাছে আরও অস্ত্র আছে কি না এবং ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো ব্যক্তি জড়িত আছে কি না—তা উদ্‌ঘাটনের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।

তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে আরও বলেছেন, টগর সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে তা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ‘মুখোশ পরে’ ঢাকা শহরে বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলেন বলেও মামলায় বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, টগর সনি হত্যা মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২০০২ সালের ২৪ জুন। ২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সনি।

বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ আন্দোলনের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বিচারে নিম্ন আদালতে মুকি, টগর ও নুরুল ইসলাম সাগরের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।

২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট তাঁদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এস এম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

মুকি পরে পালিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়, সাগরও পলাতক রয়েছেন। আর টগর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি সাজা ফেটে কারাগার থেকে বের হন। চার বছর পর আবার আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত